বর্তমান সঙ্কট উত্তরণে সংলাপই একমাত্র পথ- গুড গভর্ন্যান্স ফোরামের সেমিনারে : বি. চৌধুরী
(জাতীয় প্রেস কাবে গতকাল গুড গভর্ন্যান্স ফোরামের সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি বি. চৌধুরী : নয়া দিগন্ত) সাবেক
রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি ডা: এ কিউ এম বদরুদ্দোজা
চৌধুরী বলেছেন, সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে কার্যকর সংলাপই চলমান রাজনৈতিক
অচলাবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ। গতকাল জাতীয় প্রেসকাবে গুড
গভর্ন্যান্স ফোরাম আয়োজিত ‘বর্তমান রাজনৈতিক সঙ্কট উত্তরণে জাতীয় সংলাপ’
শীর্ষক এক সেমিনারে ডা: চৌধুরী এ কথা বলেন। এতে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন
সুপ্রিম কোর্টের সাবেক রেজিস্ট্রার ইকতেদার আহমেদ। আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক
বিচারপতি সিকদার মকবুল হকের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন নাগরিক
ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, সাবেক মন্ত্রী ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড.
মিজানুর রহমান শেলী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী গোলাম সারওয়ার মিলন, সাবেক সংসদ
সদস্য হুমায়ন কবির হিরু, আমাদের অর্থনীতি পত্রিকার সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম
খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, অ্যাডভোকেট তাসনিম
রানা প্রমুখ। মূল প্রবন্ধে ইকতেদার আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে যে সঙ্কট চলছে
সেটি হলো মেয়াদ অবসানের কারণে বা মেয়াদ অবসান ছাড়া অন্য যেকোনো কারণে সংসদ
ভেঙে গেলে কোন ধরনের ব্যবস্থায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তা নিয়ে মতভিন্নতা।
তিনি বলেন, নিদর্লীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা গণতান্ত্রিক রীতিনীতির
সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলেও আমাদের দেশ যখন এ ব্যবস্থার অবসান ঘটিয়েছে তখন
ইতালি, গ্রিস, পাকিস্তান ও নেপাল এ ব্যবস্থার অধীনে নির্বাচন করে সেসব
দেশে স্থিতিশীলতা আনতে পেরেছে। ইকতেদার আহমেদ বলেন, নির্বাচনীব্যবস্থা নিয়ে
বিতর্কের অবসান করতে না পারলে যদি তৃতীয় কোনো শক্তি ক্ষমতার পট পরিবর্তন
করে তাহলে তা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য কাম্য হতে পারে না। এ জন্য
রাজনৈতিক দলগুলোর বোধদয় হওয়া প্রয়োজন। সমঝোতার মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন
ছাড়া এর বিকল্প নেই। আর এ ক্ষেত্রে নির্বাচনকালীন সরকার ও
নির্বাচনীব্যবস্থা খুঁজে পেতে আলোচনাই হতে পারে সমঝোতায় উপনীত হওয়ার
একমাত্র পথ। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে মতাসীনরা প্রধান বিরোধীদল এবং আরো
দু-একটি দলকে নির্মূলের যে পথে অগ্রসর হচ্ছে, তার পরিণামে তাদের জন্য ভয়াবহ
বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। তাই মতাসীনদের সতর্ক হওয়া উচিত। যেহেতু বর্তমান
সঙ্কট আওয়ামী লীগের সৃষ্ট, তাই সঙ্কট উত্তরণের পথ তাদেরই খুঁজে বের করতে
হবে।
বদরুদ্দোজা চৌধুরী সরকারের উদ্দেশে বলেন, আপনারা যদি পার্বত্য চট্টগ্রামকে শান্ত করতে সন্তু লারমার সাথে আলোচনায় বসতে পারেন, তাহলে দেশের চরম সঙ্কটে এখন সংলাপে বসতে পারবেন না কেন? চলমান সঙ্ঘাতময় পরিস্থিতি বন্ধ করার জন্য সংলাপসহ সব ধরনের পদপে নেয়ার জন্য সরকার ও বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এ জন্য সরকারকেই উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান সাবেক এ রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, মানুষ ভোটের অধিকার চায়। এ জন্য শত নির্যাতনের পরও অবরোধ সফল হচ্ছে। শুধু ঢাকা সরকারের নিয়ন্ত্রণে আছে, আর বাকি দেশ তাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। বি. চৌধুরী বলেন, এ সরকারের সাথে সংলাপ একটি দুরূহ ব্যাপার। একমাত্র জনগণ ফুঁসে উঠলেই সংলাপ হতে পারে। মানুষ রাজপথে নামছে না কেবল বুলেটের ভয়ে। তাই অনশন ও প্রতিবাদের মাধ্যমে সমাধান চাইতে হবে দেশবাসীকে। যে যেখানে আছে, সেখান থেকে রাজপথে নেমে আসতে হবে। তিনি বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও তার কার্যালয়ের বিদ্যুৎ, টেলিফোন, ইন্টারনেট ও ক্যাবল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া অত্যন্ত কলঙ্কজনক এবং নিকৃষ্ট কাজ। পৃথিবীর কোনো দেশে এমন উদাহরণ নেই।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, অবরোধের এক মাস হতে চললেও সংলাপের কোনো লণ দেখা যাচ্ছে না। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, সমাধানের জন্য বসুন, কথা বলুন এবং সংলাপ করুন। তা যদি না করেন তবে যেকোনো ধরনের অসাংবিধানিক পরিণতির জন্য অপো করুন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন করাকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আন্দোলন দমন করতে ৪৩ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি কঠোরতা দেখাচ্ছে প্রশাসন। তাতেও আন্দোলন দমন করতে পারছে না।
ড. মিজানুর রহমান শেলী বলেন, মানুষ গণতন্ত্র চায়। এ জন্য সঙ্ঘাতময় পরিস্থিতির অবসান হওয়া প্রয়োজন। আর তা হতে পারে একমাত্র সংলাপের মাধ্যমে। কিন্তু দেশে সে রকম কোনো পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে না। রাজনীতিবিদদের এ রকম আচরণ কাম্য নয়।
বদরুদ্দোজা চৌধুরী সরকারের উদ্দেশে বলেন, আপনারা যদি পার্বত্য চট্টগ্রামকে শান্ত করতে সন্তু লারমার সাথে আলোচনায় বসতে পারেন, তাহলে দেশের চরম সঙ্কটে এখন সংলাপে বসতে পারবেন না কেন? চলমান সঙ্ঘাতময় পরিস্থিতি বন্ধ করার জন্য সংলাপসহ সব ধরনের পদপে নেয়ার জন্য সরকার ও বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এ জন্য সরকারকেই উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান সাবেক এ রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, মানুষ ভোটের অধিকার চায়। এ জন্য শত নির্যাতনের পরও অবরোধ সফল হচ্ছে। শুধু ঢাকা সরকারের নিয়ন্ত্রণে আছে, আর বাকি দেশ তাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। বি. চৌধুরী বলেন, এ সরকারের সাথে সংলাপ একটি দুরূহ ব্যাপার। একমাত্র জনগণ ফুঁসে উঠলেই সংলাপ হতে পারে। মানুষ রাজপথে নামছে না কেবল বুলেটের ভয়ে। তাই অনশন ও প্রতিবাদের মাধ্যমে সমাধান চাইতে হবে দেশবাসীকে। যে যেখানে আছে, সেখান থেকে রাজপথে নেমে আসতে হবে। তিনি বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও তার কার্যালয়ের বিদ্যুৎ, টেলিফোন, ইন্টারনেট ও ক্যাবল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া অত্যন্ত কলঙ্কজনক এবং নিকৃষ্ট কাজ। পৃথিবীর কোনো দেশে এমন উদাহরণ নেই।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, অবরোধের এক মাস হতে চললেও সংলাপের কোনো লণ দেখা যাচ্ছে না। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, সমাধানের জন্য বসুন, কথা বলুন এবং সংলাপ করুন। তা যদি না করেন তবে যেকোনো ধরনের অসাংবিধানিক পরিণতির জন্য অপো করুন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন করাকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আন্দোলন দমন করতে ৪৩ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি কঠোরতা দেখাচ্ছে প্রশাসন। তাতেও আন্দোলন দমন করতে পারছে না।
ড. মিজানুর রহমান শেলী বলেন, মানুষ গণতন্ত্র চায়। এ জন্য সঙ্ঘাতময় পরিস্থিতির অবসান হওয়া প্রয়োজন। আর তা হতে পারে একমাত্র সংলাপের মাধ্যমে। কিন্তু দেশে সে রকম কোনো পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে না। রাজনীতিবিদদের এ রকম আচরণ কাম্য নয়।
No comments