পুলিশ হতে সতীত্ব পরীক্ষা!
বয়স হতে হবে সাড়ে ১৭ থেকে ২২-এর মধ্যে, উচ্চতা ন্যূনতম ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি। সঙ্গে দিতে হবে সতীত্ব পরীক্ষা। ইন্দোনেশিয়ার নারীদের পুলিশে চাকরি নিতে হলে সতীত্ব পরীক্ষাকে পূর্বশর্ত হিসেবেই গ্রহণ করতে হয়। সম্প্রতি হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) পক্ষ থেকে এ পদ্ধতিতে ‘বৈষম্যমূলক ও মানবাধিকার লংঘন’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সংস্থাটির পক্ষ থেকে এ নির্মম পদ্ধতি বাতিলেরও আহ্বান জানানো হয়েছে। এর আগে অবশ্য দেশটির পুলিশের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও এ পদ্ধতিটি বাতিলের কথা বলেছিলেন। কিন্তু মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটিতে তা এখনও বহাল রয়েছে। চলতি বছরের শুরুতে সাত হাজার নারী দেশটির পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেয়। তাদেরও এই পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়েছে। এইচআরডব্লিউ এ বিষয়ে দেশটির বেশ কয়েকজন নারী পুলিশের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। তারা সবাই এ পদ্ধতি বন্ধের পক্ষে মত দিয়েছেন। ভুক্তভোগী নারীরা ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ নামে পরিচিত এ পদ্ধতিকে যন্ত্রণাদায়ক ও ক্ষত সৃষ্টিকারী হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
এছাড়া অপরিচিতের সামনে পোশাক খোলার সময় বেশ লজ্জাজনক পরিস্থিতির শিকার হতে হয় বলেও জানিয়েছেন তারা। তবে ইন্দোনেশিয়ার এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা এ পদ্ধতিকে প্রয়োজনীয় বলে উল্লেখ করেছেন। নারীদের শরীরে যৌনবাহিত রোগ আছে কিনা এবং তা যেন না ছড়ায় এ বিষয়টি নিশ্চিতে এ পরীক্ষা করা হয় বলে উল্লেখ করেন তিনি। এটা পেশাদারিত্বের বিষয় ও তা পরীক্ষার্থীর জন্য ক্ষতিকর নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। চলতি বছরের শুরুতে দেশটির একটি শহরের শিক্ষা বিভাগের প্রধান ছাত্রীদের উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে সতীত্ব পরীক্ষার পরামর্শ দিলে বিষয়টি সবার নজরে আসে। এএফপি।
এছাড়া অপরিচিতের সামনে পোশাক খোলার সময় বেশ লজ্জাজনক পরিস্থিতির শিকার হতে হয় বলেও জানিয়েছেন তারা। তবে ইন্দোনেশিয়ার এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা এ পদ্ধতিকে প্রয়োজনীয় বলে উল্লেখ করেছেন। নারীদের শরীরে যৌনবাহিত রোগ আছে কিনা এবং তা যেন না ছড়ায় এ বিষয়টি নিশ্চিতে এ পরীক্ষা করা হয় বলে উল্লেখ করেন তিনি। এটা পেশাদারিত্বের বিষয় ও তা পরীক্ষার্থীর জন্য ক্ষতিকর নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। চলতি বছরের শুরুতে দেশটির একটি শহরের শিক্ষা বিভাগের প্রধান ছাত্রীদের উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে সতীত্ব পরীক্ষার পরামর্শ দিলে বিষয়টি সবার নজরে আসে। এএফপি।
No comments