আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য কল্যাণকর
(রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গতকাল নাগরিক ঐক্যের অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন l ছবি- প্রথম আলো) আইনশৃঙ্খলা
বাহিনীকে কোনো বেআইনি নির্দেশ না মানার আহ্বান জানিয়েছেন সংবিধান ও আইন
বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেন। বেআইনি আদেশ পালন থেকে বিরত থাকার এ আহ্বান
অত্যন্ত সময়োপযোগী। কারণ, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বেড়েই চলেছে।
গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে নাগরিকদের বঞ্চিত করতে জোর খাটানো হচ্ছে।
দেখামাত্র গুলি এবং পিটিয়ে হত্যার মতো বক্তব্যও দিচ্ছেন কেউ কেউ।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী। সংবিধানের
আওতায় আইনসম্মত সব আদেশ-নিষেধ মানতে তারা বাধ্য; কিন্তু বেআইনি কোনো
নির্দেশ মানতে বাধ্য নন। এ জন্য তাদের বাধ্য করা হলে আইনই শুধু লঙ্ঘন করা
হয় না, সংবিধান না মানার অভিযোগেও অভিযুক্ত হওয়ার কথা। আইনের প্রতি অবজ্ঞা
অপরাধ, সংবিধানের প্রতি অবজ্ঞা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল।
এর আগে বিরোধীদলীয় নেত্রী, মানবাধিকারকর্মীরা ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন একই ধরনের আহ্বান জানিয়েছে। কোনো কোনো সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের দায়বদ্ধতার কথাও স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে। তার পরও প্রতিনিয়ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অন্যায়ভাবে আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো কোনো কর্মকর্তা শুধু আইনের সীমা অতিক্রম করেই বক্তব্য দিচ্ছেন না, অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক নেতার চেয়েও আগ বাড়িয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন। জোরজবরদস্তি করে নাগরিকজীবনে অস্বস্তি সৃষ্টি করছেন, জননিরাপত্তা বিঘিœত হওয়ার মতো ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্ম দিচ্ছেন। গ্রেফতারবাণিজ্য চরমে উঠেছে। অভিযানের নামে বাড়াবাড়ি করা হচ্ছে। শুধু সন্দেহের কারণে পথচারীরাও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে এমন সব বক্তব্য দেয়া হচ্ছে, তাতে শুধু আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শিত হচ্ছে না, নাগরিকদের মনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সম্পর্কে বিরূপ ধারণাও জন্ম নিচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে জনগণকে আইন হাতে তুলে নেয়ার মতো পরিস্থিতির জন্ম দিচ্ছে।
প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তারা কোনোভাবেই সমাজচ্যুত মানুষ নন। তারা এ দেশেরই সন্তান। এ দেশেরই নাগরিক। তারা ক্ষমতার অনভিপ্রেত হাত হয়ে বেআইনি নির্দেশ মানতে গিয়ে জনগণের মুখোমুখি দাঁড়াক, এটা আমরা কেউ কামনা করতে পারি না।
আমরা ড. কামাল হোসেনের বক্তব্যকে এই মুহূর্তে সব শান্তিকামী মানুষের বক্তব্য বলে মনে করি। একই সাথে রাজনৈতিক সঙ্কট উত্তরণের পথে এমন বক্তব্যকে জরুরি হিসেবেও বিবেচনা করি। রাজনৈতিক সঙ্কট রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা না করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অপব্যবহার, বেআইনি নির্দেশ মানতে বাধ্য করা কখনো সুখকর ফল দেয় না। দমনপীড়ন চালিয়ে সাময়িকভাবে জনরোষ অবদমিত করা সম্ভব; কিন্তু এতে স্থায়ী সমাধান আসে না; বরং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযুক্ত হয়, তাদের পেশাদারিত্ব নষ্ট হয়। এটি কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। আমরা আশা করব, সবাই এ আহ্বান নীতিনিষ্ঠ অবস্থান থেকে বিবেচনায় নিয়ে ভূমিকা পালনে আন্তরিক হবেন।
এর আগে বিরোধীদলীয় নেত্রী, মানবাধিকারকর্মীরা ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন একই ধরনের আহ্বান জানিয়েছে। কোনো কোনো সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের দায়বদ্ধতার কথাও স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে। তার পরও প্রতিনিয়ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অন্যায়ভাবে আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো কোনো কর্মকর্তা শুধু আইনের সীমা অতিক্রম করেই বক্তব্য দিচ্ছেন না, অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক নেতার চেয়েও আগ বাড়িয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন। জোরজবরদস্তি করে নাগরিকজীবনে অস্বস্তি সৃষ্টি করছেন, জননিরাপত্তা বিঘিœত হওয়ার মতো ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্ম দিচ্ছেন। গ্রেফতারবাণিজ্য চরমে উঠেছে। অভিযানের নামে বাড়াবাড়ি করা হচ্ছে। শুধু সন্দেহের কারণে পথচারীরাও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে এমন সব বক্তব্য দেয়া হচ্ছে, তাতে শুধু আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শিত হচ্ছে না, নাগরিকদের মনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সম্পর্কে বিরূপ ধারণাও জন্ম নিচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে জনগণকে আইন হাতে তুলে নেয়ার মতো পরিস্থিতির জন্ম দিচ্ছে।
প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তারা কোনোভাবেই সমাজচ্যুত মানুষ নন। তারা এ দেশেরই সন্তান। এ দেশেরই নাগরিক। তারা ক্ষমতার অনভিপ্রেত হাত হয়ে বেআইনি নির্দেশ মানতে গিয়ে জনগণের মুখোমুখি দাঁড়াক, এটা আমরা কেউ কামনা করতে পারি না।
আমরা ড. কামাল হোসেনের বক্তব্যকে এই মুহূর্তে সব শান্তিকামী মানুষের বক্তব্য বলে মনে করি। একই সাথে রাজনৈতিক সঙ্কট উত্তরণের পথে এমন বক্তব্যকে জরুরি হিসেবেও বিবেচনা করি। রাজনৈতিক সঙ্কট রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা না করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অপব্যবহার, বেআইনি নির্দেশ মানতে বাধ্য করা কখনো সুখকর ফল দেয় না। দমনপীড়ন চালিয়ে সাময়িকভাবে জনরোষ অবদমিত করা সম্ভব; কিন্তু এতে স্থায়ী সমাধান আসে না; বরং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযুক্ত হয়, তাদের পেশাদারিত্ব নষ্ট হয়। এটি কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। আমরা আশা করব, সবাই এ আহ্বান নীতিনিষ্ঠ অবস্থান থেকে বিবেচনায় নিয়ে ভূমিকা পালনে আন্তরিক হবেন।
No comments