ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য জলাভূমি by জিয়াউর রহমান লিটু
আজ আন্তর্জাতিক জলাভূমি দিবস। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জলাভূমির আয়তন হ্রাসের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ ও জলাভূমির জীববৈচিত্র্যের আবাসস্থান সংরক্ষণে জাতিসংঘের আয়োজনে ইরানের রামসার শহরে ১৯৭১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি একটি কনভেশন অনুষ্ঠিত হয়। পরে ১৯৯৭ সাল থেকে প্রতিবছর ২ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক জলাভূমি দিবস পালিত হয়ে আসছে সারাবিশ্বে। মূলত জলাভূমির গুরুত্ব এবং এর মূল্য সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করতে রামসার সচিবালয় থেকে প্রত্যেক বছর আলাদা প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয় প্রাসঙ্গিক বিষয়ের ওপর। এই বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে 'জলাভূমি আমাদের ভবিষ্যতের জন্য'।
মানব জীবনের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে জলাভূমির ওপর। জলাভূমি আমাদের বহুমাত্রিক সুবিধা প্রদান করে থাকে। আমাদের পানি পরিশোধন ও চাহিদা পূরণ, খাদ্য উৎপাদন, উপকূল রক্ষা করার জন্য প্রাকৃতিক ঢাল হিসেবে ও জলবায়ু পরিবর্তন ব্যবস্থাপনায় জলাভূমি কাজ করে থাকে। দুর্ভাগ্যবশত, জলাভূমির সুবিধাগুলো আমাদের ব্যাপকভাবে জানা না থাকায় ১৯০০ সাল থেকে বিশ্বে জলাভূমি ৬৪ ভাগ হ্রাস পেয়েছে।
আজকের তরুণ ভবিষ্যতের নেতা এবং আগামী দিনের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী। তাই তারা পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বিশ্ব জলাভূমি দিবস ২০১৫ তরুণ ও যুবকদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জলাভূমির অস্তিত্ব ও গুরুত্ব সম্পর্কে তাদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে যে জলাভূমি পৃথিবীর ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য।
জলাভূমি আমাদের সুপেয় পানি নিশ্চিত করে। বিশ্বে ৩ ভাগ সুপেয় পানি রয়েছে। এর মধ্যে ১ ভাগ পানি ব্যবহার উপযোগী, বাকি ২ ভাগ পানিই বরফ। তবুও প্রত্যেক মানুষের মৌলিকভাবে প্রতিদিন ২০-৫০ লিটার পানি প্রয়োজন খাওয়া, রান্নাবান্না ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য। জলাভূমি এসব পানি সরবরাহ করে থাকে। এছাড়াও জলাভূমি ভূগভস্থ পানি পরিশোধন ও রিচার্জ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
জলাভূমি থেকে সরাসরি মৎস্য, কৃষিকাজ, প্রাকৃতিক পানি সঞ্চালন, নৌ-যাতায়াত, বিনোদনের সুবিধা আমরা পাই। পরোক্ষভাবে জলাভূমি বন্যা নিয়ন্ত্রণ, বৃষ্টির পানি ধারণ, পানি-বাতাস ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ঘটায়। এগুলো সংরক্ষণের মাধ্যমে উলি্লখিত সুবিধাগুলো আগামী প্রজন্মের জন্য নিশ্চিত করতে পারি। দিন দিন জলাভূমি সংকোচনের ফলে বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা ও গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে বর্ষাকালে পানি ধারণ করার মতো পর্যাপ্ত জলাভূমি না থাকায় শহর এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। জলাভূমি কমে যাওয়ায় ভূগর্ভে পানি স্তর ক্রমেই নিচে চলে যাচ্ছে। যে কারণে সবার দৈনন্দিন পানির চাহিদা মেটানোর জন্য সংকট বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অপরিকল্পিত নগরায়ন, শিল্পায়ন ও আবাসনের কারণে একের পর এক দখল এবং ভরাট হয়ে গেছে ঢাকা মহানগরের জলাভূমিগুলো। ইতিমধ্যে ঢাকা মহানগরীর মোট জলাভূমির ৩৩ শতাংশ নগরায়নের জন্য নিঃশেষ হয়ে গেছে। সংবিধানের ১৮ক অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, রাষ্ট্র বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করিবেন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র্য, জলাভূমি, বন ও বন্যপ্রাণীর সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধান করিবেন। এছাড়া পরিবেশ সংরক্ষণ ও জলাধার সংরক্ষণ আইনেও সুস্পষ্টভাবে জলাভূমি সংরক্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু ঢাকা শহরে জলাভূমি হ্রাসের ক্ষেত্রে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোই বেশি দায়ী। যা আছে তা সংরক্ষণে মাঝে মধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হলেও এ ধারাবাহিকতা না থাকায় পরে আবার দখল হয়ে যায়। এজন্য জলাশয় রক্ষায় স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করা ছাড়াও বিদ্যমান আইন ও নীতিমালার কঠোর বাস্তবায়ন প্রয়োজন। সর্বোপরি রাজনৈতিক সদিচ্ছা সর্বাধিকভাবে জলাভূমি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
মানব জীবনের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে জলাভূমির ওপর। জলাভূমি আমাদের বহুমাত্রিক সুবিধা প্রদান করে থাকে। আমাদের পানি পরিশোধন ও চাহিদা পূরণ, খাদ্য উৎপাদন, উপকূল রক্ষা করার জন্য প্রাকৃতিক ঢাল হিসেবে ও জলবায়ু পরিবর্তন ব্যবস্থাপনায় জলাভূমি কাজ করে থাকে। দুর্ভাগ্যবশত, জলাভূমির সুবিধাগুলো আমাদের ব্যাপকভাবে জানা না থাকায় ১৯০০ সাল থেকে বিশ্বে জলাভূমি ৬৪ ভাগ হ্রাস পেয়েছে।
আজকের তরুণ ভবিষ্যতের নেতা এবং আগামী দিনের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী। তাই তারা পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বিশ্ব জলাভূমি দিবস ২০১৫ তরুণ ও যুবকদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জলাভূমির অস্তিত্ব ও গুরুত্ব সম্পর্কে তাদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে যে জলাভূমি পৃথিবীর ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য।
জলাভূমি আমাদের সুপেয় পানি নিশ্চিত করে। বিশ্বে ৩ ভাগ সুপেয় পানি রয়েছে। এর মধ্যে ১ ভাগ পানি ব্যবহার উপযোগী, বাকি ২ ভাগ পানিই বরফ। তবুও প্রত্যেক মানুষের মৌলিকভাবে প্রতিদিন ২০-৫০ লিটার পানি প্রয়োজন খাওয়া, রান্নাবান্না ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য। জলাভূমি এসব পানি সরবরাহ করে থাকে। এছাড়াও জলাভূমি ভূগভস্থ পানি পরিশোধন ও রিচার্জ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
জলাভূমি থেকে সরাসরি মৎস্য, কৃষিকাজ, প্রাকৃতিক পানি সঞ্চালন, নৌ-যাতায়াত, বিনোদনের সুবিধা আমরা পাই। পরোক্ষভাবে জলাভূমি বন্যা নিয়ন্ত্রণ, বৃষ্টির পানি ধারণ, পানি-বাতাস ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ঘটায়। এগুলো সংরক্ষণের মাধ্যমে উলি্লখিত সুবিধাগুলো আগামী প্রজন্মের জন্য নিশ্চিত করতে পারি। দিন দিন জলাভূমি সংকোচনের ফলে বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা ও গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে বর্ষাকালে পানি ধারণ করার মতো পর্যাপ্ত জলাভূমি না থাকায় শহর এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। জলাভূমি কমে যাওয়ায় ভূগর্ভে পানি স্তর ক্রমেই নিচে চলে যাচ্ছে। যে কারণে সবার দৈনন্দিন পানির চাহিদা মেটানোর জন্য সংকট বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অপরিকল্পিত নগরায়ন, শিল্পায়ন ও আবাসনের কারণে একের পর এক দখল এবং ভরাট হয়ে গেছে ঢাকা মহানগরের জলাভূমিগুলো। ইতিমধ্যে ঢাকা মহানগরীর মোট জলাভূমির ৩৩ শতাংশ নগরায়নের জন্য নিঃশেষ হয়ে গেছে। সংবিধানের ১৮ক অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, রাষ্ট্র বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করিবেন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র্য, জলাভূমি, বন ও বন্যপ্রাণীর সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধান করিবেন। এছাড়া পরিবেশ সংরক্ষণ ও জলাধার সংরক্ষণ আইনেও সুস্পষ্টভাবে জলাভূমি সংরক্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু ঢাকা শহরে জলাভূমি হ্রাসের ক্ষেত্রে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোই বেশি দায়ী। যা আছে তা সংরক্ষণে মাঝে মধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হলেও এ ধারাবাহিকতা না থাকায় পরে আবার দখল হয়ে যায়। এজন্য জলাশয় রক্ষায় স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করা ছাড়াও বিদ্যমান আইন ও নীতিমালার কঠোর বাস্তবায়ন প্রয়োজন। সর্বোপরি রাজনৈতিক সদিচ্ছা সর্বাধিকভাবে জলাভূমি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
No comments