বিরোধী জোটের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি- এ অবস্থান থেকে সরে আসতে হবে
বিরোধী জোটের আন্দোলনের প্রশ্নে আবারো কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আন্দোলনের নামে ‘হত্যা-অরাজকতা’ চললে সরকার কঠোর হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে ট্রানজিট গভর্নমেন্ট হিসেবে ছিলাম। তখন অনেক কিছু করতে পারিনি। এখন নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায়। এবার একটা মানুষের গায়ে হাত দিয়ে দেখুক। দেখবেন, এর পরিণতি কী হয়। গত বৃহস্পতিবার গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বিএনপির সাথে সংলাপ নিয়ে আর প্রশ্ন না করার জন্য সাংবাদিকদের পরামর্শ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বারবার খুনিদের সাথে সংলাপে বসতে এত তাগিদ কেন? ‘তারা আপনাদের কী দিয়েছে’ বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। গত ৫ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচন ছিল একটি ভোটারবিহীন, প্রতিদ্বন্দ্বীহীন, অগ্রহণযোগ্য নির্বাচন। এই বাস্তবতায় দেশ বিদেশ থেকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বারবার। দেশে সরকারবিরোধী ২০ দলীয় জোট ও সরকারের বাইরে থাকা প্রায় সব দল সব দলের অংশগ্রহণে একটি নিরপেক্ষ ও মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে যাওয়ার কথা বলছে, রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধানে বিরোধী জোটের নেতানেত্রীদের সাথে সংলাপে বসার কথা বলছেÑ তখন প্রধানমন্ত্রী বিরোধী জোটের প্রতি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেন।
তিনি আরো বলেছেন, বিএনপি নেত্রীর পায়ের নিচে মাটি নেই। তারা ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। তারা খুনি। এদের সাথে কোনো সংলাপ নয়। রাজনীতি-বিজ্ঞান বলে, একটি রাজনৈতিক দলের যাবতীয় শক্তি নির্ভর করে জনসমর্থনের ওপর। বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, এমন সাক্ষ্যপ্রমাণ সরকারের হাতে আছে বলে মনে হয়। বৃহস্পতিবার নীলফামারীতে বেগম জিয়ার জনসভায় মানুষের ঢল নামতে দেখা গেছে। সরকারের সমর্থক একটি জাতীয় দৈনিকে ‘জনসভায় জনস্রোত’ শিরোনামের এক খবরে বলা হয়Ñ ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জনসভা ঘিরে মিছিলের নগরীতে পরিণত হয় নীলফামারী। জনসভাস্থল, আশপাশের সড়ক, বাসাবাড়ির ছাদ ছিল লোকে লোকারণ্য। মাটিতে দাঁড়ানোর জায়গা না পেয়ে গাছের ওপরে উঠেও জনসভায় অংশ নেয় অসংখ্য মানুষ।’ এই বাস্তবচিত্র প্রমাণ করে, বিরোধী দলের পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যায়নি। বিএনপি নেত্রী নিজেও সে ব্যাপারে আস্থাশীল বলেই হয়তো সব দলের অংশগ্রহণে নিরপেক্ষ নির্বাচনের জোর দাবি জানিয়ে যাচ্ছেন। অথচ সরকার ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা বলে এ নির্বাচনের পর মধ্যবর্তী নির্বাচন দেয়ার প্রতিশ্রুতি থেকে সরে গিয়ে বিরোধী জোটের সাথে ‘কোনো সংলাপ নয়, ২০১৯ সালের আগে কোনো নির্বাচন নয় এবং সে নির্বাচন হবে বর্তমান সরকারের অধীনেই’ এমন ঘোষণা দিয়ে চলেছে। এর পাশাপাশি চলছে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেফতার ও মামলা। ছাত্রদলের নতুন কমিটির ২২ জন নেতাকর্মীকে ও গতকাল যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ ৮৩ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে আটকের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আরো কঠোর হওয়ার হুমকি বাস্তবায়নের প্রতিফলন ঘটেছে।
আমরা মনে করি, দেশের সরকারপ্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে প্রায় প্রতিদিন যেভাবে, যে ভাষায় কথা বলছেন, তা তার পদ ও পদবির জন্য মোটেও মানানসই নয়। তা ছাড়া, ৫ জানুয়ারি নির্বাচন সূত্রে যে রাজনৈতিক অসন্তোষ ও ক্ষোভ দানা বাঁধছে, তা দেশের জন্য অস্বস্তিকর। এ সমস্যা সমাধানের শান্তিপূর্ণ উপায় হচ্ছে, বিরোধী মতাবলম্বীদের সাথে সংলাপে বসে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্পন্ন করা। জনগণের মনে স্বাভাবিক প্রশ্ন জাগছেÑ আওয়ামী লীগ যদি মনে করে বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, বিএনপি নেত্রীর পায়ে নিচ থেকে মাটি সরে গেছে, তাহলে সবার অংশগ্রহণে অবিলম্বে মধ্যবর্তী নির্বাচনে বাধা কোথায়? সে ধরনের নির্বাচনে যেতে সরকার এত অনিচ্ছুক কেন? সরকার কি তাহলে নিজেকেই জনবিচ্ছিন্ন ভাবছে? এটা ভুল প্রমাণ করতে চাইলে ক্ষমতাসীন দলকে সংলাপের পথে এবং অযৌক্তিক বক্তব্য থেকে সরে আসতে হবে। দেশে স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার স্বার্থে এর বিকল্প নেই।
তিনি আরো বলেছেন, বিএনপি নেত্রীর পায়ের নিচে মাটি নেই। তারা ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। তারা খুনি। এদের সাথে কোনো সংলাপ নয়। রাজনীতি-বিজ্ঞান বলে, একটি রাজনৈতিক দলের যাবতীয় শক্তি নির্ভর করে জনসমর্থনের ওপর। বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, এমন সাক্ষ্যপ্রমাণ সরকারের হাতে আছে বলে মনে হয়। বৃহস্পতিবার নীলফামারীতে বেগম জিয়ার জনসভায় মানুষের ঢল নামতে দেখা গেছে। সরকারের সমর্থক একটি জাতীয় দৈনিকে ‘জনসভায় জনস্রোত’ শিরোনামের এক খবরে বলা হয়Ñ ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জনসভা ঘিরে মিছিলের নগরীতে পরিণত হয় নীলফামারী। জনসভাস্থল, আশপাশের সড়ক, বাসাবাড়ির ছাদ ছিল লোকে লোকারণ্য। মাটিতে দাঁড়ানোর জায়গা না পেয়ে গাছের ওপরে উঠেও জনসভায় অংশ নেয় অসংখ্য মানুষ।’ এই বাস্তবচিত্র প্রমাণ করে, বিরোধী দলের পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যায়নি। বিএনপি নেত্রী নিজেও সে ব্যাপারে আস্থাশীল বলেই হয়তো সব দলের অংশগ্রহণে নিরপেক্ষ নির্বাচনের জোর দাবি জানিয়ে যাচ্ছেন। অথচ সরকার ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা বলে এ নির্বাচনের পর মধ্যবর্তী নির্বাচন দেয়ার প্রতিশ্রুতি থেকে সরে গিয়ে বিরোধী জোটের সাথে ‘কোনো সংলাপ নয়, ২০১৯ সালের আগে কোনো নির্বাচন নয় এবং সে নির্বাচন হবে বর্তমান সরকারের অধীনেই’ এমন ঘোষণা দিয়ে চলেছে। এর পাশাপাশি চলছে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেফতার ও মামলা। ছাত্রদলের নতুন কমিটির ২২ জন নেতাকর্মীকে ও গতকাল যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ ৮৩ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে আটকের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আরো কঠোর হওয়ার হুমকি বাস্তবায়নের প্রতিফলন ঘটেছে।
আমরা মনে করি, দেশের সরকারপ্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে প্রায় প্রতিদিন যেভাবে, যে ভাষায় কথা বলছেন, তা তার পদ ও পদবির জন্য মোটেও মানানসই নয়। তা ছাড়া, ৫ জানুয়ারি নির্বাচন সূত্রে যে রাজনৈতিক অসন্তোষ ও ক্ষোভ দানা বাঁধছে, তা দেশের জন্য অস্বস্তিকর। এ সমস্যা সমাধানের শান্তিপূর্ণ উপায় হচ্ছে, বিরোধী মতাবলম্বীদের সাথে সংলাপে বসে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্পন্ন করা। জনগণের মনে স্বাভাবিক প্রশ্ন জাগছেÑ আওয়ামী লীগ যদি মনে করে বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, বিএনপি নেত্রীর পায়ে নিচ থেকে মাটি সরে গেছে, তাহলে সবার অংশগ্রহণে অবিলম্বে মধ্যবর্তী নির্বাচনে বাধা কোথায়? সে ধরনের নির্বাচনে যেতে সরকার এত অনিচ্ছুক কেন? সরকার কি তাহলে নিজেকেই জনবিচ্ছিন্ন ভাবছে? এটা ভুল প্রমাণ করতে চাইলে ক্ষমতাসীন দলকে সংলাপের পথে এবং অযৌক্তিক বক্তব্য থেকে সরে আসতে হবে। দেশে স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার স্বার্থে এর বিকল্প নেই।
No comments