মার্কিন সিনেটে কণ্ঠভোটে জয়ী মার্সিয়া
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মার্সিয়া স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাটের নাম প্রস্তাব করেছিলেন। ১৮ই নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্র সময় রাত ৮টা ২১ মিনিটের কিছু আগে কণ্ঠভোটে মার্কিন সিনেটে আরও চার জন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বার্নিকাটের প্রস্তাবটিও চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হয়েছে। এর ফলে ড্যান মজিনার স্থলাভিষিক্ত হতে মার্সিয়া’র সামনে আর কোন বাধা রইল না। মিজ বার্নিকাট হবেন বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চদশ রাষ্ট্রদূত। তবে কূটনৈতিক রীতি অনুযায়ী মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে যে কোন সময় বাংলাদেশের প্রেসিডেন্টের কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করার তারিখ চেয়ে পত্র আসবে।
উল্লেখ্য, ডেমোক্রাট সিনেটর ম্যানেনান্ডাজ গত ৩১শে জুলাই আরও ২৪টি প্রস্তাবের সঙ্গে মার্সিয়ার প্রস্তাবটিও মতৈক্যের ভিত্তিতে একযোগে অনুমোদন দিতে বিরোধী রিপাবলিকান দলের সমর্থন কামনা করেন। কিন্তু রিপাবলিকান সিনেটর এনজি তাতে রাজি হননি। এরপর ভোটাভুটির সিদ্ধান্ত হয়। বাংলাদেশের সঙ্গে প্যারাগুয়ে, সেনেগাল, ব্রুনাই ও বাহরাইনে নিযুক্ত নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূতদের নিয়োগও চূড়ান্ত হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পদে গত ২২শে মে মার্সিয়া বার্নিকাটকে মনোনীত করেন । এরপর মনোনীত ব্যক্তি মার্কিন সিনেটের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির শুনানিতে অংশ নেন? শুনানি শেষে ওই কূটনীতিকের নিয়োগ চূড়ান্ত হয়। গত জুলাইয়ে সিনেটে শুনানিকালে বার্নিকাটের একটি বক্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। এরপর ঢাকার রাজনৈতিক মহলের কেউ কেউ দাবি করেছিলেন মার্কিন সিনেট বিষয়টিকে বিবেচনায় নেয় কিনা। কৃষিমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়াকে সুচিন্তিত মনে করা হয়েছিল। কারণ শুক্রবারে দেয়া বার্নিকাটের মন্তব্যের তিনি সমালোচনা করেন মঙ্গলবার।
মার্কিন সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির শুনানির বক্তব্যে বার্নিকাট বলেছিলেন, ‘‘বাংলাদেশে গত ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন ‘নিঃসন্দেহে ত্রুটিপূর্ণ’ ছিল। তাই বাংলাদেশে আরও প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে জরুরি ভিত্তিতে সংলাপে বসা দরকার।’’
মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে উদ্দেশ্য করে কৃষিমন্ত্রী নালিতাবাড়ির এক জনসভায় বলেন, ‘এটা স্বাধীন সার্বভৌমত্ব দেশ। এই দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে এ দেশের মানুষই ভাববে। আপনাকে ভাবতে হবে না। তাই হিসাব করে কথা বলবেন।’
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২২শে জুলাই ২০১৪ শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় দিনব্যাপী গরিব ও দুঃস্থদের মধ্যে ভিজিএফের চাল, শাড়ি, লুঙ্গি বিতরণকালে এসব কথা বলেন মতিয়া চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘সাহায্য-সহযোগিতা করবেন ভাল কথা, কিন্তু ছড়ি ঘুরাবেন না। আমরা সাহায্য নিই, কিন্তু ভিক্ষা নিই না। যা নিই তা পাই পাই করে ফেরত দিই। তাই যা বলবেন, ভেবেচিন্তে বলবেন।’
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আপনি এখনও বাংলাদেশেই আসেন নাই, আমেরিকায় বসে স্বপ্ন দেখেন নাকি। আপনাদের নির্বাচনের সময় কোর্টের রায় নিয়ে জুনিয়র বুশ ক্ষমতায় বসেছিল। আপনাদের কারচুপির কথা সারা পৃথিবীর মানুষ জানে। আর আপনি আসছেন আমাদের নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে।’
উল্লেখ্য, জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করেন মার্সিয়া। তিনি পেশাদার কূটনীতিক। বর্তমানে মানবসম্পদ বিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী। হোয়াইট হাউসের গত ২২মে দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মার্সিয়া বার্নিকাট বর্তমানে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপ-সহকারী মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন? তিনি ২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সেনেগাল ও গিনি বিসাউতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ছিলেন? এর আগে ২০০৬ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক অধিদপ্তরে ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ এবং ভুটান বিষয়ক পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন? ২০০৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবসম্পদ বিভাগে জ্যেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মার্কিন সিনেটে ১৮ই নভেম্বরে তার নিয়োগ প্রস্তাবটি কনফারমেশনের জন্য ‘এক্সিকিউটিভ ক্যালেন্ডার ৯৫৪ হিসেবে আসে।
উল্লেখ্য, ডেমোক্রাট সিনেটর ম্যানেনান্ডাজ গত ৩১শে জুলাই আরও ২৪টি প্রস্তাবের সঙ্গে মার্সিয়ার প্রস্তাবটিও মতৈক্যের ভিত্তিতে একযোগে অনুমোদন দিতে বিরোধী রিপাবলিকান দলের সমর্থন কামনা করেন। কিন্তু রিপাবলিকান সিনেটর এনজি তাতে রাজি হননি। এরপর ভোটাভুটির সিদ্ধান্ত হয়। বাংলাদেশের সঙ্গে প্যারাগুয়ে, সেনেগাল, ব্রুনাই ও বাহরাইনে নিযুক্ত নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূতদের নিয়োগও চূড়ান্ত হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পদে গত ২২শে মে মার্সিয়া বার্নিকাটকে মনোনীত করেন । এরপর মনোনীত ব্যক্তি মার্কিন সিনেটের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির শুনানিতে অংশ নেন? শুনানি শেষে ওই কূটনীতিকের নিয়োগ চূড়ান্ত হয়। গত জুলাইয়ে সিনেটে শুনানিকালে বার্নিকাটের একটি বক্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। এরপর ঢাকার রাজনৈতিক মহলের কেউ কেউ দাবি করেছিলেন মার্কিন সিনেট বিষয়টিকে বিবেচনায় নেয় কিনা। কৃষিমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়াকে সুচিন্তিত মনে করা হয়েছিল। কারণ শুক্রবারে দেয়া বার্নিকাটের মন্তব্যের তিনি সমালোচনা করেন মঙ্গলবার।
মার্কিন সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির শুনানির বক্তব্যে বার্নিকাট বলেছিলেন, ‘‘বাংলাদেশে গত ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন ‘নিঃসন্দেহে ত্রুটিপূর্ণ’ ছিল। তাই বাংলাদেশে আরও প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে জরুরি ভিত্তিতে সংলাপে বসা দরকার।’’
মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে উদ্দেশ্য করে কৃষিমন্ত্রী নালিতাবাড়ির এক জনসভায় বলেন, ‘এটা স্বাধীন সার্বভৌমত্ব দেশ। এই দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে এ দেশের মানুষই ভাববে। আপনাকে ভাবতে হবে না। তাই হিসাব করে কথা বলবেন।’
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২২শে জুলাই ২০১৪ শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় দিনব্যাপী গরিব ও দুঃস্থদের মধ্যে ভিজিএফের চাল, শাড়ি, লুঙ্গি বিতরণকালে এসব কথা বলেন মতিয়া চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘সাহায্য-সহযোগিতা করবেন ভাল কথা, কিন্তু ছড়ি ঘুরাবেন না। আমরা সাহায্য নিই, কিন্তু ভিক্ষা নিই না। যা নিই তা পাই পাই করে ফেরত দিই। তাই যা বলবেন, ভেবেচিন্তে বলবেন।’
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আপনি এখনও বাংলাদেশেই আসেন নাই, আমেরিকায় বসে স্বপ্ন দেখেন নাকি। আপনাদের নির্বাচনের সময় কোর্টের রায় নিয়ে জুনিয়র বুশ ক্ষমতায় বসেছিল। আপনাদের কারচুপির কথা সারা পৃথিবীর মানুষ জানে। আর আপনি আসছেন আমাদের নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে।’
উল্লেখ্য, জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করেন মার্সিয়া। তিনি পেশাদার কূটনীতিক। বর্তমানে মানবসম্পদ বিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী। হোয়াইট হাউসের গত ২২মে দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মার্সিয়া বার্নিকাট বর্তমানে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপ-সহকারী মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন? তিনি ২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সেনেগাল ও গিনি বিসাউতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ছিলেন? এর আগে ২০০৬ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক অধিদপ্তরে ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ এবং ভুটান বিষয়ক পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন? ২০০৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবসম্পদ বিভাগে জ্যেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মার্কিন সিনেটে ১৮ই নভেম্বরে তার নিয়োগ প্রস্তাবটি কনফারমেশনের জন্য ‘এক্সিকিউটিভ ক্যালেন্ডার ৯৫৪ হিসেবে আসে।
No comments