বিশ্বব্যাংক সাড়ে ৩ লাখ ডলার ফেরত নিচ্ছে by হামিদ সরকার
একবার সতর্ক করার পর বিশ্বব্যাংক অর্থায়িত একই প্রকল্পে আবারো আর্থিক অনিয়ম ঘটেছে। দ্বিতীয় দফায় প্রকল্প থেকে বিশ্বব্যাংক তিন লাখ ৫৫ হাজার ৯১৯ দশমিক ৩৯ মার্কিন ডলার ফেরত নিচ্ছে। এভিয়ান ইনফুয়েঞ্জা প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যান্ড রেসপনস প্রকল্প থেকে গত এপ্রিলে আর্থিক অনিয়মের জন্য প্রথম দফায় তিন লাখ পাঁচ হাজার ১৩৪ ডলার ফেরত হয় বাংলাদেশকে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) পক্ষ থেকে বেশির ভাগ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে সতর্ক করে দিয়ে হলেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না বলে ইআরডি সূত্র জানিয়েছে।
জানা গেছে, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে বিশ্বব্যাংক এখন বাংলাদেশে তাদের অর্থায়িত প্রকল্পের ওপর নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। যেসব প্রকল্পে তারা অর্থায়ন করে থাকে সেগুলোকে কঠোরভাবে অডিট করছে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদলের পর্যবেণে এভিয়ান ইনফুয়েঞ্জা প্রকল্পটিতে কেনাকাটায় দ্বিতীয় দফায় অনিয়ম ধরা পড়ে। প্রকল্পে যতটুকু অনিয়ম ধরা পড়ে সেই পরিমাণ টাকা বিশ্বব্যাংকে ফেরত যাচ্ছে। এসব টাকা এখন সরকারি খাত থেকে বিশ্বব্যাংকে দেয়া হচ্ছে বলে ইআরডি সূত্রে জানা গেছে।
দেশব্যাপী এভিয়ান ইনফুয়েঞ্জা রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের ল্েয বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়েছে। প্রকল্পটির মেয়াদ ছিল জুন ২০০৭ থেকে জুন ২০১৩। এবারই প্রথম সমাপ্ত কোনো প্রকল্পেও অনিয়ম ধরল বিশ্বব্যাংক। এ প্রকল্পে ৩০ এপ্রিল ২০১৪ সালে দুই কোটি ৩৭ লাখ টাকার ক্রয়সংক্রান্ত অনিয়ম ধরেছিল বিশ্বব্যাংক। সেই টাকা প্রাণিসম্পদ অধিদফতর ইআরডির মধ্যস্থতায় বিশ্বব্যাংকে ফেরত দিয়েছিল। প্রকল্পে আবারো কেনাকাটায় অনিয়ম ধরা পড়েছে। বিশ্বব্যাংকের তদন্ত কমিটির মতে, কোজার লেটার দেয়া সত্ত্বেও একই প্রকল্পের আওতায় সম্পাদিত আরো পাঁচটি প্যাকেজের ক্রয় কার্যক্রমে নিলামের েেত্র অনিয়ম ধরা পড়েছে। অনিয়মে এবার দুই কোটি ৭৬ লাখ পাঁচ হাজার ১১৬ টাকা বা তিন লাখ ৫৫ হাজার ৯১৯ দশমিক ৩৯ মার্কিন ডলার ফেরত দিতে হচ্ছে বিশ্বব্যাংককে।
ইআরডি সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের ৭০০ কোটি ডলার অর্থায়নে প্রায় ৪২টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। প্রকল্পের ক্রয়সংক্রান্ত অনিয়ম এবং টাকা ব্যবহার করতে না পারায় পাঁচ প্রকল্প থেকে এর আগে টাকা ফেরত নিয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রকল্পের ক্রয় কাজে যতটুকু অনিয়ম ধরা পড়েছে, সেই পরিমাণ টাকা নিচ্ছে সংস্থাটি। আগের চেয়ে প্রকল্প থেকে টাকা ফেরত যাওয়ার হার বেড়েছে। ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে এবং অনিয়মের সাথে জড়িতদের ব্যাপারে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) পক্ষ থেকে বেশির ভাগ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হলেও কোনো কাজ হচ্ছে না বাস্তবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইআরডির এক কর্মকর্তা জানান, প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে চিঠি পাওয়া গেছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে প্রকল্পে অনিয়মের কারণে বিশ্বব্যাংক টাকা ফেরত চায়। বিষয়টি নেগোসিয়েশন করার জন্য আমাদের ওপর ভার দেয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের লিড ইকোনমিস্ট জাহিদ হোসেন সম্প্রতি জানান, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে চলমান প্রকল্পে প্রকিউরমেন্টের েেত্র যেটুকু অনিয়ম হয়, সেই পরিমাণ টাকা বিশ্বব্যাংকে ফেরত দিতে হয়। সম্প্রতি কিছু প্রকল্পে মিসপ্রকিউরমেন্ট হয়েছে।
ইআরডি জানায়, এসবের ব্যাপারে ইআরডির পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়গুলোকে চিঠি দেয়া হয়েছে। তাদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, যাদের অনিয়মে এসব হয়েছে তাদের ব্যাপারে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।
জানা গেছে, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে বিশ্বব্যাংক এখন বাংলাদেশে তাদের অর্থায়িত প্রকল্পের ওপর নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। যেসব প্রকল্পে তারা অর্থায়ন করে থাকে সেগুলোকে কঠোরভাবে অডিট করছে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদলের পর্যবেণে এভিয়ান ইনফুয়েঞ্জা প্রকল্পটিতে কেনাকাটায় দ্বিতীয় দফায় অনিয়ম ধরা পড়ে। প্রকল্পে যতটুকু অনিয়ম ধরা পড়ে সেই পরিমাণ টাকা বিশ্বব্যাংকে ফেরত যাচ্ছে। এসব টাকা এখন সরকারি খাত থেকে বিশ্বব্যাংকে দেয়া হচ্ছে বলে ইআরডি সূত্রে জানা গেছে।
দেশব্যাপী এভিয়ান ইনফুয়েঞ্জা রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের ল্েয বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়েছে। প্রকল্পটির মেয়াদ ছিল জুন ২০০৭ থেকে জুন ২০১৩। এবারই প্রথম সমাপ্ত কোনো প্রকল্পেও অনিয়ম ধরল বিশ্বব্যাংক। এ প্রকল্পে ৩০ এপ্রিল ২০১৪ সালে দুই কোটি ৩৭ লাখ টাকার ক্রয়সংক্রান্ত অনিয়ম ধরেছিল বিশ্বব্যাংক। সেই টাকা প্রাণিসম্পদ অধিদফতর ইআরডির মধ্যস্থতায় বিশ্বব্যাংকে ফেরত দিয়েছিল। প্রকল্পে আবারো কেনাকাটায় অনিয়ম ধরা পড়েছে। বিশ্বব্যাংকের তদন্ত কমিটির মতে, কোজার লেটার দেয়া সত্ত্বেও একই প্রকল্পের আওতায় সম্পাদিত আরো পাঁচটি প্যাকেজের ক্রয় কার্যক্রমে নিলামের েেত্র অনিয়ম ধরা পড়েছে। অনিয়মে এবার দুই কোটি ৭৬ লাখ পাঁচ হাজার ১১৬ টাকা বা তিন লাখ ৫৫ হাজার ৯১৯ দশমিক ৩৯ মার্কিন ডলার ফেরত দিতে হচ্ছে বিশ্বব্যাংককে।
ইআরডি সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের ৭০০ কোটি ডলার অর্থায়নে প্রায় ৪২টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। প্রকল্পের ক্রয়সংক্রান্ত অনিয়ম এবং টাকা ব্যবহার করতে না পারায় পাঁচ প্রকল্প থেকে এর আগে টাকা ফেরত নিয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রকল্পের ক্রয় কাজে যতটুকু অনিয়ম ধরা পড়েছে, সেই পরিমাণ টাকা নিচ্ছে সংস্থাটি। আগের চেয়ে প্রকল্প থেকে টাকা ফেরত যাওয়ার হার বেড়েছে। ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে এবং অনিয়মের সাথে জড়িতদের ব্যাপারে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) পক্ষ থেকে বেশির ভাগ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হলেও কোনো কাজ হচ্ছে না বাস্তবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইআরডির এক কর্মকর্তা জানান, প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে চিঠি পাওয়া গেছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে প্রকল্পে অনিয়মের কারণে বিশ্বব্যাংক টাকা ফেরত চায়। বিষয়টি নেগোসিয়েশন করার জন্য আমাদের ওপর ভার দেয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের লিড ইকোনমিস্ট জাহিদ হোসেন সম্প্রতি জানান, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে চলমান প্রকল্পে প্রকিউরমেন্টের েেত্র যেটুকু অনিয়ম হয়, সেই পরিমাণ টাকা বিশ্বব্যাংকে ফেরত দিতে হয়। সম্প্রতি কিছু প্রকল্পে মিসপ্রকিউরমেন্ট হয়েছে।
ইআরডি জানায়, এসবের ব্যাপারে ইআরডির পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়গুলোকে চিঠি দেয়া হয়েছে। তাদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, যাদের অনিয়মে এসব হয়েছে তাদের ব্যাপারে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।
No comments