১০ দিনের তদন্ত ৬৯ দিনেও হয়নি by ইফতেখার মাহমুদ
সুন্দরবনের
তেল বিপর্যয়ের ঘটনায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত ১০ দিনের মধ্যে শেষ
করার কথা থাকলেও ৬৯ দিনেও তা হয়নি। এ ছাড়া এই মন্ত্রণালয়ের অধীন সমুদ্র
পরিবহন অধিদপ্তরও তাদের প্রতিবেদন দেয়নি। এ দুটি তদন্ত কমিটির দায়িত্ব
দুর্ঘটনার কারণ ও দায়ী ব্যক্তিদের শনাক্ত করা।
তবে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ দলের যৌথ সমীক্ষা প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। এর আগে বন বিভাগ, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি), প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তদন্ত কমিটিও তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর এখন পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দূরে থাক, ডুবে যাওয়া জাহাজ পরিদর্শনও করেনি। ডুবে যাওয়া জাহাজ সাউদার্ন স্টার সেভেন এবং একে ধাক্কা দেওয়া অপর জাহাজটি এমটি টোটালের কর্মচারী ও মালিকদের সাক্ষ্য নেওয়া হয়নি।
২০১১ সালের এপ্রিলে নৌপরিহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সুন্দরবনের ভেতরে শ্যালা নদী দিয়ে নৌপথ চালু করে। নৌপথটি চালুর পরপরই বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে একাধিকবার আপত্তি তোলা হলেও তা বন্ধ হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনবার এই পথটি বন্ধ করে জাহাজ চলাচলের জন্য ঘসিয়াখালি খাল খননের নির্দেশ দেন। বিআইডব্লিউটিএ থেকে তা-ও আমলে নেওয়া হয়নি। গত চার বছরে ঘসিয়াখালি খালের মাত্র ৭ শতাংশ খনন করা হয়েছে।
গত ৯ ডিসেম্বর নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নুর উর রহমানের নেতৃত্বে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। অন্য সদস্যরা হলেন বিআইডব্লিউটিএর সদস্য (প্রকৌশল) ফিরোজ আহমেদ ও প্রধান প্রকৌশলী আবদুর রহিম তালুকদার, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নৌযান ও নৌযন্ত্র কৌশল বিভাগের অধ্যাপক গৌতম কুমার সাহা, মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাইফুল হাসান ও চিফ নটিক্যাল সার্ভেয়ার ক্যাপ্টেন কে এম জসীমউদ্দীন সরকার।
ক্যাপ্টেন জসীমউদ্দীন সরকার গতকাল রোববার প্রথম আলোকে বলেন, ‘অবরোধ-হরতালের কারণে আমরা এখনো জাহাজটি পরিদর্শনে যেতে পারিনি। তাই সময়সীমার মধ্যে তদন্ত শেষ করতে পারিনি। আশা করি, দ্রুত আমরা প্রতিবেদন দিতে পারব।’
আইন অনুযায়ী দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান ও দায়ী ব্যক্তি বা সংস্থাকে চিহ্নিত করার জন্য ওই তদন্ত কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। দুর্ঘটনা প্রতিরোধে করণীয় উল্লেখ করে একটি সুপারিশও দিতে বলা হয়েছে। ৯ ডিসেম্বর গঠন করা ওই কমিটিকে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়।
সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর তিন সদস্যের আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। সংস্থাটির নটিক্যাল সার্ভেয়ার অ্যান্ড এক্সামিনার ক্যাপ্টেন গিয়াসউদ্দিন আহম্মেদ, স্পেশাল অফিসার মেরিন সেফটি এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসান ও পরিদর্শক আবু জাফর মিয়া কমিটির সদস্য। দুর্ঘটনার কারণ নির্ণয়, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ, আইএসও-৭৬ ধারা লঙ্ঘনের কারণে দুর্ঘটনা ঘটে থাকলে তা শনান্ত করা, দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তি ও সংস্থাকে চিহ্নিত করা এবং ভবিষ্যতের দুর্ঘটনা কীভাবে রোধ করা যায়, তা শনাক্ত করার কথা ওই কমিটির।
জানতে চাইলে ক্যাপ্টেন গিয়াসউদ্দিন আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘জাহাজটি নারায়ণগঞ্জে আনা হয়েছে। শিগগিরই আমরা তা দেখতে যাব। দেখার পরপরই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেব।’
তবে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ দলের যৌথ সমীক্ষা প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। এর আগে বন বিভাগ, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি), প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তদন্ত কমিটিও তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর এখন পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দূরে থাক, ডুবে যাওয়া জাহাজ পরিদর্শনও করেনি। ডুবে যাওয়া জাহাজ সাউদার্ন স্টার সেভেন এবং একে ধাক্কা দেওয়া অপর জাহাজটি এমটি টোটালের কর্মচারী ও মালিকদের সাক্ষ্য নেওয়া হয়নি।
২০১১ সালের এপ্রিলে নৌপরিহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সুন্দরবনের ভেতরে শ্যালা নদী দিয়ে নৌপথ চালু করে। নৌপথটি চালুর পরপরই বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে একাধিকবার আপত্তি তোলা হলেও তা বন্ধ হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনবার এই পথটি বন্ধ করে জাহাজ চলাচলের জন্য ঘসিয়াখালি খাল খননের নির্দেশ দেন। বিআইডব্লিউটিএ থেকে তা-ও আমলে নেওয়া হয়নি। গত চার বছরে ঘসিয়াখালি খালের মাত্র ৭ শতাংশ খনন করা হয়েছে।
গত ৯ ডিসেম্বর নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নুর উর রহমানের নেতৃত্বে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। অন্য সদস্যরা হলেন বিআইডব্লিউটিএর সদস্য (প্রকৌশল) ফিরোজ আহমেদ ও প্রধান প্রকৌশলী আবদুর রহিম তালুকদার, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নৌযান ও নৌযন্ত্র কৌশল বিভাগের অধ্যাপক গৌতম কুমার সাহা, মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাইফুল হাসান ও চিফ নটিক্যাল সার্ভেয়ার ক্যাপ্টেন কে এম জসীমউদ্দীন সরকার।
ক্যাপ্টেন জসীমউদ্দীন সরকার গতকাল রোববার প্রথম আলোকে বলেন, ‘অবরোধ-হরতালের কারণে আমরা এখনো জাহাজটি পরিদর্শনে যেতে পারিনি। তাই সময়সীমার মধ্যে তদন্ত শেষ করতে পারিনি। আশা করি, দ্রুত আমরা প্রতিবেদন দিতে পারব।’
আইন অনুযায়ী দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান ও দায়ী ব্যক্তি বা সংস্থাকে চিহ্নিত করার জন্য ওই তদন্ত কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। দুর্ঘটনা প্রতিরোধে করণীয় উল্লেখ করে একটি সুপারিশও দিতে বলা হয়েছে। ৯ ডিসেম্বর গঠন করা ওই কমিটিকে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়।
সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর তিন সদস্যের আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। সংস্থাটির নটিক্যাল সার্ভেয়ার অ্যান্ড এক্সামিনার ক্যাপ্টেন গিয়াসউদ্দিন আহম্মেদ, স্পেশাল অফিসার মেরিন সেফটি এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসান ও পরিদর্শক আবু জাফর মিয়া কমিটির সদস্য। দুর্ঘটনার কারণ নির্ণয়, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ, আইএসও-৭৬ ধারা লঙ্ঘনের কারণে দুর্ঘটনা ঘটে থাকলে তা শনান্ত করা, দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তি ও সংস্থাকে চিহ্নিত করা এবং ভবিষ্যতের দুর্ঘটনা কীভাবে রোধ করা যায়, তা শনাক্ত করার কথা ওই কমিটির।
জানতে চাইলে ক্যাপ্টেন গিয়াসউদ্দিন আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘জাহাজটি নারায়ণগঞ্জে আনা হয়েছে। শিগগিরই আমরা তা দেখতে যাব। দেখার পরপরই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেব।’
No comments