গ্রামীণ ব্যাংক পর্ষদ নিয়ে নতুন সংকট ও বিভ্রান্তি- ১২ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদের নয়জনেরই মেয়াদ শেষ by ফখরুল ইসলাম
গ্রামীণ
ব্যাংক নিয়ে নতুন বিপাক তৈরি হয়েছে। ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ নিয়ে
দেখা দিয়েছে বিভ্রান্তি। এই ব্যাংকের তিন বছর মেয়াদি ১২ সদস্যের পরিচালনা
পর্ষদের নয়জনেরই মেয়াদ শেষ হয়েছে গতকাল রোববার। মেয়াদ শেষ হওয়া
পরিচালকেরা ব্যাংকের পর্ষদের আগামী বৈঠকে অংশ নিতে পারবেন কি না, তা নিয়ে
সরকারের বক্তব্য স্পষ্ট নয়। আবার নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার নতুন পরিচালক
নিয়োগের কথা বলে এলেও সেই নির্বাচন কবে হবে বা আদৌ হবে কি না, তা-ও
অনিশ্চিত। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব এম আসলাম আলম এসব
বিষয়ে প্রথম আলোকে বলেন, ‘পর্ষদের আগামী বৈঠকে মেয়াদোত্তীর্ণ পরিচালকেরা
কোনোভাবেই অংশ নিতে পারবেন না।’ তবে গ্রামীণ ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত
ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এস এম মহিউদ্দিন বললেন, ‘অবশ্যই পারবেন।’
সচিব আসলাম আলম বলেন, ‘যে যা-ই বলুক না কেন, সরকারের নিয়োগ করা পরিচালকের বাইরে গ্রামীণ ব্যাংকের শেয়ারধারী নয় পরিচালকের মেয়াদ প্রকৃতপক্ষে শেষ। তাঁরা আর গ্রামীণ ব্যাংকের পর্ষদ সভায় যোগ দিতে পারবেন না।’
এস এম মহিউদ্দিন বলেন, ‘পরবর্তী পর্ষদ গঠিত হওয়ার আগ পর্যন্ত তাঁদের মেয়াদ থাকবে। কারণ তাঁদেরটা বাতিল হয়নি।’ এ অবস্থায় নয়জন পরিচালক পর্ষদ সভায় আর যেতে না পারলে গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা পুরোপুরি সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। কেননা, বাকি পরিচালকেরা সরকার কর্তৃক নিয়োগ পাওয়া।
পর্ষদ নিয়ে বিভ্রান্তি সরকার নিজেই তৈরি করেছে বলে মনে করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান। যোগাযোগ করলে প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘আমি সব সময় যে কথা বলে আসছি, আজও তা-ই বলব। গ্রামীণ ব্যাংকের পর্ষদ নিয়ে যে আইন-কানুন করা হয়েছে, তাতে গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্যদের গ্রহণযোগ্য মতামত নেওয়া হয়নি। বিষয়টি কোনোভাবেই ঠিক হয়নি।’ তিনি বলেন, সরকারের এখনো উচিত হবে ব্যাংকটিকে তার মতো করে চলতে দেওয়া।
সরকার গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য গত বছরের ৬ এপ্রিল ‘গ্রামীণ ব্যাংক (পরিচালক নির্বাচন) বিধিমালা’ প্রণয়ন করে। ছয় মাস, অর্থাৎ গত ৬ অক্টোবরের মধ্যে ভোটের মাধ্যমে সরকার ব্যাংকটির পরিচালক নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংককে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক এ কাজ করতে রাজি হয়নি।
সরকার পরে প্রজ্ঞাপন দিয়ে গত নভেম্বরে বিধিমালা সংশোধন করে বাংলাদেশ ব্যাংককে এ দায়িত্ব থেকে সরিয়ে আনে। সংশোধিত বিধিমালায় বলা হয়, তিন সদস্যের একটি নির্বাচন কমিশন গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালক নির্বাচন অনুষ্ঠানটি করে দেবে। এর মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত একজন জেলা জজ হবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কমিশনার হবেন দুজন; রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকে কর্মরত একজন উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) এবং পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান মনোনীত পিকেএসএফেই কর্মরত একজন ডিএমডি।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, নির্বাচন করতে একবার ব্যর্থ হওয়ায় প্রজ্ঞাপনটিতে কিছুটা কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। বলা হয়েছে, গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালক নির্বাচন হবে ‘বিধিমালার অধীন কমিশন গঠনের এক বছরের মধ্যে।’ বাস্তবে গতকাল রোববার পর্যন্ত সরকার নির্বাচন কমিশনই গঠন করতে পারেনি। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালক নির্বাচন করে দেওয়ার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার হতে কোনো অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজই রাজি হচ্ছেন না।
এ ব্যাপারে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব এম আসলাম আলম বলেন, ‘কেউ রাজি হচ্ছেন না তা নয়, বলা যায় এটি প্রক্রিয়াধীন এবং আমরা চেষ্টা করছি।’
সর্বশেষ পর্ষদ: প্রায় ৯০ লাখ গ্রাহকের গ্রামীণ ব্যাংকের ১২ সদস্যের পর্ষদের মধ্যে চারজন হলেন সরকারের নিয়োগ করা। পর্ষদের প্রধান ব্যক্তি চেয়ারম্যান খন্দকার মোজাম্মেল হক দেড় বছর আগে পদত্যাগ করেছেন। যদিও সরকার তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেনি বলে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন।
অন্য সদস্য হলেন এস এম মহিউদ্দিন, যিনি ভারপ্রাপ্ত এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মহাব্যবস্থাপক থেকে পদোন্নতি পেয়ে ডিএমডি হয়েছেন সম্প্রতি। আগের এমডি মোহাম্মদ শাহজাহান অবসরে চলে যাওয়ার পর থেকে তিনি ভারপ্রাপ্ত এমডি। নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পর ব্যাংকটিতে নিয়মিত কোনো এমডি নেই।
সরকারের নিয়োগ দেওয়া বাকি দুই পরিচালক হচ্ছেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সুরাইয়া বেগম ও আইএফআইসি ব্যাংকের এমডি শাহ আলম সারোয়ার। আর নয়জন নারী সদস্য হলেন চট্টগ্রামের সাজেদা বেগম, সিলেটের মোছাম্মদ সুলতানা বেগম, কুমিল্লার রেহানা আক্তার, গাজীপুরের সালেহা খাতুন, দিনাজপুরের পারুল বেগম, বগুড়ার মেরিনা আক্তার, পটুয়াখালীর মোমেনা খাতুন, যশোরের শাহিদা আক্তার এবং ময়মনসিংহের তাহসিনা খাতুন।
গতকাল রাতে মুঠোফোনে জানতে চাইলে খন্দকার মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমি গ্রামীণ ব্যাংক থেকে পদত্যাগ করেছি।’ এর বাইরে কোনো কথা বলতে চান না বলে জানান তিনি।
গ্রামীণ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গত অক্টোবরে সর্বশেষ অনুষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকের পর্ষদ বৈঠকে অংশ নিয়েছেন মোজাম্মেল হক।
যোগাযোগ করলে তাহসিনা খাতুন গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘যেহেতু নতুন কেউ নির্বাচিত হননি, সুতরাং আমরাই পর্ষদে থাকব। কারও কাছে তো দায়িত্বটা দিতে হবে। কার কাছে দেব?’
গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদ থেকে বয়সের কথা বলে গ্রামীণ ব্যাংকেরই প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সরিয়ে দেয় সরকার। এ নিয়ে দেশে ও বিদেশে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়। ব্যাংকে এখন পর্যন্ত নিয়মিত ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ দেওয়া যায়নি। সরকার পছন্দের লোক হিসেবে ব্যাংকের চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয় খন্দকার মোজাম্মেল হককে। তিনি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করলেও তা গ্রহণ করেনি সরকার। সমাজের বিশিষ্ট কয়েকজনকে চেয়ারম্যান নিয়োগের প্রস্তাব দিয়েও সরকার কাউকেই রাজি করাতে পারেনি।
আবার ড. ইউনূস ও গ্রামীণের সব প্রতিষ্ঠানের ওপর সরকার একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে। সাবেক সচিব মামুন-উর-রশীদের নেতৃত্বাধীন এই কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ীই গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালক নির্বাচনের নতুন বিধি করা হয়। সে বিধি অনুযায়ী পরিচালক নির্বাচন অনুষ্ঠান করে দিতেও কেউ রাজি হচ্ছেন না। অর্থাৎ গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে সরকার যতগুলো পদক্ষেপ নিয়েছে, কোনোটিতেই সফল হতে পারেনি।
সচিব আসলাম আলম বলেন, ‘যে যা-ই বলুক না কেন, সরকারের নিয়োগ করা পরিচালকের বাইরে গ্রামীণ ব্যাংকের শেয়ারধারী নয় পরিচালকের মেয়াদ প্রকৃতপক্ষে শেষ। তাঁরা আর গ্রামীণ ব্যাংকের পর্ষদ সভায় যোগ দিতে পারবেন না।’
এস এম মহিউদ্দিন বলেন, ‘পরবর্তী পর্ষদ গঠিত হওয়ার আগ পর্যন্ত তাঁদের মেয়াদ থাকবে। কারণ তাঁদেরটা বাতিল হয়নি।’ এ অবস্থায় নয়জন পরিচালক পর্ষদ সভায় আর যেতে না পারলে গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা পুরোপুরি সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। কেননা, বাকি পরিচালকেরা সরকার কর্তৃক নিয়োগ পাওয়া।
পর্ষদ নিয়ে বিভ্রান্তি সরকার নিজেই তৈরি করেছে বলে মনে করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান। যোগাযোগ করলে প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘আমি সব সময় যে কথা বলে আসছি, আজও তা-ই বলব। গ্রামীণ ব্যাংকের পর্ষদ নিয়ে যে আইন-কানুন করা হয়েছে, তাতে গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্যদের গ্রহণযোগ্য মতামত নেওয়া হয়নি। বিষয়টি কোনোভাবেই ঠিক হয়নি।’ তিনি বলেন, সরকারের এখনো উচিত হবে ব্যাংকটিকে তার মতো করে চলতে দেওয়া।
সরকার গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য গত বছরের ৬ এপ্রিল ‘গ্রামীণ ব্যাংক (পরিচালক নির্বাচন) বিধিমালা’ প্রণয়ন করে। ছয় মাস, অর্থাৎ গত ৬ অক্টোবরের মধ্যে ভোটের মাধ্যমে সরকার ব্যাংকটির পরিচালক নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংককে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক এ কাজ করতে রাজি হয়নি।
সরকার পরে প্রজ্ঞাপন দিয়ে গত নভেম্বরে বিধিমালা সংশোধন করে বাংলাদেশ ব্যাংককে এ দায়িত্ব থেকে সরিয়ে আনে। সংশোধিত বিধিমালায় বলা হয়, তিন সদস্যের একটি নির্বাচন কমিশন গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালক নির্বাচন অনুষ্ঠানটি করে দেবে। এর মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত একজন জেলা জজ হবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কমিশনার হবেন দুজন; রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকে কর্মরত একজন উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) এবং পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান মনোনীত পিকেএসএফেই কর্মরত একজন ডিএমডি।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, নির্বাচন করতে একবার ব্যর্থ হওয়ায় প্রজ্ঞাপনটিতে কিছুটা কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। বলা হয়েছে, গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালক নির্বাচন হবে ‘বিধিমালার অধীন কমিশন গঠনের এক বছরের মধ্যে।’ বাস্তবে গতকাল রোববার পর্যন্ত সরকার নির্বাচন কমিশনই গঠন করতে পারেনি। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালক নির্বাচন করে দেওয়ার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার হতে কোনো অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজই রাজি হচ্ছেন না।
এ ব্যাপারে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব এম আসলাম আলম বলেন, ‘কেউ রাজি হচ্ছেন না তা নয়, বলা যায় এটি প্রক্রিয়াধীন এবং আমরা চেষ্টা করছি।’
সর্বশেষ পর্ষদ: প্রায় ৯০ লাখ গ্রাহকের গ্রামীণ ব্যাংকের ১২ সদস্যের পর্ষদের মধ্যে চারজন হলেন সরকারের নিয়োগ করা। পর্ষদের প্রধান ব্যক্তি চেয়ারম্যান খন্দকার মোজাম্মেল হক দেড় বছর আগে পদত্যাগ করেছেন। যদিও সরকার তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেনি বলে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন।
অন্য সদস্য হলেন এস এম মহিউদ্দিন, যিনি ভারপ্রাপ্ত এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মহাব্যবস্থাপক থেকে পদোন্নতি পেয়ে ডিএমডি হয়েছেন সম্প্রতি। আগের এমডি মোহাম্মদ শাহজাহান অবসরে চলে যাওয়ার পর থেকে তিনি ভারপ্রাপ্ত এমডি। নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পর ব্যাংকটিতে নিয়মিত কোনো এমডি নেই।
সরকারের নিয়োগ দেওয়া বাকি দুই পরিচালক হচ্ছেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সুরাইয়া বেগম ও আইএফআইসি ব্যাংকের এমডি শাহ আলম সারোয়ার। আর নয়জন নারী সদস্য হলেন চট্টগ্রামের সাজেদা বেগম, সিলেটের মোছাম্মদ সুলতানা বেগম, কুমিল্লার রেহানা আক্তার, গাজীপুরের সালেহা খাতুন, দিনাজপুরের পারুল বেগম, বগুড়ার মেরিনা আক্তার, পটুয়াখালীর মোমেনা খাতুন, যশোরের শাহিদা আক্তার এবং ময়মনসিংহের তাহসিনা খাতুন।
গতকাল রাতে মুঠোফোনে জানতে চাইলে খন্দকার মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমি গ্রামীণ ব্যাংক থেকে পদত্যাগ করেছি।’ এর বাইরে কোনো কথা বলতে চান না বলে জানান তিনি।
গ্রামীণ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গত অক্টোবরে সর্বশেষ অনুষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকের পর্ষদ বৈঠকে অংশ নিয়েছেন মোজাম্মেল হক।
যোগাযোগ করলে তাহসিনা খাতুন গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘যেহেতু নতুন কেউ নির্বাচিত হননি, সুতরাং আমরাই পর্ষদে থাকব। কারও কাছে তো দায়িত্বটা দিতে হবে। কার কাছে দেব?’
গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদ থেকে বয়সের কথা বলে গ্রামীণ ব্যাংকেরই প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সরিয়ে দেয় সরকার। এ নিয়ে দেশে ও বিদেশে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়। ব্যাংকে এখন পর্যন্ত নিয়মিত ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ দেওয়া যায়নি। সরকার পছন্দের লোক হিসেবে ব্যাংকের চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয় খন্দকার মোজাম্মেল হককে। তিনি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করলেও তা গ্রহণ করেনি সরকার। সমাজের বিশিষ্ট কয়েকজনকে চেয়ারম্যান নিয়োগের প্রস্তাব দিয়েও সরকার কাউকেই রাজি করাতে পারেনি।
আবার ড. ইউনূস ও গ্রামীণের সব প্রতিষ্ঠানের ওপর সরকার একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে। সাবেক সচিব মামুন-উর-রশীদের নেতৃত্বাধীন এই কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ীই গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালক নির্বাচনের নতুন বিধি করা হয়। সে বিধি অনুযায়ী পরিচালক নির্বাচন অনুষ্ঠান করে দিতেও কেউ রাজি হচ্ছেন না। অর্থাৎ গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে সরকার যতগুলো পদক্ষেপ নিয়েছে, কোনোটিতেই সফল হতে পারেনি।
No comments