সমুদ্র দেখতে কক্সবাজার, অতঃপর থাইল্যান্ডের জঙ্গলে by রোকনুজ্জামান পিয়াস
দুর্বিষহ দিনগুলোর কথা মনে করে এখনও শিউরে ওঠে নবম শ্রেণীর ছাত্র সজীব, রনি ও তাদের জুনিয়র শহিদুল। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য দেখতে গিয়েছিল তারা। কথা ছিল তিনদিন পরই ফিরে আসবে। ফিরে অবশ্য এসেছে। তবে তিনদিন নয়, দীর্ঘ ১০ মাস পর। আর সঙ্গে নিয়ে এসেছে দুর্বিষহ দিনগুলোর নানা ঘটনা। পাচারকারীর খপ্পরে পড়ে বিক্রি হয়ে গিয়েছিল তারা। নানা ঘটনার জন্ম দিয়ে অবশেষে ধরা পড়ে থাইল্যান্ড পুলিশের হাতে। এরপর কেটে যায় ১০টি মাস। আর প্রতারক দালালের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারানো ইমান আলীও স্বাভাবিক হতে পারছেন না। থাইল্যান্ডের জঙ্গল ও জেলে কাটানো ভয়াবহ স্মৃতি এখন তার সঙ্গী। দালালচক্র তাকে সাগরপথে মালয়েশিয়া পৌঁছে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নানা ঘটনার সাক্ষী হয়ে ফিরে এসেছে দেশে। এ ধরনের নানা ঘটনার শিকার হয়ে গত সোমবার বিকালে থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফিরেছেন ৩৬ জন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় তারা দেশে ফেরেন। এখনও ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন শত শত বাংলাদেশী।
গাজীপুরের মৌচাক এলাকার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র সজীব জানায়, সে, সহপাঠী রনি ও তাদের জুনিয়র শহিদুল মিলে গত বছর ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে সমুদ্র সৈকত দেখতে গিয়েছিল কক্সবাজারে। সেখানে হামিদ পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি তাদেরকে টেকনাফ নিয়ে যায়। এরপর তাদেরকে শাহাবুদ্দিন দ্বীপে আটকে রাখে ৩ দিন। এ সময় তাদের কাছ থেকে মোবাইল ও টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়া হয়। পরদিন তাদেরকে ২০ হাজার টাকায় একটি দালালচক্রের কাছে বিক্রি করে দেয়া হয়। ওই চক্রটি একটি ট্রলারে জোর করে তাদের তুলে নিয়ে গভীর সমুদ্রের দিকে রওনা দেয়। ওই ট্রলারে ছিল ১৪১ জন যাত্রী। এরা সবাই কোন না কোনভাবে পাচারের শিকার। এরপর বেশ কয়েকটি ট্রলার পরিবর্তন করে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় থাইল্যান্ডের একটি জঙ্গলে। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় অমানুষিক নির্যাতন। পাচারকারীরা তাদের বাড়িতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণ না দিলে তাদের ছাড়া হবে না বলেও জানিয়ে দেয়। এমনকি মেরে ফেলার হুমকি দেয়। না খাইয়ে রাখা হয়। ৪ দিন সেখানে থাকার পর থাইল্যান্ড পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। এ সময় কৌশলে পালিয়ে যায় পাচারকারীচক্র। পুলিশ তাদেরকে নিয়ে থাইল্যান্ডের শনখলা এলাকার একটি সরকারি অফিসে বন্দি করে রাখে। সেখানে আরও ৬শ’র মতো বাংলাদেশী আটক ছিল। ১০-১২ দিন পরে ৪০০ জনকে সরিয়ে অন্যত্র নেয়া হয়। সজীব জানায়, প্রায়ই তাদেরকে রোহিঙ্গা বলে নির্যাতন করা হতো। পুলিশ বিশ্বাস করতো না যে তারা বাঙালি। তারা অনেক রোহিঙ্গাকে বিক্রি করে দিতো। তাদেরকে ভয়ভীতি দেখানো হতো। আটক থাকার ৫৪ দিন পর ব্যাংককস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের এক কর্মকর্তা সেখানে যান। তাদের সঙ্গে কথা বলেন। ঠিকানা জানার পর তিনি আশ্বাস দেন ২ মাস পর তাদেরকে দেশে পাঠানো হবে। তবে সময় পার হয়ে গেলেও আর দেখা মেলেনি ওই কর্মকর্তার। তাদেরকে খেতে দেয়া হতো শুকনো শসার সঙ্গে এক মুঠো ভাত। পান করতে দেয়া হতো নোংরা পানি। এতে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হয় তারা। সজীবের অভিযোগ, বাঙালিদের ওপর পুলিশ নির্যাতন করতো। রোহিঙ্গাদের ওষুধ সরবরাহ করলেও বাঙালিদের দেয়া হতো না। পুলিশ বলতো, রোহিঙ্গাদের জন্য বরাদ্দ আছে কিন্তু বাঙালিদের জন্য কোন বরাদ্দ নেই। প্রায় ৩ মাস পার হওয়ার পর বাংলাদেশীরা আন্দোলন করে খাবার এবং দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য। সজীবের পরিবার থেকেও যোগাযোগ করা হয় সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সজীবের পিতা এবং গার্মেন্ট কর্মী মা ছেলেকে ফেরত আনতে টিকিটের জন্য ১৬ হাজার টাকা জোগাড় করেন। সজীবের মা জানান, ৩ হাজার টাকা নিজের কাছে ছিল আর ১৩ হাজার টাকা ধারদেনা করেছি। ছেলেকে ফিরে পেয়েছি এটাই বড় কথা। সজীব আরও জানায়, যে শাহাবুদ্দিন দ্বীপে তাদের আটক রাখা হয়েছিল সেখানে সবাই পাচারের সঙ্গে জড়িত। পালিয়ে গেলেও অন্য পাচারকারীরা তাদের আটক করে ফেলতো। এছাড়া মেরে ফেলারও হুমকি দেয়া হতো তাদের।
কুমিল্লা জেলার হোমনার বাহের কলামিনা গ্রামের ইমান হোসেন। দালাল বাবুল মিয়ার খপ্পরে পড়ে এখন তিনি সর্বস্বান্ত। খুইয়েছেন প্রায় ৭ লাখ টাকা। এর সবটাই প্রায় ধারদেনা করে সংগ্রহ করেছিলেন তিনি ও তার পরিবার। টেকনাফের বাসিন্দা বাবুল মিয়ার শ্বশুরবাড়ি ইমান আলীর গ্রামে। সেই সূত্রে পরিচয়। বাবুল মিয়া টার্গেট করে ইমান আলীকে। তাকে প্রলোভন দেখায় সাগরপথে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার। সেখানে ভাল কাজ দেয়ার। সে মোতাবেক চুক্তি হয়। আপাতত ১৫ হাজার টাকা দাবি করে বাবুল মিয়া। মালয়েশিয়া পৌঁছানোর পর দিতে হবে আরও ২ লাখ ৫ হাজার। বাবুল মিয়ার কথামতো এ বছরের জানুয়ারি মাসে ট্রলারে ওঠেন তিনি। ওই ট্রলারে তার মতো আরও ২৫০ জন ছিলেন। ৬টি ট্রলার পরিবর্তন করে তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় থাইল্যান্ডের জঙ্গলে। সেখানে তাদের আটকে রেখে বাড়িতে ফোন দিয়ে বাকি টাকা দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। দালালচক্র তাদেরকে বলে বাকি টাকা না দিলে তাদেরকে মালয়েশিয়া পৌঁছানো হবে না। এমনকি মৃত্যুর ভয়ও দেখানো হতো। সে মোতাবেক বাবুল ও অপর দালাল আলম তার পরিবারের কাছ থেকে ২ লাখ ৫ হাজার টাকা নিয়ে আসে। তাদেরকে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত আনোয়ার নামে এক বাংলাদেশীর কাছে হস্তান্তর করার কথা। ওই জঙ্গলে অবস্থানকালেই ২৫শে জানুয়ারি থাইল্যান্ড পুলিশের হাতে আটক হন তারা। দীর্ঘ ১০ মাস কারাগারের অন্ধকারেই ছিলেন ইমান আলীসহ শত শত বাংলাদেশী। এ সময়েও তাকে ফিরিয়ে দেয়ার শর্তে দালাল বাবুল ও আলম পরিবারের কাছ থেকে বিভিন্নভাবে প্রায় ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ওই টাকা আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে ধারদেনা করে দালালদের দিয়েছিল তার পরিবার। পরে ব্যাংককস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় ফিরে এসেছেন ইমান আলী। ৪০ বছর বয়সী দুই ছেলে ও এক মেয়ের পিতা ইমান আলী এখন এক প্রকার নিঃস্ব। এদের মতো শত শত বাংলাদেশী এখনও সে দেশের জেলে অথবা জঙ্গলে বন্দি জীবন কাটাচ্ছেন। অনেকের খোঁজ আছে আবার অনেকেরই নেই। এসব দালালচক্রকে শনাক্ত করতে কাজ শুরু করেছে পুলিশে অপরাধ তদন্ত বিভাগ। মানব পাচার প্রতিরোধ সেলের দায়িত্বরত কর্মকর্তা এএসপি সাইফুল ইসলাম বলেন, দেশে ফেরত আসা কর্মীদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করতে অনুরোধ করা হয়েছে। কোন থানায় মামলা নিতে না চাইলে তাদের সঙ্গে যোগাযোগেরও পরামর্শ দেন তিনি। তিনি আরও জানান, মামলা হওয়ার পরই কেবল এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব।
গাজীপুরের মৌচাক এলাকার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র সজীব জানায়, সে, সহপাঠী রনি ও তাদের জুনিয়র শহিদুল মিলে গত বছর ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে সমুদ্র সৈকত দেখতে গিয়েছিল কক্সবাজারে। সেখানে হামিদ পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি তাদেরকে টেকনাফ নিয়ে যায়। এরপর তাদেরকে শাহাবুদ্দিন দ্বীপে আটকে রাখে ৩ দিন। এ সময় তাদের কাছ থেকে মোবাইল ও টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়া হয়। পরদিন তাদেরকে ২০ হাজার টাকায় একটি দালালচক্রের কাছে বিক্রি করে দেয়া হয়। ওই চক্রটি একটি ট্রলারে জোর করে তাদের তুলে নিয়ে গভীর সমুদ্রের দিকে রওনা দেয়। ওই ট্রলারে ছিল ১৪১ জন যাত্রী। এরা সবাই কোন না কোনভাবে পাচারের শিকার। এরপর বেশ কয়েকটি ট্রলার পরিবর্তন করে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় থাইল্যান্ডের একটি জঙ্গলে। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় অমানুষিক নির্যাতন। পাচারকারীরা তাদের বাড়িতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণ না দিলে তাদের ছাড়া হবে না বলেও জানিয়ে দেয়। এমনকি মেরে ফেলার হুমকি দেয়। না খাইয়ে রাখা হয়। ৪ দিন সেখানে থাকার পর থাইল্যান্ড পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। এ সময় কৌশলে পালিয়ে যায় পাচারকারীচক্র। পুলিশ তাদেরকে নিয়ে থাইল্যান্ডের শনখলা এলাকার একটি সরকারি অফিসে বন্দি করে রাখে। সেখানে আরও ৬শ’র মতো বাংলাদেশী আটক ছিল। ১০-১২ দিন পরে ৪০০ জনকে সরিয়ে অন্যত্র নেয়া হয়। সজীব জানায়, প্রায়ই তাদেরকে রোহিঙ্গা বলে নির্যাতন করা হতো। পুলিশ বিশ্বাস করতো না যে তারা বাঙালি। তারা অনেক রোহিঙ্গাকে বিক্রি করে দিতো। তাদেরকে ভয়ভীতি দেখানো হতো। আটক থাকার ৫৪ দিন পর ব্যাংককস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের এক কর্মকর্তা সেখানে যান। তাদের সঙ্গে কথা বলেন। ঠিকানা জানার পর তিনি আশ্বাস দেন ২ মাস পর তাদেরকে দেশে পাঠানো হবে। তবে সময় পার হয়ে গেলেও আর দেখা মেলেনি ওই কর্মকর্তার। তাদেরকে খেতে দেয়া হতো শুকনো শসার সঙ্গে এক মুঠো ভাত। পান করতে দেয়া হতো নোংরা পানি। এতে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হয় তারা। সজীবের অভিযোগ, বাঙালিদের ওপর পুলিশ নির্যাতন করতো। রোহিঙ্গাদের ওষুধ সরবরাহ করলেও বাঙালিদের দেয়া হতো না। পুলিশ বলতো, রোহিঙ্গাদের জন্য বরাদ্দ আছে কিন্তু বাঙালিদের জন্য কোন বরাদ্দ নেই। প্রায় ৩ মাস পার হওয়ার পর বাংলাদেশীরা আন্দোলন করে খাবার এবং দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য। সজীবের পরিবার থেকেও যোগাযোগ করা হয় সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সজীবের পিতা এবং গার্মেন্ট কর্মী মা ছেলেকে ফেরত আনতে টিকিটের জন্য ১৬ হাজার টাকা জোগাড় করেন। সজীবের মা জানান, ৩ হাজার টাকা নিজের কাছে ছিল আর ১৩ হাজার টাকা ধারদেনা করেছি। ছেলেকে ফিরে পেয়েছি এটাই বড় কথা। সজীব আরও জানায়, যে শাহাবুদ্দিন দ্বীপে তাদের আটক রাখা হয়েছিল সেখানে সবাই পাচারের সঙ্গে জড়িত। পালিয়ে গেলেও অন্য পাচারকারীরা তাদের আটক করে ফেলতো। এছাড়া মেরে ফেলারও হুমকি দেয়া হতো তাদের।
কুমিল্লা জেলার হোমনার বাহের কলামিনা গ্রামের ইমান হোসেন। দালাল বাবুল মিয়ার খপ্পরে পড়ে এখন তিনি সর্বস্বান্ত। খুইয়েছেন প্রায় ৭ লাখ টাকা। এর সবটাই প্রায় ধারদেনা করে সংগ্রহ করেছিলেন তিনি ও তার পরিবার। টেকনাফের বাসিন্দা বাবুল মিয়ার শ্বশুরবাড়ি ইমান আলীর গ্রামে। সেই সূত্রে পরিচয়। বাবুল মিয়া টার্গেট করে ইমান আলীকে। তাকে প্রলোভন দেখায় সাগরপথে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার। সেখানে ভাল কাজ দেয়ার। সে মোতাবেক চুক্তি হয়। আপাতত ১৫ হাজার টাকা দাবি করে বাবুল মিয়া। মালয়েশিয়া পৌঁছানোর পর দিতে হবে আরও ২ লাখ ৫ হাজার। বাবুল মিয়ার কথামতো এ বছরের জানুয়ারি মাসে ট্রলারে ওঠেন তিনি। ওই ট্রলারে তার মতো আরও ২৫০ জন ছিলেন। ৬টি ট্রলার পরিবর্তন করে তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় থাইল্যান্ডের জঙ্গলে। সেখানে তাদের আটকে রেখে বাড়িতে ফোন দিয়ে বাকি টাকা দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। দালালচক্র তাদেরকে বলে বাকি টাকা না দিলে তাদেরকে মালয়েশিয়া পৌঁছানো হবে না। এমনকি মৃত্যুর ভয়ও দেখানো হতো। সে মোতাবেক বাবুল ও অপর দালাল আলম তার পরিবারের কাছ থেকে ২ লাখ ৫ হাজার টাকা নিয়ে আসে। তাদেরকে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত আনোয়ার নামে এক বাংলাদেশীর কাছে হস্তান্তর করার কথা। ওই জঙ্গলে অবস্থানকালেই ২৫শে জানুয়ারি থাইল্যান্ড পুলিশের হাতে আটক হন তারা। দীর্ঘ ১০ মাস কারাগারের অন্ধকারেই ছিলেন ইমান আলীসহ শত শত বাংলাদেশী। এ সময়েও তাকে ফিরিয়ে দেয়ার শর্তে দালাল বাবুল ও আলম পরিবারের কাছ থেকে বিভিন্নভাবে প্রায় ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ওই টাকা আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে ধারদেনা করে দালালদের দিয়েছিল তার পরিবার। পরে ব্যাংককস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় ফিরে এসেছেন ইমান আলী। ৪০ বছর বয়সী দুই ছেলে ও এক মেয়ের পিতা ইমান আলী এখন এক প্রকার নিঃস্ব। এদের মতো শত শত বাংলাদেশী এখনও সে দেশের জেলে অথবা জঙ্গলে বন্দি জীবন কাটাচ্ছেন। অনেকের খোঁজ আছে আবার অনেকেরই নেই। এসব দালালচক্রকে শনাক্ত করতে কাজ শুরু করেছে পুলিশে অপরাধ তদন্ত বিভাগ। মানব পাচার প্রতিরোধ সেলের দায়িত্বরত কর্মকর্তা এএসপি সাইফুল ইসলাম বলেন, দেশে ফেরত আসা কর্মীদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করতে অনুরোধ করা হয়েছে। কোন থানায় মামলা নিতে না চাইলে তাদের সঙ্গে যোগাযোগেরও পরামর্শ দেন তিনি। তিনি আরও জানান, মামলা হওয়ার পরই কেবল এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব।
No comments