সারদাকাণ্ডে জড়িত প্রমাণ হলে মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়বেন মমতা
সারদা চিটফান্ড কেলেংকারির সঙ্গে সম্পর্ক প্রমাণিত হলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়বেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি। এক সময় তার ঘনিষ্ঠ সংসদ সদস্য কুনাল ঘোষের অভিযোগ প্রসঙ্গে নয়াদিল্লিতে একটি টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মমতা বলেন, শুধু শুধু দাবি করলেই হল? আপনাকে তো প্রমাণ করতে হবে? যদি আমার সঙ্গে সারদাকাণ্ডের যোগাযোগ প্রমাণ হয়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রিত্বে ইস্তফা দেব।
সত্যিই তিনি ইস্তফা দেবেন কিনা-এমন প্রশ্নের উত্তরে মমতা বলেন, হ্যাঁ। আমি তো বারবার বলছি, সব সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। ৩৪ বছর ধরে বামফ্রন্ট আমলে এসব হয়েছে। আগের সরকারের সময়ে কোটি কোটি মানুষ প্রতারিত হয়েছে। সব চিটফান্ডের জন্ম বামফ্রন্ট আমলে। আমরা প্রতারকদের ধরেছি। পাঁচ লাখ মানুষের টাকা ফেরত দিয়েছি। তাই আমি ফের বলছি, সারদা ইস্যুতে আমার যোগাযোগ প্রমাণিত হলে পদত্যাগ করবই। এক সময় মমতার খুবই ঘনিষ্ঠ ও তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত সংসদ সদস্য কুনাল কয়েকদিন আগে অভিযোগ করেন, সারদা কেলেংকারির সবকিছুই মুখ্যমন্ত্রী জানেন। সারদার তহবিল থেকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যিনি সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছেন তিনি মমতা ব্যানার্জি।
গতকাল বিষয়টি উল্লেখ করতেই মমতা ক্ষুব্ধ স্বরে বলেন, আমাকে জড়িয়ে কেউ কেউ অপপ্রচার করছে। আমি চ্যালেঞ্জ করছি, আমাকে নিয়ে করা অভিযোগ প্রমাণ হলে ইস্তফা দেব তৎক্ষণাৎ।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর এ দাবির ঘণ্টা কয়েকের মধ্যেই তার মন্ত্রিসভার পরিবহন ও ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র এবং সংসদ সদস্য সঞ্জয় বোসকে তলবের চিঠি পৌঁছে দেয় সিবিআই। সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের অফিসে যাওয়ার জন্য নোটিশ পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাটি।
এর আগে রাজ্যের বস্ত্রমন্ত্রী শামাপদ মুখোপাধ্যায়কে ডেকেছিল সিবিআই। মদন মিত্র দ্বিতীয় মন্ত্রী যাকে সারদাকাণ্ডে ডেকে পাঠালেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। একইসঙ্গে সারদাকাণ্ডের তদন্তে এবার ডাকা হচ্ছে কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্র এবং সিপিএম সংসদ সদস্য মহম্মদ সেলিমকে। ডাকা হচ্ছে জ্যোতি বসু মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্তকেও। তৃণমূলের পাশাপাশি সিপিএম এবং কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের সিবিআই ডেকে পাঠানোয় পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার ওরফে নিতুকে জেরা করে কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্র সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে পেরেছেন সিবিআই কর্তারা। নিতু সিবিআইকে জানিয়েছেন, ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে সারদার যা চুক্তি হয়েছে তা সবটাই জানেন সোমেন মিত্র। এমনকি তিনি সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনকে সঙ্গে নিয়ে সোমেন মিত্রের আমহার্স্ট স্ট্রিটের ফ্ল্যাটেও যান। সেখানেই সোমেন মিত্রের হাতে টাকা তুলে দেয়া হয়।
শুক্রবার সকালে কলকাতায় সিবিআইর সদর দফতর সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে সোমেনকে। এ বিষয়ে সুদীপ্ত সেনের সঙ্গেও কথা বলতে পারেন তদন্তকারী সিবিআই কর্মকর্তারা। সাবেক অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্তকেও তথ্য জানার জন্য ডাকতে পারে সিবিআই।
সত্যিই তিনি ইস্তফা দেবেন কিনা-এমন প্রশ্নের উত্তরে মমতা বলেন, হ্যাঁ। আমি তো বারবার বলছি, সব সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। ৩৪ বছর ধরে বামফ্রন্ট আমলে এসব হয়েছে। আগের সরকারের সময়ে কোটি কোটি মানুষ প্রতারিত হয়েছে। সব চিটফান্ডের জন্ম বামফ্রন্ট আমলে। আমরা প্রতারকদের ধরেছি। পাঁচ লাখ মানুষের টাকা ফেরত দিয়েছি। তাই আমি ফের বলছি, সারদা ইস্যুতে আমার যোগাযোগ প্রমাণিত হলে পদত্যাগ করবই। এক সময় মমতার খুবই ঘনিষ্ঠ ও তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত সংসদ সদস্য কুনাল কয়েকদিন আগে অভিযোগ করেন, সারদা কেলেংকারির সবকিছুই মুখ্যমন্ত্রী জানেন। সারদার তহবিল থেকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যিনি সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছেন তিনি মমতা ব্যানার্জি।
গতকাল বিষয়টি উল্লেখ করতেই মমতা ক্ষুব্ধ স্বরে বলেন, আমাকে জড়িয়ে কেউ কেউ অপপ্রচার করছে। আমি চ্যালেঞ্জ করছি, আমাকে নিয়ে করা অভিযোগ প্রমাণ হলে ইস্তফা দেব তৎক্ষণাৎ।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর এ দাবির ঘণ্টা কয়েকের মধ্যেই তার মন্ত্রিসভার পরিবহন ও ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র এবং সংসদ সদস্য সঞ্জয় বোসকে তলবের চিঠি পৌঁছে দেয় সিবিআই। সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের অফিসে যাওয়ার জন্য নোটিশ পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাটি।
এর আগে রাজ্যের বস্ত্রমন্ত্রী শামাপদ মুখোপাধ্যায়কে ডেকেছিল সিবিআই। মদন মিত্র দ্বিতীয় মন্ত্রী যাকে সারদাকাণ্ডে ডেকে পাঠালেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। একইসঙ্গে সারদাকাণ্ডের তদন্তে এবার ডাকা হচ্ছে কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্র এবং সিপিএম সংসদ সদস্য মহম্মদ সেলিমকে। ডাকা হচ্ছে জ্যোতি বসু মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্তকেও। তৃণমূলের পাশাপাশি সিপিএম এবং কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের সিবিআই ডেকে পাঠানোয় পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার ওরফে নিতুকে জেরা করে কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্র সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে পেরেছেন সিবিআই কর্তারা। নিতু সিবিআইকে জানিয়েছেন, ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে সারদার যা চুক্তি হয়েছে তা সবটাই জানেন সোমেন মিত্র। এমনকি তিনি সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনকে সঙ্গে নিয়ে সোমেন মিত্রের আমহার্স্ট স্ট্রিটের ফ্ল্যাটেও যান। সেখানেই সোমেন মিত্রের হাতে টাকা তুলে দেয়া হয়।
শুক্রবার সকালে কলকাতায় সিবিআইর সদর দফতর সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে সোমেনকে। এ বিষয়ে সুদীপ্ত সেনের সঙ্গেও কথা বলতে পারেন তদন্তকারী সিবিআই কর্মকর্তারা। সাবেক অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্তকেও তথ্য জানার জন্য ডাকতে পারে সিবিআই।
No comments