যশোরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই বিএনপিকর্মী নিহত
যশোরের
মনিরামপুরে পুলিশের কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুজন নিহত হয়েছেন। পাশাপাশি
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পালেরহাট এলাকায় পুলিশের গুলিতে ইউনিয়ন যুবদলের
যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম জসিম গুলিবিদ্ধ হন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায়
উদ্ধার করে তাকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মনিরামপুরে
বন্দুকযুদ্ধে নিহতরা হচ্ছেন উপজেলার জয়পুর গ্রামের বজলুর রহমান ও আবু সাঈদ।
পুলিশের দাবি, নিহতরা জামায়াত-শিবিরের কর্মী। তবে নিহতের স্বজনদের দাবি,
তারা বিএনপিকর্মী। বিস্তারিত আমাদের স্টাফ রিপোর্টার ও প্রতিনিধিদের পাঠানো
প্রতিবেদনে-
স্টাফ রিপোর্র্টার, যশোর থেকে জানান, যশোরের মনিরামপুরের ব্যাগারীতলায় পুলিশের কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হচ্ছেন মনিরামপুর উপজেলার জয়পুর গ্রামের বজলুর রহমান ও আবু সাঈদ। মঙ্গলবার রাত আড়াইটায় যশোর-মনিরামপুর সড়কের ব্যাগারীতলার একটি মেহগনি বাগানে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ দাবি করেছে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৮টি তাজা হাতবোমা, ১২টি পেট্রলবোমা, ১টি দেশী তৈরি ওয়ান শুটারগান ও বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি উদ্ধারের দাবি করে।
যশোর পুলিশের মুখপাত্র এএসপি রেশমা শারমিন বলেন, একটি নাশকতা মামলার আসামি হিসেবে ওই দুজনকে মনিরামপু থানার পুলিশ গতকাল বিকালে জয়পুর গ্রাম থেকে আটক করে। পরে রাত আড়াইটার দিকে তাদের নিয়ে পুলিশ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য ব্যাগারীতলায় যায়। এ সময় সেখানে আগে থেকে ওত পেতে থাকা বজলু ও সাঈদের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে হাতবোমা নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশও পাল্টা অ্যাকশনে যায়। পাল্টাপাল্টি আক্রমণের মধ্যে বজলু ও সাঈদ হাতকড়া পরা অবস্থায় পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় বন্দুকযুদ্ধে তারা দুজন নিহত হন। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বোমা ও অস্ত্র, গুলি উদ্ধার করে। পুলিশ ঘটনার পরপরই লাশ দুটি উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। পুলিশ দাবি করেছে, নিহত দুজন জামায়াত-শিবিরের কর্মী এবং তারা স্থানীয় একাধিক নাশকতা মামলার আসামি। তবে নিহতদের স্বজনরা বলেন, নিহতরা কৃষিশ্রমিক। পাশাপাশি বিএনপিকর্মী।
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি জানান, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের পালেরহাট এলাকায় পুলিশের গুলিতে ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম জসিম গুলিবিদ্ধ হন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসাপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। এ সময় পুলিশ কনস্টেবল নাজমুল হাসান, বাহার উদ্দিন ও মাইন উদ্দিনসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হন বলে পুলিশ দাবি করে। আহত পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রাত ২টায়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যুবদল নেতা সাংবাদিকদের বলেন, দক্ষিণ হামছাদী ইউয়িন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্বে আছেন তিনি। গভীর রাতে সাদা পোশাকে পুলিশ তাকে ঘুম থেকে উঠিয়ে নিয়ে আসে। একপর্যায়ে পালেরহাট এলাকায় এনে তার পায়ে গুলি করে। তার বিরুদ্ধে মামলা ও কোন ধরনের অভিযোগ থানায় নেই। তার পরও পুলিশ তাকে গুলি করে আহত করে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন তিনি।
সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. নাসিম মিয়া বলেন, নাশকতার মামলার আসামি ছিল নজরুল ইসলাম জসিম। রাতেই তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার পথে তার সহযোগীরা পুলিশের ওপর আক্রমণ করে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। পালাতে চেষ্টা করলে জসিম পায়ে গুলিবিদ্ধ হন ও তিন পুলিশ সদস্য আহত হন বলে দাবি করেন তিনি।
স্টাফ রিপোর্র্টার, যশোর থেকে জানান, যশোরের মনিরামপুরের ব্যাগারীতলায় পুলিশের কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হচ্ছেন মনিরামপুর উপজেলার জয়পুর গ্রামের বজলুর রহমান ও আবু সাঈদ। মঙ্গলবার রাত আড়াইটায় যশোর-মনিরামপুর সড়কের ব্যাগারীতলার একটি মেহগনি বাগানে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ দাবি করেছে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৮টি তাজা হাতবোমা, ১২টি পেট্রলবোমা, ১টি দেশী তৈরি ওয়ান শুটারগান ও বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি উদ্ধারের দাবি করে।
যশোর পুলিশের মুখপাত্র এএসপি রেশমা শারমিন বলেন, একটি নাশকতা মামলার আসামি হিসেবে ওই দুজনকে মনিরামপু থানার পুলিশ গতকাল বিকালে জয়পুর গ্রাম থেকে আটক করে। পরে রাত আড়াইটার দিকে তাদের নিয়ে পুলিশ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য ব্যাগারীতলায় যায়। এ সময় সেখানে আগে থেকে ওত পেতে থাকা বজলু ও সাঈদের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে হাতবোমা নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশও পাল্টা অ্যাকশনে যায়। পাল্টাপাল্টি আক্রমণের মধ্যে বজলু ও সাঈদ হাতকড়া পরা অবস্থায় পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় বন্দুকযুদ্ধে তারা দুজন নিহত হন। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বোমা ও অস্ত্র, গুলি উদ্ধার করে। পুলিশ ঘটনার পরপরই লাশ দুটি উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। পুলিশ দাবি করেছে, নিহত দুজন জামায়াত-শিবিরের কর্মী এবং তারা স্থানীয় একাধিক নাশকতা মামলার আসামি। তবে নিহতদের স্বজনরা বলেন, নিহতরা কৃষিশ্রমিক। পাশাপাশি বিএনপিকর্মী।
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি জানান, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের পালেরহাট এলাকায় পুলিশের গুলিতে ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম জসিম গুলিবিদ্ধ হন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসাপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। এ সময় পুলিশ কনস্টেবল নাজমুল হাসান, বাহার উদ্দিন ও মাইন উদ্দিনসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হন বলে পুলিশ দাবি করে। আহত পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রাত ২টায়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যুবদল নেতা সাংবাদিকদের বলেন, দক্ষিণ হামছাদী ইউয়িন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্বে আছেন তিনি। গভীর রাতে সাদা পোশাকে পুলিশ তাকে ঘুম থেকে উঠিয়ে নিয়ে আসে। একপর্যায়ে পালেরহাট এলাকায় এনে তার পায়ে গুলি করে। তার বিরুদ্ধে মামলা ও কোন ধরনের অভিযোগ থানায় নেই। তার পরও পুলিশ তাকে গুলি করে আহত করে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন তিনি।
সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. নাসিম মিয়া বলেন, নাশকতার মামলার আসামি ছিল নজরুল ইসলাম জসিম। রাতেই তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার পথে তার সহযোগীরা পুলিশের ওপর আক্রমণ করে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। পালাতে চেষ্টা করলে জসিম পায়ে গুলিবিদ্ধ হন ও তিন পুলিশ সদস্য আহত হন বলে দাবি করেন তিনি।
No comments