বন্ধ হয়ে গেল ৫০ বছরের পুরনো মাদরাসা by অমর ডি কস্তা
প্রতিষ্ঠার
৫০ বছর পরেও এমপিওভুক্ত না হওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে বড়াইগ্রাম উপজেলার
পারবাগডোব দাখিল মাদরাসা। দীর্ঘদিনেও সরকারি অনুদানভুক্ত (এমপিও) হতে না
পারায় শিক্ষকরা হাল ছেড়ে দেয়ায় মাদরাসাটি বন্ধ হয়ে গেল। ফলে এলাকার
ঐতিহ্যবাহী এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছেড়ে অন্য মাদরাসায় ভর্তি হয়েছে দুই শতাধিক
শিক্ষার্থী। এ ক্ষেত্রে বেশি বিপাকে পড়েছে জেডিসির নিবন্ধনকৃত ১৫
শিক্ষার্থী। মাদরাসা সূত্রে জানা যায়, ১৯৬৪ সালের জানুয়ারি মাসে স্থানীয়
সমাজসেবক নওশের আলী এলাকার শিক্ষা বিস্তারের জন্য নিজ উদ্যোগে নিজের
জমিতেই প্রতিষ্ঠা করেন পারবাগডোব ইবতেদায়ি মাদরাসা। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই
স্থানীয়দের অনুদানেই চলতো এর শিক্ষাব্যয়। ৩৬ বছর পরে ২০০০ সালে দাখিল শাখা
খোলা হয়। এরপর শুরু হয় এমপিওভুক্তির উদ্যোগ। ২০০৬ সালে মাদরাসা বোর্ডের
নিবন্ধন (স্বীকৃতি) লাভ করে। কিন্তু এমপিওভুক্ত না করতে পারায় এবং
স্থানীয়দের অনুদানও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চলতি বছর জানুয়ারি থেকে
অনানুষ্ঠানিকভাবে পাঠদান বন্ধ করে তালা ঝুলিয়ে বিদায় নিয়েছেন
শিক্ষক-কর্মচারীরা।
মাদরাসার অফিস সহকারী শের মাহমুদ বলেন, মাদরাসাটি বন্ধ হওয়ার সময় দ্বিতীয় থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ২৩৭ শিক্ষার্থী ছিল। সুপারিনটেনডেন্টসহ ১১ শিক্ষক ও তিনজন কর্মচারী কর্মরত ছিলেন। প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ১ দশমিক ৪৯ একর জমিতে খেলার মাঠ ও ১৩ কক্ষবিশিষ্ট দুটি আধাপাকা ঘর রয়েছে। এছাড়া প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র রয়েছে। স্থানীয় অভিভাবক আবদুস সালাম বলেন, হঠাৎ মাদরাসাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছি আমরা। নিজ এলাকার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ভাবতেই মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে।
মাদরাসার প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক মাওলানা আবদুস সামাদ বলেন, শিক্ষকতাকে মহান পেশা ভেবে বিনা বেতনেই সারাজীবন পড়িয়ে গেলাম। আগামী বছর আমার অবসরে যাওয়ার কথা। ভেবেছিলাম অবসরে যাওয়ার আগে হয়তো বেতন পাবো, কিন্তু সে আশা আর পূর্ণ হলো না।
সহকারী শিক্ষক মাহাববুর রহমান বলেন, এমএ পাস করার পর অনেক ভাল চাকরির সুযোগ পেয়েও বাড়ির কাছের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিকে বাঁচিয়ে রাখতে এখানেই ছিলাম। কিন্তু দীর্ঘ বছর অপেক্ষার পর এমপিওভুক্ত না হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হলো। আর একই সঙ্গে একটি স্বপ্নেরও করুণ মৃত্যু হলো।
মাদরাসার সুপার নিজামউদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন এমপিওভুক্ত না হওয়ায় এবং স্থানীয়রা সহযোগিতা বন্ধ করে দেয়ায় প্রতিষ্ঠানটি চালু রাখা সম্ভব হলো না। গত ১০টি ব্যাচে এখানের শিক্ষার্থীরা জেডিসি ও দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ভাল ফল করেছে। এলাকার অনেক দরিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়েরা বাড়িসংলগ্ন প্রতিষ্ঠান হওয়ায় লেখাপড়া করতো। এখন হয়তো সেটা বন্ধ হয়ে যাবে।
মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবদুর রাজ্জাক সরকার বলেন, প্রতিষ্ঠানটি সব দিক থেকেই ভাল ছিল। অবকাঠামোও মোটামুটি ঠিক ছিল। তবে একে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারি উদ্যোগ ছাড়া আপাতত আর বিকল্প কিছু দেখছি না। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার মান ভাল ছিল। আমরা ওই মাদরাসাটি এমপিওভুক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দিয়েছিলাম। ২০১০ সালের পর সরকার কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করেনি। এর ফলে এমপিওভুক্তির বিষয় নিয়ে আর যোগাযোগ করা হয়নি। তবে মাদরাসাটি বন্ধ না করে এমপিওভুক্ত করার জন্য সব শর্ত পূরণ সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করলে হয়তো ভাল কোন ফল আসতে পারতো।
মাদরাসার অফিস সহকারী শের মাহমুদ বলেন, মাদরাসাটি বন্ধ হওয়ার সময় দ্বিতীয় থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ২৩৭ শিক্ষার্থী ছিল। সুপারিনটেনডেন্টসহ ১১ শিক্ষক ও তিনজন কর্মচারী কর্মরত ছিলেন। প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ১ দশমিক ৪৯ একর জমিতে খেলার মাঠ ও ১৩ কক্ষবিশিষ্ট দুটি আধাপাকা ঘর রয়েছে। এছাড়া প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র রয়েছে। স্থানীয় অভিভাবক আবদুস সালাম বলেন, হঠাৎ মাদরাসাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছি আমরা। নিজ এলাকার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ভাবতেই মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে।
মাদরাসার প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক মাওলানা আবদুস সামাদ বলেন, শিক্ষকতাকে মহান পেশা ভেবে বিনা বেতনেই সারাজীবন পড়িয়ে গেলাম। আগামী বছর আমার অবসরে যাওয়ার কথা। ভেবেছিলাম অবসরে যাওয়ার আগে হয়তো বেতন পাবো, কিন্তু সে আশা আর পূর্ণ হলো না।
সহকারী শিক্ষক মাহাববুর রহমান বলেন, এমএ পাস করার পর অনেক ভাল চাকরির সুযোগ পেয়েও বাড়ির কাছের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিকে বাঁচিয়ে রাখতে এখানেই ছিলাম। কিন্তু দীর্ঘ বছর অপেক্ষার পর এমপিওভুক্ত না হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হলো। আর একই সঙ্গে একটি স্বপ্নেরও করুণ মৃত্যু হলো।
মাদরাসার সুপার নিজামউদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন এমপিওভুক্ত না হওয়ায় এবং স্থানীয়রা সহযোগিতা বন্ধ করে দেয়ায় প্রতিষ্ঠানটি চালু রাখা সম্ভব হলো না। গত ১০টি ব্যাচে এখানের শিক্ষার্থীরা জেডিসি ও দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ভাল ফল করেছে। এলাকার অনেক দরিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়েরা বাড়িসংলগ্ন প্রতিষ্ঠান হওয়ায় লেখাপড়া করতো। এখন হয়তো সেটা বন্ধ হয়ে যাবে।
মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবদুর রাজ্জাক সরকার বলেন, প্রতিষ্ঠানটি সব দিক থেকেই ভাল ছিল। অবকাঠামোও মোটামুটি ঠিক ছিল। তবে একে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারি উদ্যোগ ছাড়া আপাতত আর বিকল্প কিছু দেখছি না। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার মান ভাল ছিল। আমরা ওই মাদরাসাটি এমপিওভুক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দিয়েছিলাম। ২০১০ সালের পর সরকার কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করেনি। এর ফলে এমপিওভুক্তির বিষয় নিয়ে আর যোগাযোগ করা হয়নি। তবে মাদরাসাটি বন্ধ না করে এমপিওভুক্ত করার জন্য সব শর্ত পূরণ সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করলে হয়তো ভাল কোন ফল আসতে পারতো।
No comments