মেরন সান ও মেরিট বাংলাদেশে অমর একুশে উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক ভাষা ও সাহিত্য উৎসব
নগরীর স্বনামধন্য মেরন সান স্কুল এন্ড কলেজ ও মেরিট বাংলাদেশ স্কুল এন্ড কলেজে আজ ২১ ফেব্রুয়ারি মহান ভাষা শহীদদের স্মরণে এবং মাতৃভাষা বাংলার গুরুত্ব তুলে ধরা উপলক্ষে সকাল ১০টা থেকে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং বাংলাদেশ-ভারত’ এর কবি, সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদদের অংশগ্রহণে আন্তর্জাতিক ভাষা ও সাহিত্য উৎসব ২০১৫ অনুষ্ঠিত হয়। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা একই সময়ে অত্র প্রতিষ্ঠানের সকল ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হলেও সকল ক্যাম্পাসের সমন্বয়ে আন্তর্জাতিক ভাষা ও সাহিত্য উৎসব অনুষ্ঠিত হয় মেরিট বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে। স্টেডলারের আয়োজনে অত্র প্রতিষ্ঠানের চারুকারু শিক্ষক ইউসুফ আলী খানের তত্ত্বাবধানে অসাধারণ চিত্রকর্মে মেতে ওঠে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। কারো ছবিতে ফুটে ওঠে একুশের চেতনা, আবার কারো ছবিতে ফুটে উঠে গ্রাম-বাংলার দৃশ্য। আন্তর্জাতিক ভাষা ও সাহিত্য উৎসবে সভাপতিত্ব করেন মেরন সান স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ, মেরিট বাংলাদেশ স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, সার্ক কালচারাল ফোরাম বাংলাদেশের সভাপতি, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সমাজ সেবক, পরিবেশ গবেষক ও সুলেখক অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ সানাউল্লাহ্। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র ভারতের বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক, আলোর আভাষ সংস্থার সভাপতি হরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, বাড়াইপুর পৌরসভার মেয়র পৌরপিতা এডভোকেট হাফিজুর রহমান, সব্যসাচী লেখক এবং সার্ক কালচারাল ফোরাম-এর সাধারণ সম্পাদক সুব্রত হালদার, বিশ্বকবি রবি ঠাকুরের শান্তি নিকেতনের সংগঠক কবি সঞ্জীব কুমার রাহা, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিটি রেডিও সেন্টারের পরিচালক ড. মিথা ঘোষ, বিখ্যাত শ্র“তি নাট্যকার ও কবি রতন ঘোষ, বিপ্লবী কবি সমরেন্দ্র দাশ গুপ্ত, বিখ্যাত রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী পিনাকী চক্রবর্তী, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পূর্ণা দাশ গুপ্ত, আবৃত্তিকার সোমা কান্তি লাল, সংগীত শিল্পী শীলা দীপ্ত রায়, কবি নরেন্দ্র মজুমদার, চলচ্চিত্র পরিচালক শীলা দত্ত রায়, সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মোহাম্মদ হাসিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর জিন বোধি ভিক্ষু, ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যাপক মুছা কলিমুল্লাহ, আল্লামা রুমী সোসাইটির মহাসচিব সিরাজউদ্দৌল্লাহ। এপার ও ওপার বাংলার কবি, সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদদের অংশগ্রহণে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে একুশের চেতনায় দীপ্ত আন্তর্জাতিক ভাষা ও সাহিত্য উৎসব। পাশাপাশি আয়োজন করা হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। সভাপতি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘যে জাতি নিজের ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ভুলে যায়, সে জাতি কখনো মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে না। মহান একুশ থেকে শিক্ষা নিয়ে এদেশবাসীর উচিত সকল সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে এদেশকে একটি উন্নত ও স্বয়ংসম্পূর্ণ রাষ্ট্রে পরিণত করা, এদেশের ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে রক্ষা করা ও সমুন্নত রাখা এবং এপার ও ওপার বাংলার সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে সমন্বিত করা।’ সার্বিক সহযোগীতায় ছিলেন ইতিহাস গবেষক সোহেল মোঃ ফখরুদ্দীন ও কবি আসিফ ইকবাল। অনুষ্ঠানে সকল ক্যাম্পাসের শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকমণ্ডলী উপস্থিত ছিলেন।
No comments