বিদ্যুৎ বন্ধে আ’লীগে মিশ্র প্রতিক্রিয়া by জাকির হোসেন লিটন
বিএনপি
চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে বিদ্যুৎ, মোবাইল ও
ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন জরুরি সেবা বন্ধ করা নিয়ে আওয়ামী লীগে মিশ্র
প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে। আওয়ামী লীগ ও সরকারের কট্টরপন্থী কোনো কোনো নেতা
চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলন দমনে সরকারের এ পদক্ষেপকে সঠিক বলে মনে করছেন।
তবে দলের মধ্যমপন্থী ও মূল ধারার নেতারা এ পদক্ষেপের বিরোধিতা করে বলছেন, এ
ঘটনা সরকারের জন্য বুমেরাং হয়ে যেতে পারে। কারণ, বিরোধী জোটের প্রধান এবং
সাবেক একজন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অতি প্রয়োজনীয় মানবিক এসব সুযোগ বন্ধ
করা দেশের সাধারণ জনগণ সমর্থন করবে না। এটি সরকার সম্পর্কে বিদেশেও
নেতিবাচক বার্তা দেবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ৫ জানুয়ারি ঘিরে শুরু হওয়া রাজনৈতিক উত্তাপ কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না সরকার। শুরুতে বিএনপি জোটের লাগাতার অবরোধকে তেমন গুরুত্ব দেয়া না হলেও সময়ের সাথে সাথে নাগরিক জীবনে তার নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সরকারের নীতিনির্ধারকেরা। বিরোধী জোটের শীর্ষ নেতাদের একের পর এক গ্রেফতার এবং তৃণমূলপর্যায়ে যৌথবাহিনীর অভিযানসহ নানা কঠোর পদক্ষেপের পরও কোনোভাবেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যাচ্ছে না। বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সর্বোচ্চ নজরদারির পরও প্রতিদিনই জ্বালাও, পোড়াও, ভাঙচুর ও হতাহতের ঘটনা ঘটছে। চলমান অবরোধ ও হরতালে দেশের অর্থনীতি পর্যায়ক্রমে গভীর খাদের কিনারে গিয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে বলা হচ্ছে। ২০ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারের পথ খুলতে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং নাশকতাকারীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশের পরও দেশব্যাপী সহিংসতা থামানো যাচ্ছে না। সরকারের বারবার অনুরোধের পরও আগামীকাল সোমবার থেকে শুরু হতে যাওয়া এসএসসি পরীক্ষার মধ্যেও অবরোধ কর্মসূচি থেকে সরে আসেনি বিরোধী জোট। উল্টো অবরোধের সাথে টানা ৭২ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে তারা। এ অবস্থায় করণীয় ঠিক করতে গিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন দল ও সরকারের শীর্ষ কর্তা ব্যক্তিরা। সরকার ও দলের কট্টরপন্থী কয়েক নেতা খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে গ্যাস, বিদ্যুৎ, ডিশ, পানি, ইন্টারনেট ও টেলিফোনসহ প্রয়োজনীয় সব নাগরিক ও মানবিক সুবিধা বন্ধ করার পক্ষে মত দেন। নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে এ ঘোষণা দেয়ার পর গতকাল শনিবার এসব সুবিধা বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে দেশ-বিদেশে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। একই সাথে দল ও সরকারের ভেতরেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে।
আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, হঠাৎ করেই খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন সুবিধা বন্ধে সরকারের উচ্চপর্যায়ের কোনো সিদ্ধান্ত ছিল না। সরকারের দুইজন মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় একজন নেতা ও মহানগর আওয়ামী লীগের দুই নেতাসহ অতি উৎসাহী কয়েকজন নেতার নির্দেশেই এ কাজটি করা হয়; যা নিয়ে আওয়ামী লীগ ও সরকারে ভিন্ন মত রয়েছে। এ ঘটনার পর সরকারের ইমেজ নষ্ট হওয়ায় উল্লিখিত ওই সব নেতাকে নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। সে জন্য শুক্রবার ঘোষণা দিলেও গতকাল এসব সুবিধা বিচ্ছিন্নের পর নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান দাবি করেছেন, সরকার কিংবা সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠান খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের এসব সুবিধা বন্ধ করেনি। শ্রমিক ও সাধারণ মানুষই এসব কেটে দিয়েছে। জানা গেছে, ঘটনার পর বিভিন্ন চাপের কারণেই তিনি এখন দায় নিচ্ছেন না।
দলের উপদেষ্টা পরিষদের একজন সদস্য আলাপকালে বলেন, এ পরামর্শ কারা দিয়েছে জানি না। এটি সরকারের জন্য বুমেরাং হয়ে যেতে পারে। কারণ, আমরা যা-ই বলি না কেন, খালেদা জিয়া এ দেশের সাবেক একজন প্রধানমন্ত্রী। তিনি মাসখানেক যাবৎ যে কার্যালয়ে অবস্থান করছেন সেই কার্যালয়ে বিদ্যুৎসহ প্রয়োজনীয় সব সুবিধা বন্ধ করে দেয়া কোনোভাবেই ঠিক হয়নি। এতে বিদেশেও সরকার সম্পর্কে আরো নেতিবাচক প্রচার হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের মূলধারার সিনিয়র এক নেতা আলাপকালে বলেন, যারা এসব বুদ্ধি দিচ্ছে তারা আসলে সরকারের ভালো চায় বলে মনে হয় না। দল ও সরকারের ভেতরে তারা আওয়ামী লীগার হয়ে অন্য কারো এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।
আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী অন্য এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, খালেদা জিয়াকে এভাবে কেন নাজেহাল করতে হবে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সম্প্রতি আরো কয়েকটি মামলা হয়েছে। ইচ্ছা করলে যেকোনো সময় তাকে গুলশান কার্যালয় থেকে গ্রেফতার করে আইনের মুখোমুখি করা যায়। কিন্তু তা না করে বিদ্যুৎ, ডিশ, ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন সুবিধা বন্ধ করে দিয়ে মিডিয়ার খোরাক জোগাতে হবে কেন? যা দেশ-বিদেশে আবার নতুন করে সমালোচনার ঝড় তুলবে। আসলে যারা এসব করছে তারা সরকারের আপন কেউ নয়। এরা সুবিধাবাদী।
তিনি বলেন, এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত নিলে তা দল অথবা সরকারের সর্বোচ্চপর্যায় থেকে ঘোষণা দেয়া উচিত ছিল। কারণ ৫ মে হেফাজতের সমাবেশে অভিযানের আগে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলন করে অভিযানের ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। এখন মধ্যম সারির একজন মন্ত্রীর ঘোষণার পর এটি কিভাবে কার্যকর করা হলো তা জানি না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ৫ জানুয়ারি ঘিরে শুরু হওয়া রাজনৈতিক উত্তাপ কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না সরকার। শুরুতে বিএনপি জোটের লাগাতার অবরোধকে তেমন গুরুত্ব দেয়া না হলেও সময়ের সাথে সাথে নাগরিক জীবনে তার নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সরকারের নীতিনির্ধারকেরা। বিরোধী জোটের শীর্ষ নেতাদের একের পর এক গ্রেফতার এবং তৃণমূলপর্যায়ে যৌথবাহিনীর অভিযানসহ নানা কঠোর পদক্ষেপের পরও কোনোভাবেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যাচ্ছে না। বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সর্বোচ্চ নজরদারির পরও প্রতিদিনই জ্বালাও, পোড়াও, ভাঙচুর ও হতাহতের ঘটনা ঘটছে। চলমান অবরোধ ও হরতালে দেশের অর্থনীতি পর্যায়ক্রমে গভীর খাদের কিনারে গিয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে বলা হচ্ছে। ২০ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারের পথ খুলতে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং নাশকতাকারীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশের পরও দেশব্যাপী সহিংসতা থামানো যাচ্ছে না। সরকারের বারবার অনুরোধের পরও আগামীকাল সোমবার থেকে শুরু হতে যাওয়া এসএসসি পরীক্ষার মধ্যেও অবরোধ কর্মসূচি থেকে সরে আসেনি বিরোধী জোট। উল্টো অবরোধের সাথে টানা ৭২ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে তারা। এ অবস্থায় করণীয় ঠিক করতে গিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন দল ও সরকারের শীর্ষ কর্তা ব্যক্তিরা। সরকার ও দলের কট্টরপন্থী কয়েক নেতা খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে গ্যাস, বিদ্যুৎ, ডিশ, পানি, ইন্টারনেট ও টেলিফোনসহ প্রয়োজনীয় সব নাগরিক ও মানবিক সুবিধা বন্ধ করার পক্ষে মত দেন। নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে এ ঘোষণা দেয়ার পর গতকাল শনিবার এসব সুবিধা বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে দেশ-বিদেশে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। একই সাথে দল ও সরকারের ভেতরেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে।
আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, হঠাৎ করেই খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন সুবিধা বন্ধে সরকারের উচ্চপর্যায়ের কোনো সিদ্ধান্ত ছিল না। সরকারের দুইজন মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় একজন নেতা ও মহানগর আওয়ামী লীগের দুই নেতাসহ অতি উৎসাহী কয়েকজন নেতার নির্দেশেই এ কাজটি করা হয়; যা নিয়ে আওয়ামী লীগ ও সরকারে ভিন্ন মত রয়েছে। এ ঘটনার পর সরকারের ইমেজ নষ্ট হওয়ায় উল্লিখিত ওই সব নেতাকে নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। সে জন্য শুক্রবার ঘোষণা দিলেও গতকাল এসব সুবিধা বিচ্ছিন্নের পর নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান দাবি করেছেন, সরকার কিংবা সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠান খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের এসব সুবিধা বন্ধ করেনি। শ্রমিক ও সাধারণ মানুষই এসব কেটে দিয়েছে। জানা গেছে, ঘটনার পর বিভিন্ন চাপের কারণেই তিনি এখন দায় নিচ্ছেন না।
দলের উপদেষ্টা পরিষদের একজন সদস্য আলাপকালে বলেন, এ পরামর্শ কারা দিয়েছে জানি না। এটি সরকারের জন্য বুমেরাং হয়ে যেতে পারে। কারণ, আমরা যা-ই বলি না কেন, খালেদা জিয়া এ দেশের সাবেক একজন প্রধানমন্ত্রী। তিনি মাসখানেক যাবৎ যে কার্যালয়ে অবস্থান করছেন সেই কার্যালয়ে বিদ্যুৎসহ প্রয়োজনীয় সব সুবিধা বন্ধ করে দেয়া কোনোভাবেই ঠিক হয়নি। এতে বিদেশেও সরকার সম্পর্কে আরো নেতিবাচক প্রচার হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের মূলধারার সিনিয়র এক নেতা আলাপকালে বলেন, যারা এসব বুদ্ধি দিচ্ছে তারা আসলে সরকারের ভালো চায় বলে মনে হয় না। দল ও সরকারের ভেতরে তারা আওয়ামী লীগার হয়ে অন্য কারো এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।
আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী অন্য এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, খালেদা জিয়াকে এভাবে কেন নাজেহাল করতে হবে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সম্প্রতি আরো কয়েকটি মামলা হয়েছে। ইচ্ছা করলে যেকোনো সময় তাকে গুলশান কার্যালয় থেকে গ্রেফতার করে আইনের মুখোমুখি করা যায়। কিন্তু তা না করে বিদ্যুৎ, ডিশ, ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন সুবিধা বন্ধ করে দিয়ে মিডিয়ার খোরাক জোগাতে হবে কেন? যা দেশ-বিদেশে আবার নতুন করে সমালোচনার ঝড় তুলবে। আসলে যারা এসব করছে তারা সরকারের আপন কেউ নয়। এরা সুবিধাবাদী।
তিনি বলেন, এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত নিলে তা দল অথবা সরকারের সর্বোচ্চপর্যায় থেকে ঘোষণা দেয়া উচিত ছিল। কারণ ৫ মে হেফাজতের সমাবেশে অভিযানের আগে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলন করে অভিযানের ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। এখন মধ্যম সারির একজন মন্ত্রীর ঘোষণার পর এটি কিভাবে কার্যকর করা হলো তা জানি না।
No comments