বাংলাদেশ-ভারত যাত্রীবাহী জাহাজ
বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে যাত্রীবাহী জাহাজ চালুর চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়েছে। শতবর্ষ আগে যখন সড়ক-মহাসড়কের সংখ্যা ছিল নামমাত্র, রেলপথ সবেধন নীলমণি, তখন নৌপথই ছিল বাংলাদেশের যোগাযোগের একমাত্র সহায়। কলকাতাসহ ভারতবর্ষের সঙ্গেও নৌপথে যোগাযোগ ছিল প্রসিদ্ধ। বর্তমানে বাংলাদেশে নৌপথে যোগাযোগের বিষয় অনেকটা রূপকথার গল্পে পরিণত হয়েছে; কারণ অনেক নদ-নদী শুকিয়ে গেছে। উজানে ভারতের বাঁধ নির্মাণ ও পানি প্রত্যাহারের কারণে। তাই বাংলাদেশের নদ-নদীতে নাব্য ফিরিয়ে এনে যদি নৌপথের পূর্বতন ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার করা যায় তাহলে সেটা দেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে বৈকি। তা ছাড়া বাংলাদেশ-ভারত নৌপথে পণ্য আনা-নেয়ার জন্য একটি চুক্তি বহাল আছেই। পণ্যবাহী জাহাজগুলোর গতি কম হওয়ায় কলকাতার হলদিয়া বন্দর থেকে নারায়ণগঞ্জ বন্দরে আসতে ৮-১০ দিন সময় লাগে। যাত্রাবাহী জাহাজগুলো চলবে দ্বিগুণ গতিতে। কলকাতা-ঢাকা আসা-যাওয়ার জন্য সেগুলোর লাগবে ৪-৫ দিন। যাত্রীবাহী এই জাহাজগুলো আমাদের দেশের পর্যটন খাতকে শক্তিশালী করবে। লাভবান হবে উভয় দেশ। এই খবরের পাশাপাশি সহযোগী একটি দৈনিকে বের হয়েছে, সড়ক পথে সরাসরি যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের চুক্তি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটান। এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে দেশ চারটি একে অপরের ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে লাভবান হবে। চাঙ্গা হবে চার দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। তৈরি হবে কর্মসংস্থান এ কথা বলাই বাহুল্য। এর মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক)-এর চেতনা। সার্কের বিভিন্ন সম্মেলনে দক্ষিণ এশীয় এই যোগাযোগ ব্যবস্থা চালুর প্রস্তাব উঠেছে। কিন্তু পাকিস্তানের আপত্তিতে তা বাস্তবায়িত হয়নি। এখন সার্কের কাঠামোর বাইরে চার দেশ এই চুক্তি করতে যাচ্ছে। পরে সার্কভুক্ত অন্য দেশগুলোও আগ্রহী হলে এতে যোগ দিতে পারবে- তেমন ব্যবস্থা রেখেই এটি স্বাক্ষরিত হবে। চার দেশের এই সড়ক যোগাযোগ চুক্তি থেকেও পরস্পর লাভবান হবে চুক্তিকারী দেশগুলো। এই চুক্তিগুলো কার্যকর হওয়ার মধ্য দিয়ে সাউথ এশিয়ান ফ্রি ট্রেড এরিয়া (সাফটা) বাস্তবায়নের পথ সুগম হবে।
বর্তমান বিশ্বের মূলমন্ত্র হচ্ছে- যোগাযোগ। দেশে দেশে, মানুষে মানুষে যোগাযোগ স্থাপনই এখন মুখ্য দর্শন। বিচ্ছিন্ন পৃথিবী নয়, অবিচ্ছিন্ন এবং এক পৃথিবীর বাসিন্দা এখন মানুষ। পুরনো মাইন্ডসেট নিয়ে বদ্ধ, বিচ্ছিন্ন থাকার মূঢ়তা এ যুগে অচল। জাতীয়তা, ধর্ম, সংস্কৃতি এসবই বিশ্বজনীন হয়ে উঠছে যোগাযোগের শক্তিতেই। রাজনীতি, অর্থনীতি শক্তি সঞ্চয় করে যোগাযোগ থেকেই। আর যোগাযোগ এক সর্বব্যাপী বিষয়। জল-স্থল এবং অন্তরীক্ষ- কোনো মাধ্যমই যোগাযোগের জন্য অপাঙ্ক্তেয় বা পরিত্যক্ত নয়। সর্বত্র যোগাযোগ, সর্বত্র স্বচ্ছতা, সর্বত্র মানুষের কল্যাণ চেতনা, এগিয়ে যাওয়া। দক্ষিণ এশিয়ার অজস্র মানুষের জীবনকে আলোকিত উন্নত করার যে লক্ষ্যে সার্ক গঠিত হয়েছিল সেই লক্ষ্যকে এগিয়ে নিতে উপর্যুক্ত দুটি সমঝোতা চুক্তি দূরদর্শী ও কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলেই আমরা চুক্তির চিন্তাকে সাধুবাদ জানাই।
বর্তমান বিশ্বের মূলমন্ত্র হচ্ছে- যোগাযোগ। দেশে দেশে, মানুষে মানুষে যোগাযোগ স্থাপনই এখন মুখ্য দর্শন। বিচ্ছিন্ন পৃথিবী নয়, অবিচ্ছিন্ন এবং এক পৃথিবীর বাসিন্দা এখন মানুষ। পুরনো মাইন্ডসেট নিয়ে বদ্ধ, বিচ্ছিন্ন থাকার মূঢ়তা এ যুগে অচল। জাতীয়তা, ধর্ম, সংস্কৃতি এসবই বিশ্বজনীন হয়ে উঠছে যোগাযোগের শক্তিতেই। রাজনীতি, অর্থনীতি শক্তি সঞ্চয় করে যোগাযোগ থেকেই। আর যোগাযোগ এক সর্বব্যাপী বিষয়। জল-স্থল এবং অন্তরীক্ষ- কোনো মাধ্যমই যোগাযোগের জন্য অপাঙ্ক্তেয় বা পরিত্যক্ত নয়। সর্বত্র যোগাযোগ, সর্বত্র স্বচ্ছতা, সর্বত্র মানুষের কল্যাণ চেতনা, এগিয়ে যাওয়া। দক্ষিণ এশিয়ার অজস্র মানুষের জীবনকে আলোকিত উন্নত করার যে লক্ষ্যে সার্ক গঠিত হয়েছিল সেই লক্ষ্যকে এগিয়ে নিতে উপর্যুক্ত দুটি সমঝোতা চুক্তি দূরদর্শী ও কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলেই আমরা চুক্তির চিন্তাকে সাধুবাদ জানাই।
No comments