দিন দিন বড় হচ্ছে শিশুটির মাথা
রাবেয়ার
বয়স সাড়ে তিন বছর। যে বয়সে তার খেলার কথা, আধো আধো বোলে সবাইকে মাতিয়ে
তোলার কথা, সেই বয়সেই সে হাইড্রোকেফ্যালাস নামে জটিল রোগে আক্রান্ত। তার
মাথাটি অস্বাভাবিক বড়। দিনে দিনে সেটি আরও বড় হচ্ছে।
চিকিৎসকেরা জানান, পানিবাহিত শিরা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মাথার পানি পেটে নামতে পারছে না। তবে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বিকল্প পথ তৈরি করে এ রোগের নিরাময় সম্ভব।
জন্মের এক বছর পর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয় রাবেয়া বকশি। কয়েক দফা জ্বর হলেও একসময় সেরে যায়। কিন্তু তার পর থেকে তার মাথা বড় হতে থাকে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রাবেয়ার বাবা ঝিনাইদহ জেলার মহেষপুর উপজেলার সামান্তা গ্রামের শরিফুল ইসলাম (২৭) বিভিন্ন আড়তে শ্রমিকের কাজ করেন। স্ত্রী বেলহারি বেগম, মা শামসুন্নাহার ও বাবা ইনসান আলীকে নিয়ে থাকেন ফরিদপুর সদরে। রাবেয়ার চিকিৎসার খরচ জোগাতে ১১ শতাংশ কৃষিজমি ও গাছপালা বিক্রি করে পরিবারটি এখন নিঃস্ব।
ইনসাফ আলী বলেন, ‘রাবেয়ার জন্য ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ছুটে বেড়িয়েছি। দু-একবার মাথার পানি অপসারণ করা হয়েছে। সুস্থ করে তোলার জন্য চিকিৎসকেরা অপারেশন করতে বলেছেন। সে জন্য এক লাখের বেশি টাকা প্রয়োজন। কিন্তু এত টাকা জোগাড় করার অবস্থা আমাদের নেই।’
গত রোববার শিশুটিকে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন শিশু বিভাগের কনসালটেন্ট খন্দকার এ এইচ সায়েদ।
খন্দকার এ এইচ সায়েদ জানান, রোগটির নাম হাইড্রোকেফ্যালাস। যে শিরা দিয়ে মানুষের মাথার পানি পেটে যায়, সেই শিরাটি মাঝপথে বন্ধ হয়ে গেছে।
চিকিৎসকেরা জানান, পানিবাহিত শিরা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মাথার পানি পেটে নামতে পারছে না। তবে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বিকল্প পথ তৈরি করে এ রোগের নিরাময় সম্ভব।
জন্মের এক বছর পর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয় রাবেয়া বকশি। কয়েক দফা জ্বর হলেও একসময় সেরে যায়। কিন্তু তার পর থেকে তার মাথা বড় হতে থাকে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রাবেয়ার বাবা ঝিনাইদহ জেলার মহেষপুর উপজেলার সামান্তা গ্রামের শরিফুল ইসলাম (২৭) বিভিন্ন আড়তে শ্রমিকের কাজ করেন। স্ত্রী বেলহারি বেগম, মা শামসুন্নাহার ও বাবা ইনসান আলীকে নিয়ে থাকেন ফরিদপুর সদরে। রাবেয়ার চিকিৎসার খরচ জোগাতে ১১ শতাংশ কৃষিজমি ও গাছপালা বিক্রি করে পরিবারটি এখন নিঃস্ব।
ইনসাফ আলী বলেন, ‘রাবেয়ার জন্য ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ছুটে বেড়িয়েছি। দু-একবার মাথার পানি অপসারণ করা হয়েছে। সুস্থ করে তোলার জন্য চিকিৎসকেরা অপারেশন করতে বলেছেন। সে জন্য এক লাখের বেশি টাকা প্রয়োজন। কিন্তু এত টাকা জোগাড় করার অবস্থা আমাদের নেই।’
গত রোববার শিশুটিকে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন শিশু বিভাগের কনসালটেন্ট খন্দকার এ এইচ সায়েদ।
খন্দকার এ এইচ সায়েদ জানান, রোগটির নাম হাইড্রোকেফ্যালাস। যে শিরা দিয়ে মানুষের মাথার পানি পেটে যায়, সেই শিরাটি মাঝপথে বন্ধ হয়ে গেছে।
No comments