এখনই কাঁচা আম বাজারে by গিয়াস উদ্দিন
(টেকনাফের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা আম। ছবিটি গত বৃহস্পতিবার দুপুরে টেকনাফ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তোলা l প্রথম আলো ) ফাল্গুনের সবে শুরু। বৈশাখের ঢের দেরি। এখনই টেকনাফের বিভিন্ন বাজারে চলে এসেছে কাঁচা আম। তবে আগাম ফল হিসেবে দাম চড়া।
১৯ ফেব্রুয়ারি সরেজমিনে বাসস্ট্যান্ড, বড়বাজার ও থানা মোড় এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তার পাশে ফুটপাতে বসে বিভিন্ন ধরনের ফল বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। তার মধ্যে ক্রেতাদের নজর কাড়ছে কাঁচা আম। চড়া দামে বিক্রি হওয়ায় অনেকে এক-দুটি করে কিনছেন। আবার অনেকে দাম শুনে ফিরে যাচ্ছেন।
টেকনাফ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কথা হয় সদর ইউনিয়নের মিঠাপানিরছড়া গ্রামের আমবাগানের মালিক মো. ইছাহাকের সঙ্গে। তিনি জানান, তাঁর বাগানের গাছে আগাম আমের ভালো ফলন হয়েছে। সেখান থেকে তিনি দুটি বড় ঝুড়িতে করে ১ হাজার ৫৩২টি আম (৩৮৩ কেজি) টেকনাফ বাজারের নিয়ে এসেছেন। স্থানীয় ফল ব্যবসায়ী ফরিদুল আলম আমগুলো প্রতি কেজি ২০০ টাকা দরে কিনে নেন। প্রতিটি আমের ওজন ২৫০ গ্রাম।
ব্যবসায়ী ফরিদুল আলম জানান, প্রতিবছর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে তিনি আগাম ফল কিনে এনে বাজারে বিক্রি করেন। কেনা আমগুলো আকারের বড় হওয়ায় এখন প্রতি কেজি আম ৩০০ টাকায় বিক্রি করছেন। মৌসুমের প্রথম ফল বাজারে আসায় ক্রেতাদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
ফরিদুল আলম আরও জানান, টানা অবরোধ ও হরতাল না থাকলে আমগুলো ঢাকা ও চট্টগ্রাম নিয়ে বিক্রি করতে পারলে প্রতি কেজিতে দ্বিগুণ লাভ হতো।
ফল ক্রেতা আবদুুল গনি বলেন, ‘ফাল্গুন মাসে সাধারণত আম বাজারের আসার কথা নয়। আমার ও আশপাশের বাড়িতে এখনো গাছে মুকুল দেখা যাচ্ছে। তাই আগাম ফল হিসেবে দাম বেশি হলেও দুই কেজি আম কিনেছি।’
আম চাষ প্রসঙ্গে বাগানমালিক মো. ইছাহাক বলেন, ‘প্রায় ১৫ বছর আগে মিয়ানমারের মংডু শহরের সিকদারপাড়া এলাকায় মামার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেখানকার পাহাড়ের পাদদেশে আমের বাগান দেখে আমিও পাকা আম নিয়ে আসি এবং সেখানকার বাগানমালিকদের সঙ্গে ফলন সম্পর্কে কথা বলি। তাঁরা আমাকে কিছু পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী প্রায় দেড় শতাধিক চারা রোপণ করি। এরপর উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে প্রতিনিয়ত চারা পরিচর্যা করে পাঁচ-ছয় বছরের মধ্যে অধিকাংশ গাছে আমের ফলন আসছে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল লতিফ বলেন, ‘পৌষ মাসের প্রথম দিকে উপজেলার অধিকাংশ আমগাছে মুকুল এসেছে। সাধারণত চৈত্র মাসের শেষের দিকে আম বাজারে আসার কথা থাকলেও অসময়ে বাজারে কাঁচা আম আসার খবরটি অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। আমি নিজেও এক কেজি কাঁচা আম কিনেছি। আগাম বলে ক্রেতাদের মধ্যে চাহিদাও রয়েছে প্রচুর।’
১৯ ফেব্রুয়ারি সরেজমিনে বাসস্ট্যান্ড, বড়বাজার ও থানা মোড় এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তার পাশে ফুটপাতে বসে বিভিন্ন ধরনের ফল বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। তার মধ্যে ক্রেতাদের নজর কাড়ছে কাঁচা আম। চড়া দামে বিক্রি হওয়ায় অনেকে এক-দুটি করে কিনছেন। আবার অনেকে দাম শুনে ফিরে যাচ্ছেন।
টেকনাফ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কথা হয় সদর ইউনিয়নের মিঠাপানিরছড়া গ্রামের আমবাগানের মালিক মো. ইছাহাকের সঙ্গে। তিনি জানান, তাঁর বাগানের গাছে আগাম আমের ভালো ফলন হয়েছে। সেখান থেকে তিনি দুটি বড় ঝুড়িতে করে ১ হাজার ৫৩২টি আম (৩৮৩ কেজি) টেকনাফ বাজারের নিয়ে এসেছেন। স্থানীয় ফল ব্যবসায়ী ফরিদুল আলম আমগুলো প্রতি কেজি ২০০ টাকা দরে কিনে নেন। প্রতিটি আমের ওজন ২৫০ গ্রাম।
ব্যবসায়ী ফরিদুল আলম জানান, প্রতিবছর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে তিনি আগাম ফল কিনে এনে বাজারে বিক্রি করেন। কেনা আমগুলো আকারের বড় হওয়ায় এখন প্রতি কেজি আম ৩০০ টাকায় বিক্রি করছেন। মৌসুমের প্রথম ফল বাজারে আসায় ক্রেতাদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
ফরিদুল আলম আরও জানান, টানা অবরোধ ও হরতাল না থাকলে আমগুলো ঢাকা ও চট্টগ্রাম নিয়ে বিক্রি করতে পারলে প্রতি কেজিতে দ্বিগুণ লাভ হতো।
ফল ক্রেতা আবদুুল গনি বলেন, ‘ফাল্গুন মাসে সাধারণত আম বাজারের আসার কথা নয়। আমার ও আশপাশের বাড়িতে এখনো গাছে মুকুল দেখা যাচ্ছে। তাই আগাম ফল হিসেবে দাম বেশি হলেও দুই কেজি আম কিনেছি।’
আম চাষ প্রসঙ্গে বাগানমালিক মো. ইছাহাক বলেন, ‘প্রায় ১৫ বছর আগে মিয়ানমারের মংডু শহরের সিকদারপাড়া এলাকায় মামার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেখানকার পাহাড়ের পাদদেশে আমের বাগান দেখে আমিও পাকা আম নিয়ে আসি এবং সেখানকার বাগানমালিকদের সঙ্গে ফলন সম্পর্কে কথা বলি। তাঁরা আমাকে কিছু পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী প্রায় দেড় শতাধিক চারা রোপণ করি। এরপর উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে প্রতিনিয়ত চারা পরিচর্যা করে পাঁচ-ছয় বছরের মধ্যে অধিকাংশ গাছে আমের ফলন আসছে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল লতিফ বলেন, ‘পৌষ মাসের প্রথম দিকে উপজেলার অধিকাংশ আমগাছে মুকুল এসেছে। সাধারণত চৈত্র মাসের শেষের দিকে আম বাজারে আসার কথা থাকলেও অসময়ে বাজারে কাঁচা আম আসার খবরটি অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। আমি নিজেও এক কেজি কাঁচা আম কিনেছি। আগাম বলে ক্রেতাদের মধ্যে চাহিদাও রয়েছে প্রচুর।’
No comments