ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধিদল আসছে- মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণই উদ্দেশ্য by রাহীদ এজাজ
মৌলিক
রাজনৈতিক অধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শ্রম অধিকারসহ বাংলাদেশের
সামগ্রিক মানবাধিকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের একটি
প্রতিনিধিদল ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় আসছে। পাঁচ দিনের এই সফরের সময় চার সদস্যের
প্রতিনিধিদলটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা
জিয়াসহ সংশ্লিষ্ট রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের
প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলবে। ব্রাসেলসের একটি কূটনৈতিক সূত্র গত মঙ্গলবার
প্রথম আলোকে জানায়, আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ইউরোপীয় পার্লামেন্টের
মানবাধিকারবিষয়ক উপকমিটির (ড্রোই) একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করবে।
ড্রোইয়ের চেয়ারম্যান ও ইউরোপীয় পার্লামেন্টে স্পেনের সদস্য অ্যালেনা
ভ্যালেনসিয়ানোর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন
ক্যারল ক্রাসকি (পোল্যান্ড), ক্রিশ্চিয়ান দান প্রেদা (রোমানিয়া) ও
ইয়োসেফ ভেইডেনহোলজার (অস্ট্রিয়া)। ঢাকা ও ব্রাসেলসে কর্মরত জ্যেষ্ঠ
কয়েকজন কূটনীতিক গতকাল বৃহস্পতিবার এই প্রতিবেদককে জানান, গত দুই দশকের
মধ্যে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মানবাধিকারবিষয়ক উপকমিটির এটাই প্রথম
বাংলাদেশ সফর।
এক দশক ধরে ব্রাসেলসে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাজের সঙ্গে যুক্ত একাধিক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মানবাধিকারবিষয়ক উপকমিটির সফরটি দেশের চলমান রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। তা ছাড়া প্রতিনিধিদলের অন্যতম সদস্য ক্রিশ্চিয়ান দান প্রেদা গত বছর ইউরোপীয় পার্লামেন্টে গৃহীত দুই প্রস্তাবের অন্যতম প্রস্তাবক ছিলেন। ফলে এই সফরের সময় মানবাধিকারের যে বিষয়গুলোতে পার্লামেন্টের উদ্বেগ রয়েছে, সেগুলো জোরালোভাবে তুলে ধরা হবে।
রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি আর অবস্থানগত কারণে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাজের প্রক্রিয়ায় পার্থক্য রয়েছে। তা ছাড়া কোনো বিষয়ে অবস্থান নেওয়ার ক্ষেত্রে উন্মুক্ত তথ্যসূত্র ও নিজেদের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। ফলে মানবাধিকার উপকমিটি সফর শেষে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে একটি প্রতিবেদন জমা দেবে। আর ওই প্রতিবেদন মূল্যায়ন করে বাংলাদেশের সামগ্রিক মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরবে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শ্রমিক অধিকারসহ মানবাধিকারের প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলোতে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে ইইউ। সাধারণত ইইউ বাংলাদেশের পণ্যের অবাধ বাজারসুবিধার (জিএসপি) ক্ষেত্রে মানবাধিকারের বিষয়গুলোতে তেমন গুরুত্ব দিত না। তবে গত বছরের শুরু থেকে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধার নতুন কর্মসূচি ‘জিএসপি প্লাস’ পাওয়ার ক্ষেত্রে শ্রম অধিকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জাতিসংঘের সবগুলো সনদ সইয়ের ব্যাপারে গুরুত্ব দিচ্ছে। আর সবগুলো সনদেই মানবাধিকার সমুন্নত রাখার অঙ্গীকার করা হয়েছে।
বাংলাদেশের দায়িত্বশীল একজন কূটনীতিক এ প্রসঙ্গে বলেন, জিএসপি প্লাস পাওয়ার ক্ষেত্রে ইইউ যখন সব সনদ পূরণ করার কথা বলে, তখন তাতে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মতামতের প্রতিফলন দেখতে পাওয়া যায়। গত বছরের শেষ দিকে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের বাণিজ্যবিষয়ক এক প্রতিনিধিদলও বাংলাদেশ সফরের সময় মানবাধিকারের বিষয়গুলোতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে।
খসড়া সফরসূচি: কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ১৬ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সফরের সময় ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধিদলটি প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার ও রাজনীতিবিদ ছাড়াও সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও শ্রমিক প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবে। তবে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের সঙ্গে তাদের বৈঠকের সম্ভাবনা এখন পর্যন্ত নেই। তৈরি পোশাক কারখানা পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সফর শুরু করতে আগ্রহী ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধিদলটির সদস্যরা। এরপর তাঁরা শ্রম অধিকারের বিষয় নিয়ে আইএলও, বিজিএমইএ,বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে নিয়ে বৈঠক করবেন। মৌলিক ও রাজনৈতিক অধিকারের বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, অধিকার ও ব্র্যাক এবং তিন পার্বত্য জেলা ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিষয়ে জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাসহ বিভিন্ন সাহায্য সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁরা আলোচনা করবেন।
এক দশক ধরে ব্রাসেলসে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাজের সঙ্গে যুক্ত একাধিক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মানবাধিকারবিষয়ক উপকমিটির সফরটি দেশের চলমান রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। তা ছাড়া প্রতিনিধিদলের অন্যতম সদস্য ক্রিশ্চিয়ান দান প্রেদা গত বছর ইউরোপীয় পার্লামেন্টে গৃহীত দুই প্রস্তাবের অন্যতম প্রস্তাবক ছিলেন। ফলে এই সফরের সময় মানবাধিকারের যে বিষয়গুলোতে পার্লামেন্টের উদ্বেগ রয়েছে, সেগুলো জোরালোভাবে তুলে ধরা হবে।
রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি আর অবস্থানগত কারণে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাজের প্রক্রিয়ায় পার্থক্য রয়েছে। তা ছাড়া কোনো বিষয়ে অবস্থান নেওয়ার ক্ষেত্রে উন্মুক্ত তথ্যসূত্র ও নিজেদের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। ফলে মানবাধিকার উপকমিটি সফর শেষে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে একটি প্রতিবেদন জমা দেবে। আর ওই প্রতিবেদন মূল্যায়ন করে বাংলাদেশের সামগ্রিক মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরবে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শ্রমিক অধিকারসহ মানবাধিকারের প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলোতে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে ইইউ। সাধারণত ইইউ বাংলাদেশের পণ্যের অবাধ বাজারসুবিধার (জিএসপি) ক্ষেত্রে মানবাধিকারের বিষয়গুলোতে তেমন গুরুত্ব দিত না। তবে গত বছরের শুরু থেকে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধার নতুন কর্মসূচি ‘জিএসপি প্লাস’ পাওয়ার ক্ষেত্রে শ্রম অধিকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জাতিসংঘের সবগুলো সনদ সইয়ের ব্যাপারে গুরুত্ব দিচ্ছে। আর সবগুলো সনদেই মানবাধিকার সমুন্নত রাখার অঙ্গীকার করা হয়েছে।
বাংলাদেশের দায়িত্বশীল একজন কূটনীতিক এ প্রসঙ্গে বলেন, জিএসপি প্লাস পাওয়ার ক্ষেত্রে ইইউ যখন সব সনদ পূরণ করার কথা বলে, তখন তাতে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মতামতের প্রতিফলন দেখতে পাওয়া যায়। গত বছরের শেষ দিকে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের বাণিজ্যবিষয়ক এক প্রতিনিধিদলও বাংলাদেশ সফরের সময় মানবাধিকারের বিষয়গুলোতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে।
খসড়া সফরসূচি: কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ১৬ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সফরের সময় ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধিদলটি প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার ও রাজনীতিবিদ ছাড়াও সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও শ্রমিক প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবে। তবে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের সঙ্গে তাদের বৈঠকের সম্ভাবনা এখন পর্যন্ত নেই। তৈরি পোশাক কারখানা পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সফর শুরু করতে আগ্রহী ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধিদলটির সদস্যরা। এরপর তাঁরা শ্রম অধিকারের বিষয় নিয়ে আইএলও, বিজিএমইএ,বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে নিয়ে বৈঠক করবেন। মৌলিক ও রাজনৈতিক অধিকারের বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, অধিকার ও ব্র্যাক এবং তিন পার্বত্য জেলা ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিষয়ে জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাসহ বিভিন্ন সাহায্য সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁরা আলোচনা করবেন।
No comments