লতিফ সিদ্দিকী আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার
আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যও আর থাকতে পারলেন না আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। গতকাল শুক্রবার তাঁকে দল থেকে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল রাতে দলের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে লতিফ সিদ্দিকীকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, চূড়ান্তভাবে কেন বহিষ্কার করা হবে না, জানতে চেয়ে দেওয়া কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব লতিফ সিদ্দিকী নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই দিয়েছেন। তবে এই জবাব পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করে উত্তর সন্তোষজনক বলে মনে হয়নি। এ জন্য আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদ সর্বসম্মতভাবে লতিফ সিদ্দিকীকে চূড়ান্তভাবে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, নিউইয়র্কে দেওয়া বক্তব্যে লতিফ সিদ্দিকী ধর্মের ওপর আক্রমণ করেছেন। ধর্মকে তিনি যেভাবে খাটো করেছেন, তা মুসলিম উম্মাহকে আঘাত করেছে। বাংলাদেশের সব ধর্মের মানুষকে তা মর্মাহত করেছে।
এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লতিফ সিদ্দিকীর আপিল করার সুযোগ আছে কি না—জানতে চাইলে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘আপিলের সুযোগ নেই।’ তাঁর সংসদ সদস্য পদ থাকবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে আশরাফ বলেন, এই নিয়ে নানাজন নানা ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। তবে নির্বাচন কমিশনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
কার্যকরী সংসদের বৈঠকে ছিলেন এমন একাধিক নেতা প্রথম আলোকে জানান, কারণ দর্শানোর নোটিশের সাড়ে তিন পৃষ্ঠার জবাব দিয়েছেন লতিফ সিদ্দিকী। সেখানে নিউইয়র্কে দেওয়া তাঁর বক্তৃতার বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ কিংবা অনুশোচনা করেননি। বরং নিজ বক্তব্যে অটল থাকেন। তিনি বলেছেন, ১৯৫৫ সালে মুসলিম শব্দ বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ নাম নিয়ে এর অসাম্প্রদায়িকতা রূপ প্রকাশ পেয়েছে। এখন সংবিধানে মৌলিক অধিকার, বাক্স্বাধীনতা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এ অবস্থায় বক্তৃতার জন্য দল থেকে বহিষ্কার বা কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনেকটাই অসার।
জবাবে লতিফ সিদ্দিকী লিখেছেন, মন্ত্রিত্ব ও দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যপদ হারানোতে তিনি বিচলিত নন। কারণ, এটা রাজনৈতিক জীবনের অলংকার। তবে যে আদর্শ ও চেতনা নিয়ে রাজনীতি করেছেন, সেই দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হবে হৃৎপিণ্ডে আঘাতের শামিল। তাই সব কিছু ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে তাঁকে যেন বহিষ্কার না করা হয়, সেই অনুরোধ করেন। চিঠিতে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতি, বিভিন্ন সময় কারাভোগ ও মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার বিষয় তুলে ধরেন।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা বলেন, রুদ্ধদ্বার বৈঠকের শুরুতেই দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম চিঠি পড়ে শোনান। জবাব সন্তোষজনক নয় উল্লেখ করে চূড়ান্ত বহিষ্কারের পক্ষে মত দেন তিনি। তখন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা এই বিষয়ে অন্যদের বক্তব্য জানতে চান।
দলীয় সূত্র জানায়, বিভিন্ন সময় লতিফ সিদ্দিকী কীভাবে দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন, সৈয়দ আশরাফ তাঁর বক্তব্যে তা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর লতিফ সিদ্দিকী খোন্দকার মোশতাকের পক্ষে বিবৃতি দেন। আওয়ামী লীগ বিভক্ত হলে লতিফ সিদ্দিকী শেখ হাসিনাকে ছেড়ে অন্য পক্ষে যান। ১৯৮৬ সালে এরশাদের আনা সপ্তম সংশোধনীতে লতিফ সিদ্দিকীর স্ত্রী ভোট দেন। এর পরও বিভিন্ন সময়ের অবদান বিবেচনা করে দলে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হয় তাঁকে। শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, লতিফ সিদ্দিকীর জবাবে অহমিকা আছে। তিনি আওয়ামী লীগকে খাটো করেছেন। তাঁকে দলে রাখার কোনো সুযোগ নেই।
সবশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, লতিফ সিদ্দিকী ধর্মকে খাটো করেছেন। দেশের সব ধর্মের মানুষের মনে আঘাত দিয়েছেন। তাঁর মধ্যে অনুশোচনা নেই। তাই সবার মতামতের ভিত্তিতে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। এর আগে ১২ অক্টোবর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে লতিফ সিদ্দিকীকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। একই দিন তাঁর সাধারণ সদস্যপদ বাতিলের লক্ষ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। ১৪ অক্টোবর তাঁর টাঙ্গাইলের গ্রামের বাড়ির ঠিকানায় ডাকযোগে নোটিশ পাঠানো দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের শেষ দিন গত বুধবার তিনি নোটিশের জবাব পাঠান। এর আগে লতিফ সিদ্দিকীকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকেও অপসারণ করা হয়। তিনি বর্তমানে ভারতে আছেন বলে জানা গেছে।
এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লতিফ সিদ্দিকীর আপিল করার সুযোগ আছে কি না—জানতে চাইলে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘আপিলের সুযোগ নেই।’ তাঁর সংসদ সদস্য পদ থাকবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে আশরাফ বলেন, এই নিয়ে নানাজন নানা ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। তবে নির্বাচন কমিশনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
কার্যকরী সংসদের বৈঠকে ছিলেন এমন একাধিক নেতা প্রথম আলোকে জানান, কারণ দর্শানোর নোটিশের সাড়ে তিন পৃষ্ঠার জবাব দিয়েছেন লতিফ সিদ্দিকী। সেখানে নিউইয়র্কে দেওয়া তাঁর বক্তৃতার বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ কিংবা অনুশোচনা করেননি। বরং নিজ বক্তব্যে অটল থাকেন। তিনি বলেছেন, ১৯৫৫ সালে মুসলিম শব্দ বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ নাম নিয়ে এর অসাম্প্রদায়িকতা রূপ প্রকাশ পেয়েছে। এখন সংবিধানে মৌলিক অধিকার, বাক্স্বাধীনতা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এ অবস্থায় বক্তৃতার জন্য দল থেকে বহিষ্কার বা কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনেকটাই অসার।
জবাবে লতিফ সিদ্দিকী লিখেছেন, মন্ত্রিত্ব ও দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যপদ হারানোতে তিনি বিচলিত নন। কারণ, এটা রাজনৈতিক জীবনের অলংকার। তবে যে আদর্শ ও চেতনা নিয়ে রাজনীতি করেছেন, সেই দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হবে হৃৎপিণ্ডে আঘাতের শামিল। তাই সব কিছু ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে তাঁকে যেন বহিষ্কার না করা হয়, সেই অনুরোধ করেন। চিঠিতে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতি, বিভিন্ন সময় কারাভোগ ও মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার বিষয় তুলে ধরেন।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা বলেন, রুদ্ধদ্বার বৈঠকের শুরুতেই দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম চিঠি পড়ে শোনান। জবাব সন্তোষজনক নয় উল্লেখ করে চূড়ান্ত বহিষ্কারের পক্ষে মত দেন তিনি। তখন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা এই বিষয়ে অন্যদের বক্তব্য জানতে চান।
দলীয় সূত্র জানায়, বিভিন্ন সময় লতিফ সিদ্দিকী কীভাবে দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন, সৈয়দ আশরাফ তাঁর বক্তব্যে তা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর লতিফ সিদ্দিকী খোন্দকার মোশতাকের পক্ষে বিবৃতি দেন। আওয়ামী লীগ বিভক্ত হলে লতিফ সিদ্দিকী শেখ হাসিনাকে ছেড়ে অন্য পক্ষে যান। ১৯৮৬ সালে এরশাদের আনা সপ্তম সংশোধনীতে লতিফ সিদ্দিকীর স্ত্রী ভোট দেন। এর পরও বিভিন্ন সময়ের অবদান বিবেচনা করে দলে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হয় তাঁকে। শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, লতিফ সিদ্দিকীর জবাবে অহমিকা আছে। তিনি আওয়ামী লীগকে খাটো করেছেন। তাঁকে দলে রাখার কোনো সুযোগ নেই।
সবশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, লতিফ সিদ্দিকী ধর্মকে খাটো করেছেন। দেশের সব ধর্মের মানুষের মনে আঘাত দিয়েছেন। তাঁর মধ্যে অনুশোচনা নেই। তাই সবার মতামতের ভিত্তিতে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। এর আগে ১২ অক্টোবর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে লতিফ সিদ্দিকীকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। একই দিন তাঁর সাধারণ সদস্যপদ বাতিলের লক্ষ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। ১৪ অক্টোবর তাঁর টাঙ্গাইলের গ্রামের বাড়ির ঠিকানায় ডাকযোগে নোটিশ পাঠানো দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের শেষ দিন গত বুধবার তিনি নোটিশের জবাব পাঠান। এর আগে লতিফ সিদ্দিকীকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকেও অপসারণ করা হয়। তিনি বর্তমানে ভারতে আছেন বলে জানা গেছে।
No comments