সিলেটে ককটেল বিস্ফোরণে আহত দুই শিশু
১৮
মাসের শিশু হাফিজুর রহমান। ৮ বছরের আফরিতা মাহবুব। বাবা-মায়ের সঙ্গে
সিএনজি অটোরিকশায় করে তারা সিলেট নগরীর পুলিশ লাইনের পার্শ্ববর্তী মিরের
ময়দান এলাকা অতিক্রম করছিল। এমন সময় একটি ককটেল এসে পড়ে সিএনজি অটোরিকশার
সামনে। ধোঁয়ায় অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায় গাড়ি। চালক দ্রুত গাড়িটিকে সরাতে
চাইলে আরও একটি ককটেল এসে পড়ে গাড়ির ভেতরে। মুহূর্তে মারাত্মক আহত হয়
নাফিজা ও হাফিজুর। হাফিজুর রহমানের মাথায় ককটেল আঘাত করেছে। প্রাথমিকভাবে
ব্যান্ডেজ করা হয়েছে। রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়েছে। আর নাফিজার হাতও ঝলসে গেছে।
সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গিয়ে দেয়া যায়, শিশু
হাফিজুর রহমানের চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ। মায়ের কোলে থাকা তার কান্না
থামালেও মায়ের চোখে কান্না থামেনি। হাসপাতালে জরুরি বিভাগে পিতা লায়েকও
মেয়েকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন নীরবে। সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার
গোবিন্দগঞ্জের শেখপুর মাহবুবুর রহমান লায়েক। শিশুকন্যা নাফিজা ও শিশুপুত্র
হাফিজুর রহমান এবং স্ত্রীকে নিয়ে তিনি সিলেট নগরীর উপশহর যাওয়ার জন্য
গোবিন্দগঞ্জ থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করেন। উপশহর আত্মীয় বাসা থেকে
তাদের রেলওয়ে স্টেশনে যাওয়ার কথা ছিলো। দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ থেকে রওয়ানা
দিয়ে আসছিলেন নগরীতে।
মাহবুবুর রহমান লায়েক বলেন, ‘হঠাৎ দেখলাম গাড়ির সামনে একটি ককটেল পড়লো। এরপর বিকট শব্দ হলো। চারদিক কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে গেলো। এরপর আরও একটি ককটেল এসে পড়লো গাড়ির ভেতরে। এটিও বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হলো। সঙ্গে সঙ্গে আমার শিশু দুটির মধ্যে একটির মাথা ও একটির হাত ঝলসে গেলো।’ তিনি বলেন, ‘ঘটনার পর আমরা চিৎকার শুরু করি। গাড়ির চালক ছিলো সৈয়দ মিয়া। তার বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার মাহতাবপুর গ্রামে। তার ঘাড়ে এসে ককটেল আঘাত করে। এ সময় সৈয়দ মিয়া গাড়ি থামিয়ে ঢলে পড়ে। দুর্বৃত্তরা চলে যাওয়ার পর ছুটে আসেন স্থানীয় মানুষ। এরপর নিয়ে আসা হয় হাসপাতালে।’ ডাক্তাররা জানিয়েছেন, শিশু দুটিকে তারা চিকিৎসা দিয়ে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। ওদিকে, চালক সৈয়দ মিয়ার অবস্থা ভালো না। তার ঘাড়ে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে জরুরি ভিত্তিতে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়েছে। পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে তাকে ঢাকায় পাঠানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। গতকাল মীরের ময়দানে এ ঘটনা ছাড়াও নগরীর অত্যাধুনিক বিপণিবিতান আড়ংয়ে হয়েছে পেট্রলবোমা হামলা। এতে এক তরুণী আহত হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, দুপুরে ৩টি মোটরসাইকেলে করে ৬ জন যুবক এসে নয়াসড়কস্থ ‘আড়ং’-এর বাউন্ডারির ভেতরে রাখা একটি মাইক্রোবাসে পেট্র্রলবোমা নিক্ষেপ করে। পেট্রলবোমা বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায় মাইক্রোবাসে। এছাড়া, আড়ং’র দুতলা লক্ষ্য করে হামলাকারীরা একটি পেট্র্রলবোমা ছুড়ে মারলেও তা বিস্ফোরিত হয়নি। এ সময় কয়েকটি ককটেলেরও বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। হামলাকারীরা যাওয়ার সময় আড়ংয়ের কম্পাউন্ডের ভেতর রাখা একটি প্রাইভেট কার ভাঙচুর করে এবং কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এসময় এক তরুণী ক্রেতা আহত হন। হামলার সত্যতা স্বীকার করেছেন আড়ং’র কর্মকর্তা মনসুর আহমদ। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রহমত উল্লাহ জানিয়েছেন, হামলাকারীদের ধরতে পুলিশি অভিযান চলছে। আতঙ্কে যানবাহন চলাচল অনেকটা কমে এসেছে।
মাহবুবুর রহমান লায়েক বলেন, ‘হঠাৎ দেখলাম গাড়ির সামনে একটি ককটেল পড়লো। এরপর বিকট শব্দ হলো। চারদিক কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে গেলো। এরপর আরও একটি ককটেল এসে পড়লো গাড়ির ভেতরে। এটিও বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হলো। সঙ্গে সঙ্গে আমার শিশু দুটির মধ্যে একটির মাথা ও একটির হাত ঝলসে গেলো।’ তিনি বলেন, ‘ঘটনার পর আমরা চিৎকার শুরু করি। গাড়ির চালক ছিলো সৈয়দ মিয়া। তার বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার মাহতাবপুর গ্রামে। তার ঘাড়ে এসে ককটেল আঘাত করে। এ সময় সৈয়দ মিয়া গাড়ি থামিয়ে ঢলে পড়ে। দুর্বৃত্তরা চলে যাওয়ার পর ছুটে আসেন স্থানীয় মানুষ। এরপর নিয়ে আসা হয় হাসপাতালে।’ ডাক্তাররা জানিয়েছেন, শিশু দুটিকে তারা চিকিৎসা দিয়ে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। ওদিকে, চালক সৈয়দ মিয়ার অবস্থা ভালো না। তার ঘাড়ে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে জরুরি ভিত্তিতে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়েছে। পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে তাকে ঢাকায় পাঠানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। গতকাল মীরের ময়দানে এ ঘটনা ছাড়াও নগরীর অত্যাধুনিক বিপণিবিতান আড়ংয়ে হয়েছে পেট্রলবোমা হামলা। এতে এক তরুণী আহত হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, দুপুরে ৩টি মোটরসাইকেলে করে ৬ জন যুবক এসে নয়াসড়কস্থ ‘আড়ং’-এর বাউন্ডারির ভেতরে রাখা একটি মাইক্রোবাসে পেট্র্রলবোমা নিক্ষেপ করে। পেট্রলবোমা বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায় মাইক্রোবাসে। এছাড়া, আড়ং’র দুতলা লক্ষ্য করে হামলাকারীরা একটি পেট্র্রলবোমা ছুড়ে মারলেও তা বিস্ফোরিত হয়নি। এ সময় কয়েকটি ককটেলেরও বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। হামলাকারীরা যাওয়ার সময় আড়ংয়ের কম্পাউন্ডের ভেতর রাখা একটি প্রাইভেট কার ভাঙচুর করে এবং কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এসময় এক তরুণী ক্রেতা আহত হন। হামলার সত্যতা স্বীকার করেছেন আড়ং’র কর্মকর্তা মনসুর আহমদ। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রহমত উল্লাহ জানিয়েছেন, হামলাকারীদের ধরতে পুলিশি অভিযান চলছে। আতঙ্কে যানবাহন চলাচল অনেকটা কমে এসেছে।
No comments