সাড়ে তিন লাখ টাকা আত্মসাতের শাস্তি দুই ইনক্রিমেন্ট স্থগিত
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ১/ক ইউনিটের পরিবারকল্যাণ সহকারী ফেরদৌসী বেগম (বকুল)। কর্মস্থলে থাকা বাধ্যতামূলক হলেও দীর্ঘদিন ধরে তিনি বসবাস করেন প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায়। কর্মস্থলের প্রতিটি দম্পতির মাঝে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী বিতরণ করা তার কাজ। কিন্তু সেটা তিনি কদাচিতই করেন। তবে সরকারি এসব সামগ্রী ওষুধের দোকানে বিক্রি করতে কখনও ভুল হয় না তার। কয়েক বছরে সাড়ে তিন লাখ টাকার জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী বিক্রি করে সমুদয় অর্থ আত্মসাৎ করেছেন তিনি। পরিবারকল্যাণ অধিদফতরের একাধিক নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ চিত্র।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে আত্মসাৎ করা অর্থ আদায় ও তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থাসহ নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু তা না করে রহস্যজনকভাবে দুটি বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট তিন বছরের জন্য স্থগিত করেই দায়িত্ব সেরেছে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর। ২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর পরিকল্পনা অধিদফতরের তৎকালীন পরিচালক (প্রশাসন) ডা. একেএম মাহবুবুর রহমান এ আদেশ দেন। ফলে ফেরদৌসী বেগম আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
জানতে চাইলে পরিকল্পনা অধিদফতরের বর্তমান পরিচালক (প্রশাসন) ডা. জামাল হোসাইন মঙ্গলবার যুগান্তরকে বলেন, এ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে উচিত চাকরিচ্যুত করা। কি কারণে তার শাস্তি এত কম হল তা আমার জানা নেই। তবে এ বিষয়ে কেউ নতুন করে অভিযোগ করলে তা তদন্ত করে দেখা হবে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। ডা. মাহবুব ইতিমধ্যে অবসরে গেছেন। পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের দুটি নিরীক্ষা প্রতিবেদনে ফেরদৌসী বেগমের বিরুদ্ধে তিন লাখ ৫৩ হাজার ৫০৬ টাকার অডিট আপত্তি পাওয়া গেছে। ২০১১ সালের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেরদৌসী বেগম ২০০৪-২০০৯ পর্যন্ত মুরাদনগর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা স্টোর থেকে এক হাজার ১৭৯ ভায়েল ইনজেকশন, ১৫ হাজার ৪৯২ পিস কনডম ও ১৬ হাজার ৮১২ সাইকেল বড়ি গ্রহণ করেন তার নির্দিষ্ট এলাকার জনগণের মধ্যে বিতরণের জন্য। কিন্তু তিনি তা বিতরণ করেছেন বলে রেজিস্টারে পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ তিনি এসব উপকরণ আত্মসাৎ করেছেন। যার সরকারি মূল্য এক লাখ ৮৩ হাজার ৮৭১ টাকা।
এছাড়াও উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে গঠিত ৪টি তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ফেরদৌসী বেগমের জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী তসরুপের অভিযোগে ২০১২ সালে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর একটি বিশেষ অডিট টিম গঠন করে। অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (নিরীক্ষা) ফরিদা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের টিম সরেজমিন পরিদর্শন শেষে একই বছরের ১২ ডিসেম্বর প্রতিবেদন জমা দেয়। তাতে বলা হয়, মাঠ পর্যায়ে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী বিতরণ দেখিয়ে ইনজেকশন ডিপো প্রভেরা, কনডম ও খাবার বড়ি সুখী আত্মসাৎ করা হয়েছে। যার ক্রয়মূল্য এক লাখ ৬৪ হাজার ৬০১ টাকা। এছাড়া রেজিস্টারে মাসিক মজুদ ও বিতরণ সংরক্ষণ না করায় ৫ হাজার ৩৪ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। উভয় প্রতিবেদনে আপত্তিকৃত অর্থ আদায়সহ সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিধিগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
এছাড়া অর্থ আত্মসাৎ ছাড়াও ফেরদৌসী বেগমের বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে হত্যার হুমকি প্রদান, সহকর্মীদের সঙ্গে অসদাচরণ ও হুমকি-ধমকি দিয়ে অর্থ আদায়সহ নানা অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ তদন্তে সরকারিভাবে জেলা ও মাঠপর্যায়ে ফেরদৌসী বেগমের বিরুদ্ধে আরও ৫টি তদন্ত কমিটি হয়েছে। প্রতিটি তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে তার দায়িত্বে অবহেলা, সহকর্র্মীদের প্রতি ঔদ্ধত্য আচরণ, আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র।
এসব তদন্ত প্রতিবেদন বলছে, ফেরদৌসী বেগম নানা ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। কেউ তার অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদ করলেই নানাভাবে তাকে হেনস্থা করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগকারী মুরাদনগর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা একেএম জহিরুল ইসলামকে দশ লাখ টাকা খরচ করে জানে মেরে ফেলার হুমকিও দেন তিনি। চলতি বছরের ১০ এপ্রিল ফেরদৌসী বেগম নিজে ও তার ছেলে জাকিরকে নিয়ে জহিরুল ইসলামের অফিস কক্ষে ঢুকে তাকে লাঞ্ছিত করেন। তখন মুরাদনগর থানা থেকে পুলিশ এসে জহিরুল ইসলামকে উদ্ধার করে। এর আগে ফেরদৌসী বেগম জহিরুল ইসলামকে মোবাইল ফোনে হুমকি দিলে তিনি ২০১২ সালের ৪ জুলাই মুরাদনগর থানায় জিডি করেন। নম্বর ১৫৮।
এ অবস্থায় ফেরদৌসী বেগমকে অন্যত্র বদলির দাবিতে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সব কর্মী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কমিটির সভাপতি ও তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে অন্যত্র বদলির জন্য সুপারিশ করেন উপজেলা চেয়ারম্যান। চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবার পরিকল্পনা পরিচালকের কাছে কুমিল্লা জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় থেকে ফেরদৌসী বেগমকে অন্যত্র বদলির জন্য চিঠি দেয়া হলেও এখনও তিনি বহাল তবিয়তে রয়েছেন।
জানতে চাইলে মুরাদনগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শনিবার মোবাইল ফোনে যুগান্তরকে বলেন, ফেরদৌসী বেগমকে বদলি করতে তার দফতরের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী আমাকে ঘেরাও করেছিল। তাকে অন্যত্র বদলি করতে কর্র্তৃপক্ষের কাছে চিঠিও দিয়েছিলাম আমি। কেন জানি তাকে বদলি করা হয়নি।
তদন্ত প্রতিবেদনের এসব অনিয়ম ও দুর্নীতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ফেরদৌসী বেগম যুগান্তরকে বলেন, এসব অভিযোগ সবই মিথ্যা। আমি কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতি করিনি। যেসব সামগ্রী বিতরণ করেছি তার প্রমাণ ও দলিল আমার কাছে রয়েছে। তাহলে আপনার ইনক্রিমেন্ট স্থগিত করেছে কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্ত কর্মকর্তারা যা খুশি তাই লিখতে পারেন। তারা ভালো মনে করেছেন তাই আমার ইনক্রিমেন্ট স্থগিত করেছেন। কর্মস্থলে না থাকার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এড়িয়ে যান।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে আত্মসাৎ করা অর্থ আদায় ও তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থাসহ নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু তা না করে রহস্যজনকভাবে দুটি বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট তিন বছরের জন্য স্থগিত করেই দায়িত্ব সেরেছে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর। ২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর পরিকল্পনা অধিদফতরের তৎকালীন পরিচালক (প্রশাসন) ডা. একেএম মাহবুবুর রহমান এ আদেশ দেন। ফলে ফেরদৌসী বেগম আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
জানতে চাইলে পরিকল্পনা অধিদফতরের বর্তমান পরিচালক (প্রশাসন) ডা. জামাল হোসাইন মঙ্গলবার যুগান্তরকে বলেন, এ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে উচিত চাকরিচ্যুত করা। কি কারণে তার শাস্তি এত কম হল তা আমার জানা নেই। তবে এ বিষয়ে কেউ নতুন করে অভিযোগ করলে তা তদন্ত করে দেখা হবে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। ডা. মাহবুব ইতিমধ্যে অবসরে গেছেন। পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের দুটি নিরীক্ষা প্রতিবেদনে ফেরদৌসী বেগমের বিরুদ্ধে তিন লাখ ৫৩ হাজার ৫০৬ টাকার অডিট আপত্তি পাওয়া গেছে। ২০১১ সালের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেরদৌসী বেগম ২০০৪-২০০৯ পর্যন্ত মুরাদনগর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা স্টোর থেকে এক হাজার ১৭৯ ভায়েল ইনজেকশন, ১৫ হাজার ৪৯২ পিস কনডম ও ১৬ হাজার ৮১২ সাইকেল বড়ি গ্রহণ করেন তার নির্দিষ্ট এলাকার জনগণের মধ্যে বিতরণের জন্য। কিন্তু তিনি তা বিতরণ করেছেন বলে রেজিস্টারে পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ তিনি এসব উপকরণ আত্মসাৎ করেছেন। যার সরকারি মূল্য এক লাখ ৮৩ হাজার ৮৭১ টাকা।
এছাড়াও উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে গঠিত ৪টি তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ফেরদৌসী বেগমের জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী তসরুপের অভিযোগে ২০১২ সালে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর একটি বিশেষ অডিট টিম গঠন করে। অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (নিরীক্ষা) ফরিদা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের টিম সরেজমিন পরিদর্শন শেষে একই বছরের ১২ ডিসেম্বর প্রতিবেদন জমা দেয়। তাতে বলা হয়, মাঠ পর্যায়ে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী বিতরণ দেখিয়ে ইনজেকশন ডিপো প্রভেরা, কনডম ও খাবার বড়ি সুখী আত্মসাৎ করা হয়েছে। যার ক্রয়মূল্য এক লাখ ৬৪ হাজার ৬০১ টাকা। এছাড়া রেজিস্টারে মাসিক মজুদ ও বিতরণ সংরক্ষণ না করায় ৫ হাজার ৩৪ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। উভয় প্রতিবেদনে আপত্তিকৃত অর্থ আদায়সহ সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিধিগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
এছাড়া অর্থ আত্মসাৎ ছাড়াও ফেরদৌসী বেগমের বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে হত্যার হুমকি প্রদান, সহকর্মীদের সঙ্গে অসদাচরণ ও হুমকি-ধমকি দিয়ে অর্থ আদায়সহ নানা অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ তদন্তে সরকারিভাবে জেলা ও মাঠপর্যায়ে ফেরদৌসী বেগমের বিরুদ্ধে আরও ৫টি তদন্ত কমিটি হয়েছে। প্রতিটি তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে তার দায়িত্বে অবহেলা, সহকর্র্মীদের প্রতি ঔদ্ধত্য আচরণ, আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র।
এসব তদন্ত প্রতিবেদন বলছে, ফেরদৌসী বেগম নানা ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। কেউ তার অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদ করলেই নানাভাবে তাকে হেনস্থা করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগকারী মুরাদনগর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা একেএম জহিরুল ইসলামকে দশ লাখ টাকা খরচ করে জানে মেরে ফেলার হুমকিও দেন তিনি। চলতি বছরের ১০ এপ্রিল ফেরদৌসী বেগম নিজে ও তার ছেলে জাকিরকে নিয়ে জহিরুল ইসলামের অফিস কক্ষে ঢুকে তাকে লাঞ্ছিত করেন। তখন মুরাদনগর থানা থেকে পুলিশ এসে জহিরুল ইসলামকে উদ্ধার করে। এর আগে ফেরদৌসী বেগম জহিরুল ইসলামকে মোবাইল ফোনে হুমকি দিলে তিনি ২০১২ সালের ৪ জুলাই মুরাদনগর থানায় জিডি করেন। নম্বর ১৫৮।
এ অবস্থায় ফেরদৌসী বেগমকে অন্যত্র বদলির দাবিতে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সব কর্মী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কমিটির সভাপতি ও তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে অন্যত্র বদলির জন্য সুপারিশ করেন উপজেলা চেয়ারম্যান। চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবার পরিকল্পনা পরিচালকের কাছে কুমিল্লা জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় থেকে ফেরদৌসী বেগমকে অন্যত্র বদলির জন্য চিঠি দেয়া হলেও এখনও তিনি বহাল তবিয়তে রয়েছেন।
জানতে চাইলে মুরাদনগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শনিবার মোবাইল ফোনে যুগান্তরকে বলেন, ফেরদৌসী বেগমকে বদলি করতে তার দফতরের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী আমাকে ঘেরাও করেছিল। তাকে অন্যত্র বদলি করতে কর্র্তৃপক্ষের কাছে চিঠিও দিয়েছিলাম আমি। কেন জানি তাকে বদলি করা হয়নি।
তদন্ত প্রতিবেদনের এসব অনিয়ম ও দুর্নীতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ফেরদৌসী বেগম যুগান্তরকে বলেন, এসব অভিযোগ সবই মিথ্যা। আমি কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতি করিনি। যেসব সামগ্রী বিতরণ করেছি তার প্রমাণ ও দলিল আমার কাছে রয়েছে। তাহলে আপনার ইনক্রিমেন্ট স্থগিত করেছে কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্ত কর্মকর্তারা যা খুশি তাই লিখতে পারেন। তারা ভালো মনে করেছেন তাই আমার ইনক্রিমেন্ট স্থগিত করেছেন। কর্মস্থলে না থাকার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এড়িয়ে যান।
No comments