আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের বক্তব্য- পরিস্থিতিকে অবনতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে
আইনশৃঙ্খলা
বাহিনী জনগণের বন্ধু। রাষ্ট্রনিরাপত্তা বিধানে জনগণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে
ভরসার ক্ষেত্র হিসেবেই ভাবে। দল-মত নির্বিশেষে সবার নিরাপত্তার মহান
দায়িত্ব নিয়েই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করবে, এটাই স্বাভাবিক প্রত্যাশা।
কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা এমন সব বক্তব্য রাখছেন, যা
নিরপেক্ষ অবস্থানকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এরা সরকারের পক্ষ নিয়ে বক্তব্য
রাখছেন, ফলে মনে হচ্ছে তারা বিভিন্ন মহলের সমালোচনার মুখে পড়েছে। এরপরও
তাদের এ অবাঞ্ছিত বক্তৃতা থামছে না। সরকারি কর্মকর্তা নন, দলীয় নেতা এই
বক্তব্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে আরো ঘোলাটে করে তুলছে।
স্মরণযোগ্য, গত ১৬ জানুয়ারি পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক রংপুরের মিঠাপুকুরে বলেন, যারা হরতাল ও অবরোধের নামে মানুষ পুড়িয়ে মারছে এবং সম্পদ ধ্বংস করছে, তাদের রেহাই দেয়া হবে না। একই অনুষ্ঠানে র্যাবের মহাপরিদর্শক বলেন, যারা গণতন্ত্রের নামে সহিংসতা করছে ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে, আমরা তাদের নির্মূল করব। গত ৪ ফেব্রুয়ারি র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মতবিনিময় সভায় বলেছেন, ‘আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে আইনি প্রতিশোধ নেবো।’ ২৫ জানুয়ারি খুলনা র্যাব-৬-এর কার্যালয়ে এক সভায় র্যাবের ডিজি বলেছেন, ‘অপরাধীরা অপরাধ করবে, আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা চেয়ে চেয়ে দেখবে? আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কী অস্ত্র দেয়া হয়েছে হা-ডু-ডু খেলার জন্য?’ গত ৭ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের পুলিশ লাইনে পুলিশের ডিআইজি মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান বলেছেন, ‘হুকুম দিয়ে গেলাম, দায়দায়িত্ব সব আমার, গুলি করা শুধু না, নাশকতাকারীদের বংশশুদ্ধ শেষ করে দেবেন।’ গত ১২ ফেব্রুয়ারি চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে এক সভায় খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মনিরুজ্জামান বলেছেন, ‘যেসব কুলাঙ্গারের বাচ্চারা মানুষ পুড়িয়ে মারছে, তাদের পুড়িয়ে মারলে ক্ষতি হবে না।’ এভাবে পুলিশ, বিজিবি ও র্যাবের শীর্ষ কর্মকর্তারা একশ্রেণীর রাজনীতিবিদের মতো উস্কানিমূলক ও অশোভন বক্তব্য দিয়ে চলেছেন।
মানবাধিকার কর্মী ও আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের বক্তব্য দেশের পরিস্থিতিকে আরো ঘোলাটে করে তুলছে। এমনকি এসব বক্তব্যের জের ধরে গুলি ও ক্রসফায়ারের ঘটনা বেড়েছে বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। তাদের অভিমত, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ পদে থেকে কেউ অশ্রাব্য ভাষায় বক্তব্য রাখতে পারেন না। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেছেন, যারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে রয়েছেন, তারা এমন কোনো বক্তব্য দিতে পারেন না, যা তাদের এখতিয়ার বহির্ভূত। কেউ কেউ বলেছেন, তাদের বক্তব্য উসকানিমূলক হওয়ায় জনগণ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারে। বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, পুলিশের কর্তাব্যক্তিরা যেসব বক্তব্য দিচ্ছেন, তা উসকানিমূলক। এর ফলে জনগণ আইনের প্রতি শ্রদ্ধা হারাবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মানুষ মারার কথা বলে যে বক্তব্য দিচ্ছে তা সম্পূর্ণ বেআইনি।’ আমরা মনে করি, বিশিষ্ট জনের এ অভিমত যথার্থ। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এ ধরনের অনাকাক্সিত বক্তব্য থেকে বিরত হয়ে তাদের ওপর অর্পিত জাতীয় দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করাই কাম্য। কারণ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দল বিশেষের নয়, বরং গোটা জাতির। এ সত্যকে উপলব্ধি করা উচিত।
স্মরণযোগ্য, গত ১৬ জানুয়ারি পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক রংপুরের মিঠাপুকুরে বলেন, যারা হরতাল ও অবরোধের নামে মানুষ পুড়িয়ে মারছে এবং সম্পদ ধ্বংস করছে, তাদের রেহাই দেয়া হবে না। একই অনুষ্ঠানে র্যাবের মহাপরিদর্শক বলেন, যারা গণতন্ত্রের নামে সহিংসতা করছে ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে, আমরা তাদের নির্মূল করব। গত ৪ ফেব্রুয়ারি র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মতবিনিময় সভায় বলেছেন, ‘আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে আইনি প্রতিশোধ নেবো।’ ২৫ জানুয়ারি খুলনা র্যাব-৬-এর কার্যালয়ে এক সভায় র্যাবের ডিজি বলেছেন, ‘অপরাধীরা অপরাধ করবে, আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা চেয়ে চেয়ে দেখবে? আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কী অস্ত্র দেয়া হয়েছে হা-ডু-ডু খেলার জন্য?’ গত ৭ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের পুলিশ লাইনে পুলিশের ডিআইজি মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান বলেছেন, ‘হুকুম দিয়ে গেলাম, দায়দায়িত্ব সব আমার, গুলি করা শুধু না, নাশকতাকারীদের বংশশুদ্ধ শেষ করে দেবেন।’ গত ১২ ফেব্রুয়ারি চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে এক সভায় খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মনিরুজ্জামান বলেছেন, ‘যেসব কুলাঙ্গারের বাচ্চারা মানুষ পুড়িয়ে মারছে, তাদের পুড়িয়ে মারলে ক্ষতি হবে না।’ এভাবে পুলিশ, বিজিবি ও র্যাবের শীর্ষ কর্মকর্তারা একশ্রেণীর রাজনীতিবিদের মতো উস্কানিমূলক ও অশোভন বক্তব্য দিয়ে চলেছেন।
মানবাধিকার কর্মী ও আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের বক্তব্য দেশের পরিস্থিতিকে আরো ঘোলাটে করে তুলছে। এমনকি এসব বক্তব্যের জের ধরে গুলি ও ক্রসফায়ারের ঘটনা বেড়েছে বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। তাদের অভিমত, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ পদে থেকে কেউ অশ্রাব্য ভাষায় বক্তব্য রাখতে পারেন না। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেছেন, যারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে রয়েছেন, তারা এমন কোনো বক্তব্য দিতে পারেন না, যা তাদের এখতিয়ার বহির্ভূত। কেউ কেউ বলেছেন, তাদের বক্তব্য উসকানিমূলক হওয়ায় জনগণ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারে। বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, পুলিশের কর্তাব্যক্তিরা যেসব বক্তব্য দিচ্ছেন, তা উসকানিমূলক। এর ফলে জনগণ আইনের প্রতি শ্রদ্ধা হারাবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মানুষ মারার কথা বলে যে বক্তব্য দিচ্ছে তা সম্পূর্ণ বেআইনি।’ আমরা মনে করি, বিশিষ্ট জনের এ অভিমত যথার্থ। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এ ধরনের অনাকাক্সিত বক্তব্য থেকে বিরত হয়ে তাদের ওপর অর্পিত জাতীয় দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করাই কাম্য। কারণ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দল বিশেষের নয়, বরং গোটা জাতির। এ সত্যকে উপলব্ধি করা উচিত।
No comments