ঢাকা ও চট্টগ্রামে শিশুদের জন্য বর্ণমেলা- দিনভর আনন্দ আয়োজন
ঢাকা
ও চট্টগ্রামে আনন্দঘন আয়োজনে দিন কাটাল নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধিরা।
গতকাল শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবেস তাদের জন্য আয়োজন করা হয়
বর্ণমেলার।
প্রথম আলো ও সার্ফ এক্সেলের আয়োজনে গতকাল অনুষ্ঠিত হলো এ বর্ণমেলা। ঢাকার সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে এবং চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় মাঠে একই সঙ্গে দিনভর চলে এই মেলা। এবার ঢাকায় বর্ণমেলার ছিল ষষ্ঠ ও চট্টগ্রামে চতুর্থবারের আয়োজন। সকাল নয়টায় ঢাকায় রঙিন বেলুনগুচ্ছ উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন ভাষাসৈনিক আহমদ রফিক। চট্টগ্রামে মেলার উদ্বোধন করেন শহীদজায়া মুশতারী শফী। সারা দিন বর্ণমেলার এই আনন্দঘন আয়োজন সরাসরি সম্প্রচার করে চ্যানেল নাইন ও এবিসি রেডিও।
মেলার উদ্বোধন করে আহমদ রফিক বলেন, ভাষা নিয়ে এমন আয়োজন নতুন প্রজন্মের মধ্যে মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসা জিইয়ে রাখবে। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হবে। প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ বলেন, নতুন প্রজন্মের মধ্যে মাতৃভাষার প্রতি দরদ সৃষ্টি ও ভাষা আন্দোলনের মহিমা ছড়িয়ে দিতেই প্রথম আলো এই আয়োজন করে আসছে।
মজার মজার হরেক রকম আয়োজন ছিল মেলায়। পূর্ব, দক্ষিণ ও পশ্চিম পাশের দেয়াল ঘেঁষে স্টলের সারি। কোনোটিতে নানান রকম উপকরণে তৈরি বর্ণের মনকাড়া সমারোহ, কোথাও তৈরি করা হচ্ছে পুতুল, কোনোটিতে নকশা আঁকা হচ্ছে টি-শার্টে। আরও ছিল প্রথমা প্রকাশন, কিআ, সিসিমপুর, পুতুল খেলা ও মুখোশ তৈরির স্টল। মাঠের মাঝখানে ছড়ানো-ছিটানো অনেক স্থাপনা। এর মধ্যে ‘মস্ত বর্ণ’ তো ছিলই, আরও ছিল বর্ণবৃক্ষ। সরু কাঠ দিয়ে তৈরি গাছটির ডালে ডালে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল হরেক রকম বর্ণ। আবার বর্ণ লেখা চতুষ্কোণ বাক্স সাজিয়ে শব্দ তৈরির খেলা। কোথাও আবার বিছিয়ে রাখা ছবি আঁকা বিশাল ক্যানভাস। খুদেরা তার ওপর লাফ দিয়ে দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। লাফ দিয়ে তারা যে ছবিটির ওপর গিয়ে থামছে, বলতে হচ্ছে সেটি কার ছবি। প্রবেশপথের পাশেই তৈরি করা একটি শহীদ মিনারের রেপ্লিকাও একসময় ঢেকে গেল শ্রদ্ধার ফুলে ফুলে।
এদিকে মাঠের উত্তর দিকের বিশাল মেলা মঞ্চের অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল সুরের ধারার শিল্পীদের সম্মিলিত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনা দিয়ে। পরে তাঁরা পরিবেশন করেন দেশের গান ‘মিলেছি আজ মায়ের ডাকে’। এরপর ভাষা ও দেশের গান শুনিয়েছেন আবিদা সুলতানা, রফিকুল আলম, কনকচাঁপা ও সোহিনী আলম। আরও গান করে আশাবরী সংগীত একাডেমির শিশুরা ও সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী।
অন্য প্রান্তে শুরু হয়েছে ছবি আঁকা, সুন্দর হাতের লেখার প্রতিযোগিতা আর কচি-কাঁচাদের হাতেখড়ি দেওয়ার পালা। শিশুদের হাতেখড়ি করালেন সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, শিল্পী আবুল বারক আলভীসহ নানা বিশিষ্টজন। এর মধ্যে মধ্যে আবার মঞ্চে এসে হাজির সিসিমপুরের টুকটুকি, হালুম, ইকরিরা। মাঠে ব্যতিব্যস্তরা তখন দে ছুট মঞ্চের দিকে। সিসিমপুরের পরিবেশনা ছাড়াও ছিল প্রাচ্যনাটের মজার নাটক বাঘের সাজা। তারপর জলপুতুল পরিবেশন করল লাল ও হলুদের পাপেট শো। আবৃত্তি করলেন মাহমুদা আক্তার। পুঁথিপাঠ করে শোনালেন কাব্য কামরুল।
অমর একুশে এখন আর কেবল আমাদেরই নয়, বিশ্ববাসী সবার কাছেই একটি অনন্য দিন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। তাই ভিন্ন ভাষার পরিবেশনাও ছিল। মঞ্চের পাশের বড় পর্দায় দেখানো হয় জার্মান ভাষায় গাওয়া একুশের গান। জাপানের শিল্পী মাইয়ে ওটানাবে মঞ্চে এসে জাপানি ভাষায় গেয়ে শোনান গানটি। সঙ্গে ছিল নৃত্য। আমাদের দেশের আদিবাসী শিল্পীরা পরিবেশন করেন তাঁদের ভাষার গান এবং একক ও দলগত নৃত্য।
গড়িয়ে গেছে দুপুর। মঞ্চে এলেন নানা গুণীজন। প্রাবন্ধিক সৈয়দ আবুল মকসুদ, চিত্রশিল্পী আবদুল মান্নান, শিশির ভট্টাচার্য্য, ওয়াকিলুর রহমান, অশোক কর্মকার, অভিনয়শিল্পী জাহিদ হাসান, মোশাররফ করিম, তিশা ও নিপুন। শুরু হলো বর্ণ প্রদর্শনী, চিত্রাঙ্কন ও হাতের লেখা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণের পর্ব।
পুরস্কার বিতরণের পর আবার মঞ্চে জমজমাট অনুষ্ঠান। এলেন বাউলশিল্পী শফি মণ্ডল। গেয়ে শোনান দুটি দেশাত্মবোধক গান। ‘মীরাক্কেল-আক্কেল’খ্যাত আবু হেনা রনি তাঁর রস-কথা শুনিয়ে হাসালেন সবাইকে।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান নিয়ে আসেন ক্লোজআপ ওয়ান তারকা সাব্বির। আরেক ক্লোজআপ তারকা কিশোর শোনান আধুনিক গান।
চারদিকে ক্রিকেট বিশ্বকাপের উত্তেজনা। বর্ণমেলা কীভাবে তা থেকে বাদ পড়ে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে শুভকামনা জানাতে সংগীতশিল্পী কনার সঙ্গে ‘চার ছক্কা হই হই’ গানে তাল মেলালেন উপস্থিত সবাই।
‘নতুন প্রজন্মের কাছে একটাই চাওয়া, বাংলাদেশকে নিয়ে যাও পৃথিবীর দরবারে’—ব্যান্ড তারকা আইয়ুব বাচ্চু মঞ্চে উঠেই জানালেন নতুন প্রজন্মের কাছে নিজের প্রত্যাশার কথা। মঞ্চে এলেন সংগীতশিল্পী বাপ্পা মজুমদার। বাপ্পা মঞ্চে ডেকে নিলেন সামিনা চৌধুরী ও ফাহমিদা নবীকে। তিনজন একসঙ্গে গাইলেন ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’। সামিনা চৌধুরী ও ফাহমিদা নবী দর্শকদের অনুরোধে গাইলেন ‘দূর দ্বীপবাসিনী, চিনি গো চিনি’।
তাঁদের পরেই মঞ্চে এল ব্যান্ড দল ‘জলের গান’। জলের গান শোনাল ‘বকুল ফুল, বকুল ফুল’ গানটি।
মঞ্চে এলেন ‘অর্ণব ও তাঁর বন্ধুরা’। অর্ণব গাইলেন ‘সোনা দিয়া বান্ধাইয়াছি ঘর’ ও আরও দুটি গান। দর্শকদের অনুরোধে অর্ণবের বন্ধুদের মধ্য থেকে সংগীতশিল্পী পান্থ কানাই গাইলেন ‘ওরে নীল দরিয়া’।
বর্ণমেলায় আয়োজন ছিল ‘বর্ণায়ন’ নামে শিশুদের টি-শার্টে নকশা করার সুযোগ। যার যার আঁকা টি-শার্টটি ছিল প্রাথমিক উপহার। এ ছাড়া বর্ণায়নে আঁকা টি-শার্টগুলোর মধ্য থেকে ১০টি টি-শার্টকে দেওয়া হয় আলাদা পুরস্কার। এর মধ্যে চারজন বিজয়ীর করা নকশা দিয়ে টি-শার্ট বাজারে ছাড়বে ফ্যাশন হাউস ‘নিত্য উপহার’। বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেন নিত্য উপহারের স্বত্বাধিকারী বাহার রহমান ও প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ। সূর্য তখন ডুবুডুবু। শেষ হলো সারা দিনের এই আনন্দের আয়োজন।
প্রথম আলো ও সার্ফ এক্সেলের আয়োজনে গতকাল অনুষ্ঠিত হলো এ বর্ণমেলা। ঢাকার সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে এবং চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় মাঠে একই সঙ্গে দিনভর চলে এই মেলা। এবার ঢাকায় বর্ণমেলার ছিল ষষ্ঠ ও চট্টগ্রামে চতুর্থবারের আয়োজন। সকাল নয়টায় ঢাকায় রঙিন বেলুনগুচ্ছ উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন ভাষাসৈনিক আহমদ রফিক। চট্টগ্রামে মেলার উদ্বোধন করেন শহীদজায়া মুশতারী শফী। সারা দিন বর্ণমেলার এই আনন্দঘন আয়োজন সরাসরি সম্প্রচার করে চ্যানেল নাইন ও এবিসি রেডিও।
মেলার উদ্বোধন করে আহমদ রফিক বলেন, ভাষা নিয়ে এমন আয়োজন নতুন প্রজন্মের মধ্যে মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসা জিইয়ে রাখবে। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হবে। প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ বলেন, নতুন প্রজন্মের মধ্যে মাতৃভাষার প্রতি দরদ সৃষ্টি ও ভাষা আন্দোলনের মহিমা ছড়িয়ে দিতেই প্রথম আলো এই আয়োজন করে আসছে।
মজার মজার হরেক রকম আয়োজন ছিল মেলায়। পূর্ব, দক্ষিণ ও পশ্চিম পাশের দেয়াল ঘেঁষে স্টলের সারি। কোনোটিতে নানান রকম উপকরণে তৈরি বর্ণের মনকাড়া সমারোহ, কোথাও তৈরি করা হচ্ছে পুতুল, কোনোটিতে নকশা আঁকা হচ্ছে টি-শার্টে। আরও ছিল প্রথমা প্রকাশন, কিআ, সিসিমপুর, পুতুল খেলা ও মুখোশ তৈরির স্টল। মাঠের মাঝখানে ছড়ানো-ছিটানো অনেক স্থাপনা। এর মধ্যে ‘মস্ত বর্ণ’ তো ছিলই, আরও ছিল বর্ণবৃক্ষ। সরু কাঠ দিয়ে তৈরি গাছটির ডালে ডালে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল হরেক রকম বর্ণ। আবার বর্ণ লেখা চতুষ্কোণ বাক্স সাজিয়ে শব্দ তৈরির খেলা। কোথাও আবার বিছিয়ে রাখা ছবি আঁকা বিশাল ক্যানভাস। খুদেরা তার ওপর লাফ দিয়ে দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। লাফ দিয়ে তারা যে ছবিটির ওপর গিয়ে থামছে, বলতে হচ্ছে সেটি কার ছবি। প্রবেশপথের পাশেই তৈরি করা একটি শহীদ মিনারের রেপ্লিকাও একসময় ঢেকে গেল শ্রদ্ধার ফুলে ফুলে।
এদিকে মাঠের উত্তর দিকের বিশাল মেলা মঞ্চের অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল সুরের ধারার শিল্পীদের সম্মিলিত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনা দিয়ে। পরে তাঁরা পরিবেশন করেন দেশের গান ‘মিলেছি আজ মায়ের ডাকে’। এরপর ভাষা ও দেশের গান শুনিয়েছেন আবিদা সুলতানা, রফিকুল আলম, কনকচাঁপা ও সোহিনী আলম। আরও গান করে আশাবরী সংগীত একাডেমির শিশুরা ও সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী।
অন্য প্রান্তে শুরু হয়েছে ছবি আঁকা, সুন্দর হাতের লেখার প্রতিযোগিতা আর কচি-কাঁচাদের হাতেখড়ি দেওয়ার পালা। শিশুদের হাতেখড়ি করালেন সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, শিল্পী আবুল বারক আলভীসহ নানা বিশিষ্টজন। এর মধ্যে মধ্যে আবার মঞ্চে এসে হাজির সিসিমপুরের টুকটুকি, হালুম, ইকরিরা। মাঠে ব্যতিব্যস্তরা তখন দে ছুট মঞ্চের দিকে। সিসিমপুরের পরিবেশনা ছাড়াও ছিল প্রাচ্যনাটের মজার নাটক বাঘের সাজা। তারপর জলপুতুল পরিবেশন করল লাল ও হলুদের পাপেট শো। আবৃত্তি করলেন মাহমুদা আক্তার। পুঁথিপাঠ করে শোনালেন কাব্য কামরুল।
অমর একুশে এখন আর কেবল আমাদেরই নয়, বিশ্ববাসী সবার কাছেই একটি অনন্য দিন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। তাই ভিন্ন ভাষার পরিবেশনাও ছিল। মঞ্চের পাশের বড় পর্দায় দেখানো হয় জার্মান ভাষায় গাওয়া একুশের গান। জাপানের শিল্পী মাইয়ে ওটানাবে মঞ্চে এসে জাপানি ভাষায় গেয়ে শোনান গানটি। সঙ্গে ছিল নৃত্য। আমাদের দেশের আদিবাসী শিল্পীরা পরিবেশন করেন তাঁদের ভাষার গান এবং একক ও দলগত নৃত্য।
গড়িয়ে গেছে দুপুর। মঞ্চে এলেন নানা গুণীজন। প্রাবন্ধিক সৈয়দ আবুল মকসুদ, চিত্রশিল্পী আবদুল মান্নান, শিশির ভট্টাচার্য্য, ওয়াকিলুর রহমান, অশোক কর্মকার, অভিনয়শিল্পী জাহিদ হাসান, মোশাররফ করিম, তিশা ও নিপুন। শুরু হলো বর্ণ প্রদর্শনী, চিত্রাঙ্কন ও হাতের লেখা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণের পর্ব।
পুরস্কার বিতরণের পর আবার মঞ্চে জমজমাট অনুষ্ঠান। এলেন বাউলশিল্পী শফি মণ্ডল। গেয়ে শোনান দুটি দেশাত্মবোধক গান। ‘মীরাক্কেল-আক্কেল’খ্যাত আবু হেনা রনি তাঁর রস-কথা শুনিয়ে হাসালেন সবাইকে।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান নিয়ে আসেন ক্লোজআপ ওয়ান তারকা সাব্বির। আরেক ক্লোজআপ তারকা কিশোর শোনান আধুনিক গান।
চারদিকে ক্রিকেট বিশ্বকাপের উত্তেজনা। বর্ণমেলা কীভাবে তা থেকে বাদ পড়ে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে শুভকামনা জানাতে সংগীতশিল্পী কনার সঙ্গে ‘চার ছক্কা হই হই’ গানে তাল মেলালেন উপস্থিত সবাই।
‘নতুন প্রজন্মের কাছে একটাই চাওয়া, বাংলাদেশকে নিয়ে যাও পৃথিবীর দরবারে’—ব্যান্ড তারকা আইয়ুব বাচ্চু মঞ্চে উঠেই জানালেন নতুন প্রজন্মের কাছে নিজের প্রত্যাশার কথা। মঞ্চে এলেন সংগীতশিল্পী বাপ্পা মজুমদার। বাপ্পা মঞ্চে ডেকে নিলেন সামিনা চৌধুরী ও ফাহমিদা নবীকে। তিনজন একসঙ্গে গাইলেন ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’। সামিনা চৌধুরী ও ফাহমিদা নবী দর্শকদের অনুরোধে গাইলেন ‘দূর দ্বীপবাসিনী, চিনি গো চিনি’।
তাঁদের পরেই মঞ্চে এল ব্যান্ড দল ‘জলের গান’। জলের গান শোনাল ‘বকুল ফুল, বকুল ফুল’ গানটি।
মঞ্চে এলেন ‘অর্ণব ও তাঁর বন্ধুরা’। অর্ণব গাইলেন ‘সোনা দিয়া বান্ধাইয়াছি ঘর’ ও আরও দুটি গান। দর্শকদের অনুরোধে অর্ণবের বন্ধুদের মধ্য থেকে সংগীতশিল্পী পান্থ কানাই গাইলেন ‘ওরে নীল দরিয়া’।
বর্ণমেলায় আয়োজন ছিল ‘বর্ণায়ন’ নামে শিশুদের টি-শার্টে নকশা করার সুযোগ। যার যার আঁকা টি-শার্টটি ছিল প্রাথমিক উপহার। এ ছাড়া বর্ণায়নে আঁকা টি-শার্টগুলোর মধ্য থেকে ১০টি টি-শার্টকে দেওয়া হয় আলাদা পুরস্কার। এর মধ্যে চারজন বিজয়ীর করা নকশা দিয়ে টি-শার্ট বাজারে ছাড়বে ফ্যাশন হাউস ‘নিত্য উপহার’। বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেন নিত্য উপহারের স্বত্বাধিকারী বাহার রহমান ও প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ। সূর্য তখন ডুবুডুবু। শেষ হলো সারা দিনের এই আনন্দের আয়োজন।
No comments