নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়াল -এই রাজনীতি থামাও
‘হামরা গরিব মানুষ। দিন আনি দিন খাই। আজনীতি (রাজনীতি) করি না। ওগলা বুঝবারও চাও না। হামরা ক্যানে মরিম। এই আজনীতি থামাও।’
আহাজারি আর আকুতি নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন সামিউল ইসলাম। তাঁর ভাই সৈয়দ আলী ৬ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বাসে পেট্রলবোমা হামলায় দগ্ধ হয়ে মারা যান। তিনি দিনমজুরি করতেন। গ্রামে কাজ না থাকলে ঢাকায় আসতেন। সেদিনও ঢাকায় আসছিলেন। কিন্তু পথেই সব শেষ।
শুধু কি দিনমজুর সৈয়দ আলী! দুই বছরের শিশু থেকে শুরু করে ৬০ বছরের বৃদ্ধা, ১৪ বছরের কিশোর থেকে শুরু করে ৩২ বছরের যুবক কেউ-ই যেন এখন নিরাপদ নন। এমন ১০১ জন গত ৪৮ দিনে সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে। গতকাল বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ক্রসফায়ারে দুজন নিহত হওয়ায় মোট মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়াল।
৫ জানুয়ারির ‘একতরফা’ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে গত ৬ জানুয়ারি থেকে চলছে বিএনপি-জামায়াত জোটের অবরোধ-হরতাল কর্মসূচি। সহিংসতার শুরু এর দুই দিন আগে থেকেই। গতকাল ছিল অবরোধ কর্মসূচির ৪৮তম দিন। এবারের কর্মসূচিতে রাজপথে নেতা-কর্মীদের দেখা না গেলেও প্রায়ই সাধারণ মানুষের ওপর হামলা হচ্ছে।
এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি আতঙ্কের নাম নাশকতা। ভয়ংকর পেট্রলবোমা হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন ৫৬ জন। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে ক্রসফায়ারের ঘটনাও বেড়েছে। গতকালও বরিশালে ক্রসফায়ারে নিহত হন দুজন। এই সময়ে এ নিয়ে ৩০ জন ক্রসফায়ারে নিহত হলো।
এঁদের মধ্যে সাতজন জামায়াত-শিবির আর ছয়জন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। বাকি ১৭ জনের রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি। ১৫ জন নিহত হয়েছেন সংঘর্ষ ও অন্যান্য ঘটনায়। এ ছাড়া আহত হয়েছেন সহস্রাধিক। আগুন দেওয়া হয়েছে ৫৯৪টি যানবাহনে এবং ভাঙচুর করা হয়েছে ৫৭৯টি। গতকালও দেশের কয়েকটি স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।
অবরোধ চলাকালে প্রথম নির্মম ঘটনার সূত্রপাত হয় রংপুরের মিঠাপুকুরে। গত ১৩ জানুয়ারি ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের মিঠাপুকুরে একটি বাসে আগুন দিলে ঘটনাস্থলেই পাঁচজন পুড়ে মারা যান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যান আরও দুজন। একইভাবে ৩ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা ছুড়লে আটজন মারা যান। একইভাবে ৬ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে একটি বাসে পেট্রলবোমা হামলায় দগ্ধ হয়ে মারা যান আটজন।
কুমিল্লায় বাসের আগুনে নিহত হন ঢাকার কাপ্তান বাজারের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ওয়াসিম। তাঁর স্ত্রী কোহিনুর আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার স্বামীর তো কোনো দোষ ছিল না। কেন তাঁকে এভাবে মরতে হলো। আমার সন্তানেরা এখন কাকে বাবা বলে ডাকবে? কীভাবে আমাদের দিন কাটবে? কেউ কি আমাদের এসব প্রশ্নের জবাব দেবে? কে থামাবে এই রাজনীতি?’
৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে পেট্রলবোমায় দগ্ধ হয়ে মারা যান ট্রাকচালক নূর হোসেন। পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় তাঁর বাড়ি। তাঁর স্ত্রী মেরিনা আখতার (২৭) অন্তঃসত্ত্বা। নিহত নূর হোসেনের চাচাতো ভাই বাবুল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুই দলের গদির লোভে আমার ভাই নূর হোসেনকে প্রাণ দিতে হলো। নেতাগো কাছে অনুরোধ, আমাগো বাঁচান।’
অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা গেছেন ১১ জন। আর এ সময় সারা দেশে পেট্রলবোমা হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন ৫৬ জন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন অন্তত ৫০ জন। তাঁদের স্বজনেরাও সহিংস এই রাজনীতি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। এঁদের একজন ট্রাকচালক টিটন মিয়া। ২৩ জানুয়ারি বগুড়া থেকে নড়াইল যাওয়ার পথে পেট্রলবোমায় দগ্ধ হয়ে আহত অবস্থায় দিন কাটছে তাঁর। হাতের ঘা আর পায়ের ক্ষত নিয়ে কাতরাচ্ছেন তিনি। গতকাল প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘অবরোধ-হরতালে যারা মানুষ মারে, তারা লোভী। ক্ষমতার জন্য তারা সাধারণ মানুষ মারছে। ওরা এই দেশটারে আফগানিস্তান বানাইতে চায়। জনগণের জন্য যাদের ভালোবাসা নেই, তারা আবার কিসের রাজনীতি করে।’
চলমান অবরোধ-হরতালে আগুনে পুড়ে যে ৫৬ জন মারা গেছেন, তাঁরা সবাই সাধারণ মানুষ। এঁদের মধ্যে নয়টি শিশু ও সাতজন নারী। নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই গাড়িচালক ও শ্রমজীবী মানুষ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চলন্ত অবস্থায় বাসে বা ট্রাকে পেট্রলবোমা বা ককটেল হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর আগে ২০১৩ সালের রাজনৈতিক সহিংসতায় প্রাণ হারান ৫০৭ জন। এর মধ্যে ১৯৬ জন সাধারণ মানুষ। ওই বছর ২২ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে মারা যান।
শুধু যে সাধারণ মানুষ মারা যাচ্ছে তা-ই নয়, অবরোধের মধ্যে ক্রসফায়ারের ঘটনাও বেড়েছে। গত ৪৮ দিনে অন্তত ৩০টি ক্রসফায়ারের ঘটনা ঘটেছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন মাদ্রাসাছাত্র, বিএনপি-ছাত্রদল-যুবদল ও জামায়াত-শিবিরের নেতা। ক্রসফায়ারের প্রতিটি গল্প একই ধরনের। বাড়ি থেকে তুলে নিয়েও অনেককে হত্যা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারগুলো।
১০১ জনের এই মৃত্যু এবং দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, মানুষের সবচেয়ে বড় অধিকার বেঁচে থাকার অধিকার। কিন্তু সেটাই তো এখন আর থাকছে না। এভাবে ১০১ জন মানুষের মরে যাওয়া একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। সবচেয়ে কষ্টের বিষয়, এই সহিংসতার বিরুদ্ধে সবার যেভাবে সোচ্চার হওয়ার কথা, সেটা হচ্ছে না।
আহাজারি আর আকুতি নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন সামিউল ইসলাম। তাঁর ভাই সৈয়দ আলী ৬ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বাসে পেট্রলবোমা হামলায় দগ্ধ হয়ে মারা যান। তিনি দিনমজুরি করতেন। গ্রামে কাজ না থাকলে ঢাকায় আসতেন। সেদিনও ঢাকায় আসছিলেন। কিন্তু পথেই সব শেষ।
শুধু কি দিনমজুর সৈয়দ আলী! দুই বছরের শিশু থেকে শুরু করে ৬০ বছরের বৃদ্ধা, ১৪ বছরের কিশোর থেকে শুরু করে ৩২ বছরের যুবক কেউ-ই যেন এখন নিরাপদ নন। এমন ১০১ জন গত ৪৮ দিনে সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে। গতকাল বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ক্রসফায়ারে দুজন নিহত হওয়ায় মোট মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়াল।
৫ জানুয়ারির ‘একতরফা’ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে গত ৬ জানুয়ারি থেকে চলছে বিএনপি-জামায়াত জোটের অবরোধ-হরতাল কর্মসূচি। সহিংসতার শুরু এর দুই দিন আগে থেকেই। গতকাল ছিল অবরোধ কর্মসূচির ৪৮তম দিন। এবারের কর্মসূচিতে রাজপথে নেতা-কর্মীদের দেখা না গেলেও প্রায়ই সাধারণ মানুষের ওপর হামলা হচ্ছে।
এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি আতঙ্কের নাম নাশকতা। ভয়ংকর পেট্রলবোমা হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন ৫৬ জন। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে ক্রসফায়ারের ঘটনাও বেড়েছে। গতকালও বরিশালে ক্রসফায়ারে নিহত হন দুজন। এই সময়ে এ নিয়ে ৩০ জন ক্রসফায়ারে নিহত হলো।
এঁদের মধ্যে সাতজন জামায়াত-শিবির আর ছয়জন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। বাকি ১৭ জনের রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি। ১৫ জন নিহত হয়েছেন সংঘর্ষ ও অন্যান্য ঘটনায়। এ ছাড়া আহত হয়েছেন সহস্রাধিক। আগুন দেওয়া হয়েছে ৫৯৪টি যানবাহনে এবং ভাঙচুর করা হয়েছে ৫৭৯টি। গতকালও দেশের কয়েকটি স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।
অবরোধ চলাকালে প্রথম নির্মম ঘটনার সূত্রপাত হয় রংপুরের মিঠাপুকুরে। গত ১৩ জানুয়ারি ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের মিঠাপুকুরে একটি বাসে আগুন দিলে ঘটনাস্থলেই পাঁচজন পুড়ে মারা যান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যান আরও দুজন। একইভাবে ৩ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা ছুড়লে আটজন মারা যান। একইভাবে ৬ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে একটি বাসে পেট্রলবোমা হামলায় দগ্ধ হয়ে মারা যান আটজন।
কুমিল্লায় বাসের আগুনে নিহত হন ঢাকার কাপ্তান বাজারের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ওয়াসিম। তাঁর স্ত্রী কোহিনুর আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার স্বামীর তো কোনো দোষ ছিল না। কেন তাঁকে এভাবে মরতে হলো। আমার সন্তানেরা এখন কাকে বাবা বলে ডাকবে? কীভাবে আমাদের দিন কাটবে? কেউ কি আমাদের এসব প্রশ্নের জবাব দেবে? কে থামাবে এই রাজনীতি?’
৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে পেট্রলবোমায় দগ্ধ হয়ে মারা যান ট্রাকচালক নূর হোসেন। পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় তাঁর বাড়ি। তাঁর স্ত্রী মেরিনা আখতার (২৭) অন্তঃসত্ত্বা। নিহত নূর হোসেনের চাচাতো ভাই বাবুল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুই দলের গদির লোভে আমার ভাই নূর হোসেনকে প্রাণ দিতে হলো। নেতাগো কাছে অনুরোধ, আমাগো বাঁচান।’
অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা গেছেন ১১ জন। আর এ সময় সারা দেশে পেট্রলবোমা হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন ৫৬ জন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন অন্তত ৫০ জন। তাঁদের স্বজনেরাও সহিংস এই রাজনীতি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। এঁদের একজন ট্রাকচালক টিটন মিয়া। ২৩ জানুয়ারি বগুড়া থেকে নড়াইল যাওয়ার পথে পেট্রলবোমায় দগ্ধ হয়ে আহত অবস্থায় দিন কাটছে তাঁর। হাতের ঘা আর পায়ের ক্ষত নিয়ে কাতরাচ্ছেন তিনি। গতকাল প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘অবরোধ-হরতালে যারা মানুষ মারে, তারা লোভী। ক্ষমতার জন্য তারা সাধারণ মানুষ মারছে। ওরা এই দেশটারে আফগানিস্তান বানাইতে চায়। জনগণের জন্য যাদের ভালোবাসা নেই, তারা আবার কিসের রাজনীতি করে।’
চলমান অবরোধ-হরতালে আগুনে পুড়ে যে ৫৬ জন মারা গেছেন, তাঁরা সবাই সাধারণ মানুষ। এঁদের মধ্যে নয়টি শিশু ও সাতজন নারী। নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই গাড়িচালক ও শ্রমজীবী মানুষ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চলন্ত অবস্থায় বাসে বা ট্রাকে পেট্রলবোমা বা ককটেল হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর আগে ২০১৩ সালের রাজনৈতিক সহিংসতায় প্রাণ হারান ৫০৭ জন। এর মধ্যে ১৯৬ জন সাধারণ মানুষ। ওই বছর ২২ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে মারা যান।
শুধু যে সাধারণ মানুষ মারা যাচ্ছে তা-ই নয়, অবরোধের মধ্যে ক্রসফায়ারের ঘটনাও বেড়েছে। গত ৪৮ দিনে অন্তত ৩০টি ক্রসফায়ারের ঘটনা ঘটেছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন মাদ্রাসাছাত্র, বিএনপি-ছাত্রদল-যুবদল ও জামায়াত-শিবিরের নেতা। ক্রসফায়ারের প্রতিটি গল্প একই ধরনের। বাড়ি থেকে তুলে নিয়েও অনেককে হত্যা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারগুলো।
১০১ জনের এই মৃত্যু এবং দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, মানুষের সবচেয়ে বড় অধিকার বেঁচে থাকার অধিকার। কিন্তু সেটাই তো এখন আর থাকছে না। এভাবে ১০১ জন মানুষের মরে যাওয়া একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। সবচেয়ে কষ্টের বিষয়, এই সহিংসতার বিরুদ্ধে সবার যেভাবে সোচ্চার হওয়ার কথা, সেটা হচ্ছে না।
No comments