বিটিআরসি’র নির্দেশেই বন্ধ করা হয় মোবাইল নেটওয়ার্ক -বিবিসি
বিএনপি
চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান অফিসের কাছে মোবাইল কল ও ডাটা
নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। লিখিত এ নির্দেশ দিয়েছে
বিটিআরসি। ওই এলাকায় গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক না থাকার ব্যাপারে এর
বহিঃসংযোগ বিভাগের প্রধান সৈয়দ তালাত কামাল এ কথা বলেন। গত রাতে এ খবর
দিয়েছে বিবিসি। এতে বলা হয়, লিখিত বিবৃতিতে তিনি বিবিসিকে জানান, গতকাল ভোর
রাতে গ্রামীণফোনসহ বিভিন্ন টেলিকম ও ওয়াইম্যাক্স ইন্টারনেট অপারেটররা
বিটিআরসি থেকে একটি লিখিত নির্দেশনা পায়, যেখানে গুলশান-২ এলাকার একটি
সুনির্দিষ্ট ঠিকানার কথা উল্লেখ করে সেখানে টেলিফোন ও ইন্টারনেট সেবা
পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে বলা হয়।
বিবিসির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক রেষারেষি, সংঘাত গতকাল এক নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। গতকাল ভোরের দিকে বাংলাদেশে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ের বিদ্যুৎ, টেলিফোন, ক্যাবল টেলিভিশন এবং ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, ওই এলাকার মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেয়ার জন্য বিটিআরসি থেকে তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তবে কেন এসব সংযোগ বন্ধ করা হয়েছে এ বিষয়ে সরকারের কাছ থেকে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। গুলশানের ওই এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে গিয়ে তারা কিছুটা অসুবিধার শিকার হচ্ছেন। ওদিকে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেয়ার কোন নির্দেশনার কথা স্বীকার করেনি ডেসকো।
সরকারের পক্ষ থেকেও এমন কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বলে দাবি করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। খালেদা জিয়ার একজন ব্যক্তিগত কর্মকর্তা বিবিসিকে জানিয়েছেন, রাত পৌনে তিনটার দিকে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন এসে ভবনের সংযোগ কেটে দেয়। এছাড়া একটি বেসরকারি মোবাইল ফোন কোম্পানির সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে, খালেদা জিয়ার গুলশান অফিসের কাছে মোবাইল ফোনের কল এবং ইন্টারনেট বন্ধ করার জন্য তাদের কাছে নির্দেশ এসেছে। প্রায় মাস খানেক ধরে খালেদা জিয়া এ অফিসেই থাকছেন। আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার জন্য অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করার সরকারি অনুরোধ অগ্রাহ্য করে অবরোধের পাশাপাশি হরতাল ডাকার পরপরই বিএনপি নেত্রীর বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হলো।
বাংলাদেশের বেসরকারি টেলিভিশনগুলোতে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, রাত পৌনে তিনটার দিকে ডেসকোর একদল কর্মী গুলশানে খালেদা জিয়ার অফিসের কাছে এসে একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে চড়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করছেন। তবে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশনা দেয়ার ব্যাপারটি অস্বীকার করেছেন ডেসকোর প্রধান প্রকৌশলী নুর মোহাম্মদ। তিনি বলেন, বিভিন্ন সময়ে থানা বা ফায়ার সার্ভিস বিভিন্ন অপারেশনের সময় লোক ডাকে। তারা অপারেশনের স্বার্থে, কিন্তু তারা ডেকে কি করছে এটা আমরা অবহিত হতে পারি নাই, টিভিতে দেখে আমরা জানছি। নূর মোহাম্মদ নিশ্চিত করেন, তাদের থানার থেকে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু ডাকার পরে তাদের দিয়ে কি করানো হয়েছে তারা জানেন না। ডেসকোর যে লাইনম্যান সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গিয়েছিলেন, তিনিও ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের কাছে বলেছেন, পুলিশের নির্দেশে তারা এ কাজ করছেন।
এ ব্যাপারে চেষ্টা করেও পুলিশের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে, পুলিশ এ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণের নির্দেশ দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর বিএনপি কার্যালয়ে জেনারেটর ব্যবহার করা হচ্ছে। খালেদা জিয়ার প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা মারুফ কামাল খান জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ ছাড়াও অন্যান্য জরুরি নাগরিক সেবার সংযোগ যেমন ডিশ লাইন, ইন্টারনেট সংযোগ ও টেলিফোন নেটওয়ার্ক, ফ্যাক্স লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। গ্রামীণ ফোনের নেটওয়ার্ক বন্ধ। তবে অন্যান্য অপারেটরে কখনও কখনও নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছে বলে তিনি জানান। তথ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত কোন সরকারি বা প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নয়।
এ ধরনের নাগরিক সেবার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করবার সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়াও রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি এ ব্যাপারে সরকারের ব্যাখ্যা থাকবার প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করেন এবং বলেন তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। কারণ এ ব্যাপারে তিনি নিজেও এখনও পরিষ্কার নন। তিনি তাদের কাছ থেকে জানবার চেষ্টা করবেন, কেন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের বিদ্যুৎসহ জরুরি নাগরিক সেবার সংযোগগুলো বিচ্ছিন্ন করা হলো। ওদিকে সরকারের আরেকজন প্রভাবশালী মন্ত্রী শাজাহান খান পরশু এক রাজনৈতিক সমাবেশে বলেছেন, খালেদা জিয়া যদি অবরোধ তুলে না নেন, তাহলে তার কার্যালয়ে গ্যাস বিদ্যুৎ পানি ও খাবার সরবরাহসহ সব সুবিধা বন্ধ করে দেয়া হবে। আর তার এ হুঁশিয়ারির কয়েক ঘণ্টা পরই খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।
বিবিসির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক রেষারেষি, সংঘাত গতকাল এক নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। গতকাল ভোরের দিকে বাংলাদেশে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ের বিদ্যুৎ, টেলিফোন, ক্যাবল টেলিভিশন এবং ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, ওই এলাকার মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেয়ার জন্য বিটিআরসি থেকে তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তবে কেন এসব সংযোগ বন্ধ করা হয়েছে এ বিষয়ে সরকারের কাছ থেকে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। গুলশানের ওই এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে গিয়ে তারা কিছুটা অসুবিধার শিকার হচ্ছেন। ওদিকে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেয়ার কোন নির্দেশনার কথা স্বীকার করেনি ডেসকো।
সরকারের পক্ষ থেকেও এমন কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বলে দাবি করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। খালেদা জিয়ার একজন ব্যক্তিগত কর্মকর্তা বিবিসিকে জানিয়েছেন, রাত পৌনে তিনটার দিকে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন এসে ভবনের সংযোগ কেটে দেয়। এছাড়া একটি বেসরকারি মোবাইল ফোন কোম্পানির সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে, খালেদা জিয়ার গুলশান অফিসের কাছে মোবাইল ফোনের কল এবং ইন্টারনেট বন্ধ করার জন্য তাদের কাছে নির্দেশ এসেছে। প্রায় মাস খানেক ধরে খালেদা জিয়া এ অফিসেই থাকছেন। আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার জন্য অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করার সরকারি অনুরোধ অগ্রাহ্য করে অবরোধের পাশাপাশি হরতাল ডাকার পরপরই বিএনপি নেত্রীর বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হলো।
বাংলাদেশের বেসরকারি টেলিভিশনগুলোতে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, রাত পৌনে তিনটার দিকে ডেসকোর একদল কর্মী গুলশানে খালেদা জিয়ার অফিসের কাছে এসে একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে চড়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করছেন। তবে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশনা দেয়ার ব্যাপারটি অস্বীকার করেছেন ডেসকোর প্রধান প্রকৌশলী নুর মোহাম্মদ। তিনি বলেন, বিভিন্ন সময়ে থানা বা ফায়ার সার্ভিস বিভিন্ন অপারেশনের সময় লোক ডাকে। তারা অপারেশনের স্বার্থে, কিন্তু তারা ডেকে কি করছে এটা আমরা অবহিত হতে পারি নাই, টিভিতে দেখে আমরা জানছি। নূর মোহাম্মদ নিশ্চিত করেন, তাদের থানার থেকে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু ডাকার পরে তাদের দিয়ে কি করানো হয়েছে তারা জানেন না। ডেসকোর যে লাইনম্যান সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গিয়েছিলেন, তিনিও ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের কাছে বলেছেন, পুলিশের নির্দেশে তারা এ কাজ করছেন।
এ ব্যাপারে চেষ্টা করেও পুলিশের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে, পুলিশ এ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণের নির্দেশ দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর বিএনপি কার্যালয়ে জেনারেটর ব্যবহার করা হচ্ছে। খালেদা জিয়ার প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা মারুফ কামাল খান জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ ছাড়াও অন্যান্য জরুরি নাগরিক সেবার সংযোগ যেমন ডিশ লাইন, ইন্টারনেট সংযোগ ও টেলিফোন নেটওয়ার্ক, ফ্যাক্স লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। গ্রামীণ ফোনের নেটওয়ার্ক বন্ধ। তবে অন্যান্য অপারেটরে কখনও কখনও নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছে বলে তিনি জানান। তথ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত কোন সরকারি বা প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নয়।
এ ধরনের নাগরিক সেবার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করবার সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়াও রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি এ ব্যাপারে সরকারের ব্যাখ্যা থাকবার প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করেন এবং বলেন তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। কারণ এ ব্যাপারে তিনি নিজেও এখনও পরিষ্কার নন। তিনি তাদের কাছ থেকে জানবার চেষ্টা করবেন, কেন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের বিদ্যুৎসহ জরুরি নাগরিক সেবার সংযোগগুলো বিচ্ছিন্ন করা হলো। ওদিকে সরকারের আরেকজন প্রভাবশালী মন্ত্রী শাজাহান খান পরশু এক রাজনৈতিক সমাবেশে বলেছেন, খালেদা জিয়া যদি অবরোধ তুলে না নেন, তাহলে তার কার্যালয়ে গ্যাস বিদ্যুৎ পানি ও খাবার সরবরাহসহ সব সুবিধা বন্ধ করে দেয়া হবে। আর তার এ হুঁশিয়ারির কয়েক ঘণ্টা পরই খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।
No comments