ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট আছে, কেউ আসবে না -প্রধানমন্ত্রী
(আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্যে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় দলীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। রোববার বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ছবি: ফোকাস বাংলা) সংবিধান
লঙ্ঘন করে ক্ষমতায় এলে সংবিধান অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তির (ক্যাপিটাল
পানিশমেন্ট) ব্যবস্থা রয়েছে। তাই কেউ এভাবে ‘আগুনে পা দিতে আসবে না’ বলে
মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর
খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন
প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেছেন, খালেদা জিয়া মনে করছেন, ‘উত্তরপাড়া’ থেকে এসে তাঁকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবেন। তিনি যাঁদের নিয়ে ভাবেন, তারাও জানে এভাবে ক্ষমতায় এলে কী পরিণতি হয়। সংবিধান লঙ্ঘন করে কেউ ক্ষমতায় এলে সংবিধান অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তির (ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট) ব্যবস্থা রয়েছে। এভাবে কেউ আগুনে পা দিতে আসবে না।
প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সংকট সমাধানে সংলাপ ও সমঝোতার লক্ষ্যে নাগরিক সমাজের উদ্যোগের সমালোচনা করে বলেন, ‘সুশীল সমাজের ১৩ জনের একটি তালিকা দেখলাম। জানি না, এই সুশীলের সংজ্ঞা কী। আমরা আগেরবার (৯৬ সালে) যখন ক্ষমতায় ছিলাম, তখন এঁদের কেউ কেউ সচিব ছিলেন। অনেকে পদ-পদবির জন্য, পদোন্নতির জন্য তদবিরও করেছেন। কিছুদিনের জন্য হলেও কেবিনেট সেক্রেটারি হতে চেয়েছেন। সরকারি চাকরি শেষ হলেই তাঁরা সুশীল হয়ে যান। তাঁদের কাছ থেকে এখন আমাদের ছবক নিতে হবে। তবে মানুষ সচেতন। কেউ তাদের বিভ্রান্ত করতে পারবে না।’ তিনি বলেন, ‘সুদখোর, ঘুষখোর ও চাটুকারদের দিয়ে এ দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না। একমাত্র আওয়ামী লীগই পারে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে। কারণ, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে। তাই আমরা করি মনের টানে।’
বিএনপি নেত্রী বিদেশি প্রভুর দিকে তাকিয়ে আছেন
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি নেত্রী নিজের দেশের জনগণের পরিবর্তে বিদেশি প্রভুদের দিকে তাকিয়ে আছেন। যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি তাঁর এত আশা, সেই দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীও তাঁকে নাশকতা-সহিংসতা ও মানুষ হত্যা বন্ধ করতে বলেছেন। যে প্রভুদের দিকে উনি তাকিয়ে আছেন, তারা মুক্তিযুদ্ধেরও বিরোধিতা করেছিল। কিন্তু আমরা যুদ্ধ করেই দেশকে স্বাধীন করেছি। পদ্মা সেতু নির্মাণের সময়ও অনেকে বাধা দিয়েছিল। এখন নিজস্ব অর্থায়নে সেতুটি নির্মাণ করে যাচ্ছি।’
গাড়িতে পতাকা ওড়ানোর আশা পূরণ হবে না
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি নেত্রী আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। একই সঙ্গে অবরোধ ও হরতাল। অবরোধ দিয়ে তিনি নিজেই অবরুদ্ধ হয়ে আছেন। ওনার আশা ছিল তাঁকে কেউ এসে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। সুশীল বাবুদের কেউ কেউ উনাকে দেখতে গেছেন। আমার চাচাও (ড. কামাল হোসেন) গেলেন। ভেবেছিলাম কামাল হোসেন যেহেতু হরতাল-অবরোধের বিরুদ্ধে বলেন, খালেদা জিয়াকে তা বন্ধ করতে বলবেন। তাঁরা এত ন্যায়নীতির কথা বলেন, ছেলেমেয়েরা যে পরীক্ষা দিতে পারছে না, একটিবারও সে কথাটি বললেন না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হয়তো তাঁরা মনে করছেন, এভাবে খালেদা জিয়া ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালিয়ে গেলে দেশে কিছু একটা ঘটবে। অনেকের গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়তে পারে। কিন্তু তাদের সেই আশা কোনো দিন পূরণ হবে না।’
জনগণ হত্যা করে আন্দোলন দেখিনি
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা নেই। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনী যেভাবে গণহত্যা চালিয়েছে, খালেদা জিয়া একইভাবে পেট্রলবোমা মেরে গণহত্যা চালাচ্ছে। মানুষ মারা, গাছ কাটা, রাস্তা কাটা এমন কী গরুর ট্রাকেও আগুন দিয়েছে। জনগণকে হত্যা করে আন্দোলন, এমনটা কখনো দেখিনি।’ তিনি বলেন, ‘ছেলেমেয়েদের দেড়টা মাস নষ্ট হয়ে গেল। ওনার সেদিকে চিন্তা নেই। অথচ ওনার নাতনিদের বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন পড়াশোনার জন্য।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়া ভেবেছিলেন ভারতে মোদি সরকার ক্ষমতায় এসেছে। এবার একটা কিছু হবে। কিন্তু বিজেপি সভাপতির ফোন নিয়ে ধরা পড়ে গেলেন।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, মতিয়া চৌধুরী, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কথাসাহিত্যিক রাহাত খান, এম এ আজিজ, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
শেখ হাসিনা বলেছেন, খালেদা জিয়া মনে করছেন, ‘উত্তরপাড়া’ থেকে এসে তাঁকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবেন। তিনি যাঁদের নিয়ে ভাবেন, তারাও জানে এভাবে ক্ষমতায় এলে কী পরিণতি হয়। সংবিধান লঙ্ঘন করে কেউ ক্ষমতায় এলে সংবিধান অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তির (ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট) ব্যবস্থা রয়েছে। এভাবে কেউ আগুনে পা দিতে আসবে না।
প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সংকট সমাধানে সংলাপ ও সমঝোতার লক্ষ্যে নাগরিক সমাজের উদ্যোগের সমালোচনা করে বলেন, ‘সুশীল সমাজের ১৩ জনের একটি তালিকা দেখলাম। জানি না, এই সুশীলের সংজ্ঞা কী। আমরা আগেরবার (৯৬ সালে) যখন ক্ষমতায় ছিলাম, তখন এঁদের কেউ কেউ সচিব ছিলেন। অনেকে পদ-পদবির জন্য, পদোন্নতির জন্য তদবিরও করেছেন। কিছুদিনের জন্য হলেও কেবিনেট সেক্রেটারি হতে চেয়েছেন। সরকারি চাকরি শেষ হলেই তাঁরা সুশীল হয়ে যান। তাঁদের কাছ থেকে এখন আমাদের ছবক নিতে হবে। তবে মানুষ সচেতন। কেউ তাদের বিভ্রান্ত করতে পারবে না।’ তিনি বলেন, ‘সুদখোর, ঘুষখোর ও চাটুকারদের দিয়ে এ দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না। একমাত্র আওয়ামী লীগই পারে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে। কারণ, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে। তাই আমরা করি মনের টানে।’
বিএনপি নেত্রী বিদেশি প্রভুর দিকে তাকিয়ে আছেন
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি নেত্রী নিজের দেশের জনগণের পরিবর্তে বিদেশি প্রভুদের দিকে তাকিয়ে আছেন। যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি তাঁর এত আশা, সেই দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীও তাঁকে নাশকতা-সহিংসতা ও মানুষ হত্যা বন্ধ করতে বলেছেন। যে প্রভুদের দিকে উনি তাকিয়ে আছেন, তারা মুক্তিযুদ্ধেরও বিরোধিতা করেছিল। কিন্তু আমরা যুদ্ধ করেই দেশকে স্বাধীন করেছি। পদ্মা সেতু নির্মাণের সময়ও অনেকে বাধা দিয়েছিল। এখন নিজস্ব অর্থায়নে সেতুটি নির্মাণ করে যাচ্ছি।’
গাড়িতে পতাকা ওড়ানোর আশা পূরণ হবে না
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি নেত্রী আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। একই সঙ্গে অবরোধ ও হরতাল। অবরোধ দিয়ে তিনি নিজেই অবরুদ্ধ হয়ে আছেন। ওনার আশা ছিল তাঁকে কেউ এসে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। সুশীল বাবুদের কেউ কেউ উনাকে দেখতে গেছেন। আমার চাচাও (ড. কামাল হোসেন) গেলেন। ভেবেছিলাম কামাল হোসেন যেহেতু হরতাল-অবরোধের বিরুদ্ধে বলেন, খালেদা জিয়াকে তা বন্ধ করতে বলবেন। তাঁরা এত ন্যায়নীতির কথা বলেন, ছেলেমেয়েরা যে পরীক্ষা দিতে পারছে না, একটিবারও সে কথাটি বললেন না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হয়তো তাঁরা মনে করছেন, এভাবে খালেদা জিয়া ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালিয়ে গেলে দেশে কিছু একটা ঘটবে। অনেকের গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়তে পারে। কিন্তু তাদের সেই আশা কোনো দিন পূরণ হবে না।’
জনগণ হত্যা করে আন্দোলন দেখিনি
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা নেই। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনী যেভাবে গণহত্যা চালিয়েছে, খালেদা জিয়া একইভাবে পেট্রলবোমা মেরে গণহত্যা চালাচ্ছে। মানুষ মারা, গাছ কাটা, রাস্তা কাটা এমন কী গরুর ট্রাকেও আগুন দিয়েছে। জনগণকে হত্যা করে আন্দোলন, এমনটা কখনো দেখিনি।’ তিনি বলেন, ‘ছেলেমেয়েদের দেড়টা মাস নষ্ট হয়ে গেল। ওনার সেদিকে চিন্তা নেই। অথচ ওনার নাতনিদের বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন পড়াশোনার জন্য।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়া ভেবেছিলেন ভারতে মোদি সরকার ক্ষমতায় এসেছে। এবার একটা কিছু হবে। কিন্তু বিজেপি সভাপতির ফোন নিয়ে ধরা পড়ে গেলেন।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, মতিয়া চৌধুরী, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কথাসাহিত্যিক রাহাত খান, এম এ আজিজ, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
No comments