কুমিরের মুখ থেকে ফিরে এলেন শিকারি
ছয় ফুট লম্বা এক কুমিরের মুখ থেকে প্রাণে বেঁচে ফিরে এসেছেন অস্ট্রেলিয়ার এক মদ্যপ রাজহাঁস শিকারি। কুমিরের চোখে গুঁতো দিয়ে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন তিনি। খবর এএফপির। ঘটনাটি গত শুক্রবার সন্ধ্যার। উত্তর অস্ট্রেলিয়ার দুর্গম পেপিমেনারটি এলাকায় হাঁস শিকারে গিয়েছিলেন ২০ বছর বয়সী স্টিফেন মোরেন। নর্দার্ন টেরিটরির রাজধানী ডারউইন থেকে এলাকাটি ৩২০ কিলোমিটার দূরে। অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনের সাংবাদিককে মোরেন বলছিলেন, ‘আমরা গুলি করে বুনো রাজহাঁস মারছিলাম। আমার চাচাতো ভাই পড়ে যাওয়া হাঁসগুলো নিয়ে আসতে বলল। একটা, দুটো করে তিনটা হাঁস ধরার পর কুমিরটা আমার হাত কামড়ে ধরে টান দেয়।
সে আমাকে ধরে পাক খাওয়ার চেষ্টা করে। তবে আমার বরাত ভালো ছিল। পানির নিচে তার চোখে জোরে গুঁতো দিই।’ মোরেন বলেন, কুমিরটি গুঁতো খেয়ে তাঁকে ছেড়ে দিয়ে চলে যাওয়ার সময় তাঁর ভাই গুলি করে। মোরেন স্বীকার করেন, ঘটনার সময় তিনি কিছুটা মাতাল ছিলেন। আর সে কারণেই হয়তো কুমিরের কামড়ের ব্যথা টের পাননি। তিনি বলেন, ‘শরীরের ক্ষত দেখার আগে আমি তেমন ভয় পাইনি। কিন্তু দেখার পর চিৎকার দিই।’ ১৯৭১ সালে কুমির সুরক্ষা আইন করার পর উত্তর অস্ট্রেলিয়ায় কুমিরের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। সরকারি হিসাবে এর সংখ্যা ৭৫ হাজার থেকে এক লাখ।
No comments