পরীক্ষার্থীদের দুশ্চিন্তায় রেখে রাজনৈতিক নেতাদের লাভ কী?
কাল
থেকে শুরু হওয়ার কথা এসএসসি পরীক্ষা। অথচ বিরোধী জোটের টানা অবরোধের
মধ্যে আজ থেকে ৭২ ঘণ্টার হরতাল ডাকা হয়েছে। এ অবস্থায় পরীক্ষা হবে, নাকি
পেছাবে? হলেও সেটা কীভাবে? পরীক্ষার হলে যাবে কীভাবে? জীবনের নিরাপত্তা
দেবে কে? এ রকম নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে দেশের প্রায় ১৫ লাখ কিশোর
পরীক্ষার্থীর মনে।
শিক্ষাজীবনের এই গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা নিয়ে তাদের উৎকণ্ঠার শেষ নেই। প্রথম আলোর প্রতিনিধিরা তাদের মুখোমুখি হয়েছেন, তারাও জানিয়েছে তাদের আকুতির কথা।
রাজশাহী মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ইশতিয়াক ফারুকী রাজনীতিকদের উদ্দেশে বলেছে, ‘আমরা আগামী দিনের বাংলাদেশ। আমাদের কথা ভাবুন। আমরা লেখাপড়া শিখে মানুষ হতে চাই। পেট্রলবোমায় পুড়ে কয়লা হতে চাই না।’
কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার আড্ডা উমেদিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ইমান হোসেনের জিজ্ঞাসা, পরীক্ষার্থীদের উৎকণ্ঠায় রেখে রাজনৈতিক নেতাদের লাভ কী? আর রাজশাহীর বি. বি. হিন্দু একাডেমীর বিজ্ঞান বিভাগের পূজা সরকারের মন খারাপ ১০ বছর শিক্ষাজীবনের শেষ পর্যায়ে এসে অনিশ্চয়তা গ্রাস করেছে বলে। এ রকম পরিস্থিতিতে তার জানতে ইচ্ছে করে, সবাই শিশুদের দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বলে কেন?
সিলেট সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সাদিয়া নাসরিন টানা অবরোধের কারণে মডেল টেস্টও ঠিকমতো দিতে পারেনি। হরতাল, বোমা আতঙ্কে মুষড়ে পড়েছে সে। সাদিয়ার আকুতি, ‘আমরা রাজনীতি বুঝি না। শুধু পরীক্ষাটা ঠিকমতো ও নিরাপদভাবে দিতে চাই।’
সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের রাজেশ সরকার শঙ্কা, কোনো পরীক্ষায় অনুপস্থিতি কিংবা পৌঁছাতে বিলম্বের কারণে শিক্ষাজীবনই থমকে দাঁড়াতে পারে। এই চিন্তায় পরীক্ষার প্রস্তুতিতেও ব্যাঘাত ঘটছে।
খুলনা সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে আরফা নাজনীন। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে হতাশ জানিয়ে সে বলেছে, ‘পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তায় মানসিক চাপে আছি। হরতালের কারণে পরীক্ষার রুটিন বদল হলে আগে প্রস্তুতি নেব কোন বিষয়ে? আর বোমা ও মারামারির মধ্যে কীভাবে পরীক্ষা দেব?’
সেন্ট যোসেফ স্কুলের চন্দন কুমার সাহার অভিমত, একবার পরীক্ষা পেছালে প্রস্তুতিতে খুব সমস্যা হয়। যেকোনো মূল্যে রুটিন অনুযায়ী পরীক্ষাটা হোক।
সরকারি ল্যাবরেটরি স্কুলের তৌফিকুল ইসলাম বলে, এ রকম একটা পরীক্ষার মধ্যে হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি দেওয়া যায় কি না, সেটা রাজনীতিবিদদের ভাবা উচিত। রাজনীতি তো মানুষের জন্য। তাহলে এর জন্য আমরা মূল্য দেব কেন?
রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের হাসিবুল হাসান বলে, যথাসময়ে পরীক্ষা না হলে পিছিয়ে পড়ব। ফলাফলেও এর প্রভাব পড়তে পারে। তার অনুরোধ, পরীক্ষা পেছালেও যেন তা শুক্র ও অন্যান্য পরীক্ষার মাঝে না নেওয়া হয়। এতে পরবর্তী পরীক্ষার ওপর প্রভাব পড়বে।
লক্ষ্মীপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শারমিন ইসলাম বলেছে, ‘কাল পরীক্ষা, অথচ আমরা নিশ্চিত না যে পরীক্ষা হবে কি না। আর পরীক্ষা হলেও নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় থাকছে। এরপর আর পরীক্ষার মানসিকতা থাকে?’
বরিশাল সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের আনিকা তাহসিন প্রস্তুতি নিয়ে সন্তুষ্ট। কিন্তু প্রথম পরীক্ষা ইংরেজি পিছিয়ে গেলে সেটা আবার কবে হবে তার কোনো ঠিক নেই। এই অনিশ্চয়তা মানসিকভাবে দুর্বল করে দিচ্ছে তাকে। একই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিশিতা জাহান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলে, আমাদের জীবন নিয়ে যাঁরা রাজনীতি করছেন তাঁদের কাছে অনুরোধ নাশকতা বন্ধ করুন। পরীক্ষার সময় সব ধরনের হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি বাতিল করুন। আমরা সুষ্ঠু পরিবেশে পরীক্ষা দিতে চাই।
সাঈদ আল আমরি রংপুর পুলিশ লাইনস স্কুল ও কলেজের বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থী। তাদের বাসা রংপুর শহরের ধাপ এলাকায়। আর পরীক্ষাকেন্দ্র শহরের কালেক্টরেট স্কুল ও কলেজে। সাঈদের ভাষায়, হরতালে বাসা থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রে নির্বিঘ্নে যাওয়া বড় চ্যালেঞ্জ। এরপর পরীক্ষা হবে কি হবে না, সেই অনিশ্চয়তা তো আছেই।
কাজী রিফানুস সালেহীন বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থী। বাড়ি শহরের সার্কিট হাউসের পেছনে। পরীক্ষার কেন্দ্র রংপুর জিলা স্কুলে। এই অবরোধ হরতালের মধ্যে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়ে সে বলে, পরীক্ষার প্রস্তুতির চেয়ে এখন বেশি আলোচনা হচ্ছে হরতাল অবরোধের খবর। এ অবস্থায় আমাদের মন ভেঙে গেছে। পড়ায় মন বসতে কষ্ট হয়। শুধু থেমে থেমে মনে হয়, এই বুঝি হরতাল প্রত্যাহার হলো।
কুমিল্লার নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের নিশাত জাহান অনিশ্চয়তার মধ্যেও প্রস্তুতি নিয়েছে। তার মতে, এখন সময়মতো পরীক্ষা না হলে প্রস্তুতিতেও ভাটা পড়বে।
একই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইজা আলমের দাবি, অন্তত পরীক্ষাকে হরতাল ও অবরোধের আওতামুক্ত রাখা হোক।
কুমিল্লা জিলা স্কুলের শিক্ষার্থী নাঈম আহমেদের ক্ষেদ, পরীক্ষার্থীরা কেউ দল করে না। যাঁরা হরতাল ডেকেছেন, তাঁদের ছেলেমেয়েরাও পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এর পরও কেন বোধোদয় হয় না।
যশোর পুলিশ লাইন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের সৌরভ রায়ের মতে, হরতাল-অবরোধ থাকলে প্রস্তুতি নিয়ে চাপে থাকতে হয়। পরীক্ষা হলে এক ধরনের চাপ। পিছিয়ে গেলে আরেক চাপ। আমাদের চাওয়া হচ্ছে—ঠান্ডা মাথায় ভালো পরিবেশে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা।
এমএসটিপি গালর্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের মানবিক বিভাগের জিনিয়া সুলতানা বলে, ধরুন আমরা ইংরেজি বিষয়ে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিলাম। হরতাল-অবরোধ বা অন্য যেকোনো কারণে ওই বিষয়ের পরীক্ষাটা পিছিয়ে গেল। পরবর্তী সময়ে ওই পরীক্ষার আগে আর পড়তে মন চায় না। মনে হয়, ওইটার প্রস্তুতি তো আগেই নেওয়া আছে। পরীক্ষা দিতে গিয়ে দেখা যায়, কিছুই হচ্ছে না।
মাহমুদুর রহমান বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাদিয়া পারভিনের অভিমত, পরীক্ষা পিছিয়ে গেলে খারাপ লাগে। কখন কোন বিষয়ের পরীক্ষা পড়ে সেই টেনশনে থাকি। নির্দিষ্ট দিনের পরীক্ষা নির্দিষ্ট দিনে না হলে প্রস্তুতি ঠিক থাকে না। মনে হয়, ওই পরীক্ষাটা ভালো হবে তো?
শিক্ষাজীবনের এই গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা নিয়ে তাদের উৎকণ্ঠার শেষ নেই। প্রথম আলোর প্রতিনিধিরা তাদের মুখোমুখি হয়েছেন, তারাও জানিয়েছে তাদের আকুতির কথা।
রাজশাহী মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ইশতিয়াক ফারুকী রাজনীতিকদের উদ্দেশে বলেছে, ‘আমরা আগামী দিনের বাংলাদেশ। আমাদের কথা ভাবুন। আমরা লেখাপড়া শিখে মানুষ হতে চাই। পেট্রলবোমায় পুড়ে কয়লা হতে চাই না।’
কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার আড্ডা উমেদিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ইমান হোসেনের জিজ্ঞাসা, পরীক্ষার্থীদের উৎকণ্ঠায় রেখে রাজনৈতিক নেতাদের লাভ কী? আর রাজশাহীর বি. বি. হিন্দু একাডেমীর বিজ্ঞান বিভাগের পূজা সরকারের মন খারাপ ১০ বছর শিক্ষাজীবনের শেষ পর্যায়ে এসে অনিশ্চয়তা গ্রাস করেছে বলে। এ রকম পরিস্থিতিতে তার জানতে ইচ্ছে করে, সবাই শিশুদের দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বলে কেন?
সিলেট সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সাদিয়া নাসরিন টানা অবরোধের কারণে মডেল টেস্টও ঠিকমতো দিতে পারেনি। হরতাল, বোমা আতঙ্কে মুষড়ে পড়েছে সে। সাদিয়ার আকুতি, ‘আমরা রাজনীতি বুঝি না। শুধু পরীক্ষাটা ঠিকমতো ও নিরাপদভাবে দিতে চাই।’
সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের রাজেশ সরকার শঙ্কা, কোনো পরীক্ষায় অনুপস্থিতি কিংবা পৌঁছাতে বিলম্বের কারণে শিক্ষাজীবনই থমকে দাঁড়াতে পারে। এই চিন্তায় পরীক্ষার প্রস্তুতিতেও ব্যাঘাত ঘটছে।
খুলনা সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে আরফা নাজনীন। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে হতাশ জানিয়ে সে বলেছে, ‘পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তায় মানসিক চাপে আছি। হরতালের কারণে পরীক্ষার রুটিন বদল হলে আগে প্রস্তুতি নেব কোন বিষয়ে? আর বোমা ও মারামারির মধ্যে কীভাবে পরীক্ষা দেব?’
সেন্ট যোসেফ স্কুলের চন্দন কুমার সাহার অভিমত, একবার পরীক্ষা পেছালে প্রস্তুতিতে খুব সমস্যা হয়। যেকোনো মূল্যে রুটিন অনুযায়ী পরীক্ষাটা হোক।
সরকারি ল্যাবরেটরি স্কুলের তৌফিকুল ইসলাম বলে, এ রকম একটা পরীক্ষার মধ্যে হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি দেওয়া যায় কি না, সেটা রাজনীতিবিদদের ভাবা উচিত। রাজনীতি তো মানুষের জন্য। তাহলে এর জন্য আমরা মূল্য দেব কেন?
রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের হাসিবুল হাসান বলে, যথাসময়ে পরীক্ষা না হলে পিছিয়ে পড়ব। ফলাফলেও এর প্রভাব পড়তে পারে। তার অনুরোধ, পরীক্ষা পেছালেও যেন তা শুক্র ও অন্যান্য পরীক্ষার মাঝে না নেওয়া হয়। এতে পরবর্তী পরীক্ষার ওপর প্রভাব পড়বে।
লক্ষ্মীপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শারমিন ইসলাম বলেছে, ‘কাল পরীক্ষা, অথচ আমরা নিশ্চিত না যে পরীক্ষা হবে কি না। আর পরীক্ষা হলেও নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় থাকছে। এরপর আর পরীক্ষার মানসিকতা থাকে?’
বরিশাল সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের আনিকা তাহসিন প্রস্তুতি নিয়ে সন্তুষ্ট। কিন্তু প্রথম পরীক্ষা ইংরেজি পিছিয়ে গেলে সেটা আবার কবে হবে তার কোনো ঠিক নেই। এই অনিশ্চয়তা মানসিকভাবে দুর্বল করে দিচ্ছে তাকে। একই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিশিতা জাহান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলে, আমাদের জীবন নিয়ে যাঁরা রাজনীতি করছেন তাঁদের কাছে অনুরোধ নাশকতা বন্ধ করুন। পরীক্ষার সময় সব ধরনের হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি বাতিল করুন। আমরা সুষ্ঠু পরিবেশে পরীক্ষা দিতে চাই।
সাঈদ আল আমরি রংপুর পুলিশ লাইনস স্কুল ও কলেজের বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থী। তাদের বাসা রংপুর শহরের ধাপ এলাকায়। আর পরীক্ষাকেন্দ্র শহরের কালেক্টরেট স্কুল ও কলেজে। সাঈদের ভাষায়, হরতালে বাসা থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রে নির্বিঘ্নে যাওয়া বড় চ্যালেঞ্জ। এরপর পরীক্ষা হবে কি হবে না, সেই অনিশ্চয়তা তো আছেই।
কাজী রিফানুস সালেহীন বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থী। বাড়ি শহরের সার্কিট হাউসের পেছনে। পরীক্ষার কেন্দ্র রংপুর জিলা স্কুলে। এই অবরোধ হরতালের মধ্যে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়ে সে বলে, পরীক্ষার প্রস্তুতির চেয়ে এখন বেশি আলোচনা হচ্ছে হরতাল অবরোধের খবর। এ অবস্থায় আমাদের মন ভেঙে গেছে। পড়ায় মন বসতে কষ্ট হয়। শুধু থেমে থেমে মনে হয়, এই বুঝি হরতাল প্রত্যাহার হলো।
কুমিল্লার নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের নিশাত জাহান অনিশ্চয়তার মধ্যেও প্রস্তুতি নিয়েছে। তার মতে, এখন সময়মতো পরীক্ষা না হলে প্রস্তুতিতেও ভাটা পড়বে।
একই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইজা আলমের দাবি, অন্তত পরীক্ষাকে হরতাল ও অবরোধের আওতামুক্ত রাখা হোক।
কুমিল্লা জিলা স্কুলের শিক্ষার্থী নাঈম আহমেদের ক্ষেদ, পরীক্ষার্থীরা কেউ দল করে না। যাঁরা হরতাল ডেকেছেন, তাঁদের ছেলেমেয়েরাও পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এর পরও কেন বোধোদয় হয় না।
যশোর পুলিশ লাইন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের সৌরভ রায়ের মতে, হরতাল-অবরোধ থাকলে প্রস্তুতি নিয়ে চাপে থাকতে হয়। পরীক্ষা হলে এক ধরনের চাপ। পিছিয়ে গেলে আরেক চাপ। আমাদের চাওয়া হচ্ছে—ঠান্ডা মাথায় ভালো পরিবেশে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা।
এমএসটিপি গালর্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের মানবিক বিভাগের জিনিয়া সুলতানা বলে, ধরুন আমরা ইংরেজি বিষয়ে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিলাম। হরতাল-অবরোধ বা অন্য যেকোনো কারণে ওই বিষয়ের পরীক্ষাটা পিছিয়ে গেল। পরবর্তী সময়ে ওই পরীক্ষার আগে আর পড়তে মন চায় না। মনে হয়, ওইটার প্রস্তুতি তো আগেই নেওয়া আছে। পরীক্ষা দিতে গিয়ে দেখা যায়, কিছুই হচ্ছে না।
মাহমুদুর রহমান বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাদিয়া পারভিনের অভিমত, পরীক্ষা পিছিয়ে গেলে খারাপ লাগে। কখন কোন বিষয়ের পরীক্ষা পড়ে সেই টেনশনে থাকি। নির্দিষ্ট দিনের পরীক্ষা নির্দিষ্ট দিনে না হলে প্রস্তুতি ঠিক থাকে না। মনে হয়, ওই পরীক্ষাটা ভালো হবে তো?
No comments