‘সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের শপথ নিন’
মানুষ ও গণতন্ত্র হত্যাকারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের শপথ নেয়ার জন্য দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেছেন, তারেক রহমানের জন্মদিনে শপথ নিতে হবে হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার। বসে থাকার সময় নেই। মানুষ ও গণতন্ত্র হত্যাকারী সরকারকে বিদায় করে সত্যিকার অর্থে একটি স্বাধীন, গণতান্ত্রিক দেশ উপহার দিতে পারলে সেটিই হবে তারেক রহমানের জন্য সবচেয়ে বড় উপহার। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫০তম জন্মদিন উপলক্ষে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় তারা এসব কথা বলেন। এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তবে তিনি দর্শক সারিতে বসে আলোচকদের বক্তব্য শুনলেও কোন বক্তব্য দেননি। মির্জা আলমগীর বলেন, তারেক ভবিষ্যতের নেতৃত্ব দেবেন, গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবেন। আর দূরে নয়। খালেদা জিয়ার পাশে থেকে তারেক রহমান নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করবেন। এ জন্য নেতাকর্মীদের সরকার পতনের শপথ নিয়ে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নকে থামিয়ে দিতে, গণতন্ত্রকে হত্যা করতে, দেশকে অন্যের পদানত করতে আধিপত্যবাদী শক্তির ষড়যন্ত্র চলছে। ১৯৮১ সালে স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে হত্যার মাধ্যমে এই ষড়যন্ত্র শুরু হয়, যা এখনও চলছে। তারেক রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের পতাকাকে আটকে ধরেছেন বলে তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। কারণ তারেক রহমান বেঁচে থাকলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বেঁচে থাকবে। এটা পরাধীনতার রাজনীতিতে বিশ্বাসীরা কোনভাবে মেনে নিতে পারে না। তিনি বলেন, এই আধিপত্যবাদের ক্রীড়নক সরকারেকে হটিয়ে গণতন্ত্র, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে। সেই জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই জুলুমবাজ সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। ক্ষমতাসীন সরকার যতই চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র, মানুষ হত্যা, হামলা-মামলা করুক না কেন জনগণের দাবি দমিয়ে রাখতে পারবে না। বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার (অব.) হান্নান শাহ বলেন, ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা ধরে আগামীতে এর বিচার করা হবে। বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, তারেক রহমান বিদেশে ফেরারি নন। চিকিৎসা নেয়ার জন্য তিনি বিদেশে রয়েছেন এবং সুস্থ হয়ে দেশে ফিরবেন। তিনি সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে এলে ক্ষমতাসীন সরকার ভেঙে যাবে। সেই জন্য তারেক রহমানের কথা শুনলে আওয়ামী লীগের মাথাব্যথা শুরু হয়ে যায়। মির্জা আব্বাস বলেন, দেশে ফিরে এলে সরকার পতনের জন্য কঠোর আন্দোলনে দেশের সবাইকে নিয়ে মাঠে নামবেন তিনি। তারেক রহমান যুক্তরাজ্যের কুইন্স মেরি বিশ্ববিদ্যালয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে ২৫-৩০ বছর পর বাংলাদেশ কোন পর্যায়ে যেতে পারে, সে বিষয়ে তার চিন্তার প্রকাশ ঘটেছে। আগামী মাস তিনেকের মধ্যে তারেক এই বক্তব্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেবেন বলে আমি আশা করি। তিনি বলেন, মার্চ এপ্রিলের মধ্যেই তারেক রহমানকে আশা করছি। তখন দেশের বর্তমান রাজনৈতিক চেহারার পরিবর্তন ঘটবে। দেশের অবস্থা এখনকার মতো থাকবে না। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি মোস্তাহিদুর রহমান বলেন, তারেক রহমান সত্য ভাষণ দিয়েছেন। এ কারণে তার বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে, সমন জারি হচ্ছে। আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ বক্তব্য দেন।
>> তারেক রহমানের ৫০তম জন্মদিনের আলোচনায় দর্শক সারিতে খালেদা জিয়া
No comments