লতিফ সিদ্দিকীর কঠিন ও দাম্ভিকতাপূর্ণ ভাষার চিঠিতে কেন্দ্রীয় নেতারা গলদঘর্ম -শোকজের জবাবেও ধর্ম অবমাননার বক্তব্যে অটল by জাকির হোসেন লিটন
ধর্ম, রাসূল সা:, হজ ও তাবলিগ জামাত সম্পর্কে দেয়া ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্যে শেষ পর্যন্ত অটল রয়েছেন আওয়ামী লীগের বিতর্কিত ও বহিষ্কৃত নেতা আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। দলের পক্ষ থেকে করা শোকজের জবাবে লেখা চিঠিতে তিনি তার দেয়া বক্তব্যের জন্য কোনো ক্ষমা প্রার্থনা কিংবা দুঃখ প্রকাশও করেননি। বরং ইসলাম ধর্ম অবমাননা করে দেয়া বক্তব্যকে সমর্থন করে নতুন নানা খোঁড়া যুক্তি তুলে ধরে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ রক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। তার সেই জবাবের কঠিন ও দাম্ভিকতাপূর্ণ ভাষাও বুঝতে পারেননি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের অনেক সদস্যই, যা দলের নেতাদের আরো ুব্ধ করেছে। তাই তাকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গতকাল অনুষ্ঠিত কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের একাধিক সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সূচনা বক্তব্যের পরই শুরু হয় রুদ্ধদ্বার বৈঠক। এতে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বৈঠকের শুরুতেই শোক প্রস্তাবসহ বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার পরই উঠে লতিফ সিদ্দিকী প্রসঙ্গ। দলের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের জন্য লতিফ সিদ্দিকীকে দলের প্রেসিডিয়াম থেকে বহিষ্কার ও প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলের জন্য করা শোকজের জবাবের সাড়ে তিন পৃষ্ঠার চিঠিটি তুলে ধরেন। তবে এর পুরোটাই ছিল দীর্ঘ ২২ পৃষ্ঠার চিঠির সারমর্ম।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে টাঙ্গাইল সমিতি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে লতিফ সিদ্দিকী হজ, মহানবী সা: ও তাবলিগ জামাত নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। এর পরিপ্রেেিত ব্যাপক সমালোচনার মুখে মন্ত্রিসভা থেকে লতিফ সিদ্দিকীকে অব্যাহতি দেয়া হয়। ১২ অক্টোবর রাতে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় তাকে দলের সভাপতিমণ্ডলীর পদ থেকেও অব্যাহতি দেয়া হয়। ওই বৈঠকেই লতিফ সিদ্দিকীকে দলের সাধারণ সদস্যপদ থেকেও কেন অব্যাহতি দেয়া হবে নাÑ এ ব্যাপারে কারণ দর্শাতে সাত দিনের সময় দিয়ে চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। নোটিশটি ১৪ অক্টোবর টাঙ্গাইলে তার বাড়ির ঠিকানায় পাঠানো হয়। সে অনুযায়ী লতিফ সিদ্দিকীর দেয়া চিঠির জবাব নিয়ে গতকাল দলের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে আলোচনা করে তাকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকেও বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়। তবে লতিফ সিদ্দিকী বর্তমানে কোথায় আছেন তা নিশ্চিত করে জানা না গেলেও ভারতে অবস্থান করছেন বলে শোনা যাচ্ছে।
সূত্র জানায়, লতিফ সিদ্দিকীর দীর্ঘ এ চিঠির সারমর্ম পড়তে গিয়ে গতকালের বৈঠকে গলদঘর্ম হয়েছেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। অতি কঠিন, দাম্ভিকতাপূর্ণ এ চিঠির ভাষাও বুঝতে পারেননি বৈঠকে উপস্থিত অনেক কেন্দ্রীয় নেতা। তবে চিঠিতে লতিফ সিদ্দিকী তার দেয়া বক্তব্যের জন্য কোনো রকম অনুশোচনা, দুঃখ প্রকাশ বা ক্ষমা প্রার্থনা না করে বক্তব্যের পক্ষে অটল থেকে নতুন নতুন যুক্তি তুলে ধরেন। এতে বিভিন্ন বই ও ধর্মগ্রন্থের রেফারেন্সও দেন তিনি। তবে প্রেসিডিয়াম ও মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কারে কোনো আপত্তি না থাকলেও তাকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে যাতে বহিষ্কার না করা হয় সে জন্য কার্যনির্বাহী সংসদের প্রতি যে জোর অনুরোধ জানিয়েছেন তা সহজেই বুঝতে পারেন উপস্থিত সব নেতা। এ সময় নিজের দীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসও বর্ণনা করতে ভুলে যাননি তিনি। তবে তার সেই অনুরোধে সাড়া দেননি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ বৈঠকে উপস্থিত কোনো নেতাই।
বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা এ প্রতিবেদককে বলেন, তিনি চিঠিতে অনুশোচনা না করে নতুন করে আওয়ামী লীগ ও মুসলমানদের জ্ঞান দিতে চেয়েছেন। তার চাতুর্যপূর্ণ ও পাণ্ডিত্যে ভরা সেই চিঠিটি মিলিয়ে পড়তে গিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকেও অনেক বেগ পেতে হয়েছে।
সূত্র জানায়, লতিফ সিদ্দিকীর চিঠির জবাব উপস্থাপনের পর বক্তব্যের জন্য ফোর দেয়া হলে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, আইন সম্পাদক আব্দুল মতিন খসরুসহ কয়েকজন বক্তব্য দেন। এ সময় সবাই লতিফ সিদ্দিকীর জবাবের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, তিনি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে শুধু মুসলিম নয়, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মনেও চরম আঘাত দিয়েছেন। কিন্তু তিনি তার বক্তব্যের জন্য কোনো ধরনের অনুশোচনা বা দুঃখ প্রকাশ না করে নতুন করে যুক্তি উপস্থাপন করেছেন। তিনি যে ভাষায় জবাব দিয়েছেন তা অতি দাম্ভিকতা, অহঙ্কার ও চাতুর্যপূর্ণ। তিনি নিজেকে কি মনে করেন তা নিজেও জানেন না। তার কারণে ইতোমধ্যেই আওয়ামী লীগের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। মানুষ আওয়ামী লীগের ওপর নেতিবাচক ধারণা নিচ্ছে। তাই তাকে কোনোভাবেই দলে রাখা ঠিক হবে না। এ সময় কোনে কোনো বক্তা তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে গ্রেফতার ও শাস্তিরও দাবি জানান।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের বক্তব্যের সাথে একমত পোষণ করে বলেন, লতিফ সিদ্দিকী ইসলাম অবমাননা করে মুসলিম উম্মার মনে যেমন আঘাত দিয়েছেন, তেমনি আমাদের মনেও আঘাত দিয়েছেন। তিনি দলের ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্রের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছেন। তাই তার মতো নেতাকে দলে রাখা ঠিক হবে না। এ ব্যাপারে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হওয়া প্রয়োজন। এ সময় বৈঠকে উপস্থিত সবাই তার সাথে একমত পোষণ করেন।
বৈঠকে তার সংসদ সদস্যপদ বহাল থাকবে কি না সেই প্রশ্নটি উত্থাপন করা হয়। এ ব্যাপারে একটি রেজুলেশন করে তা নির্বাচন কমিশনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত দেবে তা দল মেনে নেবে বলে বৈঠকে জানানো হয়।
সূত্র জানায়, সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সূচনা বক্তব্যের পরই শুরু হয় রুদ্ধদ্বার বৈঠক। এতে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বৈঠকের শুরুতেই শোক প্রস্তাবসহ বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার পরই উঠে লতিফ সিদ্দিকী প্রসঙ্গ। দলের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের জন্য লতিফ সিদ্দিকীকে দলের প্রেসিডিয়াম থেকে বহিষ্কার ও প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলের জন্য করা শোকজের জবাবের সাড়ে তিন পৃষ্ঠার চিঠিটি তুলে ধরেন। তবে এর পুরোটাই ছিল দীর্ঘ ২২ পৃষ্ঠার চিঠির সারমর্ম।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে টাঙ্গাইল সমিতি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে লতিফ সিদ্দিকী হজ, মহানবী সা: ও তাবলিগ জামাত নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। এর পরিপ্রেেিত ব্যাপক সমালোচনার মুখে মন্ত্রিসভা থেকে লতিফ সিদ্দিকীকে অব্যাহতি দেয়া হয়। ১২ অক্টোবর রাতে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় তাকে দলের সভাপতিমণ্ডলীর পদ থেকেও অব্যাহতি দেয়া হয়। ওই বৈঠকেই লতিফ সিদ্দিকীকে দলের সাধারণ সদস্যপদ থেকেও কেন অব্যাহতি দেয়া হবে নাÑ এ ব্যাপারে কারণ দর্শাতে সাত দিনের সময় দিয়ে চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। নোটিশটি ১৪ অক্টোবর টাঙ্গাইলে তার বাড়ির ঠিকানায় পাঠানো হয়। সে অনুযায়ী লতিফ সিদ্দিকীর দেয়া চিঠির জবাব নিয়ে গতকাল দলের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে আলোচনা করে তাকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকেও বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়। তবে লতিফ সিদ্দিকী বর্তমানে কোথায় আছেন তা নিশ্চিত করে জানা না গেলেও ভারতে অবস্থান করছেন বলে শোনা যাচ্ছে।
সূত্র জানায়, লতিফ সিদ্দিকীর দীর্ঘ এ চিঠির সারমর্ম পড়তে গিয়ে গতকালের বৈঠকে গলদঘর্ম হয়েছেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। অতি কঠিন, দাম্ভিকতাপূর্ণ এ চিঠির ভাষাও বুঝতে পারেননি বৈঠকে উপস্থিত অনেক কেন্দ্রীয় নেতা। তবে চিঠিতে লতিফ সিদ্দিকী তার দেয়া বক্তব্যের জন্য কোনো রকম অনুশোচনা, দুঃখ প্রকাশ বা ক্ষমা প্রার্থনা না করে বক্তব্যের পক্ষে অটল থেকে নতুন নতুন যুক্তি তুলে ধরেন। এতে বিভিন্ন বই ও ধর্মগ্রন্থের রেফারেন্সও দেন তিনি। তবে প্রেসিডিয়াম ও মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কারে কোনো আপত্তি না থাকলেও তাকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে যাতে বহিষ্কার না করা হয় সে জন্য কার্যনির্বাহী সংসদের প্রতি যে জোর অনুরোধ জানিয়েছেন তা সহজেই বুঝতে পারেন উপস্থিত সব নেতা। এ সময় নিজের দীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসও বর্ণনা করতে ভুলে যাননি তিনি। তবে তার সেই অনুরোধে সাড়া দেননি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ বৈঠকে উপস্থিত কোনো নেতাই।
বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা এ প্রতিবেদককে বলেন, তিনি চিঠিতে অনুশোচনা না করে নতুন করে আওয়ামী লীগ ও মুসলমানদের জ্ঞান দিতে চেয়েছেন। তার চাতুর্যপূর্ণ ও পাণ্ডিত্যে ভরা সেই চিঠিটি মিলিয়ে পড়তে গিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকেও অনেক বেগ পেতে হয়েছে।
সূত্র জানায়, লতিফ সিদ্দিকীর চিঠির জবাব উপস্থাপনের পর বক্তব্যের জন্য ফোর দেয়া হলে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, আইন সম্পাদক আব্দুল মতিন খসরুসহ কয়েকজন বক্তব্য দেন। এ সময় সবাই লতিফ সিদ্দিকীর জবাবের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, তিনি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে শুধু মুসলিম নয়, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মনেও চরম আঘাত দিয়েছেন। কিন্তু তিনি তার বক্তব্যের জন্য কোনো ধরনের অনুশোচনা বা দুঃখ প্রকাশ না করে নতুন করে যুক্তি উপস্থাপন করেছেন। তিনি যে ভাষায় জবাব দিয়েছেন তা অতি দাম্ভিকতা, অহঙ্কার ও চাতুর্যপূর্ণ। তিনি নিজেকে কি মনে করেন তা নিজেও জানেন না। তার কারণে ইতোমধ্যেই আওয়ামী লীগের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। মানুষ আওয়ামী লীগের ওপর নেতিবাচক ধারণা নিচ্ছে। তাই তাকে কোনোভাবেই দলে রাখা ঠিক হবে না। এ সময় কোনে কোনো বক্তা তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে গ্রেফতার ও শাস্তিরও দাবি জানান।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের বক্তব্যের সাথে একমত পোষণ করে বলেন, লতিফ সিদ্দিকী ইসলাম অবমাননা করে মুসলিম উম্মার মনে যেমন আঘাত দিয়েছেন, তেমনি আমাদের মনেও আঘাত দিয়েছেন। তিনি দলের ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্রের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছেন। তাই তার মতো নেতাকে দলে রাখা ঠিক হবে না। এ ব্যাপারে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হওয়া প্রয়োজন। এ সময় বৈঠকে উপস্থিত সবাই তার সাথে একমত পোষণ করেন।
বৈঠকে তার সংসদ সদস্যপদ বহাল থাকবে কি না সেই প্রশ্নটি উত্থাপন করা হয়। এ ব্যাপারে একটি রেজুলেশন করে তা নির্বাচন কমিশনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত দেবে তা দল মেনে নেবে বলে বৈঠকে জানানো হয়।
No comments