ওবামা-নেতানিয়াহু বিরোধ বেড়েছে
ছয়
বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সম্পর্ক একই রকম রয়ে গেছে। প্রায় সব বিষয়েই তাদের
মধ্যে প্রকাশ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। এই মতবিরোধ ক্রমেই বেড়েছে। বিশ্লেষকরা
তাদের এ সম্পর্ককে সংকটজনক বলে আগেই ঘোষণা করেছেন। অবশ্য উভয়পক্ষই বিষয়টিকে
হালকা করে দেখাতে সচেষ্ট ছিলেন। বলেছেন বাইরে থেকে যতটা দেখা যায় ঘটনা
আসলে ততটা রুক্ষ নয়। মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ দিতে আগামী মার্চে ওয়াশিংটন
সফরে যাচ্ছেন নেতানিয়াহু। সম্প্রতি এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে হোয়াইট হাউস।
খবর :নিউইয়র্ক টাইমস।
সম্প্রতি আবারও এই দুই নেতার বৈরী সম্পর্কের প্রকাশ্য প্রদর্শনী দেখা গেল। এবার ঘটনা ধামাচাপা দিতে ওয়াশিংটন কিংবা জেরুজালেম কোনো পক্ষই খুব বেশি সচেষ্ট ছিল বলে প্রতীয়মান হয়নি। শুরুটা করেছিলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। তিনি প্রেসিডেন্ট ওবামাকে না জানিয়েই মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ দেওয়ার ঘোষণা দেন। এটি কূটনৈতিক নিয়মের লঙ্ঘন। পাল্টা হিসেবে হোয়াইট হাউসও জানায়, নেতানিয়াহুকে ওয়াশিংটনে প্রটোকল অনুযায়ী অভ্যর্থনা জানানো হবে না। কারণ হিসেবে ইসরায়েলে আগামী ১৭ মার্চ অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের দোহাই দেয় হোয়াইট হাউস। নেতানিয়াহুর এমন আচরণ দুই পুরনো মিত্র দেশের দুই নেতার পরস্পরবিরোধী দৃষ্টিভঙ্গিকেই প্রকট করে তুলেছে। আমেরিকান প্রেসিডেন্ট চাচ্ছেন ইরানের সঙ্গে ঐতিহাসিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন। অন্যদিকে, ইসরায়েলি নেতা একটি সম্ভাব্য পরমাণু শক্তিধর শত্রুদেশের (ইরান) পুরনো ভয়কে মনে লালন করে চলেছেন। তাদের ভিন্নমত ছয় বছর ধরে লালন করা সন্দেহ, অবিশ্বাস ও হতাশাকেই প্রকাশ করে। এ কারণে অতীতের ক্ষত খুব সহজেই উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। নেতানিয়াহুর ওপর ওবামার ক্ষুব্ধ হওয়ার কারণ আছে। ২০১২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইসরায়েলি নেতা ওবামার রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বীর পক্ষে প্রকাশ্য মাঠে নেমেছিলেন। আর এখন তিনি ওবামার ওভাল অফিসকে পাশ কাটিয়ে প্রেসিডেন্টের আরেক প্রতিপক্ষ রিপাবলিকান কংগ্রেস নেতার (জন বোয়েনার) সঙ্গে কাজ করার প্রবণতা দেখাচ্ছেন।
অন্যদিকে, নেতানিয়াহু মনে করছেন, ইরানের সঙ্গে ওবামা এমন কোনো চুক্তি করে বসবেন যা ইসরায়েলের জন্য ক্ষতিকর হবে। ওবামা ইসরায়েলের আগামী নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করবেন বলেও মনে করছেন তিনি। সংশয়-সন্দেহ দূর না করে উভয়পক্ষই বরং তাতে আরও রঙ চড়াচ্ছে। হোয়াইট হাউসকে না জানিয়ে নেতানিয়াহুর কংগ্রেসে ভাষণের দিন নির্ধারিত হওয়ার খবরে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ওবামার ঘনিষ্ঠজনরা। তারা বলছেন, ওয়াশিংটনে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত দেশের জন্য নয় বরং নেতানিয়াহুর জন্যই কাজ করছেন। ইসরায়েলি কোনো রাষ্ট্রদূত সম্পর্কে ওয়াশিংটনের এ ধরনের মন্তব্যও সচরাচর শোনা যায় না। অধিকৃত এলাকায় নতুন করে ৪৫০টি বসতি স্থাপনে মার্কিন আপত্তি গত শুক্রবার অগ্রাহ্য করে জেরুজালেম। নেতানিয়াহুর সরকার বরং দেশের মিডিয়ার কাছে গোপনে এমন তথ্য সরবরাহ করে যে, পরমাণু চুক্তি করতে গিয়ে ইরানের চাহিদার ৮০ শতাংই মেনে নিচ্ছেন ওবামা। বার-ইলান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসরায়েল-আমেরিকা সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ আইতান গিলবোয়া বলেন, অবশ্যই এখানে একটি সংকট রয়েছে। আগামী ১৭ মার্চে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে নেতানিয়াহু উতরে গেলে দুই নেতার সম্পর্ক আরও শীতল হবে। সেক্ষেত্রে ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এ পরিস্থিতির পরিবর্তনের সম্ভাবনা ক্ষীণ। যদি ইসরায়েল হিজবুল্লাহ বা ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে তাহলে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করবে।
সম্প্রতি আবারও এই দুই নেতার বৈরী সম্পর্কের প্রকাশ্য প্রদর্শনী দেখা গেল। এবার ঘটনা ধামাচাপা দিতে ওয়াশিংটন কিংবা জেরুজালেম কোনো পক্ষই খুব বেশি সচেষ্ট ছিল বলে প্রতীয়মান হয়নি। শুরুটা করেছিলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। তিনি প্রেসিডেন্ট ওবামাকে না জানিয়েই মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ দেওয়ার ঘোষণা দেন। এটি কূটনৈতিক নিয়মের লঙ্ঘন। পাল্টা হিসেবে হোয়াইট হাউসও জানায়, নেতানিয়াহুকে ওয়াশিংটনে প্রটোকল অনুযায়ী অভ্যর্থনা জানানো হবে না। কারণ হিসেবে ইসরায়েলে আগামী ১৭ মার্চ অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের দোহাই দেয় হোয়াইট হাউস। নেতানিয়াহুর এমন আচরণ দুই পুরনো মিত্র দেশের দুই নেতার পরস্পরবিরোধী দৃষ্টিভঙ্গিকেই প্রকট করে তুলেছে। আমেরিকান প্রেসিডেন্ট চাচ্ছেন ইরানের সঙ্গে ঐতিহাসিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন। অন্যদিকে, ইসরায়েলি নেতা একটি সম্ভাব্য পরমাণু শক্তিধর শত্রুদেশের (ইরান) পুরনো ভয়কে মনে লালন করে চলেছেন। তাদের ভিন্নমত ছয় বছর ধরে লালন করা সন্দেহ, অবিশ্বাস ও হতাশাকেই প্রকাশ করে। এ কারণে অতীতের ক্ষত খুব সহজেই উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। নেতানিয়াহুর ওপর ওবামার ক্ষুব্ধ হওয়ার কারণ আছে। ২০১২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইসরায়েলি নেতা ওবামার রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বীর পক্ষে প্রকাশ্য মাঠে নেমেছিলেন। আর এখন তিনি ওবামার ওভাল অফিসকে পাশ কাটিয়ে প্রেসিডেন্টের আরেক প্রতিপক্ষ রিপাবলিকান কংগ্রেস নেতার (জন বোয়েনার) সঙ্গে কাজ করার প্রবণতা দেখাচ্ছেন।
অন্যদিকে, নেতানিয়াহু মনে করছেন, ইরানের সঙ্গে ওবামা এমন কোনো চুক্তি করে বসবেন যা ইসরায়েলের জন্য ক্ষতিকর হবে। ওবামা ইসরায়েলের আগামী নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করবেন বলেও মনে করছেন তিনি। সংশয়-সন্দেহ দূর না করে উভয়পক্ষই বরং তাতে আরও রঙ চড়াচ্ছে। হোয়াইট হাউসকে না জানিয়ে নেতানিয়াহুর কংগ্রেসে ভাষণের দিন নির্ধারিত হওয়ার খবরে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ওবামার ঘনিষ্ঠজনরা। তারা বলছেন, ওয়াশিংটনে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত দেশের জন্য নয় বরং নেতানিয়াহুর জন্যই কাজ করছেন। ইসরায়েলি কোনো রাষ্ট্রদূত সম্পর্কে ওয়াশিংটনের এ ধরনের মন্তব্যও সচরাচর শোনা যায় না। অধিকৃত এলাকায় নতুন করে ৪৫০টি বসতি স্থাপনে মার্কিন আপত্তি গত শুক্রবার অগ্রাহ্য করে জেরুজালেম। নেতানিয়াহুর সরকার বরং দেশের মিডিয়ার কাছে গোপনে এমন তথ্য সরবরাহ করে যে, পরমাণু চুক্তি করতে গিয়ে ইরানের চাহিদার ৮০ শতাংই মেনে নিচ্ছেন ওবামা। বার-ইলান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসরায়েল-আমেরিকা সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ আইতান গিলবোয়া বলেন, অবশ্যই এখানে একটি সংকট রয়েছে। আগামী ১৭ মার্চে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে নেতানিয়াহু উতরে গেলে দুই নেতার সম্পর্ক আরও শীতল হবে। সেক্ষেত্রে ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এ পরিস্থিতির পরিবর্তনের সম্ভাবনা ক্ষীণ। যদি ইসরায়েল হিজবুল্লাহ বা ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে তাহলে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করবে।
No comments