হুমকির মুখে তিস্তা ব্যারাজ : ভারি যান চলাচল নিষিদ্ধ
ভারি যানবাহন চলাচলের কারণে দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ হুমকির মুখে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ব্যারাজের ওপর দিয়ে নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে ভারি যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেয়ায় তিস্তা ব্যারাজের বিভিন্ন স্থানে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। তাই আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে তিস্তা ব্যারাজের ওপর দিয়ে সব ধরনের ভারি যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃক্ষ। এ জন্য বুধবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া ডিভিশন থেকে এ আদেশের নোটিশ বিভিন্ন স্থানে প্রেরণ করা হয়। সূত্র মতে, তিস্তা ব্যারাজ নির্মাণ করা হয় শুধু সেচ প্রদানের নিমিত্তে। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি তথা চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ব্যারাজের ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচলের জন্য ইজারা পদ্ধতি চালু করে। সেই থেকে তিস্তা ব্যারাজের ওপর দিয়ে বুড়িমারী স্থলবন্দর ছাড়াও পাথর, বালু ও মালামাল পরিবহনে ১০ চাকার মালবোঝাই ট্রাক চলাচল শুরু করে। ভারি যানবাহন চলাচলের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকে। এরপর শুরু হয় যানবহন চলাচলের টোল আদায়ের ইজারা নিয়ে প্রতিযোগিতা। সর্বশেষ শর্তসাপেক্ষে গত বছর ২ কোটি ৮৮ লাখ টাকায় ব্যারাজের ওপর দিয়ে যান চলাচলের টোল আদায়ে ইজারা নেন লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা এলাকার প্রভাবশালী আলমগীর হোসেন রন্টু। শর্ত থাকে ব্যারাজের ওপর দিয়ে ২০ মেট্রিক টনের অধিক মালবাহী ট্রাক চলাচল করতে পারবে না।
এ জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া ডিভিশনের যান্ত্রিক বিভাগের পক্ষে সেখানে পরিমাপক যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছিল। এ জন্য ইজারাদার কর্তৃক তিস্তা ব্যারাজের ওপর দিয়ে চলাচলের জন্য বাইসাইকেল, রিকশা, ভ্যান থেকে ৬ টাকা, মোটরসাইকেল ২০ টাকা, মাইক্রোবাস ৮০ টাকা, খালি ট্রাক ২০০ টাকা, ২০ টন মালবাহী ট্রাক ও বাস থেকে ৫০০ টাকা করে টোল আদায় করা হয়। তবে ২০ টনের বেশি মালাবোঝাই যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বাস্তবে তা উপেক্ষা করা হয়। অভিযোগ মতে পরিমাপ যন্ত্রটি ইচ্ছাকৃতভাবে অকেজো দেখানো হয়। ফলে ইজারাদার, দায়িত্বরত পুলিশ, আনসার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কতিপয় কর্মচারী এবং সিবিএ নেতারা ২৫ থেকে ৪০ মেট্রিক টনের বেশি মালবাহী ট্রাক চলাচল অব্যাহত রাখে। এ জন্য ১ হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায় করা হচ্ছে। প্রতিদিন ব্যারাজের ওপর দিয়ে কমপক্ষ দুই শতাধিক ৩০ মেট্রিক টন মালবোঝাই ট্রাক চলাচল করতে থাকে। এতে ব্যারাজে বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দেয়।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তিস্তা ব্যারাজের ওপর দিয়ে আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে সব ধরনের ভারি যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বুধবার বিভিন্ন স্থানে নোটিশ জারি করেছে।
এ জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া ডিভিশনের যান্ত্রিক বিভাগের পক্ষে সেখানে পরিমাপক যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছিল। এ জন্য ইজারাদার কর্তৃক তিস্তা ব্যারাজের ওপর দিয়ে চলাচলের জন্য বাইসাইকেল, রিকশা, ভ্যান থেকে ৬ টাকা, মোটরসাইকেল ২০ টাকা, মাইক্রোবাস ৮০ টাকা, খালি ট্রাক ২০০ টাকা, ২০ টন মালবাহী ট্রাক ও বাস থেকে ৫০০ টাকা করে টোল আদায় করা হয়। তবে ২০ টনের বেশি মালাবোঝাই যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বাস্তবে তা উপেক্ষা করা হয়। অভিযোগ মতে পরিমাপ যন্ত্রটি ইচ্ছাকৃতভাবে অকেজো দেখানো হয়। ফলে ইজারাদার, দায়িত্বরত পুলিশ, আনসার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কতিপয় কর্মচারী এবং সিবিএ নেতারা ২৫ থেকে ৪০ মেট্রিক টনের বেশি মালবাহী ট্রাক চলাচল অব্যাহত রাখে। এ জন্য ১ হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায় করা হচ্ছে। প্রতিদিন ব্যারাজের ওপর দিয়ে কমপক্ষ দুই শতাধিক ৩০ মেট্রিক টন মালবোঝাই ট্রাক চলাচল করতে থাকে। এতে ব্যারাজে বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দেয়।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তিস্তা ব্যারাজের ওপর দিয়ে আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে সব ধরনের ভারি যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বুধবার বিভিন্ন স্থানে নোটিশ জারি করেছে।
No comments