খালেদার কার্যালয় ঘেরাওয়ে গিয়ে নৌমন্ত্রীর সমাবেশ
চলমান
হরতাল অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহারের দাবিতে গতকাল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা
জিয়ার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে
শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ। এর নেতৃত্ব দেন
নৌমন্ত্রী শাজাহান খান। তার নেতৃত্বে দুপুরে গুলশান ওয়ান্ডারল্যান্ড
পার্কের মাঠে এক সমাবেশ হয়। পরে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল খালেদা
জিয়ার কার্যালয়ের দিকে রওনা দিলে গুলশান মেট্রোপলিটন শপিং প্লাজার সামনে
একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে অন্তত ছয়জন আহত হওয়ার কথা জানিয়েছে কর্তব্যরত
পুলিশ। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। এ ঘটনায় গুলশান মেট্রোপলিটন
শপিং প্লাজায় ভাঙচুর চালায় বিুব্ধরা। পরে গুলশান-২ এর ৮৬ নম্বর সড়কের মাথায়
সমাবেশ করেন নৌমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, অবিলম্বে অবরোধ-হরতাল তুলে না
নিলে খালেদা জিয়াকে বন্দী করা হবে। তিনি খালেদা জিয়াকে হরতাল অবরোধ
কর্মসূচি প্রত্যাহারের দাবি জানান।
গুলশান-২ এর ৮৬ নম্বর সড়কে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়। শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের ব্যানারে লোক নিয়ে সেই কার্যালয় ঘেরাওয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান। পুলিশি বাধায় সমাবেশ শেষে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি।
ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্কে জমায়েত : প্রত্যদর্শীরা জানান, কর্মসূচি পালনের উদ্দেশ্যে সকাল থেকে গুলশান ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্কে জড়ো হতে থাকেন সমন্বয় পরিষদের নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের নেতাকর্মী সমবেত হয়ে গুলশান ৮৬ নম্বর সড়ক মোড়ে মিছিল নিয়ে যান। এই মিছিলের নেতৃত্ব দেন পরিষদের আহ্বায়ক ও নৌমন্ত্রী শাজাহান খান। বাসে করে ঢাকা ও ঢাকার আশপাশের এলাকা থেকে তারা সেখানে আসতে থাকেন। এ কর্মসূচির কারণে গুলশান ও বনানী এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। সেন্ট্রাল পার্কে উপস্থিত হন শাজাহান খান, ১৪ দলের নেত্রী শিরিন আক্তারসহ অন্য নেতারা। একপর্যায়ে সেখানে বক্তব্য দেন নৌমন্ত্রী। গুলশান থেকে খালেদা জিয়ার কার্যালয় সরিয়ে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান তিনি।
ককটেল বিস্ফোরণে আহত ৬ : এর আগে দুপুর ১২টার দিকে ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্ক থেকে মিছিল নিয়ে খালেদা জিয়ার কার্যালয় অভিমুখে রওনা হন সমন্বয় পরিষদের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে গুলশান ২ নম্বর মোড় অতিক্রম করার সময় সেখানে মেট্রোপলিটন শপিং প্লাজার সামনে মিছিলের পেছন দিকে বিকট শব্দে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। ওই ঘটনায় ছয়জন আহত হন। তাদের গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আহতদের মধ্যেÑ বাবুল আহমদ (৫৪), মোতালেব হোসেন (২২) ও ওবায়েদুল হক (২১) রয়েছেন। ককটেলের স্পিন্টার বাবুল আহমদের মাথায় ও ডান হাতে এবং মোতালেব ও ওবায়েদুল হকের পায়ে বিদ্ধ হয়। তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকিদের নাম জানা যায়নি।
দোকান ভাঙচুর : এ দিকে ককটেল বিস্ফোরণের পরই বিুব্ধরা গুলশান-২ নম্বরের গুলশান মেট্রোপলিটন শপিং প্লাজায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। চারতলা এই মার্কেটের সামনে গিয়ে চোখে পড়ে নিচতলায় ছোপ ছোপ রক্তের দাগ। মার্কেটের সামনের সড়কে বোমা বিস্ফোরণের চিহ্ন। বোমায় আহত ব্যক্তির ক্ষতবিক্ষত হওয়া পায়ের ভাঙা হাড় পড়ে ছিল রাস্তায়। পরে ডিবি পুলিশের একটি দল বোমা বিস্ফোরণের এলাকা পরিদর্শন করে আলামত ও আহত ব্যক্তির ভাঙা হাড় সংগ্রহ করে নিয়ে যান।
প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বিস্ফোরণের পরই বিুব্ধ শ্রমিকেরা এ মার্কেটের বিভিন্ন দোকানে ভাঙচুর চালায়। তারা এলোপাতাড়ি ইট নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে বিভিন্ন দোকানের দরজা-জানালার কাঁচ ভেঙে যায় এবং মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভাঙচুর হওয়া দোকানের মধ্যে রয়েছেÑ রয়েল ব্লু (ফটোকপি ও স্টেশনারি দোকান), চাইনিজ রেস্তোরাঁ বিএফসি, কুপারস, ক্যাম্ব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের শাখা।
খালেদার কার্যালয়ের পাশে সমাবেশ : পরে দুপুর পৌনে ১টার দিকে গুলশান ৮৬ নম্বর সড়কের প্রবেশমুখে সমন্বয় পরিষদের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন। তারা খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে তারা ৯০ নম্বর সড়কে অবস্থান নেন। সেখানেই সমাবেশ করেন। ট্রাকের ওপর অস্থায়ী মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখেন নৌমন্ত্রী। বেলা ১টা ১২ মিনিটে নৌমন্ত্রীর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ঘেরাও কর্মসূচি শেষ হয়। এই ঘেরাও কর্মসূচি উপলে ব্যান্ড সঙ্গীতের দলও আনা হয়। নেতাকর্মীরা হরতাল-অবরোধ বিরোধী নানা প্ল্যাকার্ড বহন করে।
নতুন কর্মসূচি : সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নৌমন্ত্রী আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে ট্রাক মিছিল ও ১৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পতাকা নিয়ে মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত মিছিলের কর্মসূচির কথাও বলেন। এ ছাড়া মিছিলে বোমা হামলার প্রতিবাদে আজ জাতীয় প্রেস কাবের সামনে জমায়েত ও বিক্ষোভ মিছিল করার ঘোষণা দেন তিনি।
মহিলা লীগের বিক্ষোভ : এর আগে বেলা পৌনে ১১টার দিকে আওয়ামী মহিলা লীগের অন্তত ৫০ জন নেতাকর্মী গুলশানে খালেদা জিয়ার কার্যালয় ঘেরাও করতে যান।
গুলশান-২ এর ৮৬ নম্বর সড়কে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়। শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের ব্যানারে লোক নিয়ে সেই কার্যালয় ঘেরাওয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান। পুলিশি বাধায় সমাবেশ শেষে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি।
ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্কে জমায়েত : প্রত্যদর্শীরা জানান, কর্মসূচি পালনের উদ্দেশ্যে সকাল থেকে গুলশান ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্কে জড়ো হতে থাকেন সমন্বয় পরিষদের নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের নেতাকর্মী সমবেত হয়ে গুলশান ৮৬ নম্বর সড়ক মোড়ে মিছিল নিয়ে যান। এই মিছিলের নেতৃত্ব দেন পরিষদের আহ্বায়ক ও নৌমন্ত্রী শাজাহান খান। বাসে করে ঢাকা ও ঢাকার আশপাশের এলাকা থেকে তারা সেখানে আসতে থাকেন। এ কর্মসূচির কারণে গুলশান ও বনানী এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। সেন্ট্রাল পার্কে উপস্থিত হন শাজাহান খান, ১৪ দলের নেত্রী শিরিন আক্তারসহ অন্য নেতারা। একপর্যায়ে সেখানে বক্তব্য দেন নৌমন্ত্রী। গুলশান থেকে খালেদা জিয়ার কার্যালয় সরিয়ে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান তিনি।
ককটেল বিস্ফোরণে আহত ৬ : এর আগে দুপুর ১২টার দিকে ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্ক থেকে মিছিল নিয়ে খালেদা জিয়ার কার্যালয় অভিমুখে রওনা হন সমন্বয় পরিষদের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে গুলশান ২ নম্বর মোড় অতিক্রম করার সময় সেখানে মেট্রোপলিটন শপিং প্লাজার সামনে মিছিলের পেছন দিকে বিকট শব্দে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। ওই ঘটনায় ছয়জন আহত হন। তাদের গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আহতদের মধ্যেÑ বাবুল আহমদ (৫৪), মোতালেব হোসেন (২২) ও ওবায়েদুল হক (২১) রয়েছেন। ককটেলের স্পিন্টার বাবুল আহমদের মাথায় ও ডান হাতে এবং মোতালেব ও ওবায়েদুল হকের পায়ে বিদ্ধ হয়। তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকিদের নাম জানা যায়নি।
দোকান ভাঙচুর : এ দিকে ককটেল বিস্ফোরণের পরই বিুব্ধরা গুলশান-২ নম্বরের গুলশান মেট্রোপলিটন শপিং প্লাজায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। চারতলা এই মার্কেটের সামনে গিয়ে চোখে পড়ে নিচতলায় ছোপ ছোপ রক্তের দাগ। মার্কেটের সামনের সড়কে বোমা বিস্ফোরণের চিহ্ন। বোমায় আহত ব্যক্তির ক্ষতবিক্ষত হওয়া পায়ের ভাঙা হাড় পড়ে ছিল রাস্তায়। পরে ডিবি পুলিশের একটি দল বোমা বিস্ফোরণের এলাকা পরিদর্শন করে আলামত ও আহত ব্যক্তির ভাঙা হাড় সংগ্রহ করে নিয়ে যান।
প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বিস্ফোরণের পরই বিুব্ধ শ্রমিকেরা এ মার্কেটের বিভিন্ন দোকানে ভাঙচুর চালায়। তারা এলোপাতাড়ি ইট নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে বিভিন্ন দোকানের দরজা-জানালার কাঁচ ভেঙে যায় এবং মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভাঙচুর হওয়া দোকানের মধ্যে রয়েছেÑ রয়েল ব্লু (ফটোকপি ও স্টেশনারি দোকান), চাইনিজ রেস্তোরাঁ বিএফসি, কুপারস, ক্যাম্ব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের শাখা।
খালেদার কার্যালয়ের পাশে সমাবেশ : পরে দুপুর পৌনে ১টার দিকে গুলশান ৮৬ নম্বর সড়কের প্রবেশমুখে সমন্বয় পরিষদের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন। তারা খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে তারা ৯০ নম্বর সড়কে অবস্থান নেন। সেখানেই সমাবেশ করেন। ট্রাকের ওপর অস্থায়ী মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখেন নৌমন্ত্রী। বেলা ১টা ১২ মিনিটে নৌমন্ত্রীর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ঘেরাও কর্মসূচি শেষ হয়। এই ঘেরাও কর্মসূচি উপলে ব্যান্ড সঙ্গীতের দলও আনা হয়। নেতাকর্মীরা হরতাল-অবরোধ বিরোধী নানা প্ল্যাকার্ড বহন করে।
নতুন কর্মসূচি : সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নৌমন্ত্রী আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে ট্রাক মিছিল ও ১৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পতাকা নিয়ে মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত মিছিলের কর্মসূচির কথাও বলেন। এ ছাড়া মিছিলে বোমা হামলার প্রতিবাদে আজ জাতীয় প্রেস কাবের সামনে জমায়েত ও বিক্ষোভ মিছিল করার ঘোষণা দেন তিনি।
মহিলা লীগের বিক্ষোভ : এর আগে বেলা পৌনে ১১টার দিকে আওয়ামী মহিলা লীগের অন্তত ৫০ জন নেতাকর্মী গুলশানে খালেদা জিয়ার কার্যালয় ঘেরাও করতে যান।
No comments