ঘুষ দুর্নীতির প্রশ্নে মুখ খোলেননি ওসি মাহমুদ
সংবাদ সম্মেলন ডেকে নিশ্চুপ দোহারের ওসি মাহমুদুল হক। তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে তিনি সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি। বরং সাংবাদিকরা যখন একের পর এক তার ঘুষ, দুর্নীতির খতিয়ান তুলে ধরে প্রশ্ন করছিলেন তখন তাকে বেশ বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। কখনও গালে হাত দিয়ে বিষণ্ন চেহারায় তাকিয়ে ছিলেন, মাঝে মধ্যে পানি পান করছিলেন; আবার টিস্যু দিয়ে কপালের ঘাম মুছতেও দেখা গেছে কয়েকবার। কিন্তু লাজবাব। সাংবাদিকদের সুনির্দিষ্ট একাধিক প্রশ্নের মুখে শুধু এতটুকুই বলতে শোনা গেছে, ‘তিনি এসব বিষয়ে কিছুই বলবেন না। তার কর্তৃপক্ষ যা বলার বলবেন।’ তাহলে কেন এই সংবাদ সম্মেলন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি তার দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে দোহার থানার কিছু সাফল্যের ফিরিস্তি তুলে ধরেন। বুধবার দোহার থানায় নিজ কক্ষে ঘটা করে ওসি এই সংবাদ সম্মেলন ডাকেন। শুরুতেই তিনি বিগত সময়ের আইনশৃংখলা পরিস্থিতি তুলনামূলক তার সময়ে ভালো ছিল দাবি করে কিছু তথ্য তুলে ধরেন। এরপর সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই তড়িঘড়ি পাততাড়ি গোটানোর চেষ্টা করেন। এ সময় জনাকীর্ণ ওই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের মধ্যে কয়েকজন ওসির ঘুষ-বাণিজ্য ও অনিয়মের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কয়েকটি অভিযোগ তুলে ধরে তার জবাব জানতে চান। কিন্তু তিনি কোনো উত্তর দেননি।
মুকসুদপুর ইউনিয়নের ধীৎপুর গ্রামের শেখ বোরহান উদ্দিনের ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা নেয়া হয়নি। এমনকি ওসির প্রস্তাব অনুযায়ী ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হালিম নিজ হাতে ১০ হাজার টাকা ঘুষ দেয়ার পরও আরও ২ লাখ টাকা না দেয়ায় মামলা নেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে যমুনা টিভিতে ভুক্তভোগীদের বক্তব্য সম্প্রচার হয়েছে। গুরুতর এই অভিযোগের উদ্ধৃতি দিয়ে একজন সাংবাদিক ওসির বক্তব্য জানতে চাইলে ওসি মাহমুদ বলেন, ‘আমি আইনের বাইরে কিছু করিনি।’
ওসির কাছে অপর একজন সাংবাদিক জানতে চান, গত কয়েকদিন মিডিয়াতে আপনার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে তার দায় কী স্বীকার করে নিয়েছেন? এর জবাবে ওসি বলেন, ‘কারও বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই। পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ জবাব দেবে।’
মাহমুদুল হককে প্রশ্ন করা হয়, একজন তরুণ প্রকৌশলীকে রাতের বেলায় তার বোনের বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ধরে এনে নির্যাতনের মাধ্যমে তিন লাখ টাকা ঘুষ দাবি ও দুই লাখ টাকা ঘুষ আদায় করা হয়েছে। ঘুষের কিছু অংশ দেয়া হয়েছে থানার এসআই আবদুল কাদেরের মোবাইল নম্বর ০১৭১৭০৭৭১০০-এ বিকাশ করে। যার প্রমাণ সাংবাদিকদের হাতে আছে। ওসি দাবি করেন, ‘এই অভিযোগ সত্য নয়।’
এছাড়াও ঘাটে ঘাটে ও হাটবাজার থেকে মাসোয়ারা আদায়, মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সখ্য গড়ে কমিশন আদায়, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের একজন নেতার সঙ্গে আঁতাতের মাধ্যমে ঘুষ-বাণিজ্য করার অভিযোগ প্রসঙ্গেও প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু ওসি তার কোনো জবাব না দিয়ে নীরব থাকেন।
প্রসঙ্গত, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করার উদ্দেশ্যে ওসি মাহমুদুল হক মঙ্গলবার স্থানীয় সব সাংবাদিকের কাছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ক্ষুদে বার্তা পাঠান। কিন্তু সংবাদ সম্মেলন শুরু হওয়ার পর সবার হাতে একটি প্রেসরিলিজ ধরিয়ে দেয়া হয়।
এদিকে দোহার থানা ওসির ঘুষ দুর্নীতির বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে জানতে চাইলে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, ‘ওসির বিরুদ্ধে যুগান্তরে প্রকাশিত প্রতিটি রিপোর্ট ও যমুনা টিভিতে সম্প্রচারিত প্রতিবেদন আমরা আমলে নিয়েছি। এ বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মিললে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
মুকসুদপুর ইউনিয়নের ধীৎপুর গ্রামের শেখ বোরহান উদ্দিনের ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা নেয়া হয়নি। এমনকি ওসির প্রস্তাব অনুযায়ী ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হালিম নিজ হাতে ১০ হাজার টাকা ঘুষ দেয়ার পরও আরও ২ লাখ টাকা না দেয়ায় মামলা নেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে যমুনা টিভিতে ভুক্তভোগীদের বক্তব্য সম্প্রচার হয়েছে। গুরুতর এই অভিযোগের উদ্ধৃতি দিয়ে একজন সাংবাদিক ওসির বক্তব্য জানতে চাইলে ওসি মাহমুদ বলেন, ‘আমি আইনের বাইরে কিছু করিনি।’
ওসির কাছে অপর একজন সাংবাদিক জানতে চান, গত কয়েকদিন মিডিয়াতে আপনার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে তার দায় কী স্বীকার করে নিয়েছেন? এর জবাবে ওসি বলেন, ‘কারও বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই। পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ জবাব দেবে।’
মাহমুদুল হককে প্রশ্ন করা হয়, একজন তরুণ প্রকৌশলীকে রাতের বেলায় তার বোনের বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ধরে এনে নির্যাতনের মাধ্যমে তিন লাখ টাকা ঘুষ দাবি ও দুই লাখ টাকা ঘুষ আদায় করা হয়েছে। ঘুষের কিছু অংশ দেয়া হয়েছে থানার এসআই আবদুল কাদেরের মোবাইল নম্বর ০১৭১৭০৭৭১০০-এ বিকাশ করে। যার প্রমাণ সাংবাদিকদের হাতে আছে। ওসি দাবি করেন, ‘এই অভিযোগ সত্য নয়।’
এছাড়াও ঘাটে ঘাটে ও হাটবাজার থেকে মাসোয়ারা আদায়, মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সখ্য গড়ে কমিশন আদায়, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের একজন নেতার সঙ্গে আঁতাতের মাধ্যমে ঘুষ-বাণিজ্য করার অভিযোগ প্রসঙ্গেও প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু ওসি তার কোনো জবাব না দিয়ে নীরব থাকেন।
প্রসঙ্গত, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করার উদ্দেশ্যে ওসি মাহমুদুল হক মঙ্গলবার স্থানীয় সব সাংবাদিকের কাছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ক্ষুদে বার্তা পাঠান। কিন্তু সংবাদ সম্মেলন শুরু হওয়ার পর সবার হাতে একটি প্রেসরিলিজ ধরিয়ে দেয়া হয়।
এদিকে দোহার থানা ওসির ঘুষ দুর্নীতির বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে জানতে চাইলে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, ‘ওসির বিরুদ্ধে যুগান্তরে প্রকাশিত প্রতিটি রিপোর্ট ও যমুনা টিভিতে সম্প্রচারিত প্রতিবেদন আমরা আমলে নিয়েছি। এ বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মিললে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
No comments