আসামি গ্রেফতারের নামে মাগুরার প্রত্যন্ত গ্রামে বাড়িতে বাড়িতে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ by আবু সালেহ আকন
মাগুরার শালিখা উপজেলার কাতলী গ্রামের জিল্লুর রহমান। ছয় সদস্যের সংসার। সংসারের একমাত্র উপার্জনমাধ্যম ছিল একটি নসিমন। গত শনিবার রাতে সেই নসিমনটি পুলিশ আগুন দিয়ে পুড়ে ফেলেছে। অভিযোগ ওই নসিমনে করে ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা মিছিলে গেছে। এভাবেই মাগুরার বিভিন্ন গ্রামে এখন পুলিশি অভিযানের নামে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, এমনকি লুটপাট চলছে। এ দিকে মাগুরার শালিখা উপজেলায় ২০ দলীয় জোটের শনিবারের বিােভ সমাবেশে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় ৮০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। রাতে আসামি গ্রেফতারের নামে উপজেলার কাতলী, শতখালী, পাঁচকাউনিয়া, হরিশপুর ও পিয়ারপুর গ্রামে ২০ দলীয় জোট সমর্থকদের বাড়িতে পুলিশের পাশাপাশি মুখোশধারীরা হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়ে চার লাধিক টাকার তি করেছে বলে ভুক্তভোগী পারিবারগুলোর প থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শতখালী গ্রামের বিএনপি নেতা মনা সরদার জানান, ২০ দলীয় জোটের ডাকা বিােভ মিছিল ও সমাবেশ করতে পুলিশের অনুমতি ছিল। পুলিশের অনুমতি পাওয়ায় ২০ দলীয় জোট নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে বিকেলে সীমাখালী বাজার এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। আসর নামাজের পর সমাবেশ শুরুর প্রস্তুতি চলছিল ঠিক সেই মুহূর্তে ওসি বিপ্লব কুমার নাথের নির্দেশে নিরীহ জনসাধারণের ওপর পুলিশ অতর্কিত গুলিবর্ষণ শুরু করে। গুলিতে বিএনপি-জামায়াতের তিনজন গুলিবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হন। শনিবার রাতে শতখালী গ্রামের বাড়িতে না পেয়ে পুলিশ বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
কাতলী গ্রামের নসিমনচালক জিল্লুর রহমান জানান, তার নসিমন ভাড়া করে কয়েকজন লোক শনিবার সীমাখালী বাজারে গিয়েছিল এটাই তার অপরাধ। রাতে পুলিশ এসে নসিমন ভাঙচুর করে তাতে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। আয়ের একমাত্র নসিমন পুড়িয়ে দেয়ায় তার সামনে এখন ঘোর অন্ধকার। তিনি বলেন, হয়তো সামনের দিনগুলোতে তার পরিবারকে না খেয়ে থাকতে হবে। জিল্লুর বলেন, তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত নন। এরপরেও পুলিশ কেন এমনটি করল তা বুঝতে পারছেন না। কাতলী গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক হাফিজ ঢালী জানান, শনিবার রাত ১টা ৩০ মিনিটের সময় শালিখা থানার ওসি বিপ্লব কুমারের নেতৃত্বে কিছু মুখোশধারী লোক তার বাড়িতে ঢুকে ছেলে আব্দুল্লাহর সন্ধান চায়। ছেলেকে বিদেশে পাঠানোর জন্য ঢাকায় তিন মাসের প্রশিণে রয়েছে জানালে মুখোশধারী ২০-২৫ জন লোক ঘরের ভেতর ঢুকে স্টিলের আলমারি, শোকেস, চেয়ারসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করে বিছানায় থাকা লেপ-তোষকে পানি ঢেলে ভিজিয়ে দিয়ে চলে যাওয়ার সময় ছেলেকে হাজির করে না দিলে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়ারও হুমকি দেয় মুখোশধারীরা।
কাতলী মধ্যপাড়ার বিপ্লব সরদার জানান, শনিবার রাতে পুলিশ গ্রামে ঢুকে তার বাড়িসহ নিছার মেম্বর, ইকবাল ঢালী, ইমরান ঢালী, বিলাল বিশ্বাসের বাড়িঘর, বাইসাইকেল ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে।
পুলিশ আসামি গ্রেফতারের নামে শতখালী ইউনিয়ন ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও শনিবারের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ফরিদুল ইসলামের পাঁচকাউনিয়া, হরিশপুর গ্রামের ওহিদ মোল্লার বাড়ি ও পিয়ারপুর ওয়ার্ড মেম্বর জামায়াত নেতা আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।
শতখালী গ্রামের বিএনপি নেতা মনা সরদার জানান, ২০ দলীয় জোটের ডাকা বিােভ মিছিল ও সমাবেশ করতে পুলিশের অনুমতি ছিল। পুলিশের অনুমতি পাওয়ায় ২০ দলীয় জোট নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে বিকেলে সীমাখালী বাজার এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। আসর নামাজের পর সমাবেশ শুরুর প্রস্তুতি চলছিল ঠিক সেই মুহূর্তে ওসি বিপ্লব কুমার নাথের নির্দেশে নিরীহ জনসাধারণের ওপর পুলিশ অতর্কিত গুলিবর্ষণ শুরু করে। গুলিতে বিএনপি-জামায়াতের তিনজন গুলিবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হন। শনিবার রাতে শতখালী গ্রামের বাড়িতে না পেয়ে পুলিশ বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
কাতলী গ্রামের নসিমনচালক জিল্লুর রহমান জানান, তার নসিমন ভাড়া করে কয়েকজন লোক শনিবার সীমাখালী বাজারে গিয়েছিল এটাই তার অপরাধ। রাতে পুলিশ এসে নসিমন ভাঙচুর করে তাতে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। আয়ের একমাত্র নসিমন পুড়িয়ে দেয়ায় তার সামনে এখন ঘোর অন্ধকার। তিনি বলেন, হয়তো সামনের দিনগুলোতে তার পরিবারকে না খেয়ে থাকতে হবে। জিল্লুর বলেন, তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত নন। এরপরেও পুলিশ কেন এমনটি করল তা বুঝতে পারছেন না। কাতলী গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক হাফিজ ঢালী জানান, শনিবার রাত ১টা ৩০ মিনিটের সময় শালিখা থানার ওসি বিপ্লব কুমারের নেতৃত্বে কিছু মুখোশধারী লোক তার বাড়িতে ঢুকে ছেলে আব্দুল্লাহর সন্ধান চায়। ছেলেকে বিদেশে পাঠানোর জন্য ঢাকায় তিন মাসের প্রশিণে রয়েছে জানালে মুখোশধারী ২০-২৫ জন লোক ঘরের ভেতর ঢুকে স্টিলের আলমারি, শোকেস, চেয়ারসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করে বিছানায় থাকা লেপ-তোষকে পানি ঢেলে ভিজিয়ে দিয়ে চলে যাওয়ার সময় ছেলেকে হাজির করে না দিলে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়ারও হুমকি দেয় মুখোশধারীরা।
কাতলী মধ্যপাড়ার বিপ্লব সরদার জানান, শনিবার রাতে পুলিশ গ্রামে ঢুকে তার বাড়িসহ নিছার মেম্বর, ইকবাল ঢালী, ইমরান ঢালী, বিলাল বিশ্বাসের বাড়িঘর, বাইসাইকেল ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে।
পুলিশ আসামি গ্রেফতারের নামে শতখালী ইউনিয়ন ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও শনিবারের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ফরিদুল ইসলামের পাঁচকাউনিয়া, হরিশপুর গ্রামের ওহিদ মোল্লার বাড়ি ও পিয়ারপুর ওয়ার্ড মেম্বর জামায়াত নেতা আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।
No comments