ক্ষমতার জন্যই সরকারের অবস্থান পরিবর্তন by সিরাজুস সালেকিন ও ফররুখ মাহমুদ
গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার বলেছেন, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্যই সরকার নির্বাচনের আগে মঞ্চের সঙ্গে ছিল। এখন ক্ষমতায় থাকার জন্য অবস্থান পরিবর্তন করে মঞ্চের কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। তিনি বলেছেন, সরকারের নীলনকশা বাস্তবায়ন করতে গণজাগরণ মঞ্চকে বন্দি করতে চাইছে। পরিকল্পিতভাবে কর্মসূচি পালন করতে দিচ্ছে না। নেতৃত্বের পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায় মঞ্চের আন্দোলনে অনেক ভুল ছিল স্বীকার করে ইমরান বলেন, সঠিক সময়ে এ ভুলগুলো উপলব্ধি করতে না পারার কারণে নেতৃত্ব দেয়ার মতো সঠিক লোকও খুঁজে পাওয়া যায়নি। মানবজমিন-এর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে ইমরান এসব কথা বলেন। মঞ্চের বর্তমান বিভক্তি সম্পর্কে তিনি জানিয়েছেন, সরকারই চাইছে গণজাগরণ মঞ্চের এ বিভক্তির বিষয়টি মানুষের সামনে তুলে ধরতে। কারণ এখন তাদের আর মঞ্চের প্রয়োজন নেই।
সরকারের অবস্থান পরিবর্তনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে তারা গণজাগরণ মঞ্চের ৬ দফা বাস্তবায়নে কাজ করেছে। অনেকটা নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের মতো। এখন সরকার তাদের নৈতিক জায়গা থেকে সরে এসেছে। তারা জামায়াতের সঙ্গে আঁতাতের পথে গণজাগরণ মঞ্চকে প্রতিবন্ধকতা মনে করছে। জামায়াতকে কাছে টানার জন্যই সরকারের এ পরিবর্তন।
নির্বাচনের পরে মঞ্চের ওপর থেকে সরকারের সমর্থন প্রত্যাহারের কারণ সম্পর্কে ইমরান বলেন, ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের পর সরকার মনোভাবের পরিবর্তন করেছে। নির্বাচনের আগে হেফাজতে ইসলামকে তারা জঙ্গিবাদের উত্থানের কারণ বলেছে। নির্বাচনের পরে তারা হেফাজতে ইসলামকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করেছে। নির্বাচনের আগে তারা জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে চেয়েছে। আর এখন বলছে তাদের এ ধরনের কোন পরিকল্পনা নেই। মূলত সরকার তাদের নৈতিক অবস্থানের পরিবর্তন করেছে। তারা ইসলামী ব্যাংকের টাকা নেয়ার ক্ষেত্রে গণজাগরণ মঞ্চকেই বাধা মনে করছে।
তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া নিয়েও সরকার নৈতিক অবস্থান বদল করেছে। ২০১৩ সালে সরকার যুদ্ধাপরাধের বিচার খুব দ্রুত এগিয়ে নিয়েছে। কিন্তু নির্বাচনের পর তারা আর কোন রায় দিতে চাইছে না। তারা জামায়াতের সঙ্গে এক ধরনের আঁতাতের চেষ্টা করছে। এ ক্ষেত্রেও সরকার গণজাগরণ মঞ্চকে বাধা হিসেবে দেখছে।
৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের সমালোচনা করে ডা. ইমরান বলেন, এটা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার নির্বাচন ছিল। তবে গ্রহণযোগ্য কোন নির্বাচন হয়নি। কারণ বেশির ভাগ ভোটার এখানে ভোট দিতে পারেননি। আমি নিজেও ভোট দিতে পারিনি। আমি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তখন ব্যক্তিগত মত প্রকাশ করেছি।
মঞ্চে বিভক্তির প্রসঙ্গে ইমরান বলেন, যারা নিজেদের গণজাগরণ মঞ্চের অংশ দাবি করছে তারা সরকারের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। তারা সবাই সরকারদলীয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বর্তমানে মঞ্চের নেতৃত্বে ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের অনুপ্রবেশের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, এ সরকারের একটা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তাদের এজেন্ডার সঙ্গে না মিললেই তাকে আলাদা করে দেখে। আমার যে সব সহযোদ্ধার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এসেছে তারা যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে অনলাইনে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিল। এখন যখন সরকারের স্বার্থে আঘাত এসেছে, তখন তাদের ওপর এসব অভিযোগ আনা হচ্ছে। মূলত রাজনৈতিক অপচেষ্টা থেকে এ সব করা হচ্ছে।
সরকার দলের মন্ত্রীদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, পুরো জাতিকে হতাশ করার জন্য বার্তা দেয়া হচ্ছে, গণজাগরণ মঞ্চ বিভক্ত হয়েছে।
গণজাগরণ মঞ্চের নেতৃত্বের স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ রয়েছে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, তারা যে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করছেন সেগুলো নিশ্চয়ই একদিনের না। তারা শুধু বলেননি যে ২৬শে মার্চ আমি স্বেচ্ছাচারিতা করেছি, ২০১৩ সালে আমি স্বেচ্ছাচারী ছিলাম না। বিষয়টা তো এমন না। তখন তারা এ অভিযোগগুলো করেননি কেন?
গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা কমে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সরকার আমাদের সমাবেশে নানাভাবে বাধা সৃষ্টি করেছে। আমরা কোন কর্মসূিচ দিলে সরকার জোটের সংগঠনগুলো আমাদের সভাস্থলে সভা আহ্বান করে। আমাদের বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয় না। এমনকি মাইক ভাড়া না দেয়ার জন্য মালিকদের নিষেধ করা হয়। আমাদের সমাবেশ স্থলে সরকার পুলিশ দিয়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে। ফলে জনগণ সমাবেশে আসার ইচ্ছা পোষণ করলেও সরকারের বাধার কারণে অংশ নিতে পারছে না। আমি মনে করি অনেকটা পরিকল্পিতভাবে নীলনকশা বাস্তবায়নের জন্যই মঞ্চকে বন্দি করতে চাইছে সরকার।
মঞ্চ নতুন করে জোরালো কেন কর্মসূচি দিতে পারছে না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন পুলিশ জামায়াতের কর্মসূচি ঠেকানোর চেয়ে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মসূচি ঠেকাতে ব্যস্ত। পুলিশের আগ্রহের জায়গা এখন গণজাগরণ মঞ্চ। কারণ সরকারের সমঝোতার বিষয়টি জনগণ বুঝতে পেরেছে। সাঈদীর রায় ঘোষণার পর সরকারের টার্গেট ছিল রায়ের বিরুদ্ধে জনরোষ মোকাবিলা করা।
বর্তমান পরিস্থিতিতে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের রূপরেখা কি হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ৫ই ফেব্রুয়ারিতে সিদ্ধান্ত নিয়েই এসেছি আমাদের কি কি মোকাবিলা করতে হবে। আমরা নিশ্চয়ই প্রত্যাশা করে আসিনি যে সরকারের বিরোধিতার মুখে পড়বো। সরকার একটা রায় দিয়েছে তা প্রত্যাখ্যান করে আবার বিচার চাইতে হবে। জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলবো। আমরা মনে করি সরকার জনগণকে দেখানোর জন্য গণজাগরণ মঞ্চের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। এখন এসে পরিষ্কার হয়েছে আদতে তারা কোন সময় ৬ দফার সঙ্গে ছিল না। নেতৃত্বের পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায় অনেক ক্ষেত্রে ভুল হয়েছে উল্লেখ করে ইমরান বলেন, সাধারণ মানুষ সম্পর্কে কোন অভিজ্ঞতা ছিল না। সবচেয়ে বড় ভুল ছিল রাজনৈতিক দলগুলো সম্পর্কে সতর্ক না থাকা। স্বতঃস্ফূর্ত গণমানুষের আন্দোলনে ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রভাব বলয় ছিল। আর ছাত্র সংগঠনগুলোর মূল কাজই হচ্ছে তাদের রাজনৈতিক আদর্শের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা। রাজনৈতিক দলগুলোর সিদ্ধান্তের বাইরে তারা কিছু করে না। সঠিক সময়ে এ বিষয়গুলো উপলব্ধি করতে পারিনি। ২০১৩ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারির আগে জানতে পারিনি কাকে দিয়ে কি কাজ হবে। কার ওপর নির্ভর করতে হবে। সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে মানুষকে চিনেছি।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের দেয়া রায়কে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ। আন্দোলনের মুখে আইন সংশোধন করে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল করার সুযোগ তৈরি হয়। ফলে আবদুল কাদের মোল্লার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল নিষ্পত্তির পর গত বছরের ডিসেম্বরে তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর হয়। মঞ্চের আন্দোলন ঘিরে উত্থান ঘটে আলোচিত সংগঠন হেফাজতে ইসলামের। ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে গণজাগরণ মঞ্চে বিভক্তি দেখা দেয়। এখন মঞ্চের কর্মীরা তিনটি অংশে বিভক্ত।
সরকারের অবস্থান পরিবর্তনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে তারা গণজাগরণ মঞ্চের ৬ দফা বাস্তবায়নে কাজ করেছে। অনেকটা নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের মতো। এখন সরকার তাদের নৈতিক জায়গা থেকে সরে এসেছে। তারা জামায়াতের সঙ্গে আঁতাতের পথে গণজাগরণ মঞ্চকে প্রতিবন্ধকতা মনে করছে। জামায়াতকে কাছে টানার জন্যই সরকারের এ পরিবর্তন।
নির্বাচনের পরে মঞ্চের ওপর থেকে সরকারের সমর্থন প্রত্যাহারের কারণ সম্পর্কে ইমরান বলেন, ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের পর সরকার মনোভাবের পরিবর্তন করেছে। নির্বাচনের আগে হেফাজতে ইসলামকে তারা জঙ্গিবাদের উত্থানের কারণ বলেছে। নির্বাচনের পরে তারা হেফাজতে ইসলামকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করেছে। নির্বাচনের আগে তারা জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে চেয়েছে। আর এখন বলছে তাদের এ ধরনের কোন পরিকল্পনা নেই। মূলত সরকার তাদের নৈতিক অবস্থানের পরিবর্তন করেছে। তারা ইসলামী ব্যাংকের টাকা নেয়ার ক্ষেত্রে গণজাগরণ মঞ্চকেই বাধা মনে করছে।
তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া নিয়েও সরকার নৈতিক অবস্থান বদল করেছে। ২০১৩ সালে সরকার যুদ্ধাপরাধের বিচার খুব দ্রুত এগিয়ে নিয়েছে। কিন্তু নির্বাচনের পর তারা আর কোন রায় দিতে চাইছে না। তারা জামায়াতের সঙ্গে এক ধরনের আঁতাতের চেষ্টা করছে। এ ক্ষেত্রেও সরকার গণজাগরণ মঞ্চকে বাধা হিসেবে দেখছে।
৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের সমালোচনা করে ডা. ইমরান বলেন, এটা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার নির্বাচন ছিল। তবে গ্রহণযোগ্য কোন নির্বাচন হয়নি। কারণ বেশির ভাগ ভোটার এখানে ভোট দিতে পারেননি। আমি নিজেও ভোট দিতে পারিনি। আমি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তখন ব্যক্তিগত মত প্রকাশ করেছি।
মঞ্চে বিভক্তির প্রসঙ্গে ইমরান বলেন, যারা নিজেদের গণজাগরণ মঞ্চের অংশ দাবি করছে তারা সরকারের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। তারা সবাই সরকারদলীয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বর্তমানে মঞ্চের নেতৃত্বে ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের অনুপ্রবেশের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, এ সরকারের একটা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তাদের এজেন্ডার সঙ্গে না মিললেই তাকে আলাদা করে দেখে। আমার যে সব সহযোদ্ধার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এসেছে তারা যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে অনলাইনে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিল। এখন যখন সরকারের স্বার্থে আঘাত এসেছে, তখন তাদের ওপর এসব অভিযোগ আনা হচ্ছে। মূলত রাজনৈতিক অপচেষ্টা থেকে এ সব করা হচ্ছে।
সরকার দলের মন্ত্রীদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, পুরো জাতিকে হতাশ করার জন্য বার্তা দেয়া হচ্ছে, গণজাগরণ মঞ্চ বিভক্ত হয়েছে।
গণজাগরণ মঞ্চের নেতৃত্বের স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ রয়েছে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, তারা যে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করছেন সেগুলো নিশ্চয়ই একদিনের না। তারা শুধু বলেননি যে ২৬শে মার্চ আমি স্বেচ্ছাচারিতা করেছি, ২০১৩ সালে আমি স্বেচ্ছাচারী ছিলাম না। বিষয়টা তো এমন না। তখন তারা এ অভিযোগগুলো করেননি কেন?
গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা কমে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সরকার আমাদের সমাবেশে নানাভাবে বাধা সৃষ্টি করেছে। আমরা কোন কর্মসূিচ দিলে সরকার জোটের সংগঠনগুলো আমাদের সভাস্থলে সভা আহ্বান করে। আমাদের বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয় না। এমনকি মাইক ভাড়া না দেয়ার জন্য মালিকদের নিষেধ করা হয়। আমাদের সমাবেশ স্থলে সরকার পুলিশ দিয়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে। ফলে জনগণ সমাবেশে আসার ইচ্ছা পোষণ করলেও সরকারের বাধার কারণে অংশ নিতে পারছে না। আমি মনে করি অনেকটা পরিকল্পিতভাবে নীলনকশা বাস্তবায়নের জন্যই মঞ্চকে বন্দি করতে চাইছে সরকার।
মঞ্চ নতুন করে জোরালো কেন কর্মসূচি দিতে পারছে না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন পুলিশ জামায়াতের কর্মসূচি ঠেকানোর চেয়ে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মসূচি ঠেকাতে ব্যস্ত। পুলিশের আগ্রহের জায়গা এখন গণজাগরণ মঞ্চ। কারণ সরকারের সমঝোতার বিষয়টি জনগণ বুঝতে পেরেছে। সাঈদীর রায় ঘোষণার পর সরকারের টার্গেট ছিল রায়ের বিরুদ্ধে জনরোষ মোকাবিলা করা।
বর্তমান পরিস্থিতিতে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের রূপরেখা কি হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ৫ই ফেব্রুয়ারিতে সিদ্ধান্ত নিয়েই এসেছি আমাদের কি কি মোকাবিলা করতে হবে। আমরা নিশ্চয়ই প্রত্যাশা করে আসিনি যে সরকারের বিরোধিতার মুখে পড়বো। সরকার একটা রায় দিয়েছে তা প্রত্যাখ্যান করে আবার বিচার চাইতে হবে। জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলবো। আমরা মনে করি সরকার জনগণকে দেখানোর জন্য গণজাগরণ মঞ্চের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। এখন এসে পরিষ্কার হয়েছে আদতে তারা কোন সময় ৬ দফার সঙ্গে ছিল না। নেতৃত্বের পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায় অনেক ক্ষেত্রে ভুল হয়েছে উল্লেখ করে ইমরান বলেন, সাধারণ মানুষ সম্পর্কে কোন অভিজ্ঞতা ছিল না। সবচেয়ে বড় ভুল ছিল রাজনৈতিক দলগুলো সম্পর্কে সতর্ক না থাকা। স্বতঃস্ফূর্ত গণমানুষের আন্দোলনে ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রভাব বলয় ছিল। আর ছাত্র সংগঠনগুলোর মূল কাজই হচ্ছে তাদের রাজনৈতিক আদর্শের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা। রাজনৈতিক দলগুলোর সিদ্ধান্তের বাইরে তারা কিছু করে না। সঠিক সময়ে এ বিষয়গুলো উপলব্ধি করতে পারিনি। ২০১৩ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারির আগে জানতে পারিনি কাকে দিয়ে কি কাজ হবে। কার ওপর নির্ভর করতে হবে। সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে মানুষকে চিনেছি।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের দেয়া রায়কে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ। আন্দোলনের মুখে আইন সংশোধন করে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল করার সুযোগ তৈরি হয়। ফলে আবদুল কাদের মোল্লার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল নিষ্পত্তির পর গত বছরের ডিসেম্বরে তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর হয়। মঞ্চের আন্দোলন ঘিরে উত্থান ঘটে আলোচিত সংগঠন হেফাজতে ইসলামের। ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে গণজাগরণ মঞ্চে বিভক্তি দেখা দেয়। এখন মঞ্চের কর্মীরা তিনটি অংশে বিভক্ত।
No comments