জামায়াত আর দুর্নীতি নিয়ে ভুগছে বিএনপি by রিয়াদুল করিম
প্রভাবশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে দুটি কারণে বেগ পেতে হচ্ছে বিএনপিকে। এর কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো বলছে, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বিএনপির ঘনিষ্ঠতা ও সরকারে থাকাকালে জঙ্গিবাদের উত্থান এবং সুশাসনের নিশ্চয়তা দিতে না পারা। কূটনীতিকদের সঙ্গে দলের সম্পর্কের বিষয়টি দেখেন বিএনপির এমন একজন নেতা প্রথম আলোকে বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে-পরে বিদেশিদের সঙ্গে, বিশেষ করে পশ্চিমাদের সঙ্গে বিভিন্ন বৈঠকে দুটি বিষয় বারবার উঠে এসেছে। এর একটি হলো জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির ঘনিষ্ঠতা। অন্যটি হলো তারা জানতে চায়, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দুর্নীতি কীভাবে কমাবে। সুশাসন নিশ্চিত করার মতো দক্ষ লোকবল দলটির আছে কি না। বিএনপি এ দুটি বিষয়ে এখনো পশ্চিমাদের পুরোপুরি আশ্বস্ত করতে পারেনি। অন্যদিকে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত মনে করে বিএনপি ভারতবিরোধী একটি দল। জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির ঘনিষ্ঠতা, বিভিন্ন সময়ে দলটির ভারতবিরোধী বক্তব্য এ বিশ্বাসকে আরও জোরালো করেছে।
বিএনপির ওই নেতা আরও জানান, বিএনপির পক্ষ থেকে এটি পরিষ্কার করার চেষ্টা চলছে যে, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বিএনপির যে জোট তা শুধুই নির্বাচনী জোট। আদর্শগতভাবে দুই দলের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। জামায়াতের নেতাদের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সাজা নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো কথা না বলাও এর একটি কারণ। কিন্তু মাঠের আন্দোলন ও ভোটের হিসাব মাথায় রেখে জামায়াতে ইসলামীকে ছাড়তে পারছে না বিএনপি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী অবশ্য দাবি করেছেন, এসবের কোনো ভিত্তি নেই। এসব কারও না-কারও মনগড়া কথা।
বিএনপির দলীয় সূত্র জানায়, মূলত ২০০১-২০০৬ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে বিদেশিদের সঙ্গে, বিশেষ করে পশ্চিমা দেশ ও ভারতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক খারাপ হয়। এ জন্য ওই সময় বিএনপির ‘লুক ইস্ট পলিসি’কে এখন দায়ী করছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকদের কেউ কেউ। এর পাশাপাশি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বিএনপির ঘনিষ্ঠতা, একই সময়ে দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ও দুর্নীতি এতে বড় ভূমিকা রেখেছে। সেই সময়ের ক্ষতি এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি বিএনপি।
এসব নিয়ে বিএনপির কোনো নেতা উদ্ধৃত হয়ে কথা বলতে রাজি হননি। তবে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদের লেখায় এ বিষয়টি ওঠে এসেছে। তবে দলটির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্যও এ বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চারদলীয় জোট সরকারের আমলের মন্ত্রী মওদুদ আহমদ তাঁর ‘কারাগারে কেমন ছিলাম (২০০৭-২০০৮)’ বইয়ে লিখেছেন, ‘বিশ্ব পর্যায়ে বিএনপি বন্ধুহীন হয়ে পড়া এবং রাজনীতিতে প্রান্তিক অবস্থায় চলে আসার পেছনে মূল কারণ হলো দুটি। সেগুলো হলো- (১) জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে গভীর সখ্যতার কারণে বিএনপিকে চিহ্নিত করা হয়েছে এমন ইসলামী উগ্রপন্থী শক্তির সহযোদ্ধা হিসেবে, যাদের মূল লক্ষ্য হলো ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা করা। যুক্তরাষ্ট্র বা ভারতের কাছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। (২) তারেক রহমানের নাম ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রীর অফিসে থাকা লোকজনের দুর্নীতি। বিএনপি যদি এ দুইয়ের গ্লানি কাটিয়ে ভারসাম্যময় মধ্যপন্থী গণতন্ত্রের ধারক-বাহক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে না পারে, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে ক্ষমতায় আসতে পারবে না এবং কোনোরকমে আসতে সক্ষম হলেও বেশিদিন তা ধরে রাখতে পারবে না।’
বিএনপির ওই নেতা আরও জানান, বিএনপির পক্ষ থেকে এটি পরিষ্কার করার চেষ্টা চলছে যে, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বিএনপির যে জোট তা শুধুই নির্বাচনী জোট। আদর্শগতভাবে দুই দলের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। জামায়াতের নেতাদের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সাজা নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো কথা না বলাও এর একটি কারণ। কিন্তু মাঠের আন্দোলন ও ভোটের হিসাব মাথায় রেখে জামায়াতে ইসলামীকে ছাড়তে পারছে না বিএনপি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী অবশ্য দাবি করেছেন, এসবের কোনো ভিত্তি নেই। এসব কারও না-কারও মনগড়া কথা।
বিএনপির দলীয় সূত্র জানায়, মূলত ২০০১-২০০৬ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে বিদেশিদের সঙ্গে, বিশেষ করে পশ্চিমা দেশ ও ভারতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক খারাপ হয়। এ জন্য ওই সময় বিএনপির ‘লুক ইস্ট পলিসি’কে এখন দায়ী করছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকদের কেউ কেউ। এর পাশাপাশি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বিএনপির ঘনিষ্ঠতা, একই সময়ে দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ও দুর্নীতি এতে বড় ভূমিকা রেখেছে। সেই সময়ের ক্ষতি এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি বিএনপি।
এসব নিয়ে বিএনপির কোনো নেতা উদ্ধৃত হয়ে কথা বলতে রাজি হননি। তবে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদের লেখায় এ বিষয়টি ওঠে এসেছে। তবে দলটির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্যও এ বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চারদলীয় জোট সরকারের আমলের মন্ত্রী মওদুদ আহমদ তাঁর ‘কারাগারে কেমন ছিলাম (২০০৭-২০০৮)’ বইয়ে লিখেছেন, ‘বিশ্ব পর্যায়ে বিএনপি বন্ধুহীন হয়ে পড়া এবং রাজনীতিতে প্রান্তিক অবস্থায় চলে আসার পেছনে মূল কারণ হলো দুটি। সেগুলো হলো- (১) জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে গভীর সখ্যতার কারণে বিএনপিকে চিহ্নিত করা হয়েছে এমন ইসলামী উগ্রপন্থী শক্তির সহযোদ্ধা হিসেবে, যাদের মূল লক্ষ্য হলো ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা করা। যুক্তরাষ্ট্র বা ভারতের কাছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। (২) তারেক রহমানের নাম ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রীর অফিসে থাকা লোকজনের দুর্নীতি। বিএনপি যদি এ দুইয়ের গ্লানি কাটিয়ে ভারসাম্যময় মধ্যপন্থী গণতন্ত্রের ধারক-বাহক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে না পারে, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে ক্ষমতায় আসতে পারবে না এবং কোনোরকমে আসতে সক্ষম হলেও বেশিদিন তা ধরে রাখতে পারবে না।’
No comments