হাইকোর্টের নির্দেশনা
হরতাল-অবরোধের নামে সহিংসতা, নাশকতা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ নির্দেশনায় চলমান এসএসসি পরীক্ষা নির্বিঘ্ন করতে এবং দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে কেউ বাধা সৃষ্টি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলেছেন হাইকোর্ট। সহিংসতা, নাশকতা ইত্যাদি যে আইনবিরোধী কর্মকাণ্ড তা বলার অপেক্ষা রাখে না। রাষ্ট্রের কোথাও এ ধরনের ঘটনা ঘটলে তা আইনানুযায়ী দমন করে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব। আমাদের সংবিধান ও আইন দ্বারা এসব সুরক্ষিত। এ সংক্রান্ত কার্যক্রমের বাস্তবায়ন আদালতের নির্দেশনার অপেক্ষা রাখে না। তা সত্ত্বেও চলমান রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধে পৃথক দুটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এ রুল জারির পর প্রতীয়মান হয়, নাশকতা দমনে সরকারকে এখন আরও কঠোর হতে হবে। সেক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, আইন প্রয়োগের কাজে যেন আইনবিরুদ্ধ কিছু না ঘটে। আইনের প্রয়োগ করতে হবে নিরপেক্ষভাবে, যেন কেবল নাশকতাকারীরাই এর আওতায় সাজা পায়। কোনো নিরপরাধ মানুষের ক্ষতি বা হয়রানি কাম্য নয়।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট ৪৩ দিন ধরে দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি পালন করে আসছে। মাঝে মাঝে হরতালও ডাকা হচ্ছে। অবরোধ-হরতাল চলাকালে সহিংসতায় এ পর্যন্ত প্রায় ৯০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। ভাংচুর ও পেট্রলবোমায় এক হাজারের বেশি যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশ কয়েকটি ট্রেনে চালানো হয়েছে নাশকতা। ভেঙে পড়েছে দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম। সহিংসতার প্রভাব থেকে গ্রামের কৃষকরাও মুক্ত নন। সবচেয়ে কষ্টদায়ক দিন কাটছে দিনমজুরদের। হরতাল-অবরোধে স্থবির হয়ে পড়েছে দেশের শিক্ষা কার্যক্রম। মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হলেও হরতালের কারণে তা বারবার পিছিয়ে দিতে হচ্ছে। এক কথায়, দেশে এক ভয়াবহ অরাজক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ অবস্থায় আইনশৃংখলা বাহিনীগুলোকে সরকার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিলেও এখনও পর্যন্ত সহিংসতা-নাশকতা বন্ধ হয়নি। উপরন্তু আইনশৃংখলা বাহিনীর বিরুদ্ধে বন্দুকযুদ্ধে নিরপরাধ মানুষ হত্যার অভিযোগ উঠছে। অভিযোগ উঠেছে গ্রেফতার বাণিজ্যেরও। এ প্রেক্ষাপটে হাইকোর্টের নির্দেশনাটি এলো।
হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি পালন করা রাজনৈতিক দলের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু সহিংসতার মাধ্যমে ভীতি প্রদর্শন করে জনগণকে তা পালনে বাধ্য করা আইনবিরুদ্ধ কাজ। বর্তমানে এ সহিংসতা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। মানুষের নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এটি কোনো যুক্তিতেই বরদাশত করা যায় না। সরকারকে আইনসঙ্গত পথে তা দমন করতে হবে। পাশাপাশি যে দাবি থেকে এ সহিংসতার সূত্রপাত, সেদিকেও নজর দিতে হবে। ৫ জানুয়ারি ২০ দলীয় জোট একটি সভা করতে চেয়েছিল। তা তাদের করতে দেয়া হয়নি। এটি অগণতান্ত্রিক। সরকারকে সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রবণতা ত্যাগ করতে হবে। দেশে বর্তমান সহিংস পরিস্থিতির পেছনের রাজনৈতিক কারণটিও অনুধাবন করতে হবে। কেননা কঠোর পদক্ষেপের মাধ্যমে সহিংসতা-নাশকতা যদিবা দমন করা যায়ও, তাতে অবরোধ-হরতাল আহ্বানকারীদের মনের ক্ষোভ প্রশমিত হবে না। দেশে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় এ ক্ষোভ প্রশমনের বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি, যা একমাত্র রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমেই সম্ভব হতে পারে।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট ৪৩ দিন ধরে দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি পালন করে আসছে। মাঝে মাঝে হরতালও ডাকা হচ্ছে। অবরোধ-হরতাল চলাকালে সহিংসতায় এ পর্যন্ত প্রায় ৯০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। ভাংচুর ও পেট্রলবোমায় এক হাজারের বেশি যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশ কয়েকটি ট্রেনে চালানো হয়েছে নাশকতা। ভেঙে পড়েছে দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম। সহিংসতার প্রভাব থেকে গ্রামের কৃষকরাও মুক্ত নন। সবচেয়ে কষ্টদায়ক দিন কাটছে দিনমজুরদের। হরতাল-অবরোধে স্থবির হয়ে পড়েছে দেশের শিক্ষা কার্যক্রম। মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হলেও হরতালের কারণে তা বারবার পিছিয়ে দিতে হচ্ছে। এক কথায়, দেশে এক ভয়াবহ অরাজক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ অবস্থায় আইনশৃংখলা বাহিনীগুলোকে সরকার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিলেও এখনও পর্যন্ত সহিংসতা-নাশকতা বন্ধ হয়নি। উপরন্তু আইনশৃংখলা বাহিনীর বিরুদ্ধে বন্দুকযুদ্ধে নিরপরাধ মানুষ হত্যার অভিযোগ উঠছে। অভিযোগ উঠেছে গ্রেফতার বাণিজ্যেরও। এ প্রেক্ষাপটে হাইকোর্টের নির্দেশনাটি এলো।
হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি পালন করা রাজনৈতিক দলের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু সহিংসতার মাধ্যমে ভীতি প্রদর্শন করে জনগণকে তা পালনে বাধ্য করা আইনবিরুদ্ধ কাজ। বর্তমানে এ সহিংসতা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। মানুষের নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এটি কোনো যুক্তিতেই বরদাশত করা যায় না। সরকারকে আইনসঙ্গত পথে তা দমন করতে হবে। পাশাপাশি যে দাবি থেকে এ সহিংসতার সূত্রপাত, সেদিকেও নজর দিতে হবে। ৫ জানুয়ারি ২০ দলীয় জোট একটি সভা করতে চেয়েছিল। তা তাদের করতে দেয়া হয়নি। এটি অগণতান্ত্রিক। সরকারকে সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রবণতা ত্যাগ করতে হবে। দেশে বর্তমান সহিংস পরিস্থিতির পেছনের রাজনৈতিক কারণটিও অনুধাবন করতে হবে। কেননা কঠোর পদক্ষেপের মাধ্যমে সহিংসতা-নাশকতা যদিবা দমন করা যায়ও, তাতে অবরোধ-হরতাল আহ্বানকারীদের মনের ক্ষোভ প্রশমিত হবে না। দেশে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় এ ক্ষোভ প্রশমনের বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি, যা একমাত্র রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমেই সম্ভব হতে পারে।
No comments