পুলিশ দিয়ে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না -বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী
কৃষক
শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, কোন বিশৃঙ্খল
অস্ত্র দিয়ে কোন শুভ কাজ হয় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে
তিনি বলেন, জনগণ আপনার পাশে না থাকলে পুলিশ দিয়ে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না।
দেশের চলমান সঙ্কটে শান্তি ফিরিয়ে আনার দাবিতে মতিঝিলের দলীয় কার্যালয়ের
সামনে অবস্থানের ৫ম দিনে আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব
কথা বলেন। তিনি বলেন, আপনাকে নাকে খত দিতে বলি নি। আলোচনায় বসতে বলেছি।
দেশের প্রয়োজনে আপনাকে চাড়ালের সঙ্গেও বসতে হবে। এসএসসি পরীক্ষার সময়ে
হরতাল-অবরোধের সমালোচনা করে বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের সময় শেষ।
এখন যারা এসএসসি পরীক্ষা দেবে তারা দেশের ভবিষ্যৎ। দয়া করে দেশের ভবিষ্যৎ
নষ্ট করবেন না। টানা ৫ দিন অবস্থান করে কাদের সিদ্দিকী গতকাল প্রথমবারের
মতো আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। এ সময় তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
এখানে বসতে বাধা দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, আমাকে বসার জন্য
যেখানে জায়গা দেবে সেখানেই বসবো। দেশের শান্তি ফিরিয়ে আনার দাবিতে প্রয়োজনে
মেথরপট্টিতে গিয়েও বসতে রাজি আছি। বঙ্গবীর বলেন, আমার অন্তরের সামান্য
বেদনা দেশবাসীকে পৌঁছে দেয়ার জন্য এখানে সাংবাদিকদের আহ্বান করেছি। সংবাদ
সম্মেলনের শুরুতে তিনি দলীয় কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আমি গত
২৮ তারিখ থেকে এখানে অবস্থান করছি। কিন্তু ভাবতে পারি নাই দেশের প্রয়োজনে
ওরা এত কষ্ট শিকার করতে পারবে। বঙ্গবীর বলেন, আমার জীবন কখনও মসৃণ ছিল না,
এখনও নয়। আমার অনেক সাথী মন্ত্রী হয়েছেন, ভবিষ্যতেও মন্ত্রী হবেন। কিন্তু
আমি কখনও ফুল বিছানো মসৃণ পথে হাঁটি নি। মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে তিনি
বলেন, ২৫ বছর বয়সে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে লড়েছি, তখন আমার যা
সামর্থ্য ছিল আমি করতে পেরেছি। আল্লাহ আমার সে তৌফিক দিয়েছিলেন। তবে এখন
আমি আর অস্ত্র হাতে নিয়ে যুদ্ধে যাবো না। কোন বিশৃঙ্খল অস্ত্র কোন শুভ কাজ
করতে পারে না। আমি যখন মুক্তিযুদ্ধ করেছি তখন আমার যোদ্ধাদের হাজারো গুলি
থাকার পরও একটা পিঁপড়া মারারও ক্ষমতা ছিল না। তিনি বলেন, এখন অনেকে
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বলেন। মুক্তিযুদ্ধ কোন ছেলেখেলা ছিল না। যাত্রাগানের
আসর ছিল না। মুক্তিযুদ্ধ ছিল মানবতার, সততার, ত্যাগ-তিতিক্ষার। আজকে আরেকটি
যুদ্ধ হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ যুদ্ধ সততা-অসততার যুদ্ধ,
সত্য-মিথ্যার পার্থক্যের যুদ্ধ। পার্থক্য না বোঝার যুদ্ধ। আমি মনে করি এ
যুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণ অবশ্যই জয়ী হবে। কাদের সিদ্দিকী অবস্থানের উদ্দেশ্য
নিয়ে বলেন, বিবেকের তাড়না থেকে এখানে সমবেত হয়েছি। প্রধানমন্ত্রীকে
উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনাকে নাকে খত দিতে বলিনি, সঙ্কট সমাধানে আলোচনায়
বসুন। সব রাস্তা বন্ধ করবেন না, কেয়ামত পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন না। দেশের
মালিক জনগণ। তাই তাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার প্রতি সম্মান দেখান। প্রয়োজনে
চাড়ালের সঙ্গেও আলোচনায় বসবেন।
এ সময় তিনি আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সমালোচনা করেন তিনি। খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুকে আল্লাহর গজব অভিহিত করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের বক্তব্য প্রসঙ্গে কাদের সিদ্দিকী বলেন, আপনি ’৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানের নেতা। এমন কথা কেউ বলে? পাগলও বলে না। এসব বলে পার পাবেন না। কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরীর উদ্দেশে বঙ্গবীর বলেন, একসময় তিনি বঙ্গবন্ধুর চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাজাতেন। তার সঙ্গে আমি কথাও বলি না। কারণ হাসি মুখে তিনি কথা বলতে শেখেননি। তিনি আজকে আমার বোনের (প্রধানমন্ত্রীর) পাশের ছায়া।’ তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সমালোচনা করে বলেন, সারাজীবন তিনি আওয়ামী লীগের ধ্বংস চেয়েছেন। এখন তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের মুখপাত্র। বঙ্গবন্ধু মহান ছিলেন বলেই তিনি এখনও বেঁচে আছেন। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে কাদের সিদ্দিকী বলেন, তিনি মায়ের মতো মানুষ। কিন্তু তার পাশে শয়তানগুলো মনে হয় ভুলভাল বোঝাচ্ছে। আপনি বুকে হাত দিয়ে, আল্লাহকে হাজির-নাজির জেনে বলুন তো ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পেরেছে কিনা? ১৫৪ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আপনারা জিতেছেন। আপনি বৈধ হন আর অবৈধ হন, দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনেন। আলোচনায় বসুন। এদিকে খালেদা জিয়া ও বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, রাজনীতি একদিনের ব্যাপার না। অবরোধ তুলে নেন। বাচ্চাদের এসএসসি পরীক্ষা। তাদের পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ দেন। যত দিন সম্ভব হয় দুই নেত্রীকে আলোচনায় বসাতে মতিঝিলে অবস্থান করবেন বলে জানান কাদের সিদ্দিকী। তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী ছাড়া সবার জন্য আমার দরজা খোলা। জামায়াতে ইসলামীও যদি দলীয়ভাবে জনগণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে তাহলে তাদের জন্যও বিবেচনা করে দেখবো আমার দরজা খোলা যায় কিনা।
আল্লাহর দুনিয়াতে কে কখন রাজা আর কখন প্রজা বলা যায় না। তিন মাস আগেও আমার ভাই (লতিফ সিদ্দিকী) মন্ত্রী ছিলেন। এখন তিনি কারাগারে। আজকে যারা মন্ত্রী আছেন তাদেরও যে মন্ত্রিত্ব থাকবে সে কথা বলা যায় না। ‘আওয়ামী লীগের সবাইকে কেনা যায় একজনকে ছাড়া’ প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বঙ্গবীর বলেন, আপনি এখানে এসে দেখেন, মতিঝিলের একজন রিকশাওয়ালাকেও কিনতে পারবেন না। কোকোর মৃত্যুর খবরে প্রধানমন্ত্রীর সবেদনা জানাতে যাওয়ার পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে না দেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) অচেতন হতেই পারেন, এটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু যারা গেটে তালা লাগিয়ে দিয়েছিলেন কেউ কেউ বলেন তারা আওয়ামী লীগের এজেন্ট।
তার অবস্থানস্থল থেকে পুলিশ বাঁশ এবং কাঠ নিয়ে গেছে উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আমার বাসা থেকে যেসব জিনিসপত্র নিয়ে গেছিল তারও একটা সিজার লিস্ট দিয়েছিল। একমাত্র চোরেরাই কোন সিজার লিস্ট দেয় না। রাতে পুলিশও ওগুলো চুরি করে নিয়ে গেছে, কারণ তারাও সিজার লিস্ট দেয়নি। তিনি পুলিশ বাহিনীকে বেশি বাড়াবাড়ি না করারও পরামর্শ দেন। সংবাদ সম্মেলনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান খোকা বীর-প্রতীক, সহ-সাধারণ সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, কেন্দী্রয় নেতা ফরিদ আহমেদ, অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম, যুব আন্দোলনের আহ্বায়ক হাবিব-উন-নবী সোহেল, ঢাকা মহানগরী যুব আন্দোলনের সমন্বয়ক ফারুক আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় তিনি আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সমালোচনা করেন তিনি। খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুকে আল্লাহর গজব অভিহিত করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের বক্তব্য প্রসঙ্গে কাদের সিদ্দিকী বলেন, আপনি ’৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানের নেতা। এমন কথা কেউ বলে? পাগলও বলে না। এসব বলে পার পাবেন না। কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরীর উদ্দেশে বঙ্গবীর বলেন, একসময় তিনি বঙ্গবন্ধুর চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাজাতেন। তার সঙ্গে আমি কথাও বলি না। কারণ হাসি মুখে তিনি কথা বলতে শেখেননি। তিনি আজকে আমার বোনের (প্রধানমন্ত্রীর) পাশের ছায়া।’ তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সমালোচনা করে বলেন, সারাজীবন তিনি আওয়ামী লীগের ধ্বংস চেয়েছেন। এখন তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের মুখপাত্র। বঙ্গবন্ধু মহান ছিলেন বলেই তিনি এখনও বেঁচে আছেন। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে কাদের সিদ্দিকী বলেন, তিনি মায়ের মতো মানুষ। কিন্তু তার পাশে শয়তানগুলো মনে হয় ভুলভাল বোঝাচ্ছে। আপনি বুকে হাত দিয়ে, আল্লাহকে হাজির-নাজির জেনে বলুন তো ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পেরেছে কিনা? ১৫৪ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আপনারা জিতেছেন। আপনি বৈধ হন আর অবৈধ হন, দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনেন। আলোচনায় বসুন। এদিকে খালেদা জিয়া ও বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, রাজনীতি একদিনের ব্যাপার না। অবরোধ তুলে নেন। বাচ্চাদের এসএসসি পরীক্ষা। তাদের পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ দেন। যত দিন সম্ভব হয় দুই নেত্রীকে আলোচনায় বসাতে মতিঝিলে অবস্থান করবেন বলে জানান কাদের সিদ্দিকী। তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী ছাড়া সবার জন্য আমার দরজা খোলা। জামায়াতে ইসলামীও যদি দলীয়ভাবে জনগণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে তাহলে তাদের জন্যও বিবেচনা করে দেখবো আমার দরজা খোলা যায় কিনা।
আল্লাহর দুনিয়াতে কে কখন রাজা আর কখন প্রজা বলা যায় না। তিন মাস আগেও আমার ভাই (লতিফ সিদ্দিকী) মন্ত্রী ছিলেন। এখন তিনি কারাগারে। আজকে যারা মন্ত্রী আছেন তাদেরও যে মন্ত্রিত্ব থাকবে সে কথা বলা যায় না। ‘আওয়ামী লীগের সবাইকে কেনা যায় একজনকে ছাড়া’ প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বঙ্গবীর বলেন, আপনি এখানে এসে দেখেন, মতিঝিলের একজন রিকশাওয়ালাকেও কিনতে পারবেন না। কোকোর মৃত্যুর খবরে প্রধানমন্ত্রীর সবেদনা জানাতে যাওয়ার পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে না দেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) অচেতন হতেই পারেন, এটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু যারা গেটে তালা লাগিয়ে দিয়েছিলেন কেউ কেউ বলেন তারা আওয়ামী লীগের এজেন্ট।
তার অবস্থানস্থল থেকে পুলিশ বাঁশ এবং কাঠ নিয়ে গেছে উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আমার বাসা থেকে যেসব জিনিসপত্র নিয়ে গেছিল তারও একটা সিজার লিস্ট দিয়েছিল। একমাত্র চোরেরাই কোন সিজার লিস্ট দেয় না। রাতে পুলিশও ওগুলো চুরি করে নিয়ে গেছে, কারণ তারাও সিজার লিস্ট দেয়নি। তিনি পুলিশ বাহিনীকে বেশি বাড়াবাড়ি না করারও পরামর্শ দেন। সংবাদ সম্মেলনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান খোকা বীর-প্রতীক, সহ-সাধারণ সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, কেন্দী্রয় নেতা ফরিদ আহমেদ, অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম, যুব আন্দোলনের আহ্বায়ক হাবিব-উন-নবী সোহেল, ঢাকা মহানগরী যুব আন্দোলনের সমন্বয়ক ফারুক আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
No comments