ভিন্ন সম্প্রদায়ের ছেলেকে বিয়ের অপরাধে মেয়েকে হত্যা
ভিন্ন সম্প্রদায়ের ছেলেকে ভালোবেসে বিয়ে করার অপরাধে প্রাণ দিতে হয়েছে ভারতের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক ছাত্রীকে। শুধু তা–ই নয় তথাকথিত পারিবারিক সম্মান রক্ষার জন্য মা–বাবাই তাঁকে গলা টিপে হত্যা করেছেন। মেয়েকে হত্যার অপরাধে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ভাবনার বাবা জমি ব্যবসায়ী ও স্থানীয় কংগ্রেস দলের নেতা জগমোহন ও তাঁর স্ত্রী সাবিত্রীকে (ভাবনার মা) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
টিএনএনে প্রকাশিত এক খবরে জানা যায়, ভাবনা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ ক্যাম্পাসের নামকরা শ্রীভেঙ্কটেশ্বর কলেজে পড়তেন। গত ১২ নভেম্বর আহির সম্প্রদায়ের ভাবনা যাদব (২১) বিয়ে করেন পাঞ্জাব সম্প্রদায়ের অভিষেক সেইতকে (২৪)। পরিবারের কেউ মেনে নেবে না জেনে একটি মন্দিরে বিয়ে করেন দুজন। বিয়ের পরে দুজনে সংসার শুরু করেন। অভিষেক সরকারি চাকরিজীবী ছিলেন।
বিয়ের খবর শুনে ভাবনার পরিবার তাঁকে বাড়ি ফিরে আসতে বলে। মা–বাবা জানান, তাঁরা ভাবনাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। ধুমধাম করে তাঁর বিয়ের অনুষ্ঠান করতে চান। মা–বাবার কাছে আসেন ভাবনা। কিন্তু তাঁরা ভাবনার ওপর নির্যাতন শুরু করেন। বিভিন্ন কৌশলে তাঁকে বাড়িতে আটকে রাখা হয়।
ভাবনার স্বামী অভিষেকের ভাষ্য, ভাবনার বাবা তাঁদের বলেছিলেন নিয়ম মেনে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের অনুষ্ঠান করবেন, যাতে করে তাঁদের পরিবারের সুনাম নষ্ট না হয়।
অভিষেক আরও জানান, কিন্তু মা–বাবা ভাবনার ওপর অত্যাচার শুরু করেন। অত্যাচারের মাত্রা এত বেড়ে যায় যে ভাবনা গত ১৪ নভেম্বর বাড়ি থেকে পালিয়ে তাঁর (অভিষেক) কাছে চলে আসেন। কিন্তু মা–বাবা আবার তাঁকে বুঝিয়ে বাড়ি নিয়ে যান।
অভিষেকের বিশ্বাস, স্বামীর প্রতি ভালোবাসা দেখে পরিবার তখনই তাঁকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়। ১৫ নভেম্বর ভাবনার সৎচাচা লক্ষ্মণ অভিষেককে ডেকে ভাবনার কাছ থেকে তাঁকে দূরে থাকতে বলে, অন্যথায় তিনি দুজনকেই হত্যা করবেন বলে হুমকি দেন। ওই দিন রাতেই ভাবনাকে মারধর করা হয়। পরে তাঁকে গলা টিপে হত্যা করা হয়। মাহেন্দর নামের এক আত্মীয়কে গাড়ি নিয়ে আসতে বলেন ভাবনার মা–বাবা। ভাবনার মরদেহ তাড়াতাড়ি তাঁদের বাড়ি রাজস্থানের আলাওয়ারে নিয়ে যাওয়া হয়। কেউ জানার আগেই ভাবনার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। ধারণা করা হচ্ছে, মাহেন্দরও ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারে।
হত্যার পরদিন অভিষেক ভাবনাকে ফোনে পাচ্ছিলেন না। খুদে বার্তা পাঠিয়েও কোনো উত্তর পাওয়া যাচ্ছিল না। চিন্তিত অভিষেক ফোন করেন ভাবনার চাচা লক্ষ্মণকে। তিনিও ফোন ধরেননি। পরে ভাবনার চাচাতো ভাই ফোন করে জানায় যে সে মারা গেছে। তাঁর শেষকৃত্য হয়ে গেছে।
দেরি না করে অভিষেক থানায় গিয়ে প্রাথমিক অভিযোগ করেন। পুলিশকে ভাবনার মা–বাবা জানান, সাপের কামড়ে তাঁদের মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ তাঁদের আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। তিহার জেলে ভাবনার মা–বাবাকে রাখা হয়েছে।
পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার তেজেন্দ্র লুথরা টিএনএনকে জানান, যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ সাপেক্ষে তাঁরা ভাবনার মা–বাবাকে গ্রেপ্তার করেছেন। ভাবনার সৎচাচাকে পুলিশ খুঁজছে। হত্যাকাণ্ডে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
টিএনএনে প্রকাশিত এক খবরে জানা যায়, ভাবনা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ ক্যাম্পাসের নামকরা শ্রীভেঙ্কটেশ্বর কলেজে পড়তেন। গত ১২ নভেম্বর আহির সম্প্রদায়ের ভাবনা যাদব (২১) বিয়ে করেন পাঞ্জাব সম্প্রদায়ের অভিষেক সেইতকে (২৪)। পরিবারের কেউ মেনে নেবে না জেনে একটি মন্দিরে বিয়ে করেন দুজন। বিয়ের পরে দুজনে সংসার শুরু করেন। অভিষেক সরকারি চাকরিজীবী ছিলেন।
বিয়ের খবর শুনে ভাবনার পরিবার তাঁকে বাড়ি ফিরে আসতে বলে। মা–বাবা জানান, তাঁরা ভাবনাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। ধুমধাম করে তাঁর বিয়ের অনুষ্ঠান করতে চান। মা–বাবার কাছে আসেন ভাবনা। কিন্তু তাঁরা ভাবনার ওপর নির্যাতন শুরু করেন। বিভিন্ন কৌশলে তাঁকে বাড়িতে আটকে রাখা হয়।
ভাবনার স্বামী অভিষেকের ভাষ্য, ভাবনার বাবা তাঁদের বলেছিলেন নিয়ম মেনে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের অনুষ্ঠান করবেন, যাতে করে তাঁদের পরিবারের সুনাম নষ্ট না হয়।
অভিষেক আরও জানান, কিন্তু মা–বাবা ভাবনার ওপর অত্যাচার শুরু করেন। অত্যাচারের মাত্রা এত বেড়ে যায় যে ভাবনা গত ১৪ নভেম্বর বাড়ি থেকে পালিয়ে তাঁর (অভিষেক) কাছে চলে আসেন। কিন্তু মা–বাবা আবার তাঁকে বুঝিয়ে বাড়ি নিয়ে যান।
অভিষেকের বিশ্বাস, স্বামীর প্রতি ভালোবাসা দেখে পরিবার তখনই তাঁকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়। ১৫ নভেম্বর ভাবনার সৎচাচা লক্ষ্মণ অভিষেককে ডেকে ভাবনার কাছ থেকে তাঁকে দূরে থাকতে বলে, অন্যথায় তিনি দুজনকেই হত্যা করবেন বলে হুমকি দেন। ওই দিন রাতেই ভাবনাকে মারধর করা হয়। পরে তাঁকে গলা টিপে হত্যা করা হয়। মাহেন্দর নামের এক আত্মীয়কে গাড়ি নিয়ে আসতে বলেন ভাবনার মা–বাবা। ভাবনার মরদেহ তাড়াতাড়ি তাঁদের বাড়ি রাজস্থানের আলাওয়ারে নিয়ে যাওয়া হয়। কেউ জানার আগেই ভাবনার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। ধারণা করা হচ্ছে, মাহেন্দরও ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারে।
হত্যার পরদিন অভিষেক ভাবনাকে ফোনে পাচ্ছিলেন না। খুদে বার্তা পাঠিয়েও কোনো উত্তর পাওয়া যাচ্ছিল না। চিন্তিত অভিষেক ফোন করেন ভাবনার চাচা লক্ষ্মণকে। তিনিও ফোন ধরেননি। পরে ভাবনার চাচাতো ভাই ফোন করে জানায় যে সে মারা গেছে। তাঁর শেষকৃত্য হয়ে গেছে।
দেরি না করে অভিষেক থানায় গিয়ে প্রাথমিক অভিযোগ করেন। পুলিশকে ভাবনার মা–বাবা জানান, সাপের কামড়ে তাঁদের মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ তাঁদের আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। তিহার জেলে ভাবনার মা–বাবাকে রাখা হয়েছে।
পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার তেজেন্দ্র লুথরা টিএনএনকে জানান, যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ সাপেক্ষে তাঁরা ভাবনার মা–বাবাকে গ্রেপ্তার করেছেন। ভাবনার সৎচাচাকে পুলিশ খুঁজছে। হত্যাকাণ্ডে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
No comments