আর কত সাত দিনে দেশ স্বাভাবিক হবে : এরশাদ
জাতীয়
পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশের চলমান
সংকটের জন্য প্রধান দুই দলকেই দায়ী করে বলেছেন, দেশের চলমান সমস্যার সমাধান
করতে না পারলে এই দুই দলই ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। সরকারকে
বলবো, এখনো সময় আছে মানুষকে নিরাপত্তা দিন আর বিএনপিকে বলব সহিংসতা বন্ধ
করুন। অন্যথায় কাউকে ইতিহাস ক্ষমা করবে না। তাদের অবস্থান হবে মিউজিয়ামে।
মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দেয়া সরকারের দায়িত্ব উল্লেখ করে এরশাদ বলেন, আপনারা বলেছিলেন, সাত দিনের মধ্যে দেশ স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কত সাত দিন গেল, কবে সেই সাত দিন শেষ হবে। আর কত সাত দিনে দেশ স্বাভাবিক হবে।
রোববার ডিপ্লেমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জাতীয় পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এমপির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এম এ হান্নান এমপি, সাইদুর রহমান টেপা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এস এম ফয়শল চিশতী, হাজী সাইফুদ্দিন আহম্মেদ মিলন, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব এ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভুঁইয়া, যুগ্ম-মহাসচিব জহিরুল ইসলাম জহির, অধ্যক্ষ ইকবাল হোসেন রাজু, নুরুল ইসলাম নুরু, দিদারুল আলম দিদার, ইসহাক ভূঁইয়া প্রমুখ বক্তৃতা করেনে।
বাংলাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে পালন করার প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, এর পেছনে সব কৃতিত্ব জাতীয় পার্টির। আমরাই আইন করে সর্বস্তরে বাংলা চালুর নির্দেশ আমি দিয়েছিলাম। আমি ক্ষমতায় থাকার সময় সর্বক্ষেত্রে রাষ্ট্র ভাষা বাংলার ব্যবহার নিশ্চিতে কাজ করেছি। বাংলাভাষার প্রচলন করেছি। এমনকি আইন অমান্য করায় ১৫ জন কর্মকর্তাকে শাস্তি দিয়েছিলাম। কারণ আমি বাংলাভাষাকে ভালোবাসি।
এরশাদ বলেন, জাতীয় পার্টির কর্মীরা বুক ফুলিয়ে বলবে, শহীদ মিনার আমরা করেছি। ২৮ বছর আগে শহীদ মিনার করে ২৬ বছর পর আমি শহীদ মিনারে গিয়েছি। দীর্ঘ ২৬ বছর পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পেরে তিনি আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেন, ২৬ বছর আমি শহীদ মিনারে যেতে পারিনি। ইতিহাস বড়ই নির্মম। কাউকে ক্ষমা করে না। যারা আমাকে এতোদিন এখানে যেতে দেয়নি তারাই আজ শহীদ মিনারে যেতে পারেনি। আমার সঙ্গে যা যা করছে এখন তাদের সঙ্গে তাই করা হচ্ছে। আল্লাহর মাইর। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, স্বাধীনতার ৪৩ বছর পরও আমরা মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাইছি। এর চেয়ে লজ্জার কী আছে। দেশ কি তাহলে অকার্যকর রাষ্ট্র হবে?
দেশে রাজনীতির নামে আগুনে পুড়ে মানুষ মারার মহোৎসব চলছে উল্লেখ করে এরশাদ বলেন, আজ আমরা নিশ্চিত নই বাড়ি থেকে বের হয়ে আবার ফিরে আসতে পারব কী না। নিশ্চিত নই সন্তান স্কুল থেকে বাড়ি ফিরবে কী-না। বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, মানুষ হত্যার রাজনীতি বন্ধ করুন। পেট্রোল বোমা মেরে জ্যান্ত মানুষকে আর হত্যা করবেন না। বর্তমানে দেশের সাধারণ মানুষ ঘরে থাকলে ক্ষুধার আগুন, আর বাইরে পেট্রোল বোমার আগুনে জ্বলছে। এরশাদ বলেন, দুই দলকে নয় জনগণ এখন জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। সে অনুযায়ী জাতীয় পার্টিকে আগের চেয়ে বেশি শক্তিশালী করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যে দিকে দৃষ্টি দেই সব দিকেই এখন জাতীয় পার্টির জয়জয়কার।
ডা. মিলন ও নূর হোসেন হত্যায় নিজের সম্পৃক্ততা নেই দাবি করে সাবেক এই সেনারাষ্ট্রপতি বলেন, নূর হোসেনকে পেছন থেকে গুলি করা হয়েছে। আমি জেল থেকে বের হয়ে তার (নূর হোসেন) বাবাকে খুঁজে বের করে মাসিক পাঁচ হাজার টাকার ভাতার ব্যবস্থা করি। যদি হত্যা করতাম তাহলে কি আমি খুঁজে গিয়ে টাকা দিতাম? মিলনকে কারা হত্যা করেছে তা আমরা জানি না। তিনি ডা. মিলন হত্যার বিচার দাবি করেন।
মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দেয়া সরকারের দায়িত্ব উল্লেখ করে এরশাদ বলেন, আপনারা বলেছিলেন, সাত দিনের মধ্যে দেশ স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কত সাত দিন গেল, কবে সেই সাত দিন শেষ হবে। আর কত সাত দিনে দেশ স্বাভাবিক হবে।
রোববার ডিপ্লেমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জাতীয় পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এমপির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এম এ হান্নান এমপি, সাইদুর রহমান টেপা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এস এম ফয়শল চিশতী, হাজী সাইফুদ্দিন আহম্মেদ মিলন, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব এ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভুঁইয়া, যুগ্ম-মহাসচিব জহিরুল ইসলাম জহির, অধ্যক্ষ ইকবাল হোসেন রাজু, নুরুল ইসলাম নুরু, দিদারুল আলম দিদার, ইসহাক ভূঁইয়া প্রমুখ বক্তৃতা করেনে।
বাংলাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে পালন করার প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, এর পেছনে সব কৃতিত্ব জাতীয় পার্টির। আমরাই আইন করে সর্বস্তরে বাংলা চালুর নির্দেশ আমি দিয়েছিলাম। আমি ক্ষমতায় থাকার সময় সর্বক্ষেত্রে রাষ্ট্র ভাষা বাংলার ব্যবহার নিশ্চিতে কাজ করেছি। বাংলাভাষার প্রচলন করেছি। এমনকি আইন অমান্য করায় ১৫ জন কর্মকর্তাকে শাস্তি দিয়েছিলাম। কারণ আমি বাংলাভাষাকে ভালোবাসি।
এরশাদ বলেন, জাতীয় পার্টির কর্মীরা বুক ফুলিয়ে বলবে, শহীদ মিনার আমরা করেছি। ২৮ বছর আগে শহীদ মিনার করে ২৬ বছর পর আমি শহীদ মিনারে গিয়েছি। দীর্ঘ ২৬ বছর পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পেরে তিনি আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেন, ২৬ বছর আমি শহীদ মিনারে যেতে পারিনি। ইতিহাস বড়ই নির্মম। কাউকে ক্ষমা করে না। যারা আমাকে এতোদিন এখানে যেতে দেয়নি তারাই আজ শহীদ মিনারে যেতে পারেনি। আমার সঙ্গে যা যা করছে এখন তাদের সঙ্গে তাই করা হচ্ছে। আল্লাহর মাইর। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, স্বাধীনতার ৪৩ বছর পরও আমরা মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাইছি। এর চেয়ে লজ্জার কী আছে। দেশ কি তাহলে অকার্যকর রাষ্ট্র হবে?
দেশে রাজনীতির নামে আগুনে পুড়ে মানুষ মারার মহোৎসব চলছে উল্লেখ করে এরশাদ বলেন, আজ আমরা নিশ্চিত নই বাড়ি থেকে বের হয়ে আবার ফিরে আসতে পারব কী না। নিশ্চিত নই সন্তান স্কুল থেকে বাড়ি ফিরবে কী-না। বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, মানুষ হত্যার রাজনীতি বন্ধ করুন। পেট্রোল বোমা মেরে জ্যান্ত মানুষকে আর হত্যা করবেন না। বর্তমানে দেশের সাধারণ মানুষ ঘরে থাকলে ক্ষুধার আগুন, আর বাইরে পেট্রোল বোমার আগুনে জ্বলছে। এরশাদ বলেন, দুই দলকে নয় জনগণ এখন জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। সে অনুযায়ী জাতীয় পার্টিকে আগের চেয়ে বেশি শক্তিশালী করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যে দিকে দৃষ্টি দেই সব দিকেই এখন জাতীয় পার্টির জয়জয়কার।
ডা. মিলন ও নূর হোসেন হত্যায় নিজের সম্পৃক্ততা নেই দাবি করে সাবেক এই সেনারাষ্ট্রপতি বলেন, নূর হোসেনকে পেছন থেকে গুলি করা হয়েছে। আমি জেল থেকে বের হয়ে তার (নূর হোসেন) বাবাকে খুঁজে বের করে মাসিক পাঁচ হাজার টাকার ভাতার ব্যবস্থা করি। যদি হত্যা করতাম তাহলে কি আমি খুঁজে গিয়ে টাকা দিতাম? মিলনকে কারা হত্যা করেছে তা আমরা জানি না। তিনি ডা. মিলন হত্যার বিচার দাবি করেন।
No comments