কবির ও কুলসুমের পথে বসার উপক্রম by আরিফুল হক
চলমান
রাজনৈতিক সংকট আর অবরোধ-হরতাল বড় রকমের ধাক্কা দিয়েছে তরুণ
উদ্যোক্তাদের। ব্যবসায় ক্রমাগত লোকসানে তাঁদের অনেকেই এখন পথে বসার
জোগাড়। ৬ বিভাগের ১৫ তরুণ উদ্যোক্তা দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে
উদ্বেগ, হতাশা ও শঙ্কার কথা বলেছেন। প্রধান দুই রাজনৈতিক দলকে আলোচনায় বসে
সমস্যার সমাধানের অনুরোধ জানিয়েছেন প্রতিদিন যেভাবে লোকসান হচ্ছে, এ
লোকসান কাটিয়ে ওঠা মোটেই সম্ভব নয়। এভাবে আর কত দিন চলবে। এভাবে চলতে
থাকলে এই ব্যবসায় লোকসানের বোঝা শুধু বাড়তেই থাকবে। দেশে অনেক তরুণ
উদ্যোক্তা নিজ উদ্যোগে কাজ করছেন। এ অবস্থায় তাঁদের পথে বসার উপক্রম
হয়েছে। টানা অবরোধ-হরতালে আক্ষেপের সুরে এসব কথা বলেছেন রংপুর নগরের দুই
তরুণ উদ্যোক্তা শাহাজাহান কবির ও উম্মে কুলসুম।
বছর চারেক আগে নগরের বাহার কাছনায় ‘গোল্ডেন হ্যান্ডিক্রাফটস’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান খোলে ব্যবসা শুরু করেন শাহাজাহান কবির। পাটের তৈরি ব্যাগ, টেবিল ম্যাট, ওয়াল ম্যাট, সুতার তৈরি পাপোশ তৈরি হয় তাঁর প্রতিষ্ঠানে। তাঁর কারখানায় কাজ করেন ৩৫০ জন শ্রমিক। এসব হস্তশিল্প তৈরির জন্য সুতাসহ কাঁচামাল ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে আনতে হয়। টানা অবরোধে এসব মালামাল পরিবহন করা যাচ্ছে না। যেখানে প্রতিদিন তাঁর কারখানায় প্রায় দুই হাজার ম্যাটসহ অন্যান্য পণ্য উৎপাদিত হতো, সেখানে এখন কোনো রকমে কারখানা চালু রাখা হয়েছে। হংকংয়ে পাটের তৈরি ব্যাগ, টেবিল ম্যাট, ওয়াল ম্যাটের পাঁচ কোটি টাকার কার্যাদেশ পাওয়ার পরও অবরোধের কারণে তা বাতিল হয়ে গেছে।
দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শাহাজাহান বলেন, ‘এই একটানা অবরোধে আমার ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতি আর পুষিয়ে নেওয়া মোটেই সম্ভব নয়।’ তিনি প্রধান দুই দলকে উদ্দেশ করে বলেন, ব্যক্তিস্বার্থ ভুলে গিয়ে জনগণের স্বার্থে উভয় দলকে অবশ্যই বসতে হবে। নমনীয় হতে হবে। তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন করতে হবে। আন্দোলনের গতি-প্রকৃতিও পরিবর্তন করতে হবে। জ্বালাও-পোড়াও, পেট্রলবোমা এগুলো আন্দোলনের ভাষা হতে পারে না।
উম্মে কুলসুমের বাড়ি নগরের ধাপ এলাকায়। ‘সূচি শিল্প বুটিকস’ নামে প্রতিষ্ঠান দিয়ে ব্যবসা চালিয়ে আসছেন ১০ বছর ধরে। তাঁর নিজ বাড়ি ও বাসা ভাড়া নিয়ে হস্তশিল্পের এ কাজ করে আসছেন। শাড়ি, থ্রি-পিস, বিছানার চাদর, টেবিল কভার, পর্দায় নকশা, বাটিক ও ব্লক প্রিন্টের কাজ করা হয় তাঁর এই প্রতিষ্ঠানে। নিয়মিত ও অনিয়মিতভাবে ৫০ জন নারী কাজ করেন। এ ছাড়া প্রতি সপ্তাহে এসব কাজ শেখাতে ১০০ নারীকে প্রশিক্ষণও দিয়ে থাকেন। প্রতিষ্ঠানটি দাঁড় করাতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে তাঁকে। তিন-চার বছর ধরে তাঁর এ ব্যবসার একটা পরিচিতিও পেয়েছে। রংপুরসহ বিভিন্ন জেলায় থ্রি-পিসসহ অন্যান্য হস্তজাত শিল্প মানুষজন কিনে নিয়ে যায়। কিন্তু এবারের টানা অবরোধ ও হরতালে ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
কুলসুম বলেন, ‘খুবই খারাপ অবস্থা। এ কাজের সঙ্গে নারীদের প্রতিদিন পেমেন্ট করাও সম্ভব হচ্ছে না। মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। ঢাকা থেকে যে কাপড়সহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে আসব, তাও পারছি না।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখন রোজগারপাতি একেবারে জিরোতে নেমে এসেছে। অবরোধের এ কয়েক দিনে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে। এ লোকসান মানে লোকসানই। কেননা নভেম্বর মাস থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত এসব মালামালের সিজন থাকে।’ তিনি বলেন, ‘মানুষজন বাইরে বেড়াতে যেতে পারছে না। আমার এখানে বানানো থ্রি-পিস মহিলারা কিনে নিয়ে বাইরে বেড়াতে যান। এবার টানা অবরোধে তাই কোনো বিক্রি নেই। আবার অনেকেই আমার হস্তজাত পণ্য কিনে দেশের বাইরে আত্মীয়স্বজনের কাছে পাঠান। এসবও বন্ধ হয়ে গেছে।’
বছর চারেক আগে নগরের বাহার কাছনায় ‘গোল্ডেন হ্যান্ডিক্রাফটস’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান খোলে ব্যবসা শুরু করেন শাহাজাহান কবির। পাটের তৈরি ব্যাগ, টেবিল ম্যাট, ওয়াল ম্যাট, সুতার তৈরি পাপোশ তৈরি হয় তাঁর প্রতিষ্ঠানে। তাঁর কারখানায় কাজ করেন ৩৫০ জন শ্রমিক। এসব হস্তশিল্প তৈরির জন্য সুতাসহ কাঁচামাল ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে আনতে হয়। টানা অবরোধে এসব মালামাল পরিবহন করা যাচ্ছে না। যেখানে প্রতিদিন তাঁর কারখানায় প্রায় দুই হাজার ম্যাটসহ অন্যান্য পণ্য উৎপাদিত হতো, সেখানে এখন কোনো রকমে কারখানা চালু রাখা হয়েছে। হংকংয়ে পাটের তৈরি ব্যাগ, টেবিল ম্যাট, ওয়াল ম্যাটের পাঁচ কোটি টাকার কার্যাদেশ পাওয়ার পরও অবরোধের কারণে তা বাতিল হয়ে গেছে।
দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শাহাজাহান বলেন, ‘এই একটানা অবরোধে আমার ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতি আর পুষিয়ে নেওয়া মোটেই সম্ভব নয়।’ তিনি প্রধান দুই দলকে উদ্দেশ করে বলেন, ব্যক্তিস্বার্থ ভুলে গিয়ে জনগণের স্বার্থে উভয় দলকে অবশ্যই বসতে হবে। নমনীয় হতে হবে। তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন করতে হবে। আন্দোলনের গতি-প্রকৃতিও পরিবর্তন করতে হবে। জ্বালাও-পোড়াও, পেট্রলবোমা এগুলো আন্দোলনের ভাষা হতে পারে না।
উম্মে কুলসুমের বাড়ি নগরের ধাপ এলাকায়। ‘সূচি শিল্প বুটিকস’ নামে প্রতিষ্ঠান দিয়ে ব্যবসা চালিয়ে আসছেন ১০ বছর ধরে। তাঁর নিজ বাড়ি ও বাসা ভাড়া নিয়ে হস্তশিল্পের এ কাজ করে আসছেন। শাড়ি, থ্রি-পিস, বিছানার চাদর, টেবিল কভার, পর্দায় নকশা, বাটিক ও ব্লক প্রিন্টের কাজ করা হয় তাঁর এই প্রতিষ্ঠানে। নিয়মিত ও অনিয়মিতভাবে ৫০ জন নারী কাজ করেন। এ ছাড়া প্রতি সপ্তাহে এসব কাজ শেখাতে ১০০ নারীকে প্রশিক্ষণও দিয়ে থাকেন। প্রতিষ্ঠানটি দাঁড় করাতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে তাঁকে। তিন-চার বছর ধরে তাঁর এ ব্যবসার একটা পরিচিতিও পেয়েছে। রংপুরসহ বিভিন্ন জেলায় থ্রি-পিসসহ অন্যান্য হস্তজাত শিল্প মানুষজন কিনে নিয়ে যায়। কিন্তু এবারের টানা অবরোধ ও হরতালে ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
কুলসুম বলেন, ‘খুবই খারাপ অবস্থা। এ কাজের সঙ্গে নারীদের প্রতিদিন পেমেন্ট করাও সম্ভব হচ্ছে না। মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। ঢাকা থেকে যে কাপড়সহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে আসব, তাও পারছি না।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখন রোজগারপাতি একেবারে জিরোতে নেমে এসেছে। অবরোধের এ কয়েক দিনে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে। এ লোকসান মানে লোকসানই। কেননা নভেম্বর মাস থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত এসব মালামালের সিজন থাকে।’ তিনি বলেন, ‘মানুষজন বাইরে বেড়াতে যেতে পারছে না। আমার এখানে বানানো থ্রি-পিস মহিলারা কিনে নিয়ে বাইরে বেড়াতে যান। এবার টানা অবরোধে তাই কোনো বিক্রি নেই। আবার অনেকেই আমার হস্তজাত পণ্য কিনে দেশের বাইরে আত্মীয়স্বজনের কাছে পাঠান। এসবও বন্ধ হয়ে গেছে।’
No comments