পূজা দেখে ফেরার পথে ধর্ষণের পরে হত্যা মাদ্রাসা ছাত্রীকে
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় ভিটিপাড়া
সার্বজনীন পূজামন্ডপে কীর্তন ও পূজানুষ্ঠানে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলো স্থানীয়
এক মাদ্রাসা ছাত্রী। নিহত ইলমি আক্তার (১০) স্থানীয় মচিারপাড়া ইসলামীয়া
দাখিল মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ও নুর মোহাম্মদের মেয়ে ছিল।
শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মজিদ জানান, বাড়ির পাশেই কালীপূজা উপলক্ষে ভিটিপাড়া সার্বজনীন পূজামন্ডপে কীর্তনের আয়োজন করা হয়। শুক্রবার রাত ৭টার দিকে পূজামন্ডপে কীর্তন ও পূজানুষ্ঠান দেখতে বাড়ি থেকে বের হয় ইলমি। পরে রাত ১০টার দিকেও সে বাড়িতে না ফেরায় বাড়ির লোকজন তাকে খুজাখোঁজি করে। পরদিন শনিবার এলাকাবাসী স্থানীয় সোবাহান ফকিরের ফুল বাগানের ভেতর তার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশ ও স্বজনদের খবর দেয়। তার মুখে কামড়ের দাগ ছিল। পরনের হাফ প্যান্টটিও লাশের পাশে পরা ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে কেউ ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তার লাশ ওই বাগানে ফেলে গেছে। সকাল ১০টার দিকে সুরুতহাল করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। প্রহ্লাদপুর ইউনয়িনের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল মজিদ জানান, শিশুটির লাশ দেখে ধর্ষনের মতো আলামত পাওয়া গেছে এবং গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নাঈমার নানী আকলিমা আক্তার জানান, শুক্রবার রাত ৭টার দিকে ইলমি ও তার ছোট বোন নাঈমাকে (৭) নিয়ে তিনি ওই পূজা মন্ডপে গিয়েছিলেন। তাদের মন্ডপে রেখে পাশের একটি দোকানে বসেছিলেন তিনি (নানী) । পরে স্থানীয় কদমা এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে মন্টু (৩৪) নাঈমাকে পাঁচ টাকা দিয়ে তার নানীর কাছে পাঠিয়ে দেয়। নানী নাঈমার কাছে ইলমির কথা জানতে চাইলে সে জানায়, আপু মিন্টু মামার সাথে আছে। মিন্টু মামা আমাকে চকলেট খেতে পাঁচ টাকা দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে। প্রায় দুই ঘন্টা পরও ইলমি ফিরে না আসায় মন্ডপ এলাকায় খুঁজতে থাকি। কেথাও না পেয়ে মিন্টুর বাড়িতে যাই। কিন্তু মিন্টুকে তার বাড়িতে পাওয়া যায়নি। পরদিন ফুল বাগানে তার নাতনীর লাশ পেয়েছি।
No comments