এবার বাড়লো ভাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা -শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জরিপ by নুর মোহাম্মদ
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে জিপিএ-৫ ও পাসের পর নাটকীয়ভাবে বেড়েছে দেশের ভাল মাধ্যমিক স্কুলের সংখ্যা। এর সঙ্গে কমেছে দুর্বল ও অকার্যকর বিদ্যালয়ের সংখ্যাও। শিক্ষাবিদরা বলছেন, দেশের সার্বিক শিক্ষার মান যখন প্রশ্নের মুখে তখন এ ধরনের একটি সমীক্ষাও প্রশ্নবিদ্ধ। গতকাল জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম) মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের প্রাতিষ্ঠানিক স্ব-মূল্যায়ন (institutional Self Assesment Summar-ISAS) প্রতিবেদন এ তথ্য দেখা গেছে। প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (সেসিপ)। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এটি প্রকাশ করেন। সংস্থাটি সারা দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের ১৮ হাজার ৫৯৮টি এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৮হাজার ৪২৫টি প্রতিষ্ঠানে নিরীক্ষা চালিয়েছে। এর মধ্যে টপ পারফর্মিং বা ‘এ’ ক্যাটিগরি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১০২০টি বা মোট প্রতিষ্ঠানের ৫.৫৪ ভাগ। ওয়েল পারফর্মিং ‘বি’ ক্যাটিগরির প্রতিষ্ঠান হলো ৯হাজার ৯৮টি যা ৪৯.৩৮ ভাগ। গতবছর ‘এ’ ক্যাটিগরি সংখ্যা ছিল ৭০৪টি। এবার বেড়েছে ৩১৬টি প্রতিষ্ঠান। আর ‘বি’ ক্যাটিগরি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ৩১৯টি। এক বছরের ব্যবধানে ‘বি’ ক্যাটিগরির সংখ্যা বেড়েছে ১ হাজার ৭৭৯টি। শুধু এটিই নয়, এবারের প্রতিবেদনের দুর্বল ও অকার্যকর প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও কমানো হয়েছে। এবার ৯৫৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে দুর্বল ও ৩১টিকে অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। গতবার দুর্বল বিদ্যালয় ছিল ৩ হাজার ৬৬টি এবং অকার্যকর ছিল ১৭৭টি। অর্থাৎ দুর্বল প্রতিষ্ঠান কমেছে ২ হাজার ৯টি। আর অকাযকর প্রতিষ্ঠান কমেছে ১৪৬টি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, স্কুলে শিক্ষকদের দিয়ে এ ধরনের প্রতিবেদন করাটা কতটা যৌক্তিক তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান বিবেচনা করে যে তথ্য প্রতিবেদনের প্রকাশ হয়েছে বাস্তবে তা আরও খারাপ। শিক্ষাবিদরা আরও বলেন, গত এক বছর পাসের হার কত বেড়েছে এটা দেখলে সহজে অনুমান করা যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান কতুটুক উন্নত হয়েছে। তারা বলেন, গত বছর পাসের হার বেড়েছে ৩ ভাগ আর শিক্ষার প্রতিষ্ঠানের মান বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। এটা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। প্রতিবেদনের বলা হয়, দেশের মোট ৪০হাজার ৫০২ জন কর্মকর্তা, প্রধান শিক্ষক, শিক্ষক ও এসএমসি সদস্য প্রশিক্ষণ নিয়ে এ কাজ সম্পন্ন করেছে। জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসাররা তা ক্রসচেক করেছেন। ৭টি নির্দেশক ও ৪৫টি উপ-নির্দেশকের অধীনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৫টি গ্রেডে মাপা হয়েছে। ৭টি নিদের্শক হলো টিচিং-লার্নিং পরিবেশ, প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্ব, প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটি, শিক্ষকের দক্ষতা, শিক্ষার্থীদের দক্ষতা, সহশিক্ষা কর্মকান্ড এবং শিক্ষক-অভিভাবক সম্পর্ক। প্রতিষ্ঠানের মান নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ‘এ’ ‘বি’ ‘সি’ ‘ডি’ ও ‘ই’ এ ৫টি গ্রেডে নির্ধারণ করা হয়। নিরীক্ষায় ৯০ উপরে টপ পারফর্মিং ‘এ’, ৮০ থেকে ৮৯.৯ ভাগকে ওয়েল পারফর্মিং ‘বি’, ৭০ থেকে ৭৯.৯ ভাগকে মডারেট পারফর্মিং ‘সি’, ৫০ থেকে ৬৯.৯ ভাগকে পুওর পারফর্মিং ‘ডি’ এবং ২০ থেকে ৪৯.৯ ভাগকে নন-পারফর্মিং ‘ই’ ধরা হয়েছে। ২০১৪ সালের এ নিরীক্ষায় দেখা গেছে ১৮,৪২৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০২০টি ৫.৫৪ ভাগ প্রতিষ্ঠান ‘এ’, ৯০৯৮টি বা ৪৯.৩৮ ভাগ ‘বি’, ৭ হাজার ৩১৯টি বা ৩৯.৭২ ভাগকে ‘সি’, ৯৫৭টি ৫.১৯ ভাগকে ‘ডি’ এবং ৩১টি ০.১৭% ভাগ ‘ই’ মান পেয়েছে। এছাড়াও ৩হাজার ১৬৫টি গার্লস স্কুলের মধ্যে ১৫৫টি ‘এ’, ১ হাজার ৪৩৬টি ‘বি’, ১ হাজার ৩৪০টি ‘সি’, ২২৪টি ‘ডি’ এবং ১০টি ‘ই’ ক্যাটাগরি পেয়েছে। ৩১৭টি সরকারি মাধ্যমিক স্কুলের মধ্যে ৯৫টি ‘এ’, ১৫৯টি ‘বি’, ৬২টি ‘সি’, ০১টি ‘ডি’ মানের। ২৪২টি পার্বত্য অঞ্চলের প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০টি ‘এ’, ১৩২টি ‘বি’, ৮৭টি ‘সি’, ১৩টি ‘ডি’ মানের। উপকূলীয় অঞ্চলের ১ হাজার ২০৩টির মধ্যে ৩১টি ‘এ’, ৪৮২টি ‘বি’, ৫৯২টি ‘সি’, ৯৫টি ‘ডি’ এবং ০৩টি ‘ই’ মানের। হাওর অঞ্চলের ৩১২টি ১৩টি ‘এ’, ১৬৪টি ‘বি’, ১২২টি ‘সি’, ১৩টি ‘ডি’ মানের। জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মূল্যায়নের জন্য সমীক্ষা করতে হয়। এই সমীক্ষার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সমস্যা চিহ্নিত করা যায়। তার দাবি, খারাপ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেশি নজর দেয়ায় এবার তারা ভাল করেছে। প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান, অতিরিক্ত সচিব এ এস মাহমুদ, সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (সেসিপ)-এর যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক রতন কুমার রায়, মাউশি’র মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুন, পরিচালক প্রফেসর ড. সিরাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, এসএসসি-এইচএসসিতে সর্বোচ্চ ৬ থেকে ৭ ভাগ জিপিএ-৫ পাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রতিটি বিভাগে এ জিপিএ হার আরও অনেক বেশি। কিন্তু সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে না। সন্তানদের হেয়প্রতিপন্ন না করে উৎসাহিত করার আহ্বান জানান তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, স্কুলে শিক্ষকদের দিয়ে এ ধরনের প্রতিবেদন করাটা কতটা যৌক্তিক তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান বিবেচনা করে যে তথ্য প্রতিবেদনের প্রকাশ হয়েছে বাস্তবে তা আরও খারাপ। শিক্ষাবিদরা আরও বলেন, গত এক বছর পাসের হার কত বেড়েছে এটা দেখলে সহজে অনুমান করা যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান কতুটুক উন্নত হয়েছে। তারা বলেন, গত বছর পাসের হার বেড়েছে ৩ ভাগ আর শিক্ষার প্রতিষ্ঠানের মান বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। এটা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। প্রতিবেদনের বলা হয়, দেশের মোট ৪০হাজার ৫০২ জন কর্মকর্তা, প্রধান শিক্ষক, শিক্ষক ও এসএমসি সদস্য প্রশিক্ষণ নিয়ে এ কাজ সম্পন্ন করেছে। জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসাররা তা ক্রসচেক করেছেন। ৭টি নির্দেশক ও ৪৫টি উপ-নির্দেশকের অধীনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৫টি গ্রেডে মাপা হয়েছে। ৭টি নিদের্শক হলো টিচিং-লার্নিং পরিবেশ, প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্ব, প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটি, শিক্ষকের দক্ষতা, শিক্ষার্থীদের দক্ষতা, সহশিক্ষা কর্মকান্ড এবং শিক্ষক-অভিভাবক সম্পর্ক। প্রতিষ্ঠানের মান নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ‘এ’ ‘বি’ ‘সি’ ‘ডি’ ও ‘ই’ এ ৫টি গ্রেডে নির্ধারণ করা হয়। নিরীক্ষায় ৯০ উপরে টপ পারফর্মিং ‘এ’, ৮০ থেকে ৮৯.৯ ভাগকে ওয়েল পারফর্মিং ‘বি’, ৭০ থেকে ৭৯.৯ ভাগকে মডারেট পারফর্মিং ‘সি’, ৫০ থেকে ৬৯.৯ ভাগকে পুওর পারফর্মিং ‘ডি’ এবং ২০ থেকে ৪৯.৯ ভাগকে নন-পারফর্মিং ‘ই’ ধরা হয়েছে। ২০১৪ সালের এ নিরীক্ষায় দেখা গেছে ১৮,৪২৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০২০টি ৫.৫৪ ভাগ প্রতিষ্ঠান ‘এ’, ৯০৯৮টি বা ৪৯.৩৮ ভাগ ‘বি’, ৭ হাজার ৩১৯টি বা ৩৯.৭২ ভাগকে ‘সি’, ৯৫৭টি ৫.১৯ ভাগকে ‘ডি’ এবং ৩১টি ০.১৭% ভাগ ‘ই’ মান পেয়েছে। এছাড়াও ৩হাজার ১৬৫টি গার্লস স্কুলের মধ্যে ১৫৫টি ‘এ’, ১ হাজার ৪৩৬টি ‘বি’, ১ হাজার ৩৪০টি ‘সি’, ২২৪টি ‘ডি’ এবং ১০টি ‘ই’ ক্যাটাগরি পেয়েছে। ৩১৭টি সরকারি মাধ্যমিক স্কুলের মধ্যে ৯৫টি ‘এ’, ১৫৯টি ‘বি’, ৬২টি ‘সি’, ০১টি ‘ডি’ মানের। ২৪২টি পার্বত্য অঞ্চলের প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০টি ‘এ’, ১৩২টি ‘বি’, ৮৭টি ‘সি’, ১৩টি ‘ডি’ মানের। উপকূলীয় অঞ্চলের ১ হাজার ২০৩টির মধ্যে ৩১টি ‘এ’, ৪৮২টি ‘বি’, ৫৯২টি ‘সি’, ৯৫টি ‘ডি’ এবং ০৩টি ‘ই’ মানের। হাওর অঞ্চলের ৩১২টি ১৩টি ‘এ’, ১৬৪টি ‘বি’, ১২২টি ‘সি’, ১৩টি ‘ডি’ মানের। জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মূল্যায়নের জন্য সমীক্ষা করতে হয়। এই সমীক্ষার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সমস্যা চিহ্নিত করা যায়। তার দাবি, খারাপ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেশি নজর দেয়ায় এবার তারা ভাল করেছে। প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান, অতিরিক্ত সচিব এ এস মাহমুদ, সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (সেসিপ)-এর যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক রতন কুমার রায়, মাউশি’র মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুন, পরিচালক প্রফেসর ড. সিরাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, এসএসসি-এইচএসসিতে সর্বোচ্চ ৬ থেকে ৭ ভাগ জিপিএ-৫ পাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রতিটি বিভাগে এ জিপিএ হার আরও অনেক বেশি। কিন্তু সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে না। সন্তানদের হেয়প্রতিপন্ন না করে উৎসাহিত করার আহ্বান জানান তিনি।
No comments