ইহুদি উপাসনালয়ে হামলায় নিহত ৪
জেরুজালেমে গতকাল ইহুদি উপাসনালয়ে সন্দেহভাজন ফিলিস্তিনিদের হামলায় চার ইসরায়েলি নিহত হওয়ার পর নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতা। ছবি: রয়টার্স |
ইসরায়েলের জেরুজালেমের একটি সিনাগগে (ইহুদি উপাসনালয়) গতকাল মঙ্গলবার সন্দেহভাজন দুই ফিলিস্তিনি কুঠার ও ছুরি হাতে হামলা চালিয়ে অন্তত চারজন ইসরায়েলিকে হত্যা করেছেন। এ ঘটনায় আহত হন আরও অন্তত চারজন। গুলি করে ওই দুই ফিলিস্তিনিকেও হত্যা করা হয়। এর জেরে ওই অঞ্চলে উত্তেজনা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইসরায়েলেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ছয় বছরের মধ্যে জেরুজালেমে সবচেয়ে ভয়াবহ এই হামলার ‘দাঁতভাঙা’ জবাব দেওয়া হবে। এ হামলায় হামাস ও ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মদদ আছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মাহমুদ আব্বাসের কার্যালয় এ হামলার নিন্দা করেছে। খবর এএফপির। পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল সাতটার কিছু আগে ওই সিনাগগে হামলা চালানো হয়। এ সময় সেখানে প্রার্থনা চলছিল। কুঠার ও ছুরি ছাড়াও হামলাকারীদের সঙ্গে পিস্তল ছিল। পরে পুলিশের গুলিতে হামলাকারীরাও নিহত হন।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে তিনজনের ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত নাগরিকত্ব ছিল। অন্য একজনও ব্রিটিশ ও ইসরায়েলি দ্বৈত নাগরিকত্বের অধিকারী। ফিলিস্তিনি মার্ক্স-লেনিনবাদী সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের সামরিক শাখা আবু আলী মোস্তফা ব্রিগেড এ হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে। গাজার কট্টর ইসলামপন্থী সংগঠন হামাস ও অন্য কয়েকটি সংগঠন এর প্রশংসা করেছে। হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত সোমবার জেরুজালেমে ফিলিস্তিনি বাসচালককে হত্যার প্রতিশোধ নিতেই এ হামলা চালানো হয়েছে। গাজা উপত্যকায় অনেক ফিলিস্তিনি মিষ্টি বিতরণ করে এই হামলা উদ্যাপন করেন। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যারাই জেরুজালেমে ইহুদিদের পবিত্র উপাসনালয়ে এ হামলা চালিয়ে থাকুক না কেন, আমরা এর নিন্দা জানাচ্ছি।’ লন্ডন সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, ‘এটি নির্জলা সন্ত্রাসী হামলা।’ যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ডও এ হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সবাইকে শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছে। জেরুজালেম মুসলিম ও ইহুদি উভয়ের কাছে পবিত্র স্থান। সেখানে পবিত্র আল-আকসা মসজিদে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ এবং মুসলিম-ইহুদি পাল্টাপাল্টি হামলাসহ বিভিন্ন কারণে ইতিমধ্যে উত্তেজনা চলছিল।
No comments