ভাষাসংগ্রামীর কাছ থেকে হাতেখড়ি
রাত
থেকে ভোর পর্যন্ত শহীদ মিনারে দেওয়া হয়েছে শ্রদ্ধাঞ্জলি। ফুলে ফুলে ঢেকে
গেছে শহীদ বেদি। সেখানে শিশুদের কোলাহল। সকাল ১০টায় সিলেটের কেন্দ্রীয়
শহীদ মিনার বেদিতে বসলেন দুই ভাষাসংগ্রামী। তাঁদের একজন সিলেটের শাহজালাল
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য ছদরুদ্দিন আহমদ
চৌধুরী, অপরজন সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য মো.
আবদুল আজিজ।
এ দুজনকে ঘিরে বসল শিশুরা, ভাষাসংগ্রামীরা শিশুদের মাথায় স্নেহের পরশ বুলিয়ে চিনিয়ে দিলেন বর্ণমালা, কাউকে আবার হাত ধরিয়ে দিয়ে লিখে দিলেন অক্ষর। গতকাল শনিবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ‘পাঠশালা’ নামের সিলেটের একটি শিশুসংগঠনের আয়োজনে এভাবেই ভাষাসংগ্রামীদের কাছ থেকে হাতেখড়ি নেয় ৮২ শিশু।
একটানা সাত বছর ধরে হাতেখড়ি অনুষ্ঠান চলায় এবার এ নিয়ে প্রস্তুতি ছিল অনেক শিশুর পরিবারে। গতকাল সকালে শহীদ মিনারে গিয়ে হাতেখড়ি নিয়ে অন্য রকম এক মুখরতা চোখে পড়ল। বাংলা বর্ণমালার সঙ্গে প্রথম পরিচয়, তাও আবার ভাষাসংগ্রামীদের কাছ থেকে—এ নিয়ে ছিল যারপরনাই উৎসাহ। হাতেখড়ি নিতে প্রস্তুত শিশুদের বাছাই করে দিচ্ছেন তাঁদের সঙ্গে থাকা বাবা-মায়েরা। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত টানা দুই ঘণ্টায় ৮২ শিশুকে হাতেখড়ি দেওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয় অনুষ্ঠান।
শিশুদের হাতেখড়ি দিয়ে একধরনের তৃপ্তভাব দেখা গেছে দুই ভাষাসংগ্রামীর চোখেমুখে। আবদুল আজিজ বলেন, ‘ভাষা তার নিজস্ব গতিতে চলে। আজ যেসব শিশুকে হাতেখড়ি দিলাম, তাদের মধ্য দিয়ে ভাষা গতিশীল হবে, পরিশুদ্ধ হয়ে চলবে—এ প্রত্যাশা আমাদের।’ ছদরুদ্দিন আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘এটা শুধু হাতেখড়ি নয়, একটি চেতনার সূত্র ধরিয়ে দিলাম শিশুদের কাছে। বড় হলে পরে তারা বুঝবে এ চেতনার মর্ম।’
হাতেখড়ির আয়োজক সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ভাষাসংগ্রামীদের কাছ থেকে হাতেখড়ির প্রচলন করা হয়। গতকাল মিলিয়ে এ পর্যন্ত ৫০০ শিশু হাতেখড়ি নিয়েছে। ভাষাসংগ্রামীদের কাছ থেকে হাতেখড়ি নেওয়া শিশুদের নিয়ে পরবর্তীতে সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। তবে এবার রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে শুধু হাতেখড়ি দিয়েই অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করতে হয়েছে বলে জানালেন পাঠশালার সাধারণ সম্পাদক নাজমা পারভীন।
‘বর্ণমালার মিছিল’: হাতে নানা রঙের বর্ণ। সেগুলো হাতে নিয়ে সারিবদ্ধভাবে শহীদ মিনার অভিমুখে ‘বর্ণমালা মিছিল’ করেছে শ্রুতি নামের সাংস্কৃতিক সংগঠন। মিছিলের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন শ্রুতির সদস্যসচিব সুকান্ত গুপ্ত। বর্ণমালা মিছিলকে অভিনন্দিত করে বক্তব্য দেন উদীচীর কেন্দ্রীয় সহসভাপতি আরশ আলী, সাংবাদিক আল আজাদ, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত ও শ্রুতির সমন্বয়ক সুমন্ত গুপ্ত।
এ দুজনকে ঘিরে বসল শিশুরা, ভাষাসংগ্রামীরা শিশুদের মাথায় স্নেহের পরশ বুলিয়ে চিনিয়ে দিলেন বর্ণমালা, কাউকে আবার হাত ধরিয়ে দিয়ে লিখে দিলেন অক্ষর। গতকাল শনিবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ‘পাঠশালা’ নামের সিলেটের একটি শিশুসংগঠনের আয়োজনে এভাবেই ভাষাসংগ্রামীদের কাছ থেকে হাতেখড়ি নেয় ৮২ শিশু।
একটানা সাত বছর ধরে হাতেখড়ি অনুষ্ঠান চলায় এবার এ নিয়ে প্রস্তুতি ছিল অনেক শিশুর পরিবারে। গতকাল সকালে শহীদ মিনারে গিয়ে হাতেখড়ি নিয়ে অন্য রকম এক মুখরতা চোখে পড়ল। বাংলা বর্ণমালার সঙ্গে প্রথম পরিচয়, তাও আবার ভাষাসংগ্রামীদের কাছ থেকে—এ নিয়ে ছিল যারপরনাই উৎসাহ। হাতেখড়ি নিতে প্রস্তুত শিশুদের বাছাই করে দিচ্ছেন তাঁদের সঙ্গে থাকা বাবা-মায়েরা। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত টানা দুই ঘণ্টায় ৮২ শিশুকে হাতেখড়ি দেওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয় অনুষ্ঠান।
শিশুদের হাতেখড়ি দিয়ে একধরনের তৃপ্তভাব দেখা গেছে দুই ভাষাসংগ্রামীর চোখেমুখে। আবদুল আজিজ বলেন, ‘ভাষা তার নিজস্ব গতিতে চলে। আজ যেসব শিশুকে হাতেখড়ি দিলাম, তাদের মধ্য দিয়ে ভাষা গতিশীল হবে, পরিশুদ্ধ হয়ে চলবে—এ প্রত্যাশা আমাদের।’ ছদরুদ্দিন আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘এটা শুধু হাতেখড়ি নয়, একটি চেতনার সূত্র ধরিয়ে দিলাম শিশুদের কাছে। বড় হলে পরে তারা বুঝবে এ চেতনার মর্ম।’
হাতেখড়ির আয়োজক সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ভাষাসংগ্রামীদের কাছ থেকে হাতেখড়ির প্রচলন করা হয়। গতকাল মিলিয়ে এ পর্যন্ত ৫০০ শিশু হাতেখড়ি নিয়েছে। ভাষাসংগ্রামীদের কাছ থেকে হাতেখড়ি নেওয়া শিশুদের নিয়ে পরবর্তীতে সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। তবে এবার রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে শুধু হাতেখড়ি দিয়েই অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করতে হয়েছে বলে জানালেন পাঠশালার সাধারণ সম্পাদক নাজমা পারভীন।
‘বর্ণমালার মিছিল’: হাতে নানা রঙের বর্ণ। সেগুলো হাতে নিয়ে সারিবদ্ধভাবে শহীদ মিনার অভিমুখে ‘বর্ণমালা মিছিল’ করেছে শ্রুতি নামের সাংস্কৃতিক সংগঠন। মিছিলের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন শ্রুতির সদস্যসচিব সুকান্ত গুপ্ত। বর্ণমালা মিছিলকে অভিনন্দিত করে বক্তব্য দেন উদীচীর কেন্দ্রীয় সহসভাপতি আরশ আলী, সাংবাদিক আল আজাদ, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত ও শ্রুতির সমন্বয়ক সুমন্ত গুপ্ত।
No comments