অভুক্ত বানরদের খাবার জুটল
অবশেষে
খাবার মিলল ওদের। সিরাজগঞ্জের একটি সংগঠনের সদস্যদের পাঠানো টাকায় গতকাল সিলেটের চাষনী পীরের মাজারের এই বানরদের খাবার কিনে দেওয়া হয় l ছবি: প্রথম আলো |
চোখের
সামনে একটি-দুটি নয়, তিনটি কলার ছড়ি। সঙ্গে ছিল বিস্কুট, মটর ও চানাচুরের
প্যাকেট। ফলমূলের মধ্যে কমলা ও কুলবরই আলাদা করে রাখা। একসঙ্গে এত সব
খাবার উন্মুক্ত করে রেখে ডাক দেওয়া হয় ‘আয় আয়...’ বলে। সঙ্গে সঙ্গে সবাই
খাবারের কাছে চলে এল। মানুষজন সরে যেতেই হামলে পড়ল ওরা। এ দৃশ্য সিলেট
নগরের হজরত সৈয়দ চাষনী পীর (রহ.)-এর মাজার এলাকার। সেখানে বসবাসকারী বানরকে
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এভাবেই খাবার দেওয়া হয়। একসঙ্গে এতগুলো খাবার পেয়ে
বানরগুলো যেন পাগলপারা। খেয়েদেয়ে হাতে, মুখে করে নিয়ে রাখতেও দেখা গেছে।
টানা হরতাল-অবরোধের কারণে মাজারভক্ত দর্শনার্থীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় ওই মাজারে বসবাসকারী বানরগুলো অভুক্ত হয়ে পড়ে। এ নিয়ে ৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম আলোতে ‘হরতাল-অবরোধে ওরাও অভুক্ত’ শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন ছাপা হয়। এই প্রতিবেদন পড়ে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার প্রাণী ও পরিবেশবাদী সংগঠন ‘মুক্তজীবন’ পাঁচ হাজার টাকা অর্থ-সহায়তা দেয়। এই টাকায় তিন সপ্তাহে তিন বেলা খাদ্যসামগ্রী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সিলেটের ইতিহাস-ঐতিহ্য-প্রকৃতি সংরক্ষণ পরিষদ।
গতকাল প্রথম দফায় বানরের দলকে এক বেলা খাবার হিসেবে কলা, বিস্কুট, চানাচুর ও মটর দেওয়া হয়। দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত খাদ্যসামগ্রী মাজারের প্রবেশমুখে দেওয়া হলে বানরগুলো দল বেঁধে খাবার খায়। সিলেটের ইতিহাস-ঐতিহ্য-প্রকৃতি সংরক্ষণ পরিষদের মাধ্যমে বানরের খাবার দেওয়ার কাজ সমন্বয়ে সহায়তা করেন পরিষদের সংগঠক আবদুল করিম কিম, পরিবেশবাদী সংগঠন ‘ভূমিসন্তান বাংলাদেশ’-এর সমন্বয়ক মোহাম্মদ আশরাফুল কবীর ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণী অধিকারবিষয়ক সংগঠন প্রাধিকারের সাংগঠনিক সম্পাদক বিনায়ক শর্মা।
অর্থ-সহায়তা দেওয়া পরিবেশবাদী সংগঠন মুক্তজীবন সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনাভিত্তিক একটি সংগঠন। এর সভাপতি আবদুর রাজ্জাক নাসিম জানান, প্রথম আলোর ওই প্রতিবেদন পড়ে ব্যক্তিগতভাবে উদ্যোগী হয়েছিলেন। পরে সংগঠনের অন্য সদস্যরা জেনে কেউ ৫০০ টাকা, আবার কেউ ১০০ টাকা করে ৫ হাজার টাকা জমা করে সিলেটের ইতিহাস-ঐতিহ্য-প্রকৃতি সংরক্ষণ পরিষদের কাছে দেওয়া হয়। রাজ্জাক বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রাণী সংরক্ষণের জন্য আইন আছে, তা সত্ত্বেও মানুষে মানুষে বিবাদের কারণে প্রাণিকুলও অভুক্ত থাকে। এটা মানা যায় না। এই বোধ থেকে অর্থ-সহায়তা দেওয়া হয়েছে।’
চাষনী পীরের মাজার এলাকার টিলা ঘিরে কয়েক শ বানরের বসবাস। মাজারের এক দিকে দলদলি চা-বাগানের বন উজাড় হওয়ায় ১৯৮৪ সাল থেকে মাজার এলাকার বাসিন্দা হয়ে বংশপরম্পরায় বসবাস করছে বানরগুলো। মাজারভক্ত ও দর্শনার্থীদের দেওয়া খাবারই বানরগুলোর প্রধান খাদ্য। গত জানুয়ারির শুরু থেকে টানা অবরোধ ও হরতাল হওয়ায় মাজারে দর্শনার্থীর সংখ্যা কমে যায়। এ কারণে বানরগুলোও অভুক্ত হয়ে পড়ে।
টানা হরতাল-অবরোধের কারণে মাজারভক্ত দর্শনার্থীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় ওই মাজারে বসবাসকারী বানরগুলো অভুক্ত হয়ে পড়ে। এ নিয়ে ৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম আলোতে ‘হরতাল-অবরোধে ওরাও অভুক্ত’ শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন ছাপা হয়। এই প্রতিবেদন পড়ে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার প্রাণী ও পরিবেশবাদী সংগঠন ‘মুক্তজীবন’ পাঁচ হাজার টাকা অর্থ-সহায়তা দেয়। এই টাকায় তিন সপ্তাহে তিন বেলা খাদ্যসামগ্রী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সিলেটের ইতিহাস-ঐতিহ্য-প্রকৃতি সংরক্ষণ পরিষদ।
গতকাল প্রথম দফায় বানরের দলকে এক বেলা খাবার হিসেবে কলা, বিস্কুট, চানাচুর ও মটর দেওয়া হয়। দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত খাদ্যসামগ্রী মাজারের প্রবেশমুখে দেওয়া হলে বানরগুলো দল বেঁধে খাবার খায়। সিলেটের ইতিহাস-ঐতিহ্য-প্রকৃতি সংরক্ষণ পরিষদের মাধ্যমে বানরের খাবার দেওয়ার কাজ সমন্বয়ে সহায়তা করেন পরিষদের সংগঠক আবদুল করিম কিম, পরিবেশবাদী সংগঠন ‘ভূমিসন্তান বাংলাদেশ’-এর সমন্বয়ক মোহাম্মদ আশরাফুল কবীর ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণী অধিকারবিষয়ক সংগঠন প্রাধিকারের সাংগঠনিক সম্পাদক বিনায়ক শর্মা।
অর্থ-সহায়তা দেওয়া পরিবেশবাদী সংগঠন মুক্তজীবন সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনাভিত্তিক একটি সংগঠন। এর সভাপতি আবদুর রাজ্জাক নাসিম জানান, প্রথম আলোর ওই প্রতিবেদন পড়ে ব্যক্তিগতভাবে উদ্যোগী হয়েছিলেন। পরে সংগঠনের অন্য সদস্যরা জেনে কেউ ৫০০ টাকা, আবার কেউ ১০০ টাকা করে ৫ হাজার টাকা জমা করে সিলেটের ইতিহাস-ঐতিহ্য-প্রকৃতি সংরক্ষণ পরিষদের কাছে দেওয়া হয়। রাজ্জাক বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রাণী সংরক্ষণের জন্য আইন আছে, তা সত্ত্বেও মানুষে মানুষে বিবাদের কারণে প্রাণিকুলও অভুক্ত থাকে। এটা মানা যায় না। এই বোধ থেকে অর্থ-সহায়তা দেওয়া হয়েছে।’
চাষনী পীরের মাজার এলাকার টিলা ঘিরে কয়েক শ বানরের বসবাস। মাজারের এক দিকে দলদলি চা-বাগানের বন উজাড় হওয়ায় ১৯৮৪ সাল থেকে মাজার এলাকার বাসিন্দা হয়ে বংশপরম্পরায় বসবাস করছে বানরগুলো। মাজারভক্ত ও দর্শনার্থীদের দেওয়া খাবারই বানরগুলোর প্রধান খাদ্য। গত জানুয়ারির শুরু থেকে টানা অবরোধ ও হরতাল হওয়ায় মাজারে দর্শনার্থীর সংখ্যা কমে যায়। এ কারণে বানরগুলোও অভুক্ত হয়ে পড়ে।
No comments