নৃশংস খুনের ছড়াছড়ি- সরকার শৃঙ্খলা বাহিনী নির্লিপ্ত কেন
সমাজে নিষ্ঠুরতা বেড়ে গেছে আশঙ্কাজনক হারে। একেবারে ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রা প্রিয়জনদের হত্যা করছে। এর মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ককে কেন্দ্র করে খুনের ঘটনা ঘটছে বেশি। স্ত্রীকে বাদ দিয়ে স্বামী সম্পর্ক তৈরি করছে পর নারীর সাথে। একইভাবে স্বামীকে পাশ কাটিয়ে স্ত্রী সম্পর্ক তৈরি করছে পরপুরুষের সাথে। এর চূড়ান্ত পরিণতিতে একে অন্যজনকে হত্যার সিদ্ধান্ত কার্যকর করছে। কেউ বা পূর্বশত্রুতার জের ধরে নিকটাত্মীয়কে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিচ্ছে। জমিজমা, অর্থসম্পত্তি ভোগদখলও এ ধরনের খুনের পেছনে কাজ করছে। একটি আইনশৃঙ্খলাবিহীন আদিম সমাজের দিকে যেন আমরা যাত্রা শুরু করলাম। এক ভয়াবহ বিকৃতি যেন ক্রমেই আমাদের ওপর ছেয়ে যাচ্ছে। শাসক শ্রেণীর অতিরিক্ত অর্থ ও ক্ষমতালিপ্সা সমাজে এ রক্তের খেলাকে সহজ করে তুলছে।
১৮ অক্টোবর সিলেটে পিতা ও সৎমায়ের হাতে খুন হয় একটি শিশু। ১৯ অক্টোবর সিরাজগঞ্জের সিঙ্গাইরে ছেলের হাতে খুন হন বাবা-মা। আর গণপিটুনিতে নিহত হন ছেলে। ১৯ অক্টোবর রাজশাহীতে শাশুড়িকে চিকিৎসা করাতে গিয়ে খুন হন জামাতা। ১৪ অক্টোবর রংপুরের কাউনিয়ায় এক কিশোরকে প্রেমিকার স্বজনেরা হত্যা করেন। ১০ অক্টোবর রাজধানীর মিরপুরের ভাসানটেকে বোনকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় খুন করা হয় ভাইকে। ১৬ অক্টোবর রাজধানীর কল্যাণপুরে স্বামীকে নৃশংসভাবে হত্যা করেন স্ত্রী। ১৯ অক্টোবর গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে স্বামীর হাতে খুন হন স্ত্রী। ১০ অক্টোবর ময়মনসিংহের নান্দাইলে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তোফাজ্জল হোসেন ও স্বপন মিয়া নামে দুই ভাইকে হত্যা করে প্রতিপক্ষ। ১৫ অক্টোবর চাঁদপুরে বেয়াইনের ছুরিকাঘাতে খুন হন বেয়াই। ১২ অক্টোবর মহেশখালীতে বিয়েবাড়িতে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয় সাবেক এক ছাত্রদল নেতাকে। ১৮ অক্টোবর গাজীপুরে এক মাইক্রোবাসচালককে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা তার গাড়ি নিয়ে যায়। ৯ অক্টোবর ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে অপহৃত এক স্কুলছাত্রীর ভাইকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ১১ অক্টোবর চুনারুঘাটে জমি নিয়ে বিরোধে দু’জনকে হত্যা করা হয়। ১৪ অক্টোবর মাদারগঞ্জে বাসরঘরে খুন করা হয় নববধূকে।
নয়া দিগন্তের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২১ দিনে দেশে অন্তত ১০০ নৃশংস খুনের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সদর দফতরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে খুন হয়েছেন ৪০৩ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩২৮, মার্চে ৩৬৯, এপ্রিলে ৪০১, মে মাসে ৩৭০, জুনে ৩৯২, জুলাইয়ে ৪০৬, আগস্টে ৩৯২ জন ও সেপ্টেম্বরে খুনের ঘটনা ঘটেছে ৩৭৪টি। ২০১০ সালে দেশে খুনের সংখ্যা ছিল তিন হাজার ৯৮৮টি, ২০১১ সালে তিন হাজার ৯৬৬টি, ২০১২ সালে চার হাজার ১১৪টি ও ২০১৩ সালে চার হাজার ৩৯৩টি।
কেন এমনটি হচ্ছে? এর আরো গভীরতর অনুসন্ধান এবং সামাজিক সচেতনতা প্রয়োজন। অবশ্যই বর্তমান জীবনব্যবস্থা এ ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির জন্য অনেকখানি দায়ী।
সবচেয়ে আতঙ্কের ব্যাপার হচ্ছে, সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্লিপ্ততা। পুলিশের দাবি পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অন্য দিকে, সরকার এমন পরিস্থিতিকে একেবারে স্বাভাবিক ঠাওর করছে। এই ফাঁকে খুনিরা শাস্তি না পেয়ে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। এরই প্রভাবে হত্যার এমন বন্য উৎসব চলছে। পরিস্থিতির ভয়াবহতা অনুধাবন না করলে বিচারহীনতার আদিমতা আরো চেপে বসবে। মানুষ এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চায়। দায়িত্বশীলরা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে প্রতিপালন করছেন না তার প্রতিফলন বলে মনে করা অস্বাভাবিক হবে না। সরকারের বোধোদয় প্রয়োজন মানুষের মুক্তির জন্য।
১৮ অক্টোবর সিলেটে পিতা ও সৎমায়ের হাতে খুন হয় একটি শিশু। ১৯ অক্টোবর সিরাজগঞ্জের সিঙ্গাইরে ছেলের হাতে খুন হন বাবা-মা। আর গণপিটুনিতে নিহত হন ছেলে। ১৯ অক্টোবর রাজশাহীতে শাশুড়িকে চিকিৎসা করাতে গিয়ে খুন হন জামাতা। ১৪ অক্টোবর রংপুরের কাউনিয়ায় এক কিশোরকে প্রেমিকার স্বজনেরা হত্যা করেন। ১০ অক্টোবর রাজধানীর মিরপুরের ভাসানটেকে বোনকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় খুন করা হয় ভাইকে। ১৬ অক্টোবর রাজধানীর কল্যাণপুরে স্বামীকে নৃশংসভাবে হত্যা করেন স্ত্রী। ১৯ অক্টোবর গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে স্বামীর হাতে খুন হন স্ত্রী। ১০ অক্টোবর ময়মনসিংহের নান্দাইলে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তোফাজ্জল হোসেন ও স্বপন মিয়া নামে দুই ভাইকে হত্যা করে প্রতিপক্ষ। ১৫ অক্টোবর চাঁদপুরে বেয়াইনের ছুরিকাঘাতে খুন হন বেয়াই। ১২ অক্টোবর মহেশখালীতে বিয়েবাড়িতে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয় সাবেক এক ছাত্রদল নেতাকে। ১৮ অক্টোবর গাজীপুরে এক মাইক্রোবাসচালককে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা তার গাড়ি নিয়ে যায়। ৯ অক্টোবর ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে অপহৃত এক স্কুলছাত্রীর ভাইকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ১১ অক্টোবর চুনারুঘাটে জমি নিয়ে বিরোধে দু’জনকে হত্যা করা হয়। ১৪ অক্টোবর মাদারগঞ্জে বাসরঘরে খুন করা হয় নববধূকে।
নয়া দিগন্তের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২১ দিনে দেশে অন্তত ১০০ নৃশংস খুনের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সদর দফতরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে খুন হয়েছেন ৪০৩ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩২৮, মার্চে ৩৬৯, এপ্রিলে ৪০১, মে মাসে ৩৭০, জুনে ৩৯২, জুলাইয়ে ৪০৬, আগস্টে ৩৯২ জন ও সেপ্টেম্বরে খুনের ঘটনা ঘটেছে ৩৭৪টি। ২০১০ সালে দেশে খুনের সংখ্যা ছিল তিন হাজার ৯৮৮টি, ২০১১ সালে তিন হাজার ৯৬৬টি, ২০১২ সালে চার হাজার ১১৪টি ও ২০১৩ সালে চার হাজার ৩৯৩টি।
কেন এমনটি হচ্ছে? এর আরো গভীরতর অনুসন্ধান এবং সামাজিক সচেতনতা প্রয়োজন। অবশ্যই বর্তমান জীবনব্যবস্থা এ ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির জন্য অনেকখানি দায়ী।
সবচেয়ে আতঙ্কের ব্যাপার হচ্ছে, সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্লিপ্ততা। পুলিশের দাবি পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অন্য দিকে, সরকার এমন পরিস্থিতিকে একেবারে স্বাভাবিক ঠাওর করছে। এই ফাঁকে খুনিরা শাস্তি না পেয়ে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। এরই প্রভাবে হত্যার এমন বন্য উৎসব চলছে। পরিস্থিতির ভয়াবহতা অনুধাবন না করলে বিচারহীনতার আদিমতা আরো চেপে বসবে। মানুষ এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চায়। দায়িত্বশীলরা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে প্রতিপালন করছেন না তার প্রতিফলন বলে মনে করা অস্বাভাবিক হবে না। সরকারের বোধোদয় প্রয়োজন মানুষের মুক্তির জন্য।
No comments