এসএসসি পরীক্ষার্থীকে আটকের ১ দিন পর স্বীকার করলো পুলিশ
চলমান
এসএসসি পরীক্ষায় বাণিজ্য বিভাগ থেকে অংশ নেয়া এক শিক্ষার্থীকে আটকের একদিন
পর স্বীকার করলো পুলিশ। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে আটক হওয়া ওই
শিক্ষার্থীর নাম রিফাত আবদুল্লাহ খান। সে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর
আমীর ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানের ছেলে।
গত শুক্রবার রাজধানীর উত্তরা হাইস্কুল থেকে পরীক্ষা শেষে বের হওয়ার পর সাদা
পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি দল তাকে তুলে নিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে
রিফাতের পরিবারের সদস্যরা সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা
পুলিশ, র্যাব হেডকোয়ার্টার্সে যোগাযোগ করলেও তাকে আটকের কথা কেউ স্বীকার
করেনি। তবে গতকাল রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা
রিফাতকে আটকের কথা স্বীকার করে বলেন, রিফাত বর্তমানে মিন্টো রোডের গোয়েন্দা
হেফাজতে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
ফেসবুকে রাষ্ট্রবিরোধী নানা বিষয় তুলে ধরার কারণে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ
করা হচ্ছে বলে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
পরিবারের সদস্যরা জানান, রিফাত আবদুল্লাহ খান উত্তরার হলি চাইল্ড স্কুলের বাণিজ্য বিভাগ থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। গত শুক্রবার সে উত্তরা হাইস্কুরের পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরীক্ষার হল থেকে বের হয়ে আসার পর সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি দল তাকে মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ও র্যাব সদর দপ্তরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা কেউ শুক্রবার রিফাতকে আটকের কথা স্বীকার করেননি।
এদিকে রিফাতকে ফিরে পেতে সরকার, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সকল মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তার মা মাহফুজা ইয়াসমিন। গতকাল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মাহফুজা ইয়াসমীন জানান, তার ছেলে হলি চাইল্ড স্কুলের বাণিজ্য বিভাগের ছাত্র রিফাত আবদুল্লাহ খান উত্তরা হাইস্কুল কেন্দ্রে গত শুক্রবার গণিত পরীক্ষা দিয়ে পরীক্ষার হল থেকে বের হওয়ার সময় সাদা পোশাকধারী পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে একটি মাইক্রোবাসে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক র্যাব হেডকোয়ার্টার, ডিবি কার্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করা হলেও তারা রিফাতকে তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয় স্বীকার করেনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে অপহরণ, গুম, খুন হত্যা যখন নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে তখন আমার সন্তান রিফাতকে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রশাসনকে জানালেও এখনও তারা আমার সন্তানকে ফিরিয়ে দেয়নি। শিক্ষামন্ত্রী ও পুলিশের আইজি বলেছেন, এসএসসি পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা নির্বিঘ্ন করতে প্রয়োজনে বাসা থেকে পরীক্ষা কেন্দ্রে আনা-নেয়ায় পুলিশি নিরাপত্তা দেয়া হবে। কিন্তু এমন ঘোষণার পরও খোদ রাজধানীতে র্যাব হেডকোয়ার্টারের অতি কাছে উত্তরা হাইস্কুল কেন্দ্র থেকে পুলিশ পরিচয়ে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ায় আমি চরমভাবে উদ্বিগ্ন, চিন্তিত এবং আমি তার জীবননাশের আশঙ্কা করছি। গতকাল তাকে গ্রেপ্তারের পর আমি নিজেকে প্রবোধ দিয়েছিলাম পরবর্তী পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য হয়তো আজ তাকে ছেড়ে দেয়া হবে। দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে নিয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি দল যখন বাংলাদেশ সফর করছেন, এমন সময়েই আমার সন্তানকে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রাখায় আমি চরম উদ্বিগ্ন। অবিলম্বে আমার সন্তানকে সুস্থ স্বাভাবিকভাবে ফিরিয়ে দিতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং দেশের বিভিন্ন দূতাবাসের কাছে ঐকান্তিক অনুরোধ জানাচ্ছি।
মাহফুজা ইয়াসমীন আরও বলেন, আমার দুই ছেলে, দুই মেয়ের মধ্যে রিফাত বড়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, আমার ছেলে রিফাত পরীক্ষা শেষে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সাদা পোশাকের পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। আমরা নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানতে পেরেছি, তাকে গোয়েন্দা পুলিশের এএসপি শাহজাহানের তত্ত্বাবধানে ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। পরবর্তীকালে তাকে নিয়ে আমাদের বিভিন্ন আত্মীয়ের বাসায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে একটি মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে যায়। তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে এবং রাতে খাবার দেয়া হয়নি।
পরিবারের সদস্যরা জানান, রিফাত আবদুল্লাহ খান উত্তরার হলি চাইল্ড স্কুলের বাণিজ্য বিভাগ থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। গত শুক্রবার সে উত্তরা হাইস্কুরের পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরীক্ষার হল থেকে বের হয়ে আসার পর সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি দল তাকে মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ও র্যাব সদর দপ্তরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা কেউ শুক্রবার রিফাতকে আটকের কথা স্বীকার করেননি।
এদিকে রিফাতকে ফিরে পেতে সরকার, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সকল মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তার মা মাহফুজা ইয়াসমিন। গতকাল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মাহফুজা ইয়াসমীন জানান, তার ছেলে হলি চাইল্ড স্কুলের বাণিজ্য বিভাগের ছাত্র রিফাত আবদুল্লাহ খান উত্তরা হাইস্কুল কেন্দ্রে গত শুক্রবার গণিত পরীক্ষা দিয়ে পরীক্ষার হল থেকে বের হওয়ার সময় সাদা পোশাকধারী পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে একটি মাইক্রোবাসে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক র্যাব হেডকোয়ার্টার, ডিবি কার্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করা হলেও তারা রিফাতকে তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয় স্বীকার করেনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে অপহরণ, গুম, খুন হত্যা যখন নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে তখন আমার সন্তান রিফাতকে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রশাসনকে জানালেও এখনও তারা আমার সন্তানকে ফিরিয়ে দেয়নি। শিক্ষামন্ত্রী ও পুলিশের আইজি বলেছেন, এসএসসি পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা নির্বিঘ্ন করতে প্রয়োজনে বাসা থেকে পরীক্ষা কেন্দ্রে আনা-নেয়ায় পুলিশি নিরাপত্তা দেয়া হবে। কিন্তু এমন ঘোষণার পরও খোদ রাজধানীতে র্যাব হেডকোয়ার্টারের অতি কাছে উত্তরা হাইস্কুল কেন্দ্র থেকে পুলিশ পরিচয়ে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ায় আমি চরমভাবে উদ্বিগ্ন, চিন্তিত এবং আমি তার জীবননাশের আশঙ্কা করছি। গতকাল তাকে গ্রেপ্তারের পর আমি নিজেকে প্রবোধ দিয়েছিলাম পরবর্তী পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য হয়তো আজ তাকে ছেড়ে দেয়া হবে। দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে নিয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি দল যখন বাংলাদেশ সফর করছেন, এমন সময়েই আমার সন্তানকে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রাখায় আমি চরম উদ্বিগ্ন। অবিলম্বে আমার সন্তানকে সুস্থ স্বাভাবিকভাবে ফিরিয়ে দিতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং দেশের বিভিন্ন দূতাবাসের কাছে ঐকান্তিক অনুরোধ জানাচ্ছি।
মাহফুজা ইয়াসমীন আরও বলেন, আমার দুই ছেলে, দুই মেয়ের মধ্যে রিফাত বড়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, আমার ছেলে রিফাত পরীক্ষা শেষে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সাদা পোশাকের পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। আমরা নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানতে পেরেছি, তাকে গোয়েন্দা পুলিশের এএসপি শাহজাহানের তত্ত্বাবধানে ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। পরবর্তীকালে তাকে নিয়ে আমাদের বিভিন্ন আত্মীয়ের বাসায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে একটি মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে যায়। তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে এবং রাতে খাবার দেয়া হয়নি।
No comments